Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

নিরীক্ষা সংক্রান্ত

২১০৷ নিরীক্ষকগণের নিয়োগ ও তাহাদের পারিশ্রমিক

(১) প্রত্যেক কোম্পানী উহার প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভায় এক বা একাধিক নিরীক্ষককে উক্ত সভার সমাপ্তি হইতে পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি পর্যন্ত সময়ের জন্য নিয়োগ করিবে এবং নিয়োগের সাত দিনের মধ্যে নিযুক্ত প্রত্যেক নিরীক্ষককে উক্ত নিয়োগ সম্পর্কে অবহিত করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ বা পুনঃ নিয়োগ করার পূর্বে তাহার লিখিত সম্মতি ব্যতীত তাহাকে নিয়োগ করা যাইবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিযুক্ত প্রত্যেক নিরীক্ষক কোম্পানীর নিকট হইতে তাহার নিয়োগের সংবাদ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রারকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন যে তিনি উক্ত নিয়োগ গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন৷

(৩) যে কর্তৃপক্ষ দ্বারাই নিযুক্ত হইয়া থাকুক না কেন, অবসর গ্রহণ করিতে যাইতেছেন এইরূপ নিরীক্ষককে বার্ষিক সাধারণ সভায় পুনরায় নিয়োগ করিতে হইবে, যদি না –

(ক) তিনি পুনঃনিয়োগ লাভের জন্য তাহার যোগ্যতা হারাইয়া থাকেন; অথবা
(খ) পুনঃনিযুক্ত হইতে তাহার অনিচ্ছার কথা জানাইয়া তিনি কোম্পানীকে লিখিত নোটিশ দিয়া থাকেন; অথবা
(গ) তাহার পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করার জন্য অথবা তাহাকে পুনর্নিয়োগ করা হইবে না বলিয়া স্পষ্টভাবে উক্ত সভায় একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়া থাকে :

তবে শর্ত থাকে যে, দফা (গ) এর অধীনে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে সভার পূর্বেই তত্সম্পর্কে ২১১ ধারা অনুযায়ী নোটিশ দিতে হইবে, এবং তাহার মৃত্যু, অসমর্থতা, অযোগ্যতা বা অসততা ব্যতীত অন্য কোন কারণে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না৷

(৪) যদি বার্ষিক সাধারণ সভায় কোন নিরীক্ষক নিয়োগ না করা হয়, তাহা হইলে সরকার উক্ত শূন্য পদে উহার বিবেচনায় উপযুক্ত কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে সরকারের ক্ষমতা প্রয়োগযোগ্য হওয়ার সাত দিনের মধ্যে কোম্পানী উক্ত ঘটনা সম্পর্কে সরকারকে নোটিশ প্রদান করিবে; এবং যদি কোন কোম্পানী এইরূপ নোটিশ প্রদান করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৬) কোম্পানী নিবন্ধিকৃত হওয়ার তারিখ হইতে একমাসের মধ্যে উহার পরিচালক পরিষদ কোম্পানীর প্রথম নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকগণকে নিয়োগ করিবে এবং উক্ত নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকগণ কোম্পানীর প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাহার বা তাহাদের পদে বহাল থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে –

(ক) উক্ত কোম্পানী কোন সাধারণ সভায় অনুরূপ যে কোন নিরীক্ষককে অপসারণ করিতে পারিবে, এবং তাহার বা তাহাদের স্থলে অন্য এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে নিয়োগ করিতে পারিবে যিনি বা যাহারা কোম্পানীর কোন সদস্য কর্তৃক মনোনীত হইয়াছেন এবং যাহার বা যাহাদের মনোনয়ন সম্পর্কে কোম্পানীর অন্যান্য সদস্যগণকে উক্ত সভা অনুষ্ঠানের তারিখের অন্যুন চৌদ্দ দিন পূর্বে নোটিশ দেওয়া হইয়াছে; এবং
(খ) পরিচালক পরিষদ এই উপ-ধারার অধীনে উহার ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকিলে, কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় প্রথম নিরীক্ষক বা সকল নিরীক্ষকগণকে নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(৭) নিরীক্ষকের কোন পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে, পরিচালক পরিষদ উক্ত পদ পূরণ করিতে পারিবে এবং পদটি শূন্য থাকাকালে বাকী নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকগণ, কেহ থাকিলে, কাজ চালাইয়া যাইতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত শূন্যতা কোন নিরীক্ষকের পদত্যাগের কারণে ঘটিয়া থাকিলে শুধুমাত্র কোম্পানীর সাধারণ সভায় উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা যাইবে৷

