Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

পঞ্চম খন্ড: কোম্পানীর অবলুপ্তি

২৩৪৷ অবলুপ্তির পদ্ধতি

(১) নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে কোন কোম্পানীর অবলুপ্তি হইতে পারে যথা :-

(ক) আদালত কর্তৃক, অথবা
(খ) স্বেচ্ছাকৃতভাবে, অথবা
(গ) আদালতের তত্ত্বাবধানে সাপেক্ষে৷

(২) উপরি-উক্ত যে কোন পদ্ধতিতে কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, এই আইনে বিধৃত অবলুপ্তি সম্পর্কিত বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে, যদি না বিপরীত কিছু প্রতীয়মান হয়৷

২৩৫৷ প্রদায়ক হিসাবে বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের দায়-দায়িত্ব

(১) কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, প্রত্যেক বর্তমান ও সাবেক-সদস্য, এই ধারার বিধানাবলী অনুসারে, কোম্পানীর ঋণ ও দায়-দায়িত্ব পরিশোধের জন্য এবং উহা অবলুপ্তির ব্যয়, চার্জ ও অন্যান্য খরচাদি নির্বাহের জন্য এবং প্রদায়কগণের নিজেদের মধ্যে পারস্পারিক অধিকারের সমন্বয় সাধনের জন্য উক্ত কোম্পানীর পরিসম্পদে, নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে, পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন, যথা :-

(ক) কোম্পানীর অবলুপ্তি শুরম্্ন হইবার এক বত্সর অথবা ততোধিক সময় পূর্বে যদি কোন সদস্যের সদস্যতা অবসান হইয়া থাকে তবে সেই সাবেক-সদস্য অর্থ প্রদানের জন্য দায়ী থাকিবেন না;
(খ) কোন সদস্যের সদস্যতা অবসানের পর কোম্পানী যে ঋণ করিয়াছে বা দায়-দায়িত্ব অর্জন করিয়াছে উহার জন্য সেই সাবেক-সদস্য অর্থ প্রদানে দায়ী থাকিবেন না;
(গ) কোম্পানীর সাবেক-সদস্যগণ কোন অর্থ প্রদানে দায়ী থাকিবেন না, যদি না আদালতের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, এই আইনের বিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানে বিদ্যমান সদস্যগণ অসমর্থ;
(ঘ) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে, কোন সদস্য তাহার শেয়ারের নামিক মূল্যের মধ্যে কোন অংশ অপরিশোধিত রাখিলে, উহার অধিক অর্থ তাহাকে প্রদান করিতে হইবে না;
(ঙ) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে, কোন সদস্য কোম্পানীর অবলুপ্তি ঘটিলে কোম্পানীর পরিসম্পদে যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করিতে অংগীকার করিয়াছিলেন উহার অতিরিক্ত অর্থ তাহাকে প্রদান করিতে হইবে না;
(চ) এই আইনের কোন কিছুই কোন বীমা পলিসি বা চুক্তির এমন শর্তকে অবৈধ প্রতিপন্ন করিবে না যাহা উক্ত পলিসি বা চুক্তির ব্যাপারে কোন একজন সদস্যের ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব নিয়ন্ত্রিত করে বা যাহা কোম্পানীর তহবিলকে এককভাবে উক্ত পলিসি বা চুক্তির ব্যাপারে দায়বদ্ধ করে;
(ছ) কোম্পানীর একজন সদস্য হিসাবে উক্ত কোম্পানীর নিকট তাহার কোন লভ্যাংশ, মুনাফা বা অন্য কোন অর্থ যদি পাওনা থাকে এবং একই সময়ে কোম্পানীর নিকট যদি অন্য কোন ব্যক্তির কোন পাওনা থাকে যিনি উহার সদস্য নহেন তবে উক্ত দুই পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দিতার ক্ষেত্রে, উক্ত সদস্যের পাওনা কোম্পানীর ঋণ হিসাবে গণ্য করা হইবে না৷

(২) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন থাকিলে উহার অবলুপ্তির সময় উহার প্রত্যেক সদস্য নিম্নরূপ অর্থ প্রদান করিবেন, যথা :-

(ক) কোম্পানীর অবলুপ্তির ঘটিলে কোম্পানীর পরিসম্পদে যে অর্থ প্রদান করিতে উক্ত সদস্য অংগীকার করিয়াছিলেন সেই অর্থ; এবং
(খ) তাহার গৃহীত শেয়ারের নামিক মূল্যের বকেয়া অর্থ৷

২৩৬৷ অসীমিতদায় সম্পন্ন পরিচালকগণের দায়

কোন সীমিতদায় কোম্পানীর অবলুপ্তির সময় উহার বর্তমান বা প্রাক্তন যে কোন পরিচালক, যাহার দায় এই আইন অনুযায়ী অসীমিত তিনি, একজন সাধারণ সদস্য হিসাবে তাহার নিজস্ব সুনির্দিষ্ট দায় (যদি থাকে) ছাড়াও অবলুপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন, যেন তিনি কোম্পানী অবলুপ্তির সময় একটি অসীমিতদায় কোম্পানীর সদস্য ছিলেন :

তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) কোম্পানীর অবলুপ্তির প্রক্রিয়া শুরম্্নর এক বত্সর বা তদূর্ধ্ব সময় পূর্বে কোন ব্যক্তির পরিচালকত্বের অবসান ঘটিয়া থাকিলে, তিনি উক্ত অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করিতে দায়ী থাকিবেন না;
(খ) কোন ব্যক্তির পরিচালকত্বের অবসান হওয়ার পরে সৃষ্ট কোম্পানীর ঋণ বা দায় পরিশোধের জন্য তিনি উক্ত অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করিতে দায়ী থাকিবেন না;
(গ) সংঘবিধির বিধান সাপেক্ষে, আদালত যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, কোম্পানীর দেনা ও অন্যান্য দায়-দায়িত্ব পরিশোধ এবং অবলুপ্তির ব্যয় চার্জ ও অন্যান্য খরচাদি সংকুলানের জন্য কোন পরিচালক কর্তৃক উক্ত অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করার প্রয়োজন নাই, তবে তিনি উক্ত অতিরিক্ত অর্থ প্রদানে দায়ী থাকিবেন না৷

২৩৭৷ প্রদায়ক শব্দের অর্থ

“প্রদায়ক” বলিতে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি কোম্পানীর অবলুপ্তির সময় উহার যাবতীয় দায় পরিশোধের জন্য কোম্পানীর তহবিলে অর্থ প্রদান করিতে দায়ী থাকেন, এবং “প্রদায়ক” নির্ধারণের সকল কার্যধারায় এবং কোন ব্যক্তি প্রদায়ক গণ্য হইবে কিনা তাহা নির্ধারণের কার্যধারায় এবং ইহা চূড়ান্ত হওয়ার পূর্ববর্তী সকল কার্যধারায় প্রদায়করূপে কথিত ব্যক্তিও উক্ত সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকিবেন৷

২৩৮৷ প্রদায়কের দায়ের প্রকৃতি

(১) প্রদায়কের দায় এমন একটি ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে যাহা লিকুইডেটরের তলব মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে৷

(২) প্রদায়কের দায়ের ভিত্তিতে উত্থাপিত কোন দাবীর বিষয় কোন Court of small causes বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না৷

২৩৯৷ প্রদায়কের উত্তরাধিকারী ইত্যাদির দায়-দায়িত্ব

(১) প্রদায়কের তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ হওয়ার পূর্বে বা পরে কোন প্রদায়কের মৃত্যু ঘটিলে, তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি এবং তাহার উত্তরাধিকারীগণ এতদ্‌সংক্রান্ত কর্মধারায় প্রদত্ত আদেশ অনুসারে কোম্পানীর দায় পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকিবেন এবং সেই অনুসারে তাহারা প্রদায়ক হিসাবে গণ্য হইবেন৷

(২) যদি আইনানুগ প্রতিনিধি কিংবা উত্তরাধিকারীগণ এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত আদেশ অনুসারে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে সেই উদ্দেশ্যে মৃত প্রদায়কের অস্থাবর বা স্থাবর বা উভয় প্রকার সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার (Administering) জন্য প্রয়োজনীয় কার্যধারা গ্রহণ এবং উক্ত সম্পত্তি হইতে প্রদেয় অর্থের পরিশোধ নিশ্চিত করা যাইবে৷

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে মৃত প্রদায়কের জীবিত উত্তরাধিকারী (surviving coperceners) আইনানুগ প্রতিনিধি এবং উত্তরাধিকারী বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি মৃত ব্যক্তি মিতাত্মগরা মতাদর্শ অনুযায়ী কোন হিন্দু যৌথ-পরিবারের সদস্য হন৷

২৪০৷ প্রদায়কের দেউলিয়ার ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব

প্রদায়ক হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পূর্বে বা পরে কোন প্রদায়ক যদি দেউলিয়া ঘোষিত হন, তবে –

(ক) তাহার স্বত্বনিয়োগীগণ (assignees) কোম্পানীর অবলুপ্তির বিষয়ক যাবতীয় ব্যাপারে তাহার প্রতিনিধিত্ব করিবেন এবং সেইমত প্রদায়করূপে গণ্য হইবেন; এবং কোম্পানীর তহবিলে যে অর্থ প্রদান করিতে প্রদায়ক বাধ্য তাহা সম্পর্কে দেউলিয়ার সম্পত্তির বিপরীতে, প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিল করিতে এবং সেই অর্থ উক্ত সম্পত্তি হইতে বা অন্য কোন আইনানুগ পদ্ধতিতে কোম্পানীর তহবিলে প্রদানের জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ প্রদান করা যাইবে; এবং
(খ) ভবিষ্যতে যাহা তলব করা হইবে অথবা যাহা ইতিপূর্বে তলব করা হইয়াছে উহার আনুমানিক পরিমাণ, দেউলিয়ার সম্পত্তির বিপরীতে, বিবেচনা এবং প্রমাণ করা যাইবে৷

২৪১৷ আদালত কর্তৃক কোম্পানীর অবলুপ্তিযোগ্য পরিস্থিতি

আদালত কর্তৃক কোম্পানীর অবলুপ্তি ঘটানো যাইতে পারে, যদি –

(ক) কোম্পানীটি বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উহার অবলুপ্তি আদালত কর্তৃক ঘটানো হইবে; অথবা
(খ) উহা সংবিধিবদ্ধ প্রতিবেদন দাখিল করিতে কিংবা সংবিধিবদ্ধ সভা অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হয়; অথবা
(গ) নিগমিত হওয়ার পর এক বত্সরের মধ্যে কোম্পানী উহার কার্যাবলী আরম্ভ না করে কিংবা এক বত্সর যাবত্ উহার কার্যাবলী বন্ধ থাকে; অথবা
(ঘ) সদস্য-সংখ্যা হ্রাস পাইয়া প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে দুইজনের কম অথবা অন্যান্য কোম্পানীর ক্ষেত্রে সাতজনের নাম হয়; অথবা
(ঙ) কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অসমর্থ হয়; অথবা
(চ) আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, কোম্পানীর অবলুপ্তি ঘটানো সঠিক ও ন্যায়সংগত৷

২৪২৷ কোম্পানীর ঋণ পরিশোধের অসমর্থ গণ্য হওয়ার ক্ষেত্রসমূহ

(১) কোন কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধে অসমর্থ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি –

(ক) কোম্পানীর নিকট কোন ব্যক্তি পাঁচ হাজার টাকার বেশী পাওনা থাকে এবং তাহা পরিশোধযোগ্য হওয়ার পর উক্ত পাওনা অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি নিজ স্বাত্মগরে লিখিত একটি দাবীনামা কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ের ঠিকানায় রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে বা অন্য প্রকারে পেশ করেন এবং উহার পর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোম্পানী উক্ত ঋণ পরিশোধে অবহেলা করে কিংবা ঋণদাতার সন্তুষ্টি মোতাবেক উক্ত ঋণের জামানত দিতে বা উহার জন্য বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে অবহেলা করে; কিংবা
(খ) যে কোন আদালত হইতে ঋণদাতার পক্ষে কোন ডিক্রি বা আদেশ জারির পর যদি উক্ত আদেশ বা ডিক্রি সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে কার্যকর বা তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ না করিয়া উক্ত কোম্পানী ঐগুলিকে ফেরত্ পাঠায়; কিংবা
(গ) আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক যদি প্রমাণিত হয় যে, কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধে অসমর্থ হইয়া পড়িয়াছে; তবে কোম্পানী প্রকৃতপক্ষেই অসমর্থ কিনা তাহা নিরূপণের লক্ষে্য আদালত কোম্পানীর ঘটানোপেত্মগ (contingent) ও সম্ভাব্য দায়-দেনাসমূহ বিবেচনা করিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর (ক) দফায় উল্লেখিত দাবীনামা যথাযথভাবে ঋণদাতার স্বাত্মগরে দেওয়া হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি ঋণদাতার নিকট হইতে ত্মগমতাপ্রাপ্ত তাহার প্রতিনিধি কিংবা আইন-উপদেষ্টা উহাতে স্বাত্মগর দেন, অথবা উক্ত ঋণদাতা কোন অংশীদারী ফার্ম হইলে, উক্ত ফার্মের নিকট হইতে ত্মগমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বা আইন উপদেষ্টা বা উক্ত ফার্মের যে কোন একজন সদস্য উহাতে স্বাত্মগর দেন৷

২৪৩৷ কোম্পানী অবলুপ্তির বিষয় জেলা আদালতে প্রেরণ

যে ক্ষেত্রে এই আইন অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ কোন কোম্পানীকে অবলুপ্ত করার আদেশ দেয়, সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করিলে উক্ত বিভাগ বিষয়টির পরবর্তী কার্যধারা সম্পন্ন করার জন্য কোন জেলা আদালতকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং তত্প্রেত্মিগতে জেলা আদালত, সংশ্লিষ্ট কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে এই আইনে প্রদত্ত সংজ্ঞা মোতাবেক “আদালত” বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অবলুপ্তির উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগের সকল এখ্‌তিয়ার ও ত্মগমতা উক্ত জেলা আদালতের থাকিবে৷

২৪৪৷ অবলুপ্তির মোকদ্দমা জেলা আদালত হইতে প্রত্যাহার বা অন্য জেলা আদালতে স্থানান্তর

কোন জেলা আদালতে কোম্পানী অবলুপ্তির কোন কার্যধারা চলাকালে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, অন্য কোন জেলা আদালতে উহা অধিকতর সুবিধাজনকভাবে নিষ্পত্তি করা যাইতে পারে, তবে হাইকোর্ট বিভাগ মোকদ্দমাটি সেই জেলা আদালতে স্থানান্তর করিতে পারিবে এবং তদবস্থায় উক্ত অন্য জেলা আদালতেই উক্ত অবলুপ্তির কার্যধারাসমূহ পরিচালিত হইবে; এবং প্রয়োজন মনে করিলে হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ কার্যধারার যে কোন পর্যায়ে প্রথমোক্ত বা দ্বিতীয়য়োক্ত যে কোন আদালত হইতে কার্যধারাটি প্রত্যাহার করিয়া নিজেই নিষ্পত্তি করিতে পারিবে৷