(৮) সাময়িকভাবে শূন্য পদে নিযুক্ত কোন নিরীক্ষক কোম্পানীর পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল থাকিবেন৷

(৯) উপ-ধারা (৭) এর শর্তাংশের অধীনে নিযুক্ত নিরীক্ষক ব্যতীত, এই ধারার অধীনে নিযুক্ত যে কোন নিরীক্ষককে তাহার পদ হইতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে, কেবল কোম্পানীর সাধারণ সভার বিশেষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অপসারণ করা যাইবে৷

(১০) কোম্পানীর নিরীক্ষকগণের পারিশ্রমিক –

(ক) পরিচালক পরিষদ বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন নিরীক্ষকের ক্ষেত্রে, যথাক্রমে উক্ত পরিষদ বা সরকার নির্ধারণ করিতে পারিবে; এবং
(খ) দফা (ক) এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় অথবা সাধারণ সভা যে পদ্ধতি স্থির করিবে সেই পদ্ধতিতে উক্ত পারিশ্রমিক নির্ধারিত হইবে৷

(১১) উপ-ধারা (১০) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষকগণের খরচ হিসাবে ব্যয়িত যে কোন অর্থ পারিশ্রমিকের অন্তর্ভুক্ত হইবে৷

২১১৷ নিরীক্ষকগণের নিয়োগ ও অপসারণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত বিধানাবলী

(১) অবসর গ্রহণকারী কোন নিরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে কিংবা অবসর গ্রহণকারী কোন নিরীক্ষককে পুনরায় নিয়োগ করা যাইবে না মর্মে স্পষ্টভাবে বার্ষিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ নোটিশ প্রদানের প্রয়োজন হইবে৷

(২) কোম্পানী উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর অবিলম্বে উহার একটি অনুলিপি অবসর গ্রহণকারী নিরীক্ষকের নিকট প্রেরণ করিবে৷

(৩) যে ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ দেওয়া হয় এবং অবসর গ্রহণকারী নিরীক্ষক তত্সম্পর্কে লিখিতভাবে নিবেদন পেশ করিয়া প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সদস্যগণকে নোটিশ প্রদানের জন্য কোম্পানীকে অনুরোধ জানান, সে ক্ষেত্রে, উক্ত অনুরোধ কোম্পানীর নিকট বিলম্বে পৌঁছানো সত্ত্বেও নোটিশ দেওয়া অসম্ভব না হইলে, কোম্পানী –

(ক) উহার সদস্যগণের নিকট প্রেরিতব্য সিদ্ধান্তের নোটিশে উক্ত নিবেদনের বিষয় উল্লেখ করিবে; এবং
(খ) উক্ত নিবেদন পাওয়ার পূর্বে বা পরে যখনই উহার কোন সদস্যগণের নিকট সভার নোটিশ প্রেরণ করে তখনই উক্ত সদস্যের নিকট নিবেদনের অনুলিপি প্রেরণ করিবে; এবং বিলম্বে নিবেদনটি পাওয়ার কারণে অথবা কোম্পানীর কোন ত্রম্্নটির কারণে যদি উক্ত অনুলিপি প্রেরিত না হইয়া থাকে, তাহা হইলে নিরীক্ষক দাবী করিতে পারিবেন যে, উক্ত নিবেদন উক্ত সভায় পাঠ করিয়া শুনাইতে হইবে; এবং তিনি উক্ত সভায় তাহার বক্তব্য মৌখিকভাবেও পেশ করার অধিকারী হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোম্পানী অথবা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে আদালত সন্তুষ্ট হয় যে, মানহানিকর কোন বিষয়ের অনাবশ্যক প্রচারণার জন্য এই ধারাবলে অর্পিত অধিকারের অপব্যবহার করা হইতেছে, তাহা হইলে, আদালত উক্ত নিবেদনের অনুলিপি প্রেরণ করা হইতে এবং উহা সভায় পাঠ করিয়া শুনানো হইতে কোম্পানীকে অব্যাহতি দিতে পারিবে এবং আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত কোম্পানীর বা উক্ত ব্যক্তির আবেদনের উপর কোম্পানীর যাবতীয় খরচ, সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে, নিরীক্ষক পরিশোধ করিবেন, এমনকি তিনি উক্ত আবেদনপত্রে কোন পক্ষ না থাকিলেও৷