২৪৫৷ অবলুপ্তির জন্য আবেদনের বিধানসমূহ

কোম্পানী অবলুপ্তির আবেদন, এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, উক্ত কোম্পানী কিংবা উহার যে কোন ঋণদাতা, ঘটনাপেত্মগ (contingent) বা সম্ভাব্য ঋণদাতা, প্রদায়ক, অথবা উল্লেখিত যে কোন শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিগণ এককভাবে বা একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে বা তাহারা সকলে উক্ত শ্রেণীসমূহের এক বা একাধিক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে বা রেজিষ্ট্রার পেশ করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে –
(ক) কোম্পানী অবলুপ্তির জন্য উহার কোন প্রদায়ক, আবেদন পেশ করিবার অধিকারী হইবেন না, যদি না –

(অ) উহার সদস্য-সংখ্যা হ্রাস পাইয়া প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে দুই এর নীচে এবং অন্য যে কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে সাত এর নীচে নামিয়া আসে; অথবা
(আ) যে সমস্ত্ম শেয়ারের ব্যাপারে তিনি একজন প্রদায়ক, সেইগুলির সকল বা কিছু সংখ্যক শেয়ার শুরম্্নতেই তাহার নামে বরাদ্দ করা হইয়া থাকে অথবা কোম্পানীর অবলুপ্তি শুরম্্ন হওয়ার পূর্ববর্তী আঠারো মাসের মধ্যে কমপক্ষে ছয় মাস ধরিয়া উহাদের ধারক হিসাবে তাহার নাম নিবন্ধিকৃত থাকে কিংবা কোন সাবেক শেয়ার হোল্ডারের মৃত্যুর ফলে তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ঐগুলি লাভ করিয়া থাকেন;

(খ) রেজিষ্ট্রার কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য আবেদন পেশ করিবার অধিকারী হইবেন না, যদি না –

(অ) কোম্পানীর বার্ষিক ব্যালান্স শীটে উদ্‌ঘাটিত কোম্পানীর অর্থনৈতিক অবস্থা হইতে অথবা ১৯৫ ধারার বিধানবলে নিযুক্ত কোম্পানীর পরিদর্শকের প্রতিবেদন হইতে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অসমর্থ অথবা যদি না বিষয়াটি ২০৪ ধারার আওতায় পড়ে; এবং
(আ) আবেদনপত্র পেশ করার জন্য তিনি সরকারের পূর্ব অনুমতি প্রাপ্ত হন:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ব্যাপারে কোম্পানীকে উহার বক্তব্য পেশ করার সুযোগ না দিয়া এইরূপ অনুমতি দেওয়া যাইবে না;

(গ) সংবিধিবদ্ধ প্রতিবেদন পেশ কিংবা সংবিধিবদ্ধ সভা অনুষ্ঠানে বরখেলাপের কারণে শেয়ার হোল্ডার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য আবেদন পেশ করিতে পারিবেন না, এবং কোন শেয়ার হোল্ডারও উক্ত সভা সর্বশেষ যে তারিখে অনুষ্ঠানের কথা ছিল সেই তারিখের পর চৌদ্দ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আবেদন করিতে পারিবেন না; এবং
(ঘ) আদালত কোন ঘটনাপেত্মগ কিংবা সম্ভাব্য ঋণদাতা কর্তৃক পেশকৃত অবলুপ্তির আবেদনপত্র সম্পর্কে শুনানী করিবে না, যদি এই কার্যধারায় উক্ত ঋণদাতার পরাজয়ের ক্ষেত্রে আদালতের মতে কোম্পানীর প্রাপ্য যুক্তিসংগত খরচের জামানত প্রদান না করা হয় এবং যদি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক অবলুপ্তির বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে সঠিক বলিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়৷

২৪৬৷ অবলুপ্তি আদেশের ফলাফল

কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশ উহার সকল পাওনাদার এবং সকল প্রদায়কের অনুকূলে এইরূপ কার্যকর হইবে যেন উক্ত আদেশ একজন পাওনাদার এবং প্রদায়কগণের যৌথ আবেদনপত্রের ভিত্তিতে প্রদান করা হইয়াছে৷

২৪৭৷ আদালত কর্তৃক অবলুপ্তি শুরম্্ন

কোম্পানী অবলুপ্তির জন্য যখন আবেদনপত্র দাখিল করা হইয়াছিল, তখন হইতেই আদালত কর্তৃক কোম্পানীর অবলুপ্তি শুরম্্ন হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷

২৪৮৷ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা প্রদানের এখ্‌তিয়ার

এই আইন অনুসারে অবলুপ্তির আবেদন দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময় এবং অবলুপ্তির আদেশদানের পূর্বে, কোম্পানী বা উহার কোন পাওনাদার বা প্রদায়ক আবেদন করিলে, কোম্পানীর বিরম্্নদ্ধে দায়েরকৃত অন্য যে কোন মামলা বা অন্যবিধ কার্যধারার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করিয়া এবং প্রয়োজনবোধে আদালত উহার বিবেচনায় যথাযথ শর্ত আরোপ করিয়া নিষেধাজ্ঞা বা অনুরূপ আদেশদান করিতে পারিবে৷

২৪৯৷ আবেদন শুনানীর বিষয়ে আদালতের ক্ষমতা

(১) আবেদনের শুনানীর ক্ষেত্রে আদালত ইচ্ছা করিলে খরচপত্র প্রদানের আদেশসমূহ বা উহা ব্যতিরেকে আবেদনটি খারিজ করিতে কিংবা শর্তসাপেক্ষে অথবা শর্তহীনভাবে শুনানী মূলতবী রাখিতে কিংবা কোন অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করিতে অথবা ন্যায়সংগত অন্য কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে; তবে কেবলমাত্র এই কারণে আদালত উক্ত কোম্পানীর
অবলুুপ্তির আদেশ দান করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে না যে, কোম্পানীর যে পরিমাণ পরিসম্পদ আছে উহার সমমূল্যের বা তদপেত্মগা অধিক মূল্যের অর্থের জন্য উক্ত পরিসম্পদ বন্ধক রাখা হইয়াছে কিংবা কোম্পানীর আদৌ কোন পরিসম্পদ নাই৷

(২) যে ক্ষেত্রে সংবিধিবদ্ধ প্রতিবেদন দাখিল অথবা সংবিধিবদ্ধ সভা অনুষ্ঠানে বরখেলাপের কারণে আবেদন করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত বরখেলাপের জন্য আদালতের মতে যে সব ব্যক্তি দায়ী তাহাদিগকে মামলার খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবে৷

(৩) যদি আদালত কোন কোম্পানী অবলুপ্তির আদেশ প্রদান করে, তবে উক্ত আদেশ সম্পর্কে সরকারী রিসিভারকে অবিলম্বে অবহিত করিবার ব্যবস্থা করিবে, কিন্তু উক্ত আদেশ দানের সময়েই লিকুইডেটর নিয়োগ করিবে আদেশটি সম্পর্কে সরকারী রিসিভারকে অবহিত করার প্রয়োজন হইবে না৷

২৫০৷ অবলুপ্তির আদেশ দানের ক্ষেত্রে মোকদ্দমা ইত্যাদির স্থগিতাবস্থা

কোন কোম্পানী অবলুপ্তির জন্য আদেশ দেওয়া হইলে অথবা তজ্জন্য অস্থায়ী লিকুইডেটর নিয়োগ করা হইলে, আদালতের অনুমতি ব্যতীত এবং আদালত কর্তৃক আরোপিত শর্ত অনুযায়ী ব্যতীত, উক্ত কোম্পানীর বিরম্্নদ্ধে কোন মোকদ্দমা কিংবা অন্য কোন অনুরূপ কার্যধারা চালাইতে দেওয়া বা শুরম্্ন করা যাইবে না৷

২৫১৷ লিকুইডেটর পদে শূন্যতা

(১) আদালত কর্তৃক কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে আইনের প্রযোজ্য বিধানাবলীর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “সরকারী রিসিভার বলিতে আদালতের সহিত সংযুক্ত সরকারী রিসিভারকে বুঝাইবে কিংবা, এইরূপ সরকারী রিসিভার না থাকিলে, তাহার কার্য সম্পাদনের নিমিত্তে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়া সরকার উক্ত পদে যে ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবে তাহাকে বুঝাইবে৷

(২) অবলুপ্তির আদেশ দানের সংগে সংগে সরকারী রিসিভার কোম্পানীর সরকারী লিকুইডেটর হইবেন এবং পরবর্তী সময়ে আদালতের আদেশ দ্বারা তাহার দায়িত্ব পালন বন্ধ না করা পর্যন্ত তিনি উক্ত দায়িত্ব পালন করিতে থাকিবেন৷

(৩) সরকারী রিসিভার কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশ প্রাপ্তি বা ক্ষেত্রমত তাহার নিযুক্তির সংগে সংগে কোম্পানীর সরকারী লিকুইডেটর হিসাবে উহার সকল হিসাব-বহি ও অন্যান্য দলিলপত্র ও যাবতীয় পরিসম্পদ নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণাধীনে গ্রহণ করিবেন৷

(৪) সরকারী রিসিভার আদালত কর্তৃক নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাইবার অধিকারী হইবেন৷

২৫২৷ অবলুপ্তির আদেশের অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল

যদি কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশ প্রদত্ত হয় তবে অবলুপ্তির আবেদনকারী ও কোম্পানীর কর্তব্য হইবে উক্ত আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে আদেশের একটি অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করা৷

(২) অবলুপ্তির আদেশের অনুলিপি দাখিল করা হইলে, রেজিষ্ট্রার উক্ত কোম্পানী সংক্রান্ত বহিতে আদেশের একটি সার-সংক্ষেপ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উক্ত কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য আদালত আদেশ দিয়াছেন মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিবেন৷

(৩) উক্ত আদেশ কোম্পানীর কর্মচারীগণের (Servants) জন্য কর্মচ্যুতির বিজ্ঞপ্তি বলিয়া গণ্য হইবে, তবে কোম্পানীর কার্যাবলী চালু থাকিলে তদ্রম্্নপ গণ্য হইবে না৷

২৫৩৷ অবলুপ্তি স্থগিত রাখার ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা

অবলুপ্তির আদেশ প্রদানের পর আদালত যে কোন সময়, কোম্পানীর যে কোন পাওনাদার কিংবা প্রদায়ক এতদুদ্দেশ্যে আবেদন করিলে এবং অবলুপ্তি সংক্রান্ত সকল কার্যধারা স্থগিত হওয়া উচিত্ বলিয়া আদালতের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হইলে, উক্ত কার্যধারা সামগ্রিকভাবে কিংবা সীমিত সময়ের জন্য এবং আদালতের মতে উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে মূলতবী রাখিতে পারিবে৷

২৫৪৷ আদালত কর্তৃক ঋণদাতা ও প্রদায়কগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বিবেচনা

অবলুপ্তি সংক্রান্ত যে সকল বিষয় যথাযথ সাত্মগ্য দ্বারা প্রমাণিত হয় সেই সকল বিষয়ে আদালত পাওনাদার ও প্রদায়কগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বিবেচনায় রাখিবে৷

২৫৫৷ সরকারী লিকুইডেটর নিয়োগ

(১) কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির কার্যধারা পরিচালনা এবং আদালত কর্তৃক আরোপিত তদসংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য আদালত সরকারী রিসিভার ব্যতীত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবে যাহাদিগকে সরকারী লিকুইডেটর বলা হইবে৷

(২) কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য আবেদনপত্র পেশ করার পর, তবে অবলুপ্তি আদেশ প্রদানের পূর্বে, আদালত যে কোন সময় সাময়িকভাবে উক্ত লিকুইডেটর নিয়োগ করিতে পারিবে এইরূপ ক্ষেত্রে নিয়োগদানের পূর্বে কোম্পানীকে তত্সম্পর্কে নোটিশ দিতে হইবে, তবে নোটিশ না দেওয়া উচিত্ বলিয়া মনে করিলে, আদালত সংশ্লিষ্ট কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে সরকারী লিকুইডেটর নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(৩) সরকারী লিকুইডেটর পদে একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হইলে, এই আইনের বিধান মোতাবেক অথবা এই আইনে প্রদত্ত ত্মগমতাবলে সরকারী লিকুইডেটর কর্তৃক করণীয় কোন্‌ কোন্‌ কর্তব্য তাহাদের সকলকে অথবা তাহাদের এক বা একাধিক ব্যক্তিকে পালন করিতে হইবে আদালত তাহা নির্দিষ্ট করিয়া দিবে৷

(৪) কোন ব্যক্তি সরকারী লিকুইডেটর নিযুক্ত হইলে তাহাকে কোন জামানত দিতে হইবে কি না অথবা কি ধরনের জামানত দিতে হইবে তাহা আদালত নির্ধারণ করিয়া দিবে৷

(৫) সরকারী লিকুইডেটর নিয়োগে পরবর্তী সময়ে তাহার নিয়োগের ব্যাপারে কোন প্রকার ত্রম্্নটি ধরা পড়া সত্ত্বেও তাহার কৃত সকল কাজ বৈধ বলিয়া গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, তাহার নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হইলে তাহার কোন কাজ এই উপ-ধারার বিধানবলে বৈধ হিসাবে গণ্য করা যাইবে না৷

(৬) সরকারী লিকুটডেটর জিন্মায় রাখা পরিসম্পদের জন্য কোন রিসিভার নিয়োগ করা যাইবে না৷

২৫৬৷ সরকারী লিকুইডেটর পদত্যাগ, অপসারণ, শূন্যপদ পূরণ ও ক্ষতিপূরণ

(১) যে কোন সরকারী লিকুইডেটর স্বেচ্ছায় পাদত্যাগ করিতে পারিবে, অথবা আদালত যথোপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তাহাকে অপসারণ করিতে পারিবে৷

(২) আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সরকারী লিকুইডেটরের পদ শূন্য হইলে, আদালতই উহা পূরণের ব্যবস্থা করিবে এবং অনুরূপ শূন্যপদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারী রিসিভার সরকারী লিকুইডেটর হইবেন এবং সেই হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন৷

(৩) শতকরা হিসাবে বা অন্য কোন ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশ অনুসারে সরকারী লিকুইডেটরের পারিশ্রমিক দেওয়া হইবে এবং একাধিক লিকুইডেটর নিযুক্ত হইলে আদালত যেরূপ নির্দেশ দান করিবে তদনুযায়ী উক্ত পারিশ্রমিক তাহাদের মধ্যে আনুপাতিক হারে ভাগ করিয়া দিতে হইবে৷

২৫৭৷ সরকারী লিকুইডেটর নামকরণ

সরকারী লিকুইডেটর যে কোম্পানীর জন্য নিযুক্ত হইয়াছেন সেই নির্দিষ্ট কোম্পানীর সরকারী লিকুইডেটর নামে অভিহিত হইবেন, তাহার ব্যক্তিগত নামে নহে৷

২৫৮৷ লিকুইডেটরের নিকট কোম্পানীর বিষয়াদির বিবরণ দাখিল

(১) যে ক্ষেত্রে আদালত অবলুপ্তির-আদেশ প্রদান করে কিংবা সাময়িকভাবে লিকুইডেটর নিয়োগ করে, সে ক্ষেত্রে আদালত ভিন্নরূপ আদেশ প্রদান না করিলে কোম্পানীর বিষয়াদির একটি বিবরণী প্রণয়ন করতঃ
এফিডেভিট দ্বারা উহা প্রত্যয়ন করিয়া লিকুইডেটরের নিকট দাখিল করিতে হইবে, এবং উহাতে নিম্নলিখিত বিষয়সহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-

(ক) কোন অর্থ কোম্পানীর নিকট নগদে এবং ব্যাংকে জমা থাকিলে উক্ত অর্থের পৃথক হিসাবসহ কোম্পানীর মোট পরিসম্পদ;
(খ) ঋণ ও অন্যান্য দায়-দেনা;
(গ) জামানত সম্বলিত (secured) ও জামানতবিহীন (unsecured) ঋণের টাকার পরিমাণ পৃথকভাবে দেখাইয়া ঋণদাতার নাম, আবাসিক ঠিকানা ও পেশা এবং জামানত-সম্বলিত ঋণের ক্ষেত্রে জামানতের মূল্য ও অন্যান্য বিবরণ এবং জামানত দেওয়ার তারিখ;
(ঘ) কোম্পানীর পাওনা এবং যে সব ব্যক্তির নিকট পাওনা রহিয়াছে তাহাদের নাম, আবাসিক ঠিকানা ও পেশা এবং তাহাদের নিকট হইতে যে পরিমাণ অর্থ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷

(২) নিম্নলিখিত এক বা একাধিক ব্যক্তিগণ তাহাদের সত্যাখ্যানসহ উক্ত বিবরণী দাখিল করিবেন :-

(ক) সংশ্লিষ্ট তারিখে কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন এমন ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট তারিখে সচিব বা ম্যানেজার কিংবা অন্য কোন প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন এমন ব্যক্তি অথবা;
(খ) অন্য কেন ব্যক্তি যাহাকে সরকার লিকুইডেটর, আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে, উক্ত বিবরণী দাখিল ও প্রত্যাখ্যান করার নির্দেশ দেন, এবং উক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরা হইতেছেন নিম্নরূপ:-

(অ) কোম্পানীর পরিচালক বা কর্মকর্তা আছেন বা ছিলেন এমন কোন ব্যক্তি;
(আ) উক্ত তারিখের পূর্ববর্তী এক বত্সরের মধ্যে যে কোন সময়ে কোম্পানী গঠিত হইয়া থাকিলে যিনি উহার গঠনে অংশগ্রহণ করিয়াছিলেন;
(ই) এমন ব্যক্তি যিনি কোম্পানীতে নিযুক্ত আছেন কিংবা উপ-দফা (আ) তে উল্লেখিত এক বত্সরের মধ্যে কোম্পানীতে নিযুক্ত ছিলেন, এবং যিনি তথ্য দিতে সত্মগম বলিয়া লিকুইডেটর মনে করেন;
(ঈ) বিবরণী যে বত্সরে সম্পর্কিত সেই বত্সরে যাহারা কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা হিসাবে কিংবা কোম্পানীতে চাকুরীরত আছেন বা ছিলেন৷

(৩) সংশ্লিষ্ট তারিখ হইতে একশ দিনের মধ্যে কিংবা, বিশেষ কারণে সরকারী লিকুইডেটর অথবা আদালত অনুমোদন করিলে, বর্ধিত সময়ের মধ্যে বিবরণী দাখিল করিতে হইবে৷

(৪) এই ধারা অনুযায়ী যে সকল ব্যক্তি বিবরণী প্রণয়ন ও হলফনামা দ্বারা উহা সত্যাখ্যান করেন বা ঐগুলিতে অংশগ্রহণ করেন, তাহাদিগকে সরকারী লিকুইডেটর বা ক্ষেত্রমত অস্থায়ী লিকুইডেটর, যুক্তিসংগত মনে করিলে, উক্ত বিবরণী ও হলফনামা বাবদকৃত খরচপত্র কোম্পানীর পরিসম্পদ হইতে প্রদান করিবেন, তবে এই ব্যাপারে আদালতের নিকট আপীল করা যাইবে৷

(৫) যদি কোন ব্যক্তি, যুক্তিযুক্ত কারণ ব্যতীত, জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধারার বিধানের বরখেলাপ করেন তাহা, হইলে যতদিন পর্যন্ত এই বরখেলাপ চলিতে থাকিবে উহার প্রতিদিনের জন্য তিনি অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৬) কোন ব্যক্তি লিখিতভাবে নিজেকে কোম্পানীর একজন পাওনাদার কিংবা প্রদায়ক হিসাবে উলেস্্নখ করিলে তিনি যে কোন যুক্তিসংগত সময়ে নিজে কিংবা তাহার প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্ধারিত ফিস প্রদানপূর্বক এই ধারার বিধান অনুযায়ী দাখিলকৃত বিবরণী পরিদর্শন করিবার এবং উহার অনুলিপি কিংবা সারাংশ লইবার অধিকারী হইবেন,

(৭) কোন ব্যক্তি মিথ্যাভাবে নিজেকে কোম্পানীর পাওনাদার বা প্রদায়ক বলিয়া উলেস্্নখ করিলে তিনি Penal Code (XLV of 1860) এর 182 ধারা অনুসারে শাস্ত্মিযোগ্য অপরাধের দায়ে দায়ী হইবেন এবং লিকুইডেটর অথবা সরকারী সিরিভারের আবেদনক্রমে তদনুসারে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৮) এই ধারায় উল্লেখিত “সংশ্লিষ্ট তারিখ” বলিতে যে ক্ষেত্রে অস্থায়ী লিকুইডেটর নিযুক্ত হইয়াছেন সেক্ষেত্রে তাহার নিয়োগের তারিখে এবং যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোন নিয়োগ হয় নাই সেক্ষেত্রে কোম্পানী-অবলুপ্তির আদেশের তারিখকে বুঝাইবে৷

২৫৯৷ লিকুইডেটর কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিল

(১) আদালত কোম্পানী-অবলুপ্তির আদেশ প্রদান করিলে সরকারী লিকুইডেটর, ২৫৮ ধারা অনুযায়ী দাখিলযোগ্য বিবরণী প্রাপ্তির পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, তবে উহার অনধিক একশত বিশ দিনের মধ্যে অথবা, আদালত অনুমতি দিলে, অবলুপ্তি আদেশের দিন হইতে একশত আশি দিনের মধ্যে অথবা, যেক্ষেত্রে আদালত আদেশদান করে যে, কোন বিবরণী দাখিল করিতে হইবে না সেক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ দানের পর যথাশীঘ্র সম্ভব আদালতের নিকট নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির উপর একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করিবেন :-

(ক) ইস্যুকৃত, প্রতিশ্রম্্নত (subscribed) এবং পরিশোধিত মূলধন ও সম্ভাব্য
দায়-দায়িত্বের পরিমাণ, এবং “পরিসম্পদ” শিরোনামে নিম্নোক্ক্ষুলির সম্ভাব্য পরিমাণ, যথা :-

(অ) নগদ অর্থ ও হস্ত্মান্তরযোগ্য সিকিউরিটি;
(আ) প্রদায়কগণের নিকট ঋণ বাবদ পাওনা;
(ই) কোম্পানী প্রদত্ত ঋণ বাবদ উহার পাওনা এবং কোন জামানত থাকিলে তদ্দরম্্নন কোম্পানীর প্রাপ্য অর্থ;
(ঈ) কোম্পানীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি;
(উ) তলবযোগ্য অপরিশোধিত অর্থ; এবং

(খ) কোম্পানী কোন বিষয়ে ব্যর্থ হইয়া থাকিলে ব্যর্থতার কারণসমূহ; এবং
(গ) তাহার মতে কোম্পানী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ, গঠন কিংবা উহার ব্যর্থতা সম্পর্কিত কোন বিষয়ে কিংবা উহার কার্যাবলী পরিচালনা সম্পর্কে অধিকতর তথ্যানুসন্ধানের প্রয়োজন আছে কি না৷

(২) সরকারী লিকুইডেটর উপযুক্ত মনে করিলে, কোম্পানী কি ভাবে গঠিত হইয়াছে সেই সম্পর্কে এক বা একাধিক অতিরিক্ত প্রতিবেদন পেশ করিতে পারেন এবং এইরূপ প্রতিবেদনে কোম্পানী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ ও গঠনের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির দ্বারা অথবা গঠনের পর কোন পরিচালক অথবা অন্য কর্মকর্তা দ্বারা কোম্পানীর ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোন জালিয়াতি সংঘটিত হইয়াছে কি না তাহা এবং অন্য যে কোন বিষয় যাহা তাহার মতে আদালতের দৃষ্টিগোচর করা অভিপ্রেত তাহা উলেস্্নখ করিতে পারিবেন৷

২৬০৷ কোম্পানীর সম্পত্তির হেফাজত

(১) সরকারী লিকুইডেটর, তিনি সাময়িকভাবে নিযুক্ত হউন বা না হউন, কোম্পানীর মালিকানাধীন অথবা কোম্পানী যাহার স্বত্তাধিকারী বলিয়া প্রতীয়মান হয় এরূপ সকল সম্পত্তি, জিনিসপত্র এবং আদায়যোগ্য দাবী সমূহ (actionable claims) নিজ হেফাজতে কিংবা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিবেন৷

(২) অবলুপ্তি-আদেশের তারিখ হইতে কোম্পানীর সকল সম্পত্তি ও জিনিসপত্র আদালতের হেফাজতে রহিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

২৬১৷ অবলুপ্তির ক্ষেত্রে পরিদর্শন-কমিটি

(১) কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য আদেশ প্রদত্ত হওয়ার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে সরকারী লিকুইডেটর কোম্পানীর ঐ সব পাওনাদারগণের একটি সভা আহ্বান করিবেন যাহাদের নাম কোম্পানীর হিসাব ও নথিপত্র হইতে পাওয়া গিয়াছে; এবং এই সভার উদ্দেশ্য হইবে লিকুইডেটরের সংগে কাজ করার জন্য একটি পরিদর্শন-কমিটি গঠন করার প্রয়োজন আছে কি না এবং কমিটি গঠিত হইলে কাহারা উহার সদস্য হইবেন তাহা নির্ধারণ করা৷

(২) পাওনাদারগণের সিদ্ধান্ত বিবেচনা এবং উহার সংশোধনসহ কিংবা সংশোধন ব্যতিরেকে গ্রহণ করা যায় কি না এই উদ্দেশ্যে সরকারী লিকুইডেটর পাওনাদারগণের সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হইতে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রদায়কগণের একটি সভা আহ্বান করিবেন৷

(৩) প্রদায়কগণ যদি পাওনাদারগণের সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে গ্রহণ না করেন, তাহা হইলে একটি পরিদর্শন-কমিটি গঠন করা দরকার কি না এবং যদি দরকার হয় তবে উক্ত কমিটির গঠন প্রণালী কি রকম হইবে এবং কমিটিতে কাহারা সদস্য থাকিবেন তত্সম্পর্কে আদালতের নির্দেশ প্রাপ্তির জন্য লিকুইডেটর অবিলম্বে আদালতের নিকট দরখাস্ত্ম করিবেন৷

(৪) এই ধারার অধীন গঠিত পরিদর্শন-কমিটিতে কোম্পানীর পাওনাদার ও প্রদায়ক মিলিয়া অথবা পাওনাদার ও প্রদায়কদের পত্মগ হইতে সাধারণ বা বিশেষ পাওয়ার-অব-এটর্নিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ মিলিয়া মোট ১২ জন সদস্য থাকিবেন, যাহাদের সংখ্যার অনুপাত পাওনাদার ও প্রদায়কগণের সভায় নির্ধারিত হইবে অথবা এই বিষয়ে তাহাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে উহা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷

(৫) পরিদর্শন-কমিটি যে কোন যুক্তিসংগত সময়ে সরকারী লিকুইডেটরের হিসাবপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবে৷

(৬) পরিদর্শন-কমিটি যখন যে সময় স্থির করে সেই সময়ে সভায় মিলিত হইবে; এবং উহা যদি সময় নির্ধারণ করিতে অপরাগ হয় তাহা হইলে প্রতিমাসে অন্ততঃপক্ষে একবার সভায় মিলিত হইবে অথবা লিকুইডেটর বা কমিটির কোন সদস্যও তাহার মতে উপযুক্ত সময়ে কমিটির সভা ডাকিতে পারিবেন৷

(৭) কমিটির সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কাজ চলিতে পারে; এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের উপস্থিতি না থাকিলে সভার কাজ চলিতে পারিবে না৷

(৮) নিজ স্বাত্মগরযুক্ত লিখিত নোটিশ লিকুইডেটরকে প্রদান করিয়া কমিটির যে কোন সদস্য তাহার পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷

(৯) কমিটির কোন সদস্য দেউলিয়া হইয়া পড়িলে, কিংবা তিনি তাহার দেউলিয়াত্বের ব্যাপারে তাহার কোন পাওনাদারের সংগে কোন প্রকার আপোষ-রফা বা বন্দোবস্ত্ম করিলে, অথবা তাহার সমশ্রেণীর অন্যান্য সদস্যগণের অর্থাত্ তিনি পাওনাদার হইলে অন্যান্য পাওনাদার-সদস্যের বা তিনি প্রদায়ক হইলে অন্যান্য প্রদায়কের অনুমতি ব্যতীত কমিটির পর পর পাঁচটি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে, তাহার পদ শূন্য হইবে৷

(১০) কমিটিতে পাওনাদারগণ তাহাদের প্রতিনিধিত্বকারী কোন সদস্যকে পাওনাদারগণের সভায় সাধারণ সিদ্ধান্তবলে এবং প্রদায়কগণ তাহাদের প্রতিনিধিত্বকারী কোন সদস্যকে পাওনাদারগণের সভার সাধারণ সিদ্ধান্তবলে কমিটি হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন, তবে এইরূপ সভা আহ্বানের পূর্বে সভার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করিয়া উক্ত সদস্যকে সাত দিনের নোটিশ প্রদান করিতে হইবে৷