(৪) ধারা ২১০ এর উপ-ধারা (৬) বা (৯) এর অধীনে কোন অপসারণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, এই ধারার (২) ও (৩) উপ-ধারা প্রযোজ্য হইবে যেমন তাহা কোন অবসর গ্রহণকারী নিরীক্ষককে পুনর্নিয়োগ না করার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়৷

২১২৷ নিরীক্ষকগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা

(১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973, (P.O. No. 2 of 1973) তে “Chartered Accountant” শব্দদ্বয় যে অর্থ বহন করে সেই অর্থে কোন ব্যক্তি “চাটার্ড এ্যাকাউন্টেন্ট” না হইলে তাহাকে কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা যাইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ফার্ম বাংলাদেশে কর্মরত উহার সকল অংশীদার উক্তরূপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইলে উক্ত ফার্ম কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে ফার্মের নামে নিয়োগলাভ করিতে পারিবে, এবং সে ক্ষেত্রে ফার্মের যে কোন অংশীদার ফার্মের নামে নিরীক্ষকের কাজ চালাইতে পারিবেন৷

(২) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের কেহই কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগলাভের যোগ্য হইবেন না, যথা :-

(ক) কোম্পানীর নাম কর্মকর্তা বা কর্মচারী;
(খ) কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অংশীদার বা উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অধীনে চাকুরীরত ব্যক্তি;
(গ) কোম্পানীর নিকট এক হাজার টাকার অধিক পরিমাণ অর্থের জন্য ঋণী ব্যক্তি; অথবা কোম্পানীর নিকট এক হাজার টাকার অধিক পরিমাণ অর্থের জন্য তৃতীয় ব্যক্তির ঋণের সূত্রে গ্যারান্টি বা জামানত প্রদানকারী ব্যক্তি;
(ঘ) কোম্পানীর ম্যানেজিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত কোন প্রাইভেট কোম্পানীর পরিচালক বা সদস্য অথবা এইরূপ নিযুক্ত কোন ফার্মের অংশীদার;
(ঙ) কোম্পানীর ম্যানেজিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত কোন নিগমিত সংস্থার পরিচালক, বা উক্ত সংস্থার প্রতিশ্রম্্নত মূলধনের শতকরা পাঁচের অধিক পরিমাণ শেয়ারের ধারক :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন তৃতীয় ব্যক্তির মনোনীত ব্যক্তি বা ট্রাষ্টী হিসাবে কোন ব্যক্তি কোন শেয়ারের ধারক হইলে এবং ঐ শেয়ারে তাহার কোন লাভজনক স্বার্থ না থাকিলে, এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মূলধনের উক্ত সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাহার উক্ত শেয়ার বাদ দিতে হইবে৷

ব্যাখ্যা : এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কর্মকর্তা বা কর্মচারী বলিতে কোন নিরীক্ষক উহাদের অন্তর্ভুক্ত হইবেন না৷

(৩) কোন ব্যক্তি কোন কোম্পানীর নিরীক্ষকরূপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবে না, যদি –

(ক) তিনি উপ-ধারা (২) অনুসারে অন্য এমন নিগমিত সংস্থার নিরীক্ষকরূপে নিয়োগ লাভের অযোগ্য হন যে-সংস্থাটি উক্ত কোম্পানীর অধীনস্থ বা নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী বা উক্ত কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণকারী অপর একটি অধীনস্থ কোম্পানী;
(খ) উক্ত নিগমিত সংস্থা যদি একটি কোম্পানী হইত, তবে তিনি উহার নিরীক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার অযোগ্য হইতেন৷

(৪) যদি কোন নিরীক্ষক তাহার নিয়োগ লাভের পর (২) এবং (৩) উপ-ধারায় বর্ণিত যে কোন কারণে অযোগ্য হইয়া পড়েন, তাহা হইলে তিনি নিরীক্ষকের পদটি ত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে৷
৩[ (৫) কোন ব্যক্তি কোন জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি না তিনি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩১ এর অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক একজন নিরীক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।]