(১১) কমিটির কোন পদ শূন্য হইলে উক্ত পদ পূরণের জন্য লিকুইডেটর অবিলম্বে ক্ষেত্রমত পাওনাদারগণের কিংবা প্রদায়কগণের একটি সভা আহ্বান করিবেন এবং উক্ত সভা একই পাওনাদার বা ক্ষেত্রমত একই প্রদায়ককে পূণর্নিয়োগ করিতে পারিবে কিংবা অপর একজন পাওনাদার বা প্রদায়ককে নিয়োগ করিয়া উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিতে পারিবে৷

(১২) কমিটিতে কার্যরত সদস্য-সংখ্যার দুই এর কম না হইলে, কমিটিতে কোন পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও, তাহারা কাজ চালাইয়া যাইতে পারিবেন৷

২৬২৷ সরকারী লিকুইডেটরের ক্ষমতা

আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে, সরকারী লিকুইডেটর নিম্নলিখিত কার্যাদি করিতে পারিবেন :-

(ক) কোম্পানীর নামে কিংবা কোম্পানীর পক্ষে কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী মামলা বা অভিযোগ অথবা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের অথবা কোম্পানীর বিরম্্নদ্ধে দায়েরকৃত ঐসব মামলা, অভিযোগ বা কার্যধারায় কোম্পানীর পত্মগ সমর্থন করা;
(খ) কোম্পানীর জন্য কল্যাণকর হয় এইরূপে উহার অবলুপ্তির স্বার্থে যতদূর প্রয়োজন উক্ত কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনা করা;
(গ) কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা অন্য কোম্পানীর নিকট সামগ্রিকভাবে হস্ত্মান্তর বা খণ্ড খণ্ডভাবে বিক্রয় করার ত্মগমতাসহ কোম্পানীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি প্রকাশ্য নিলাম কিংবা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিক্রয়;
(ঘ) কোম্পানীর নামে ও পক্ষে কোম্পানীর সকল কার্যাদি করা, সকল দলিলের প্রাপ্তি স্বীকার করা ও যে কোন দলিলপত্র সম্পাদন করা এবং তদ্‌উদ্দেশ্যে যখন প্রয়োজন হয় কোম্পানীর সাধারণ সীল মোহর ব্যবহার করা;
(ঙ) কোন প্রদায়কের দেউলিয়াত্ব সংক্রান্ত কার্যধারায় তাহার সম্পত্তির বিপরীতে কোম্পানীর কোন পাওনা বা পাওনার অবশিষ্টাংশের সত্যতা প্রমাণ, উহার শ্রেণীবিন্যাস এবং দাবী উত্থাপন করা, এবং প্রদায়ক দেউলিয়া থাকা অবস্থায় ঐ পাওনা বা উহার অবশিষ্টাংশ দেউলিয়ার নিকট হইতে একটি পৃথক ঋণ হিসাবে এবং তাহার অন্যান্য পাওনাদারের সহিত হারাহারিভাবে উক্ত পাওনা আদায় করা;
(চ) কোম্পানীর দায়-দায়িত্বের ক্ষেত্রে, এইরূপ কার্যকরতার সহিত কোম্পানীর নামে ও পক্ষে কোন বিনিময় বিল, হুন্ডি অথবা প্রমিসারী নোট-এ স্বাত্মগর, স্বীকৃতিদান, সম্পাদন এবং পৃষ্ঠাংকন করা, যেন ঐ বিল, হুন্ডি ও নোট কোম্পানীর কার্যাবলী চলাকালীন সময়ে কোম্পানী কর্তৃক এবং কোম্পানীর পক্ষে স্বাত্মগর সম্পাদন, স্বীকৃতিদান এবং পৃষ্ঠাংকন করা হইয়াছিল;
(ছ) কোম্পানীর পরিসম্পদ জামানত রাখিয়া প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা;
(জ) কোম্পানীর নামে সুবিধাজনকভাবে করা যায় না এইরূপ ক্ষেত্রে, তাহার পদের নাম ব্যবহার করিয়া কোন মৃত প্রদায়কের সম্পত্তির জন্য লেটার অব এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন গ্রহণ করা বা কোন প্রদায়ক হইতে বা তাহার সম্পত্তি হইতে পাওনা অর্থ গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজন হয় এমন যে কোন কাজ করা; এবং এইরূপ সকল ক্ষেত্রে উক্ত লেটার অব এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন বা উক্ত পাওনা অর্থ িলুকইডেটরের নিকট প্রদেয় বলিয়া গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, (জ) দফার কোন বিধান Administrator General’s Act, 1913 (III of 1913) এর অধীনে নিযুক্ত এ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলের কোন অধিকার, কর্তব্য ও সুবিধা ত্মগুণ্ন করিবে না; এবং
(ঝ) কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য এবং উহার পরিসম্পদ বন্টনের জন্য অন্য যে কাজ করা প্রয়োজন তাহা করা৷

২৬৩৷ সরকারী লিকুইডেটরের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের সীমা

আদালত এইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পরিবে যে, সরকারী লিকুইডেটর আদালতের অনুমোদন বা হস্ত্মক্ষেপ ব্যতিরেকেই ২৬২ ধারায় উল্লেখিত যে কোন ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং যেক্ষেত্রে সরকারী লিকুইডেটর অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত হন সে ক্ষেত্রে আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিলে ঐ নিয়োগ আদেশেই তাহার ত্মগমতা সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন৷

২৬৪৷ সরকারী লিকুইডেটরকে আইনগত সহায়তা দানের বিধান

আদালতের অনুমোদনক্রমে সরকারী লিকুইডেটর তাহার কাজ কর্মে সহায়তা করার জন্য আদালতে আইনজীবী হিসাবে হাজির হইবার অধিকারী একজন এডভোকেট বা এটর্ণি নিযুক্ত করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকারী লিকুইডেটর নিজেই একজন এডভোকেট বা এটর্ণি হইলে তিনি এই ধারার অধীনে উক্ত সহায়তাকারী এডভোকেট বা এটর্ণি নিয়োগ করিতে পারিবেন না, যদি না উক্ত সহায়তাকারী বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করিতে সম্মত হন৷

২৬৫৷ লিকুইডেটর কর্তৃক সভার কার্যবিবরণী-বহি এবং প্রাপ্তির হিসাব আদালতে দাখিল

(১) আদালত কর্তৃক অবলুপ্তি ঘটানো হইতেছে এইরূপ কোন কোম্পানীর সরকারী লিকুইডেটর নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপযুক্ত এক বা একাধিক বহি রত্মগণ করিবেন; এবং উহাতে সভার কার্যবিবরণী এবং অন্যান্য নির্ধারিত বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবেন, এবং যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়ক, নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে, আদালতের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, উক্ত বহি পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷

(২) প্রত্যেক সরকারী লিকুইডেটর তাহার দায়িত্ব পালনকালে নির্ধারিত সময়ান্তে, তবে প্রতি বত্সর কমপক্ষে দুইবার, তাহার জমা-খরচের হিসাব আদালতে উপস্থাপন করিবেন৷

(৩) লিকুইডেটর তাহার হিসাবপত্র নির্ধারিত ছকে দুই প্রস্থে প্রস্তুত করিবেন এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঐগুলির সত্যতা সম্পর্কিত ঘোষণা উক্ত ছকের লিপিবদ্ধ করিবেন৷

(৪) আদালত উহার বিবেচনায় উপযুক্ত পদ্ধতিতে উক্ত হিসাবপত্র নিরীত্মগা করাইবে এবং নিরীত্মগার উদ্দেশ্যে আদালতের চাহিদামত যে কোন ভাউচার ও তথ্য সরবরাহ করিতে লিকুইডেটর বাধ্য থাকিবেন এবং আদালত যে কোন সময় লিকুইডেটর কর্তৃক রত্মিগত বহিসমূহ, হিসাবপত্র ও অন্যান্য দলিল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিতে বা ঐগুলি পরিদর্শন করিতে পারিবে৷

(৫) হিসাবপত্রের নিরীত্মগণ শেষ হইলে নিরীত্মগা প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি আদালতে নথিভুক্ত ও সংরত্মিগত থাকিবে এবং উহার অপর একটি অনুলিপি নথিভুক্ত করার জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট পাঠাইতে হইবে; এবং এইরূপ প্রত্যেক অনুলিপি যে কোন পাওনাদার বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিতে হইবে৷

২৬৬৷ লিকুইডেটরের ক্ষমতা প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ

(১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, আদালত কর্তৃক অবলুপ্তি ঘটানো হইতেছে এইরূপ কোম্পানীর লিকুইডেটর, কোম্পানীর পরিসম্পদের ব্যবস্থাপনা (Administration) এবং যাবতীয় পরিসম্পদ যথাবিহিতভাবে পাওনাদারগণের মধ্যে বন্টনের ব্যাপারে, পাওনাদার বা প্রদায়কগণের সাধারণ সভায় গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত এবং পরিদর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত যথাবিহিতভাবে বিবেচনায় রাখিবেন এবং ঐ সব সিদ্ধান্তের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে পাওনাদার বা প্রদায়কগণের সাধারণ সভায় প্রদত্ত নির্দেশনা, পরিদর্শক কমিটির নির্দেশনা অপেত্মগা অগ্রাধিকার পাইবে৷

(২) সরকারী লিকুইডেটর পাওনাদার বা প্রদায়কগণের অভিপ্রায় নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে পাওনাদার বা প্রদায়কগণের সাধারণ সভা আহ্বান করিতে পারেন, এবং পাওনাদার বা প্রদায়কগণের অনুরূপ সভা অনুষ্ঠানের জন্য তাহাদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্দেশ দিলে, অথবা মূল্যের ভিত্তিতে পাওনাদার বা প্রদায়কগণের এক-দশমাংশ অনুরূপ সভা আহ্বানের জন্য লিখিত অনুরোধ জানাইলে, সভা আহ্বান করা লিকুইডেটরের আবশ্যিক কর্তব্য হইয়া দাঁড়াইবে৷

(৩) অবলুপ্তি সংক্রান্ত বিশেষ কোন ব্যাপারে নির্দেশনা লাভের প্রয়োজন দেখা দিলে সরকারী লিকুইডেটর নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদালত সমীপে আবেদন করিতে পারিবেন৷

(৪) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সরকারী লিকুইডেটর কোম্পানীর পরিসম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং উহা পাওনাদারগণের মধ্যে বন্টনের ব্যাপারে তাহার স্বীয় বিচার বিবেচনা (Discretion) প্রয়োগ করিবেন৷

(৫) সরকারী লিকুইডেটরের কোন কাজ বা সিদ্ধান্তের ফলে যদি কোন ব্যক্তি সংত্মগুদ্ধ হন, তবে তিনি তত্সম্পর্কে আদালতে তাহার আবেদন বা অভিযোগ পেশ করিতে পারিবেন, এবং তত্সম্পর্কে উভয় পত্মগকে শুনানীর সুযোগদানের পর আদালত উক্ত কাজ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে, উল্টাইয়া দিতে বা সংশোধন করিতে পারিবে অথবা পরিস্থিতি অনুযায়ী উহার বিবেচনায় ন্যায়সংগত অন্য কোন আদেশ দিতে পারিবে৷

২৬৭৷ প্রদায়কগণের তালিকা প্রণয়ন এবং দায় পরিশোধে কোম্পানীর পরিসম্পদ প্রয়োগ

(১) অবলুপ্তির আদেশদানের পর আদালত যথাশীঘ্র সম্ভব প্রদায়কগণের একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে এবং এই ব্যাপারে এই আইন অনুযায়ী সদস্যবহি সংশোধনের প্রয়োজন হইলে আদালত উহা সংশোধনও করিতে পারিবে, এবং আদালত কোম্পানীর যাবতীয় পরিসম্পদ সংগ্রহ করাইয়া ঐগুলি কোম্পানীর দায়-দেনা পরিশোধের জন্য প্রয়োগ করিবে৷

(২) প্রদায়কগণের তালিকা প্রণয়ণের সময় প্রদায়কগণের মধ্যে যাহারা নিজেদের অধিকার বলে প্রদায়ক হইয়াছেন এবং যাহারা প্রদায়কগণের প্রতিনিধি হিসাবে কিংবা যাহারা অন্যের ঋণের জন্য দায়ী হওয়ার কারণে প্রদায়ক হইয়াছেন তাহাদেরকে পৃথক পৃথকভাবে উক্ত তালিকায় দেখাইতে হইবে৷

২৬৮৷ সম্পত্তি হস্ত্মান্তর, অর্পণ ইত্যাদি করানোর ক্ষমতা

অবলুপ্তির আদেশদানের পর, আদালত যে কোন সময় আপাততঃ প্রণয়নকৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত যে কোন প্রদায়ককে কোম্পানীর যে কোন ট্রাষ্টী, রিসিভার, ব্যাংকার, প্রতিনিধি বা কর্মকর্তাকে অবিলম্বে কিংবা আদালত কর্তৃক নির্দেশিত সময়ের মধ্যে যে কোন অর্থ, সম্পত্তি বা নথিপত্র, যাহা তাহার নিকট রহিয়াছে এবং যাহাতে দৃশ্যতঃ কোম্পানীর স্বত্বাধিকার রহিয়াছে তাহা, সরকারী লিকুইডেটরের নিকট প্রদান, অপর্ণ, সমর্পণ বা হস্ত্মান্তর করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷

২৬৯৷ ঋণ পরিশোধ করিতে প্রদায়কগণকে আদেশদানের ক্ষমতা

(১) অবলুপ্তির আদেশদানের পর, আদালত যে কোন সময় আপাততঃ প্রণয়নকৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোন প্রদায়ককে এই আইন অনুযায়ী তাহার নিজের নিকট হইতে অথবা তিনি যে প্রদায়কের প্রতিনিধি তাহার সম্পদ হইতে কোম্পানীর পাওনা অর্থ পরিশোধের জন্য আদেশ দিতে পারিবে, তবে এই আইন অনুসারে উক্ত প্রদায়ক বা সম্পদ হইতে ভিন্ন কারণে তলবযোগ্য কোন অর্থ এই উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে না৷

(২) অসীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে, আদালত উক্ত আদেশদানকালে, কোন সম্পদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি বা প্রদায়কের সহিত লেনদেনের বা চুক্তিজনিত কারণে উক্ত কোম্পানীর নিকট তাহার পাওনা অর্থের বিপরীতে তাহার নিকট কোম্পানীর পাওনা অর্থের সমন্বয়সাধনের অনুমতি দিতে পারিবে কিন্তু এই সমন্বয়করণ কোম্পানীর সদস্য হিসাবে তাহার প্রাপ্য লভ্যাংশ বা মুনাফার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং কোন সীমিতদায় কোম্পানীর কোন পরিচালকের দায় অসীমিত হইলে সেই ক্ষেত্রে উক্ত সমন্বয়সাধনের অনুমতি দেওয়া হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন কোম্পানী সীমিতদায় হোক বা অসীমিতদায় হোক, সকল পাওনাদারকে সম্পূর্ণভাবে তাহাদের পাওনা পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কোন প্রদায়কের যে কোন প্রকার পাওনা পরবর্তীকৃত তলবের বিপরীতে, তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য টাকার সহিত সমন্বয়ের অনুমতি দেওয়া যাইবে৷

২৭০৷ প্রদায়কগণ হইতে আদালত কর্তৃক উক্ত অর্থ তলবের ক্ষমতা

(১) অবলুপ্তির আদেশদানের পর, আদালত যে কোন সময়, অর্থাত্ কোম্পানীর পরিসম্পদের পর্যাপ্ততা যাচাই করার আগেই হউক বা পরেই হউক, কোম্পানীর দায়-দেনা পরিশোধ ও অবলুপ্তির যাবতীয় খরচ ও চার্জ মিটানোর জন্য এবং প্রদায়কগণের পারস্পরিক অধিকার সমন্বয়ের জন্য আদালত যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন বলিয়া বিবেচনা করিবে সেই পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আপাততঃ প্রণয়নকৃত তালিকায় উল্লেখিত যে কোন বা সকল প্রদায়কগণের নিকট হইতে সেই পরিমাণ অর্থ তলব এবং উহা পরিশোধের আদেশ দিতে পারিবে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য তাহারা দায়ী৷

(২) উক্ত অর্থ তলব করার সময় আদালত প্রদায়কগণের মধ্যে কেহ কেহ যে তলবকৃত অর্থের আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইতেও পারেন উহা বিবেচনায় রাখিয়া প্রয়োজনীয় অর্থ তলব করিবে৷

২৭১৷ ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার আদেশ প্রদানের ক্ষমতা

প্রদায়ক, ক্রেতা বা অন্য যাহাদের নিকট কোম্পানীর কোন অর্থ পাওনা রহিয়াছে, তাহাদের প্রদেয় অর্থ সরকারী লিকুইডেটরের নিকট সরাসরি প্রদানের পরিবর্তে Bangladesh Bank Order, 1972, (P. O. No. 127 of 1972) তে সংজ্ঞায়িত কোন Scheduled Bank এ সরকারী লিকুইডেটরের হিসাবে (account) জমাদানের জন্য আদালত তাহাদিগকে আদেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ কোন আদেশ এইরূপ কার্যকর হইবে যেন উহাতে সরকারী লিকুইডেটরের নিকট অর্থ প্রদানের নির্দেশ দান করা হইয়াছিল৷

২৭২৷ লিকুইডেটরের একাউন্টের উপর আদালতের নিয়ন্ত্রণ

আদালত কর্তৃক কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, ধারা ২৭১ এর বিধান অনুসারে লিকুইডেটরের হিসাবে জমাকৃত সকল টাকা, বিল, হুন্ডি, নোট ও অন্যান্য সিকিউরিটি সম্পূর্ণরূপে আদালতের আদেশের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

২৭৩৷ সাক্ষ্য হিসাবে প্রদায়কের প্রতি আদেশের চূড়ান্ততা

(১) কোন অর্থ পরিশোধের জন্য আদালত কোন প্রদায়ককে কোন আদেশ প্রদান করিলে, সেই আদেশ তত্সম্পর্কে আপীল দায়েরের অধিকার সাপেক্ষে, উক্ত প্রদায়কের নিকট পাওনা টাকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সাত্মগ্য হইবে৷

(২) উক্ত আদেশে বর্ণিত অন্যান্য প্রাসংগিক বিষয় সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে এবং সকল কার্যধারার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বর্ণিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

২৭৪৷ সময়মত দাবী প্রমাণে ব্যর্থ পাওনাদারগণের ক্ষেত্রে আদালতের ক্ষমতা

আদালত এইরূপ এক বা একাধিক সময় নির্ধারণপূর্বক আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত সময়ের মধ্যে পাওনাদারগণ তাহাদের পাওনা বা দাবীর সত্যতা প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, উক্তরূপ প্রমাণের পূর্বে বন্টনকৃত কোন অর্থের সুবিধা দিতে তাহাদিগকে বঞ্চিত করা হইতে পারে৷

২৭৫৷ প্রদায়কগণের অধিকার সমন্বয়সাধন

আদালত প্রদায়কগণের মধ্যে তাহাদের পারস্পরিক অধিকারের সমন্বয়সাধন করিবে এবং কোম্পানীর পরিসম্পদে কোন উদ্বৃত্ত থাকিলে তাহা উহার অধিকারী ব্যক্তিগণের মধ্যে বণ্টন করিবে৷

২৭৬৷ ব্যয়বহনের ব্যাপারে আদেশদানের ক্ষমতা

কোম্পানীর দায়-দেনা পরিশোধের জন্য উহার পরিসম্পদ অপর্যাপ্ত হইলে, আদালত উহার বিবেচনায় ন্যায়সংগত অগ্রাধিকার নির্ধারণপূর্বক কোম্পানীর পরিসম্পদ হইতে অবলুপ্তির ব্যয় ও অন্যান্য ব্যয়বহনের এবং চার্জের দায় পরিশোধের উদ্দেশ্যে আদেশ দিতে পারিবে৷

২৭৭৷ কোম্পানীর বিলুপ্তি (dissolution)

(১) কোম্পানীর অবলুপ্তির প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পর আদালত আদেশ দিবে যে, আদেশের তারিখ হইতে কোম্পানীর বিষয়াদি সম্পূর্ণরূপে বিলু্‌প্ত (dissolved) হইয়াছে এবং তদনুযায়ী কোম্পানীটি বিলুপ্ত হইবে৷

(২) আদেশদানের তারিখ হইতে পনেরো দিনের মধ্যে সরকারী লিকুইডেটর উক্ত আদেশটির বিষয় রেজিষ্ট্রারকে অবহিত করিবেন এবং রেজিষ্ট্রার তাহার বহিতে কোম্পানী বিলুপ্তির পুঙ্খানুপুঙ্খ (minute) লিপিবদ্ধ করিবেন৷

(৩) সরকারী লিকুইডেটর এই ধারার বিধানসমূহ পালনে ব্যর্থ হইলে, যতদিন উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য, তিনি অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

২৭৮৷ কোম্পানীর সম্পত্তির দখলদার হিসাবে সন্দেহভাজন ও অন্যান্য ব্যক্তির উপর সমনজারীর ক্ষমতা

(১) কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশদানের পর, যদি উহার কোন কর্মকর্তা কিংবা অন্য কোন ব্যক্তি, যাহার নিকট কোম্পানীর কোন সম্পদ আছে বলিয়া জানা যায় বা সন্দেহ হয় অথবা যিনি কোম্পানীর নিকট ঋণী আছেন বলিয়া বিবেচনা করা যায় কিংবা যিনি কোম্পানীর ব্যবসা, লেন-দেন, সম্পত্তি বা অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে সত্মগম বলিয়া বিবেচিত হন, তবে আদালত সেই ব্যক্তিকে হাজির হওয়ার জন্য সমনজারী করিতে পারিবে৷

(২) আদালত উক্ত ব্যক্তিকে শপথবাক্য পাঠ করাইয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে এবং তাহার জবাব সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করিয়া উহাতে স্বাত্মগরদানের জন্য তাহাকে নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

(৩) উক্ত ব্যক্তির হেফাজতে বা ত্মগমতাধীনে কোম্পানী সংক্রান্ত যে সব নথিপত্র আছে তাহা উপস্থাপনের জন্য আদালত তাহাকে নির্দেশ দিতে পারিবে, তবে তিনি উপস্থাপিত নথিপত্রের উপর নিজের কোন পূর্বস্বত্ব (Lien) দাবী করিলে অনুরূপ উপস্থাপনের কারণে উক্ত পূর্বস্বত্ব ত্মগুণ্ন হইবে না এবং কোম্পানীর অবলুপ্তির সময় উক্ত পূর্বস্বত্ব সংক্রান্ত সকল বিষয়ও আদালত নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন৷

(৪) সমনকৃত কোন ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত হারে রাহা খরচ প্রদানের প্রস্ত্মাব করার পরও যদি তিনি আদালতে হাজির হইতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে আদালত তাহাকে গ্রেপ্তার করাইয়া হাজির করাইবার ব্যবস্থা করাইতে পারিবে, যদি না আদালতে হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে তাহার আইনগত প্রতিবন্ধকতা থাকে এবং আদালত চলাকালে উক্ত প্রতিবন্ধকতার বিষয় আদালতকে অবহিত করার পর আদালত হাজির না হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করে৷

২৭৯৷ উদ্যোক্তা, পরিচালক প্রমুখগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশদানের ক্ষমতা

(১) যে ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশ দেওয়া হয় এবং সরকারী লিকুইডেটর আদালতে এই মর্মে আবেদন করেন যে, তাহার মতে কোম্পানী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ বা উহার গঠনের ব্যাপারে কোন ব্যক্তির দ্বারা কিংবা কোম্পানী গঠনের পরবর্তী কোন সময়ে কোম্পানী সংক্রান্ত ব্যাপারে উহার কোন পরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তার দ্বারা প্রতারণামূলক কোন কিছু সংঘটিত হইয়াছে, সেক্ষেত্রে আদালত, উক্ত আবেদনটি বিবেচনা করার পর, নির্দেশ দিতে পারিবে যে উক্ত ব্যক্তি, পরিচালক বা কর্মকর্তা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত একটি তারিখে আদালতে হাজির হইবেন এবং কোম্পানী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ, গঠন বা উহার কার্যাবলী সম্পাদন বা পরিচালনা সম্পর্কে অথবা কোম্পানীর পরিচালক, ম্যানেজার বা অন্যবিধ কর্মকর্তা হিসাবে তাহার আচরণ বা কাজকর্ম সম্পর্কে তাহাকে প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে৷

(২) সরকারী লিকুইডেটর স্বয়ং জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত হইলে তিনি একজন আইন উপদেষ্টার সহায়তাও গ্রহণ করিতে পারিবেন৷

(৩) কোন পাওনাদার অথবা প্রদায়কও ব্যক্তিগতভাবে অথবা আদালতে হাজির হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন৷

(৪) যে ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, অতঃপর এই ধারায় উক্ত ব্যক্তি বলিয়া উল্লেখিত, তাহাকে আদালত উহার বিবেচনায় যথাযথ যে কোন প্রশ্ন করিতে পারিবেন৷

(৫) উক্ত ব্যক্তিকে শপথবাক্য পাঠ করাইবার পর তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে এবং তিনি আদালতের বা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত সকল প্রশ্নের জবাব দিবেন৷

(৬) এই ধারা অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তি তাহার নিজ খরচে আদালতে হাজির হওয়ার অধিকারী যে কোন ব্যক্তিকে তাহার পরামর্শদাতা নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং এই পরামর্শদাতা উক্ত ব্যক্তিকে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে, এমন যে কোন প্রশ্ন করার অধিকারী হইবেন যাহা উক্ত ব্যক্তির বক্তব্য উপস্থাপন বা ব্যাখ্যাদানের জন্য সহায়ক হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত যদি এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে উক্ত ব্যক্তি তাহার বিরম্্নদ্ধে আনীত বা প্রস্ত্মাবিত কোন অভিযোগ হইতে মুক্ত হইয়াছেন তাহা হইলে আদালত উহার উপযুক্ত বিবেচনায় যে কোন খরচ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারিবে৷

(৭) জিজ্ঞাসাবাদের বিবরণ টোকা আকারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তিকে তাহা পড়িয়া শুনাইতে বা তাহাকে পড়িবার সুযোগ দিতে এবং তাহার দ্বারা স্বাত্মগরযুক্ত বা টিপসহিযুক্ত করাইয়া লইতে হইবে; এবং উক্ত বিবরণ পরবর্তী সময়ে কোন দেওয়ানী কার্যধারায় তাহার বিরম্্নদ্ধে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে এবং উহা যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়কের পরিদর্শনের জন্য যুক্তিযুক্ত সকল সময়ে উন্মুক্ত থাকিবে৷

(৮) আদালত উপযুক্ত মনে করিলে সময়ে সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ মূলতবী রাখিতে পারিবে৷

(৯) এই ধারার অধীন জিজ্ঞাসাবাদ, আদালতের নির্দেশ ও এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি-বিধান সাপেক্ষে, আদালত কর্তৃক বিনির্দিষ্ট কোন জেলা জজ বা হাইকোর্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা, যথা: অফিসিয়াল, রেফারী, মাষ্টার, রেজিষ্ট্রার বা ডেপুটি রেজিষ্ট্রার এর সম্মুখে অনুষ্ঠিত হইতে পারে; এবং যাহার সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনি খরচাদি মঞ্জুর করা ব্যতীত, এই ধারার অধীন জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কিত আদালতের যে কোন ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

২৮০৷ পলাতক প্রদায়ককে গ্রেফতার করিবার ক্ষমতা

কোন প্রদায়ক তাহার নিকট হইতে তলবকৃত অর্থ প্রদান অথবা কোম্পানীর বিষয়াদির সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ এড়াইবার উদ্দেশ্যে, অবলুপ্তির আদেশ দানের পূর্বে বা পরে যখনই হউক, তাহার বাংলাদেশ ত্যাগের কিংবা অন্যভাবে আত্মগোপন করিবার অথবা কোম্পানীর কোন পরিসম্পদ সরাইয়া ফেলিবার সম্ভাবনা আছে বলিয়া বিশ্বাস করার মত যুক্তিসংগত কারণ আছে মর্মে সন্তুষ্ট হইলে আদালত উক্ত প্রদায়ককে গ্রেফতার করাইতে এবং তাহার সংশ্লিষ্ট বহি, নথিপত্র ও অস্থাবর সম্পত্তি আটক করাইতে এবং তাহার ঐ সমস্ত্ম পরিসম্পদ, আদালত কর্তৃক ভিন্নরূপ আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত, নিরাপদ হেফাজতে রাখার আদেশ দিতে পারিবে৷

২৮১৷ অন্যান্য কার্যধারা রক্ষণ

তলবী ও অন্যবিধ অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে, অবলুপ্তির প্রক্রিয়াধীন কোম্পানীর প্রদায়ক বা ঋণগ্রহীতা বা অন্য কোন ব্যক্তির বিরম্্নদ্ধে কিংবা তাহাদের সম্পত্তির বিরম্্নদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করার ব্যাপারে অন্যান্য আইনের অধীনে আদালতের যে প্রচলিত ত্মগমতা রহিয়াছে তাহা এই আইনের দ্বারা বা অধীনে আদালতকে প্রদত্ত ত্মগমতাকে সীমিত করিবে না, বরং উহার অতিরিক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