২১৩৷ নিরীক্ষকগণের ক্ষমতা ও কর্তব্য

(১) কোম্পানীর যে কোন বহি, হিসাব ও ভাউচার কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে থাকুক বা অন্য যে স্থানেই রাখা হউক ঐগুলি যে কোন সময়ে দেখিবার জন্য কোম্পানীর প্রত্যেক নিরীক্ষকের অধিকার থাকিবে এবং নিরীক্ষক হিসাবে তাহার কর্তব্য পালনের জন্য তিনি কোম্পানীর কর্মকর্তাগণের নিকট হইতে যে তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সেই তথ্য ও ব্যাখ্যা চাহিয়া লওয়ার অধিকারী হইবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া নিরীক্ষক নির্দিষ্টভাবে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তদন্ত করিবেন যথা :-

(ক) জামানতের ভিত্তিতে কোম্পানী কর্তৃক ঋণ বা অগ্রিম প্রদত্ত অর্থের সঠিকভাবে নিরাপত্তা বিধান করা হইয়াছে কিনা এবং উক্ত অর্থ যে শর্তে প্রদান করা হইয়াছে তাহা কোম্পানী বা উহার সদস্যগণের স্বার্থ-হানিকর কি না;
(খ) কোম্পানীর যে সমস্ত লেনদেন কেবলমাত্র খাতা-কলমে প্রদর্শিত হয় সেই সমস্ত লেনদেন কোম্পানীর স্বার্থ-হানিকর কি না;
(গ) বিনিয়োগ বা ব্যাংক কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য কোম্পানীর কোন পরিসম্পদ, শেয়ার ডিবেঞ্চার এবং অন্যান্য সিকিউরিটির মাধ্যমে যে মূল্যে ক্রয় করা হইয়াছিল তদপেক্ষা কমমূল্যে বিক্রয় করা হইয়াছে কি না;
(ঘ) কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম জমাকৃত অর্থ হিসাবে প্রদর্শন করা হইয়াছে কি না;
(ঙ) ব্যক্তিগত ব্যয় রাজস্ব ব্যয় খাতে (revenue account) অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে কিনা না;
(চ) যে ক্ষেত্রে কোম্পানীর কোন বহি বা কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, কোন শেয়ার নগদ অর্থের বিনিময় বরাদ্দ করা হইয়াছে, সে ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে উক্ত বরাদ্দ বাবদ নগদ অর্থ পাওয়া গিয়াছে কি না এবং যদি কোন নগদ অর্থ প্রকৃতপক্ষে পাওয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে হিসাব-বহিতে ও ব্যালান্স শীটে যে অবস্থা দেখানো হইয়াছে তাহা সঠিক, নিয়মিত এবং অবিভ্রান্তিকর (not misleading) কি না৷

(৩) নিরীক্ষক, তাহার পদে বহাল থাকাকালীন সময়ে, কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপনের জন্য তত্কর্তৃক নিরীত্মিগত বিষয়সমূহের উপর, এবং এই আইনের বিধান অনুসারে কোম্পানীর সাধারণ সভায় পেশ করিতে হয় এইরূপ প্রত্যেক ব্যালান্স শীট ও লাভ-ক্ষতি হিসাবের উপর, এবং উক্ত ব্যালান্স শীট বা উক্ত হিসাবের অংশ হিসাবে বা উহাদের সহিত সংযোজিতব্য হিসাবে ঘোষিত হয় এমন দলিলের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরী করিবেন; এবং তিনি উক্ত প্রতিবেদনে বিবৃত করিবেন যে, তিনি যতদূর অবহিত আছেন এবং তাহার নিকট যে ব্যাখ্যা দান করা হইয়াছে উহার ভিত্তিতে তাহার মতে উক্ত প্রতিবেদনে এই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল তথ্যাদি রহিয়াছে এবং তাহা নিম্নবর্ণিত বিষয়ে একটি সঠিক ও সুষ্ঠু ধারণা প্রদান করে, যথা :-

(ক) ব্যালান্স শীটের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অর্থ-বত্সরের শেষে কোম্পানীর বিষয়াদির অবস্থা;
(খ) লাভ-ক্ষতির হিসাবের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অর্থ-বত্সরে কোম্পানীর লাভ বা ক্ষতির পরিমাণ৷

(৪) নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলিও বিবৃত থাকিতে হইবে, যথা : –