২৮২৷ আদেশ বলবত্ করার ক্ষমতা

এই আইনের অধীনে আদালত কর্র্তৃক প্রদত্ত আদেশ সেই একইভাবে বলবত্ করা যাইতে পারে যেভাবে কোন মামলায় উক্ত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রি বলবত্ করা যায়৷

২৮৩৷ আদালতের আদেশ অন্য আদালত কর্তৃক বলবত্করণ

কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য বা অবলুপ্তির প্রক্রিয়া চলাকালে আদালত কোন আদেশ প্রদান করিলে তাহা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে যে কোন আদালত কর্তৃক এইরূপ বলবত্ করা যাইবে যেন উক্ত কোম্পানীর নিবন্ধীকৃত কার্যালয় উক্ত অন্য আদালতের এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় অবস্থিত এবং উক্ত আদেশ উক্ত অন্য আদালতই প্রদান করিয়াছিল, তবে ব্যতিক্রম এই যে উক্ত কোম্পানীর নিবন্ধিত কার্যালয় যে আদালতের এখ্‌তিয়ারভুক্ত এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকায় কেবলমাত্র সেই আদালতই আদেশটি বলবত্ করিতে পারিবে৷

২৮৪৷ এক আদালতের আদেশ অন্য আদালত কর্তৃক বলবত্ করার পদ্ধতি

এক আদালতের আদেশ যেক্ষেত্রে অন্য আদালত কর্তৃক বলবত্ হইবে সেক্ষেত্রে আদেশের একটি প্রত্যায়িত (certified) অনুলিপি শেষোক্ত আদালতের উপযুক্ত কর্মকর্তার নিকট পেশ করিতে হইবে এবং এইরূপ উপস্থাপনই হইবে উক্ত আদেশ প্রদত্ত হওয়ার পর্যাপ্ত প্রমাণ; এবং ইহার পর শেষোক্ত আদালত উক্ত আদেশ বলবত্ করার জন্য এমনভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে যেন আদালত ইহার নিজস্ব আদেশ বলবত্ করিতেছে৷

২৮৫৷ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল

আদালত কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির ব্যাপারে কোন আদেশ দিলে বা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিলে উহা পুনঃশুনানীর আবেদন বা উহার বিরুদ্ধে আপীল উক্ত আদালতের সাধারণ এখ্‌তিয়ার অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিতে, যে শর্তাধীনে এবং যে আদালতে করা যাইত সেই একই পদ্ধতিতে, শর্তাধীনে এবং আদালতে, দায়ের করা যাইবে৷

২৮৬৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির পরিস্থিতি

(১) কোন কোম্পানী নিম্নলিখিত পরিস্থিততে স্বেচ্ছাকৃতভাবে উহার অবলুপ্তি ঘটাইতে পারিবে, যথা :-

(ক) সংঘবিধি দ্বারা কোম্পানীর কার্যকাল নির্ধারিত হইয়া থাকিলে এবং তাহা উত্তীর্ণ হইয়া গেলে, কিংবা এমন কোন ঘটনা যাহা ঘটিলে কোম্পানী
বিলুপ্ত করা হইবে বলিয়া ইহার সংঘবিধিতে বিধান রাখা হইয়াছে এবং উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কারণে কোম্পানীর সাধারণ সভায় এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, স্বেচ্ছাকৃতভাবে অবলুপ্তির প্রয়োজন হইয়া পড়িয়াছে; অথবা
(খ) যদি কোম্পানী বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি ঘটানো হউক; অথবা
(গ) কোম্পানী যদি এই মর্মে একটি অসাধারণ (Extra-ordinary) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, কোম্পানীর দায়-দেনার কারণে উহার কার্যাবলী অব্যাহত রাখা যায় না এবং সেই জন্য ইহার অবলুপ্তিই যুক্তিসংগত৷

(২) অতঃপর এই খণ্ডে উল্লেখিত “স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত” বলিতে উপ-ধারা (১) এর (ক), (খ) অথবা (গ) দফার অধীনে গৃহীত প্রস্তাব বুঝাইবে৷

২৮৭৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির প্রক্রিয়ার শুরম্্ন

স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় হইতে স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির প্রক্রিয়া আরম্ভ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

২৮৮৷ কোম্পানীর আইনগত মর্যাদার উপর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির প্রভাব

স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার সময় হইতে কোম্পানী উহার কার্যাবলী পরিচালনা বন্ধ করিয়া দিবে, তবে অবলুপ্তি যাহাতে কোম্পানীর জন্য কল্যাণকর হয় তদুদ্দেশ্যে উহার যতটুকু কার্য্যাবলী চালু রাখা প্রয়োজন কেবলমাত্র ততটুকু চালু রাখা যাইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, সংঘবিধিতে বিপরীত যাহাই কিছু থাকুন না কেন, কোম্পানী বিলুপ্ত ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত উহার নিগমিত মর্যাদা এবং উক্ত মর্যাদা হইতে উদ্ভূত ত্মগমতা, অধিকার এবং দায়-দায়িত্ব অব্যাহত থাকিবে৷

২৮৯৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির সিদ্ধান্তের নোটিশ

(১) কোন কোম্পানী স্বেচ্ছাকৃতভাবে অবলুপ্তির জন্য বিশেষ সিদ্ধান্ত বা অসাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে উহা গ্রহণের দশ দিনের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকারী গেজেটে এবং যে এলাকায় কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয় অবস্থিত সেই এলাকা হইতে প্রকাশিত কোন দৈনিক সংবাদপত্রে, যদি থাকে, বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করিতে হইবে৷

(২) এই ধারার বিধান পালনে কোন কোম্পানী ব্যর্থ হইলে, উক্ত কোম্পানী উক্ত ব্যর্থতা যতদিন অব্যাহত থাকে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত বরখেলাপ অনুমোদন করেন বা উহা চলিতে দেন তিনিও, একই অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

২৯০৷ স্বচ্ছলতা সম্পর্কিত ঘোষণা

(১) কোন কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্ত্মাব করা হইলে, কোম্পানীতে যদি দুইজন পরিচালক থাকেন তবে উভয়েই এবং যদি দুইজনের অধিক পরিচালক থাকেন, তবে তাহাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকগণ, যে সভায় উক্ত প্রস্ত্মাব উত্থাপিত হইবে সেই সভায় নোটিশ দেওয়ার পূর্বেই তাহাদের নিজেদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি সভার সিদ্ধান্তক্রমে, এফিডেভিট আকারে এই মর্মে ঘোষণা দিবেন যে, তাহারা কোম্পানীর বিষয়াদির সম্পর্কে পূর্ণ তদন্ত করিয়াছেন এবং তদন্তের পর তাহারা এই অভিমত পোষণ করেন যে, কোম্পানী অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার অনধিক তিন বত্সর সময়ের মধ্যে কোম্পানী ইহার সকল দায়-দেনা সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে সমর্থ হইবে৷

(২) উক্ত ঘোষণার সমর্থনে কোম্পানীর বিষয়াদির সম্পর্কে উহার নিরীত্মগকের একটি রিপোর্ট সংযোজিত থাকিতে হইবে এবং উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই ঘোষণাপত্রটি নিবন্ধনের জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল না করা হইলে, এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, উহার কোন কার্যকারিতা থাকিবে না৷

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান অনুসারে কোন কোম্পানী অবলুপ্তি করার বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করা হইলে এবং রেজিষ্ট্রারের নিকট উহা দাখিল করা হইলে, উক্ত অবলুপ্তি এই আইন “সদস্যগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি” এবং উক্ত ঘোষণা প্রদান ও দাখিল করা না হইলে তাহা “পাওনাদারগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি” বলিয়া অভিহিত হইবে৷

২৯১৷ সদস্যগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধানসমূহ

২৯২ হইতে ২৯৬ পর্যন্ত ধারাসমূহ (উভয় ধারাসহ) বিধানাবলী সদস্যগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

২৯২৷ লিকুইডেটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ

(১) কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় কোম্পানীর বিষয়াদি গুটাইয়া ফেলা এবং উহার পরিসম্পদ বন্টনের লক্ষে্য এক বা একাধিক লিকুইডেটর নিয়োগ এবং তাহার বা তাহাদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করিতে পারিবে৷

(২) লিকুইডেটর নিয়োগের সংগে সংগে কোম্পানীর পরিচালকগণের সকল ত্মগমতার অবসান হইবে, তবে কোম্পানীর সাধারণ সভা কিংবা লিকুইডেটর যে পরিমাণে পরিচালকগণের ত্মগমতা অব্যাহত থাকা অনুমোদন করেন ততটুকু অব্যাহত থাকিবে৷

২৯৩৷ লিকুইডেটরের শূন্যপদ পূরণ

(১) মৃত্যু, পদত্যাগ কিংবা অন্য কোন কারণে লিকুইডেটরের পদ শূন্য হইলে কোম্পানীর উহার সাধারণ সভার সিদ্ধান্তবলে, তবে পাওনাদারগণের সংগে এই প্রশ্নে মতৈক্য সাপেক্ষে, উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিতে পারিবে৷

(২) লিকুইডেটরের শূন্যপদ পূরণের উদ্দেশ্যে যে কোন প্রদায়ক কিংবা লিকুইডেটরের সংখ্যা একাধিক হইলে অবশিষ্ট এক বা একাধিক লিকুইডেটর কোম্পানীর সাধারণ সভা আহ্বান করিতে পারেন৷

(৩) সাধারণ সভা এই আইনে কিংবা কোম্পানীর সংঘবিধিতে বিধৃত পদ্ধতিতে অথবা প্রদায়ক বা কর্তব্যরত লিকুইডেটরের আবেদনক্রমে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে৷

২৯৪৷ কোম্পানীর সম্পত্তি হস্ত্মান্তরের পণস্বরূপ শেয়ার, ইত্যাদি গ্রহণের ব্যাপারে লিকুইডেটরের ক্ষমতা

(১) যদি কোন কোম্পানীকে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাকৃতভাবে অবলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয় বা উহার ঐরূপ অবলুপ্তি চলিতে থাকে এবং যদি কোম্পানীর সমুদয় কিংবা আংশিক কারবার অথবা সম্পত্তি অন্য একটি কোম্পানী, যাহা এই ধারায় “হস্ত্মান্তর গ্রহীতা কোম্পানী” নামে অভিহিত এবং যাহা এই আইনে প্রদত্ত সংজ্ঞানুসারে একটি কোম্পানী নাও হইতে পারে, এর নিকট বিক্রয় বা অন্যভাবে হস্ত্মান্তর করার প্রস্ত্মাব করা হয়, তবে প্রথমোক্ত কোম্পানী, যাহা এই ধারায় “হস্তান্তরকারী কোম্পানী” নামে অভিহিত, এর লিকুইডেটর, কোম্পানীর বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে দেওয়া সাধারণ কর্তৃত্ববলে অথবা বিশেষ কোন ব্যবস্থার জন্য দেওয়া কর্তৃত্ববলে, উক্ত কারবার বা সম্পত্তি হস্ত্মান্তর বা বিক্রয় করিয়া উহার সম্পূর্ণ বা আংশিক পণস্বরূপ হস্ত্মান্তরগ্রহীতা-কোম্পানীর শেয়ার, পলিসি বা অন্য কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ হস্তান্তরকারী-কোম্পানীর সদস্যগণের মধ্যে বন্টনের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করিতে পারিবেন, অথবা লিকুইডেটর অন্য এমন বন্দোবস্ত্ম করিতে পারিবেন যদ্বারা হস্তান্তরকারী-কোম্পানীর সদস্যগণ নগদ অর্থ শেয়ার, পলিসি, বা অনুরূপ স্বার্থের পরিবর্তে কিংবা ঐগুলি গ্রহণ ছাড়াও হস্ত্মান্তরগ্রহীতা-কোম্পানীর মুনাফার অংশগ্রহণ করিতে বা সেই কোম্পানীতে অন্যবিধ সুবিধা লাভ করিতে পারিবেন৷

(২) এই ধারা অনুযায়ী কোন বিক্রয় বা অন্যবিধ হস্ত্মান্তর বা বন্দোবস্ত্ম হস্তান্তরকারী-কোম্পানীর সদস্যদের উপর বাধ্যতামূলক হইবে৷

(৩) হস্তান্তরকারী-কোম্পানীর কোন সদস্য উক্ত বিষয়ে বিশেষ সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট না দিয়া যদি লিকুইডেটরের নিকট লিখিতভাবে তাহার ভিন্নমত ব্যক্ত করেন এবং বিশেষ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে তিনি তাহার ভিন্নমত কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে দাখিল করেন, তবে তিনি গৃহীত প্রস্ত্মাবটি কার্যকর না করার জন্য কিংবা তাহার স্বার্থ পারস্পরিক সম্মতিক্রমে স্থিরীকৃত মূল্যে ক্রয় করার জন্য কিংবা সালিশীর মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করার জন্য লিকুইডেটরকে বলিতে পারেন৷

(৪) লিকুইডেটর উক্ত সদস্যের স্বার্থ ক্রয় করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত ক্রয়মূল্য পরিশোধের উদ্দেশ্যে, কোম্পানীর বিশেষ সিদ্ধান্ত দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, লিকুইডেটর উহা সংগ্রহ করিয়া কোম্পানীর বিলুপ্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই পরিশোধ করিবেন৷

(৫) এই ধারার উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, কোন বিশেষ সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র এই কারণে অবৈধ হইবে না যে, সিদ্ধান্তটি স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি কিংবা লিকুইডেটর নিয়োগের সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পূর্বে বা একই সময়ে গৃহীত হইয়াছে; কিন্তু আদালত কর্তৃক হউক বা আদালতের তত্ত্বাবধানে হউক, যদি কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশ উক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর এক বত্সরের মধ্যে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে সিদ্ধান্তটি আদালত কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে উহা বৈধ হইবে না৷

(৬) Arbitration Act 1940 (X of 1940) এর সকল বিধান, তবে কোন বিষয়ে সালিশী চলিবে না মর্মে উক্ত আইনে যে বিধান থাকিতে পারে সেই বিধানাবলী ব্যতীত, এই ধারার অধীন সকল সালিশীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

২৯৫৷ বত্সরান্তে সাধারণ সভা আহ্বানে লিকুইডেটরের কর্তব্য

(১) অবলুপ্তির প্রক্রিয়া এক বত্সরের অধিককাল অব্যাহত থাকিলে, লিকুইডেটর উক্ত প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়ার প্রথম বত্সরের শেষে, এবং পরবর্তীকালে প্রত্যেক বত্সরের শেষে কিংবা এইরূপ প্রত্যেক বত্সর শেষ হওয়ার পর নব্বই দিনের মধ্যে যথাশীঘ্র সম্ভব কোম্পানীর সাধারণ সভা আহ্বান করিবেন এবং পূর্ববর্তী বত্সরে তাহার কাজকর্ম, লেনদেন এবং অবলুপ্তি পরিচালনা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এবং অবলুপ্তির পরিস্থিতি সম্পর্কিত নির্ধারিত তথ্যসম্বলিত একটি বিবরণী সভায় উপস্থাপন করিবেন৷