(ক) তাহার সর্বোত্তম জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে যে সমস্ত তথ্য ও ব্যাখ্যা তাহার পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল ঐ সমস্ত তথ্য এবং ব্যাখ্যা তিনি পাইয়াছেন কি না;
(খ) তাহার মতে এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় হিসাব-বহি সঠিকভাবে রাখা হইয়াছে কি না এবং তিনি কোম্পানীর যে সকল শাখা বা অংশ নিরীক্ষা করেন নাই সেখান হইতে নিরীক্ষার জন্য পর্যন্ত তথ্য পাইয়াছেন কি না;
(গ) প্রতিবেদনে বিবেচিত কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবের সহিত উক্ত কোম্পানীর হিসাব-বহি এবং বিবরণীর বাস্তব মিল আছে কি না৷

(৫) যে ক্ষেত্রে (৩) উপ-ধারার (ক) ও (খ) দফায় বা (৪) উপ-ধারার (ক), (খ), এবং (গ) দফায় বর্ণিত বিষয়াদির কোনটির উত্তর না সূচক অথবা বিশেষণযুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে উক্ত উত্তরের কারণ বিবৃত থাকিবে৷

(৬) সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত আদেশে উলিস্্নখিত শ্রেণীর বা বর্ণনার কোম্পানীসমূহের ক্ষেত্রে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে ঐ সমস্ত বিষয়ের উপরও বিবৃতি থাকিতে হইবে যে, বিষয়গুলি উক্ত আদেশে বিনির্দিষ্ট করা হয়৷

(৭) শুধুমাত্র কোম্পানীর কতিপয় বিষয় প্রকাশিত না হওয়ার কারণেই উহার হিসাবসমূহ যথাযথভাবে প্রণীত হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে না, বা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনেও ঐ রকম মন্তব্য করা হইবে না, যদি –

(ক) বিষয়গুলি এমন হয় যে, এই আইন অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের কোন নির্দিষ্ট বিধান অনুযায়ী উহাদেরকে প্রকাশ করা আবশ্যক নয় বলিয়া উক্ত কোম্পানী মনে করে; এবং
(খ) কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবে ঐ সমস্ত বিধানের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকে৷

২১৪৷ কোম্পানীর শাখা কার্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষা

(১) কোন কোম্পানীর শাখা কার্যালয় থাকিলে, উক্ত শাখা-কার্যালয়ের হিসাব কোম্পানীর নিরীক্ষকগণ নিরীক্ষা করিতে পারেন বা নাও পারেন; এবং শাখা-কার্যালয় বাংলাদেশের বাহিরে কোন দেশে অবস্থিত থাকিলে, সেই অফিসের হিসাব কোম্পানীর নিরীক্ষক কর্তৃক অথবা, উক্ত কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারগণ সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, সেই দেশের আইন অনুসারে যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি কর্তৃক নিরীত্মিগত হইবে৷

(২) কোম্পানীর নিরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্র্তৃক উহার কোন শাখা কার্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষার ক্ষেত্রে, কোম্পানীর নিরীক্ষক –

(ক) একজন নিরীক্ষক হিসাবে তাহার দায়িত্ব পালনের জন্য যদি প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন তাহা হইলে উক্ত শাখা-অফিস পরিদর্শন করার অধিকারী হইবেন; এবং
(খ) সকল যুক্তিসংগত সময়ের উক্ত শাখা কার্যালয়ে রত্মিগত সকল বহি, হিসাবাদি ও ভাউচারসমূহ দেখিবার অধিকারী হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের বাহিরে কোন ব্যাংক কোম্পানীর শাখা থাকিলে, উহার সেই সকল বহি এবং হিসাবের অনুলিপি ও উদ্ধৃতাংশ নিরীক্ষককে পরীক্ষা করিতে দিলেই যথেষ্ট হইবে যেগুলি বাংলাদেশে কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে প্রেরিত হইয়াছে৷

২১৫৷ নিরীক্ষা প্রতিবেদন ইত্যাদিতে স্বাক্ষরদান

কেবল কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তি অথবা ২১২ (১) ধারার শতাংশ অনুসারে কোন ফার্ম অনুরূপ নিযুক্ত হইলে, কেবল উক্ত ফার্মের কোন অংশীদার যিনি বাংলাদেশে কর্মরত আছেন, নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে বা আইন অনুযায়ী নিরীক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত বা প্রমাণীকৃত হইতে হয় কোম্পানীর এমন অন্যান্য দলিলে স্বাক্ষর দান করিবেন৷

২১৬৷ নিরীক্ষকের প্রতিবেদন পঠন ও পরিদর্শন

নিরীক্ষকের প্রতিবেদন কোম্পানীর সাধারণ সভায় পাঠ করা হইবে এবং উহা কোম্পানীর যে কোন সদস্যের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে৷