(২) লিকুইডেটর এই ধারার বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

২৯৬৷ চূড়ান্ত সভা ও কোম্পানীর অবলুপ্তি

(১) কোম্পানীর বিষয়াদি সম্পূর্ণরূপে অবলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিকুইডেটর অবলুপ্তি সম্পর্কে একটি বিবরণী প্রস্তুত করিবেন, যাহাতে অবলুপ্তির কাজ কিভাবে পরিচালনা করা হইয়াছে এবং কোম্পানীর সম্পত্তি কিভাবে বিলি বণ্টন করা হইয়াছে তাহার বর্ণনা থাকিবে; এবং তত্পর তিনি কোম্পানীর হিসাব-নিকাশ ও তত্সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে কোম্পানীর সদস্যগণের একটি সাধারণ সভা আহ্বান করিবেন৷

(২) সভা অনুষ্ঠানের অন্ততঃ একমাস পূর্বে, সভার সময়, স্থান ও উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্টভাবে উলেস্্নখপূর্বক, একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া সভা আহ্বান করিতে হইবে এবং ২৮৯ ধারার (১) উপধারায় নোটিশ প্রকাশের যে পদ্ধতি নির্ধারিত রহিয়াছে সেই পদ্ধতিতে উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিতে হইবে৷

(৩) সভা অনুষ্ঠানের পর এক সপ্তাহের মধ্যে লিকুইডেটর তাহার হিসাব-নিকাশের একটি অনুলিপি ও সভা অনুষ্ঠান ও উহার তারিখ সম্পর্কিত একটি রিটার্ণ রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবেন; এবং তিনি এই উপ-ধারা অনুসারে উক্ত অনুলিপি বা রিটার্ণ দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে, যতদিন উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য, অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, সভার কোরাম না হইলে, লিকুইডেটর উল্লেখিত রিটার্ণের পরিবর্তে এই মর্মে একটি রিটার্ণ দাখিল করিবেন যে, যথাযথ পদ্ধতিতে উক্ত সভা ডাকা হইয়াছিল, কিন্তু সভার কোরাম হয় নাই; এবং এইভাবে রিটার্ণ দাখিল করা হইলে রিটার্ণ তৈরী ও দাখিল সংক্রান্ত এই উপ-ধারার বিধান পালন করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) রেজিষ্ট্রার উক্ত হিসাব-নিকাশের অনুলিপি এবং (৩) উপ-ধারায় উল্লেখিত যে কোন একটি রিটার্ণ পাওয়ার সংগে সংগে সেইগুলি নিবন্ধিত করিবেন এবং রিটার্ণ নিবন্ধনের দিন অতিবাহিত হওয়ার পর কোম্পানী বিলুপ্ত (dissoloved) হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত ইচ্ছা করিলে, লিকুইডেটর অথবা আদালতের বিবেচনায় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, কোম্পানী বিলুপ্তির কার্যকরতার তারিখ আদালতের বিবেচনায় যথাযথ সময় পর্যন্ত বর্ধিত করিয়া আদেশ দিতে পারিবে৷

(৫) যে ব্যক্তির আবেদনক্রমে আদালত (৪) উপ-ধারার অধীনে আদেশ প্রদান করে তাহার কর্তব্য হইবে আদেশ প্রদানের একুশ দিনের মধ্যে উক্ত আদেশের একটি প্রত্যায়িত (certified) অনুলিপি নিবন্ধনের জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করা; এবং ঐ ব্যক্তি এই কর্তব্য পালনে ব্যর্থ পালনে যতদিন পর্যন্ত এই ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য তিনি অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

২৯৭৷ পাওনাদারগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধানসমূহ

২৯৮ হইতে ৩০৫ ধারাসমূহ (উভয় ধারা অন্তর্ভুক্ত) এর বিধানাবলী পাওনাদারগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযোজ্য হইবে৷

২৯৮৷ পাওনাদারগণের সভা

(১) কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির উদ্দেশ্যে প্রস্ত্মাব উত্থাপনের জন্য আহ্বানকৃত সভা যে দিন অনুষ্ঠিত হইবে সেই দিন বা উহার পরের দিন উক্ত প্রস্ত্মাব উত্থাপনের জন্য অনুষ্ঠানের জন্য কোম্পানী উহার পাওনাদারগণের একটি স্বতন্ত্র সভা আহ্বান করিবে এবং কোম্পানীর নিজ সভা আহ্বানের নোটিশ প্রেরণের সময় একই সংগে পাওনাদারগণের উক্ত সভার নোটিশ ডাক মারফত প্রেরণ করিবে৷

(২) কোম্পানী ধারা ২৮৯ এর (১) উপ-ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপনের আকারেও পাওনাদারগণের সভায় নোটিশ প্রচার করিবে৷

(৩) কোম্পানীর পরিচালকগণ –

(ক) পাওনাদারগণের সভায় কোম্পানীর বিষয়াদির অবস্থা সম্পর্কে একটি পূর্ণাংগ বিবরণ এবং পাওনাদারগণের একটি তালিকা ও তাহাদের পাওনার আনুমানিক পরিমাণ পেশ করিবেন; এবং
(খ) তাহাদের মধ্য হইতে একজন পরিচালককে উক্ত সভার সভাপতি নিয়োগ করিবেন৷

(৪) যে পরিচালক পাওনাদারগণের সভার সভাপতি নিযুক্ত হইবেন তাহার কর্তব্য হইবে সেই সভায় উপস্থিত থাকিয়া উহার সভাপতিত্ব করা৷

(৫) স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির প্রস্ত্মাব উত্থাপনের জন্য আহুত কোম্পানীর সভাপতি যদি মূলতবী হইয়া যায় এবং প্রস্ত্মাবটি মূলতবী সভায় গৃহীত হয়, তাহা হইলে (১) উপ-ধারা অনুসারে অনুষ্ঠিত পাওনাদারগণের সভায় গৃহীত কোন প্রস্ত্মাব এইরূপে কার্যকর হইবে যেন উহা কোম্পানী অবলুপ্তির প্রস্ত্মাব গৃহীত হওয়ার অব্যবহিত পরে গৃহীত হইয়াছিল৷

(৬) যদি –

(ক) কোম্পানী কর্তৃক (১) ও (২) উপ-ধারার বিধান পালনে, বা
(খ) কোম্পানীর পরিচালক পরিষদ কর্তৃক (৩) উপ-ধারার বিধান পালনে, বা
(গ) কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট পরিচালক কর্তৃক (৪) উপ-ধারার বিধান পালনে, বরখেলাপ হয়,
তাহা হইলে ক্ষেত্রমত কোম্পানী, পরিচালক পরিষদের প্রত্যেক সদস্য বা সংশ্লিষ্ট পরিচালক অনধিক পাঁচ হাজার টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং কোম্পানীর বরখেলাপের ক্ষেত্রে, কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উহার জন্য দায়ী, তিনিও একই অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

২৯৯৷ লিকুইডেটর নিয়োগ

পাওনাদারগণ এবং কোম্পানীর সদস্যগণ ২৯৮ ধারা বিধান অনুসারে আহুত, তাহাদের নিজ নিজ সভায় কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য এবং উহার পরিসম্পদ বন্টনের জন্য যে কোন ব্যক্তিকে লিকুইডেটর হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবেন, এবং পাওনাদারগণ এবং কোম্পানী ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিকে লিকুইডেটর মনোনীত করিলে পাওনাদারগণ কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিই লিকুইডেটর হইবেন; কিন্তু পাওনাদারগণ কর্তৃক কোন ব্যক্তি মনোনীত না হইলে কোম্পানী কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি লিকুইডেটর হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি মনোনীত হইলে কোম্পানীর যে কোন পাওনাদার, পরিচালক বা সদস্য, পাওনাদারগণের মনোনয়নের সাতদিনের মধ্যে, এইরূপ একটি আদেশদানের জন্য আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন যে, পাওনাদারগণ কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তির পরিবর্তে কোম্পানী কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা উভয় মনোনীত ব্যক্তিকে যৌথভাবে অথবা অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে লিকুইডেটর হিসাবে নিয়োগ করা হউক৷

৩০০৷ পরিদর্শন কমিটি নিয়োগ

পাওনাদারগণ প্রয়োজন মনে করিলে ২৯৮ ধারা অনুসারে অনুষ্ঠিত কিংবা পরবর্তী কোন তারিখে অনুষ্ঠিত তাহাদের সভায় অনধিক পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিদর্শন কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবেন; এবং যদি উক্ত কমিটি নিযুক্ত হয় তবে কোম্পানী উহার যে সভায় স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সেই সভায় অথবা পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত কোন সাধারণ সভায় উক্ত কমিটির সদস্য হিসাবে অনধিক পাঁচজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, পাওনাদারগণ উপযুক্ত মনে করিলে, এই মর্মে প্রস্ত্মাব গ্রহণ করিয়া আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন যে, পরিদর্শন কমিটিতে কোম্পানী কর্তৃক নিযুক্ত যে কোন এক বা একাধিক ব্যক্তির পরিদর্শক-সদস্য হওয়া বা থাকা সমীচীন নয়, এবং সেইরূপ প্রস্ত্মাব গৃহীত হইলে, আদালত ভিন্নরূপ নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত, উক্ত প্রস্ত্মাবে উল্লেখিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ কমিটির সদস্য হিসাবে কাজ করিবার যোগ্য হইবে না; এবং এই বিধান অনুসারে আবেদন পেশ করা হইলে এবং উপযুক্ত বিবেচনা করিলে আদালত প্রস্ত্মাবে উল্লেখিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের পরিবর্তে অন্য ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে কমিটির সদস্য নিয়োগ করিতে পারিবে৷

৩০১৷ লিকুইডেটরের পারিশ্রমিক নির্ধারণ এবং পরিচালকগণের ক্ষমতার অবসান

(১) পরিদর্শন কমিটির সদস্যগণকে কিংবা, উক্ত কমিটি না থাকিলে লিকুইডেটর বা লিকুইডেটরগণকে প্রদেয় পারিশ্রমিক পাওনাদারগণ ধার্য করিতে পারিবেন এবং যেক্ষেত্রে এইরূপ পারিশ্রমিক ধার্য না করা হয় সেক্ষেত্রে আদালত উহা ধার্য করিবে৷

(২) লিকুইডেটর নিয়োগের সংগে সংগে পরিচালকগণের সকল ত্মগমতার অবসান ঘটিবে, তবে পরিদর্শন কমিটি কিংবা, উক্ত কমিটি না থাকিলে, পাওনাদারগণ পরিচালকগণের যে পরিমাণ ত্মগমতা অনুমোদন করিবেন তাহাদের সেই পরিমাণ ত্মগমতা অব্যাহত থাকিবে৷

৩০২৷ লিকুইডেটরের শূন্য পদ পূরণের ক্ষমতা

মৃত্যু, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে কোন লিকুইডেটরের পদ শূন্য হইলে, আদালত কর্তৃক নিযুক্ত লিকুইডেটরের পদ আদালত কর্তৃক এবং অন্যান্যভাবে নিযুক্ত লিকুইডেটরের পদ আদালতের আদেশক্রমে পাওনাদার কর্তৃক উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা হইবে৷

৩০৩৷ পাওনাদারগণের স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে ২৯৪ ধারার প্রয়োগ

সদস্যগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে ২৯৪ ধারার বিধানাবলী যেমন প্রযোজ্য হয় তেমনি পাওনাদারগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে, তবে ব্যতিক্রম এই যে, উক্ত ধারার অধীন লিকুইডেটরের ত্মগমতা আদালতের কিংবা পরিদর্শন কমিটির অনুমোদন ছাড়া প্রয়োগ করা যাইবে না৷

৩০৪৷ বত্সরান্তে কোম্পানী ও পাওনাদারগণের সভ্য আহ্বানে লিকুইডেটরের কর্তব্য

(১) অবলুপ্তির প্রক্রিয়া এক বত্সরের অধিককাল ধরিয়া অব্যাহত থাকিলে লিকুইডেটর উক্ত প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়ার প্রথম বত্সরের শেষে এবং পরবর্তী প্রত্যেক বত্সরের শেষে অথবা প্রত্যেক বত্সর শেষ হওয়ার পর যথাশীঘ্র সম্ভব উপযুক্ত সময়ে কোম্পানীর একটি সাধারণ সভা এবং পাওনাদারগণের একটি সভা আহ্বান করিবেন; এবং তাহার বিগত বত্সরে কার্যাবলী এবং কোম্পানীর অবলুপ্তি পরিচালনা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এবং নির্ধারিত ছকে অবলুপ্তির পরিস্থিতি সম্পর্কিত নির্ধারিত তথ্যাদি সম্বলিত একটি বিবরণী উক্ত সভায় উপস্থাপন করিবেন৷

(২) লিকুইডেটর এই ধারার বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে তিনি অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩০৫৷ চূড়ান্ত সভা ও অবলুপ্তি