২১৭৷ সাধারণ সভায় নিরীক্ষকের উপস্থিত থাকিবার অধিকার

কোম্পানীর সাধারণ সভা সম্পর্কিত এমন সকল নোটিশ এবং পত্রালাপ (communication) কোম্পানীর নিরীক্ষকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে যেগুলি কোম্পানীর কোন সদস্যের নিকট প্রেরণ করিতে হয়; এবং নিরীক্ষক যে কোন সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকিবার এবং যে সাধারণ সভায় তিনি উপস্থিত হন সেই সভার কার্যের যে অংশের সহিত নিরীক্ষক হিসাবে তিনি জড়িত সেই অংশে তিনি শুনানী লাভের অধিকারী হইবেন৷

২১৮৷ ধারা ২১১ হইতে ২১৭ এর বিধান পালন না করার দণ্ড

যদি কোন কোম্পানী ২১১ হইতে ২১৭ ধারার বিধানাবলীর কোন একটি পালনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

২১৯৷ নিরীক্ষক ইত্যাদি কর্তৃক ২১৩ এবং ২১৫ ধারা পালন না করার দণ্ড

ধারা ২১৩ এবং ২১৫ এর বিধান অনুযায়ী ব্যতিরেকে ভিন্ন প্রকারে নিরীক্ষকের কোন প্রতিবেদন প্রণীত বা কোম্পানীর কোন দলিল স্বাক্ষরিত বা প্রমাণীকৃত হইলে, উক্ত নিরীক্ষক এবং অন্য কোন ব্যক্তি, যদি থাকেন, যিনি উক্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন অথবা উক্ত দলিল স্বাক্ষর বা প্রমাণীকৃত করেন তিনিও, অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি বা তাহারা উক্ত ত্রম্্নটি করিয়া থাকেন৷

২২০৷ কতিপয় তথ্যাদির হিসাব কস্ট এণ্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্ট কর্তৃক নিরীক্ষা

(১) যেক্ষেত্রে কোন কোম্পানীকে ১৮১ (১) ধারার (ঘ) দফার বিধান অনুসারে উহাতে বর্ণিত তথ্যাদি হিসাব-বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হয় সে ক্ষেত্রে সরকার উক্ত কোম্পানীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় মনে করিলে লিখিত আদেশ দ্বারা এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, আদেশে উল্লেখিত পদ্ধতিতে উক্ত তথ্যাদির হিসাব এমন কোন নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে যিনি Cost and Management Accountants Ordinance, 1977 (LIII of 1977) এ প্রদত্ত সংজ্ঞানুযায়ী একজন “কস্ট এণ্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্ট”৷

(২) এই ধারার অধীনে কোন নিরীক্ষক কর্তৃক পরিচালিত নিরীক্ষা ২১০ ধারার অধীনে পরিচালিত নিরীক্ষার অতিরিক্ত হইবে৷

(৩) কোম্পানীর হিসাব-নিরীক্ষা সংক্রান্ত এই আইনের বিধানাবলী প্রয়োজনমত পরিবর্তন করিয়া (mutatis mutandis) এবং তাহা যতদূর প্রযোজ্য হয়, এই ধারার অধীনে পরিচালিত নিরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
৪[ (৪) কোন ব্যক্তি কোন জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি না তিনি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩১ এর অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক একজন নিরীক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।]

২২১৷ অগ্রাধিকার (preference) শেয়ার ও ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের প্রতিবেদন ইত্যাদি পাওয়ার এবং পরিদর্শনের অধিকার

(১) কোম্পানীর ব্যালান্স শীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব, নিরীক্ষকের প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও পরিদর্শনের জন্য সাধারণ শেয়ার হোল্ডারগণের যে অধিকার রহিয়াছে কোম্পানীর অগ্রাধিকার শেয়ার-হোল্ডারগণ এবং ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণেরও সেই একই প্রকার অধিকার থাকিবে৷

(২) এই ধারার বিধান কোন প্রাইভেট কোম্পানী অথবা এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে নিবন্ধিকৃত কোন কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন পাবলিক কোম্পানী এই আইনের প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে যখনই নিবন্ধিকৃত হউক না কেন উহার ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের ট্রাষ্ট্রীগণ (১) উপ-ধারাবলে প্রদত্ত অধিকার লাভ করিবেন৷

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

Scroll to Top