(১) কোম্পানীর বিষয়াদির সম্পূর্ণরূপে অবলুপ্ত হওয়ার সংগে সংগে লিকুইডেটর অবলুপ্তি সম্পর্কে একটি বিবরণী প্রস্তুত করিবেন, যাহাতে অবলুপ্তির কাজ কি ভাবে পরিচালনা করা হইয়াছে এবং কোম্পানীর সম্পত্তি কিভাবে বিলি-বণ্টন করা হইয়াছে তাহার বর্ণনা থাকিবে; এবং তত্পর তিনি কোম্পানীর হিসাব-নিকাশ ও তত্সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে কোম্পানীর সদস্যগণের একটি সাধারণ সভা এবং পাওনাদারগণের একটি সভা আহ্বান করিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত প্রতিটি সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে এক মাস পূর্বে সভার তারিখ, স্থান ও উদ্দেশ্য উলেস্্নখপূর্বক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে উক্ত সভা আহ্বান করিতে হইবে, এবং ২৮৯ ধারার (১) উপ-ধারায় নোটিশ প্রকাশের যে পদ্ধতি নির্ধারিত রহিয়াছে সেই পদ্ধতিতে উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিতে হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত সভা অনুষ্ঠানের তারিখের পর হইতে এক সপ্তাহের মধ্যে, অথবা যদি সভাগুলি একই তারিখে অনুষ্ঠিত না হয় তাহা হইলে যে তারিখে পরের সভাটি অনুষ্ঠিত হয় সেই তারিখের পর হইতে এক সপ্তাহের মধ্যে, লিকুইডেটর তাহার হিসাব-নিকাশের একটি অনুলিপি এবং সভা অনুষ্ঠানের এবং উহাদের তারিখ সম্পর্কিত একটি রিটার্ণ রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবেন; এবং এই উপ-ধারা অনুযায়ী উক্ত অনুলিপি অথবা রিটার্ণ দাখিলে বরখেলাপ করা হইলে যতদিন এই বরখেলাপ চলিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য লিকুইডেটর অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ সভায় দুইটির যে কোন একটি সভার কোরাম, যাহার সংখ্যা হইতেছে এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দুইজন ব্যক্তি, না থাকিলে, লিকুইডেটর উক্ত রিটার্ণের পরিবর্তে এই মর্মে একটি রিটার্ণ তৈরী করিবেন যে, উক্ত সভা যথাযথভাবে আহ্বান করা হইয়াছিল, কিন্তু সেই সভায় কোরাম ছিল না, এবং এই রিটার্ণ দাখিল করার পর এই উপ-ধারার অধীনে রিটার্ণ তৈরী ও দাখিল সম্পর্কিত বিধানসমূহ পালন করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) রেজিষ্ট্রার উপরোক্ত হিসাব-নিকাশের অনুলিপি এবং (৩) উপধারার উল্লেখিত যে কোন রিটার্ণ পাওয়ার পর সেইগুলি সংগে সংগে নিবন্ধিত করিবেন এবং নিবন্ধিকৃত হওয়ার পর নব্বই দিন অতিক্রান্ত হইলে কোম্পানী বিলুপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত লিকুইডেটরের আবেদনক্রমে কিংবা আদালতের বিবেচনায় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অথ্য কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে কোম্পানীর বিলুপ্তি কার্যকর হওয়ার তারিখ আদালতের বিবেচনায় যথাযথ সময় পর্যন্ত বর্ধিত করিয়া আদেশ দিতে পারিবে৷

(৫) যে ব্যক্তির আবেদনক্রমে আদালত (৪) উপধারার অধীনে আদেশ প্রদান করে তাহার কর্তব্য হইবে উক্ত আদেশ প্রদানের একুশ দিনের মধ্যে উহার একটি প্রত্যায়িত অনুলিপি নিবন্ধনের জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করা; এবং উক্ত ব্যক্তি এই কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হইলে যতদিন পর্যন্ত ব্যর্থতা চলিতে থাকে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য তিনি অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩০৬৷ যে কোন ধরনের স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সাধারণ বিধানসমূহ

৩০৭ হইতে ৩১৫ (উভয় ধারা অন্তর্ভুক্ত) ধারাসমূহ বিধৃত বিধানাবলী যে কোন স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি, সদস্যগণ কর্তৃক হউক অথবা পাওনাদারগণ কর্তৃক হউক, এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

৩০৭৷ কোম্পানীর সম্পত্তি বিলি-বন্টন

অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিশোধ সংক্রান্ত এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, উহার সকল পরিসম্পদ উহার দায়-দেনা সমঅধিকারী ভিত্তিতে এবং যুগপত্ (pasripasu) পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হইবে; এবং এইরূপ ব্যবস্থাধীনে উক্ত পরিসম্পদ সদস্যদের অধিকার ও স্বার্থ অনুযায়ী তাহাদের মধ্যে বিলিবণ্টন করিতে হইবে, যদি না সংঘবিধিতে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকে৷

৩০৮৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে লিকুইডেটরের ক্ষমতা ও কর্তব্য

(১) লিকুইডেটর –

(ক) সদস্যগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, কোম্পানীর অসাধারণ সিদ্ধান্তবলে অনুমোদনপ্রাপ্ত হইলে, এবং পাওনাদারগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত
অবলুপ্তির ক্ষেত্রে আদালত কিংবা পরিদর্শন কমিটির অনুমোদনপ্রাপ্ত হইলে ২৬২ ধারার (ঘ), (ঙ), (চ) ও (জ) দফায় লিকু্‌ইডেটরকে প্রদত্ত যে কোন ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন; তবে এই দফাবলে প্রদত্ত ত্মগমতার প্রয়োগ আদালতের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে হইবে এবং ঐগুলির যে কোনটির প্রয়োগ বা প্রস্ত্মাবিত প্রয়োগের ব্যাপারে যে কোন পাওনাদার কিংবা প্রদায়ক আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন;
(খ) আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, এই আইনের অন্যান্য বিধান দ্বারা প্রদত্ত ত্মগমতা (ক) দফায় উল্লেখিত অনুমোদন ব্যতিরেকেই প্রয়োগ করিতে পারিবেন;
(গ) এই আইনের অধীনে প্রদায়কগণের তালিকা সাব্যস্ত্ম করার যে ত্মগমতা আদালতের রহিয়াছে তাহা প্রয়োগ করিতে পারিবেন; এবং উক্ত তালিকা, প্রদায়ক হিসাবে যাহাদের নাম উহাতে অন্তর্ভুক্ত থাকে তাহাদের দায়-দেনা সম্পর্কে, প্রাথমিকভাবে (Prima facie) একটি সাত্মগ্য হিসাবে গণ্য হইবে;
(ঘ) শেয়ারমূল্য বা অন্যান্য অর্থ তলবের জন্য আদালতের যে ত্মগমতা রহিয়াছে তাহা প্রয়োগ করিতে পারিবে;
(ঙ) বিশেষ বা অসাধারণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোম্পানীর অনুমোদন লাভের উদ্দেশ্যে কিংবা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত অন্য যে কোন উদ্দেশ্যে কোম্পানীর সাধারণ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন৷

(২) লিকুইডেটর কোম্পানীর দেনাসমূহ পরিশোধ এবং প্রদায়কগণের পারস্পরিক অধিকারের সমন্বয় সাধন করিবেন৷

(৩) একাধিক লিকুইডেটর নিয়োগ করা হইলে এই আইনের অধীনে কোন লিকুইডেটর কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য কোন ত্মগমতা সেই লিকুইডেটর প্রয়োগ করিবেন যাহাকে উক্ত নিয়োগের সময় উক্ত ত্মগমতা প্রয়োগের অধিকার দেওয়া হইয়াছে এবং এইরূপ উক্ত অধিকার নির্ধারণ করা না থাকিলে তাহাদের মধ্যে অন্যুন দুই জন লিকুইডেটর উক্ত ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

৩০৯৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে লিকুইডেটর নিয়োগ ও অপসারণে আদালতের ক্ষমতা

(১) যে কোন কারণেই হউক, কোন লিকুইডেটরই কার্যরত না থাকিলে আদালত লিকুইডেটর নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) আদালত, সংশ্লিষ্ট কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া কোন লিকুইডেটরকে অপসারণ এবং তদস্থলে অন্য একজনকে নিয়োগ করিতে পারিবে; এবং এইরূপ করা হইলে, অবিলম্বে অপসারণ আদেশের একটি অনুলিপি অপসারিত লিকুইডেটরের নিকট প্রেরণ করিবে৷

৩১০৷ লিকুইডেটর কর্তৃক তাহা নিয়োগ সম্পর্কে নোটিশ প্রদান

(১) লিকুইডেটর তাহার নিয়োগ-প্রাপ্তির পর একুশ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে তাহার নিয়োগের একটি নোটিশ নিবন্ধনের জন্য রেজিষ্ট্রারকে প্রদান করিবেন৷

(২) লিকুইডেটর এই ধারার বিধান পালন করিতে ব্যর্থ হইলে যতদিন এই ব্যর্থতা চলিতে থাকে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩১১৷ পাওনাদারগণের উপর সমঝোতার (arrangement) বাধ্যবাধকতা

(১) যে কোম্পানীর অবলুপ্তির আসন্ন কিংবা অবলুপ্তির প্রক্রিয়া চলিতেছে সেই কোম্পানী এবং উহার পাওনাদারগণের মধ্যে কোন বন্দোবস্ত্ম (arrangement) হইলে এবং কোম্পানীর অসাধারণ সিদ্ধান্ত দ্বারা অনুমোদিত হইলে, উক্ত বন্দোবস্ত্ম কোম্পানীর উপর এবং, পাওনার মূল্যের ভিত্তিতে পাওনাদারগণের তিন-চতুর্থাংশ সম্মতি দিলে, সকল পাওনাদারের উপর বাধ্যতামূলক হইবে, তবে উক্ত বন্দোবস্ত্মের বিরম্্নদ্ধে উপ-ধারা (২) অনুসারে আপীল করা যাইবে৷

(২) বন্দোবস্ত্ম হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে কোন পাওনাদার অথবা প্রদায়ক উহার বিরম্্নদ্ধে আদালতে আপীল করিতে পারিবেন, এবং আদালত ন্যায়সংগত মনে করিলে উক্ত বন্দোবস্ত্ম সংশোধন, পরিবর্তন কিংবা অনুমোদন করিতে পারিবে৷

৩১২৷ প্রয়োগকৃত ক্ষমতা সংক্রান্ত প্রশ্নের উপর সিদ্ধান্তের জন্য আদালতে আবেদনের অধিকার

(১) কোন কোম্পানীর যে কোন প্রকারের অবলুপ্তির ক্ষেত্রে অবলুপ্তির প্রক্রিয়া হইতে উদ্ভূত কোন প্রশ্ন শেয়ার মূল্য বা অন্যান্য অর্থ তলব কার্যকরী করা, কোন কার্যধারা স্থগিত করা অথবা অন্য যে কোন বিষয়ে আদালত তত্কর্তৃক কোম্পানী অবলুপ্তির বেলায় যে ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিত সেই ত্মগমতা প্রয়োগ সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন এর উপর সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য লিকুইডেটর বা যে কোন প্রদায়ক বা পাওনাদার আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷

(২) অবলুপ্তির আরম্ভ হওয়ার পর কোম্পানীর কোন সম্পত্তি বা মালপত্রের ব্যাপারে প্রদত্ত আটক, ক্রোক বা ডিক্রি জারী বা অন্য কোন প্রতিকারের আদেশ প্রদত্ত হইলে বা বলবত্ হইতে থাকিলে, উহা রদ করার জন্য লিকুইডেটর কিংবা কোন পাওনাদার বা প্রদায়ক আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷

(৩) যদি উপ-ধারা (২) তে উল্লেখিত আটকাদেশ, ক্রোকাদেশ, ডিক্রি বা অন্যবিধ প্রতিকার –

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত হয় বা বলবত্করণের প্রক্রিয়াধীন থাকে, তবে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন পেশ করিতে হইবে; এবং
(খ) অন্য কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হয় বা তথায় বলবত্করণের প্রক্রিয়াধীন থাকে, তবে অবলুপ্তির এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন আদালতের নিকট আবেদন পেশ করিতে হইবে৷

(৪) আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উত্থাপিত প্রশ্নের নিষ্পত্তি বা অভীষ্ট ত্মগমতার প্রয়োগ বা প্রার্থীত আদেশ ন্যায্য ও কল্যাণকর হইবে, তাহা হইলে আদালত উহার বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তাধীনে উক্ত আবেদন সামগ্রিক বা আংশিকভাবে মঞ্জুর করিতে পারে অথবা উক্ত আবেদনের উপর অন্য যেরূপ আদেশদান ন্যায়সংগত মনে করে সেইরূপ আদেশদান করিতে পারিবে৷

৩১৩৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ব্যয়

অবলুপ্তির ক্ষেত্রে লিকুইডেটরের পারিশ্রমিকসহ যে সকল খরচপত্র, চার্জ ও অন্যান্য ব্যয় সঠিকভাবে পরিশোধের প্রয়োজন হয় তাহা, জামানতধারী (secured) পাওনাদারগণের অধিকার সাপেক্ষে, অন্য সকল দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোম্পানীর পরিসম্পদ হইতে পরিশোধযোগ্য হইবে৷

৩১৪৷ পাওনাদার ও প্রদায়কগণের অধিকার সংরক্ষণ

কোন কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে ঐরূপ অবলুপ্তির পরিবর্তে আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির জন্য কোম্পানীর পাওনাদার বা প্রদায়কগণ আবেদন করিতে পারিবেন এবং আদালত আবেদনটি বিবেচনাক্রমে স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির পরিবর্তে আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির আদেশ দিতে পারিবে; তবে কোন প্রদায়ক এইরূপ আবেদন করিলে আদালতকে অবশ্যই এ মর্মে সন্তুষ্ট হইতে হইবে যে, স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির দ্বারা প্রদায়কগণের অধিকার ত্মগুণ্ন হইবে৷

৩১৫৷ স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির কার্যধারা প্রয়োগে আদালতের ক্ষমতা

কোন কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির পরিবর্তে আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির আদেশ প্রদান করা হইলে এবং আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিলে উক্ত আদেশ বা পরবর্তীতে প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির সকল বা যেকোন কার্যধারাকে আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির কার্যধারার উদ্দেশ্যে প্রয়োগ (adopt) করিতে এবং পরিস্থিতির প্রয়োজনে যে কোন অনুবর্তী বা আনুষংগিক বা অন্য যে কোন আদেশ দিতে পারিবে৷

৩১৬৷ তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির আদেশ প্রদানের ক্ষমতা

কোন কোম্পানী উহার বিশেষ বা অসাধারণ সিদ্ধান্তবলে স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির প্রস্ত্মাব গ্রহণ করিলে আদালত এইরূপ আদেশ দিতে পারিবে যে, অবলুপ্তির প্রক্রিয়া, আদালতের বিবেচনামত ন্যায়সংগত শর্ত যথা : আদালতের তত্ত্বাবধানে কোম্পানীর পাওনাদার, প্রদায়ক ও অন্যান্যদের আদালতে আবেদন করার অধিকার অত্মগুণ্ন থাকার নির্দিষ্ট শর্ত এবং অন্যান্য সাধারণ শর্ত সাপেক্ষে পরিচালিত হইবে৷

৩১৭৷ তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির জন্য আবেদনের ফলাফল

যদি কোন স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির প্রক্রিয়া আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে পরিচালনার আবেদন করা হয়, তবে উক্ত আবেদন কোন মামলার ক্ষেত্রে আদালতকে এখ্‌তিয়ার প্রদানের ব্যাপারে আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির আবেদন বলিয়া গণ্য হইবে৷

৩১৮৷ আদালত কর্তৃক পাওনাদার ও প্রদায়কগণের অভিপ্রায় বিবেচনাপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

কোন কোম্পানী আদালত কর্তৃক অবলুপ্ত হইবে, নাকি আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্ত হইবে ইহা স্থির করা এবং লিকুইডেটর নিয়োগ করা এবং আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তি সংক্রান্ত সকল বিষয় নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আদালত পাওনাদার বা প্রদায়কগণের অভিপ্রায় বিবেচনায় রাখিয়া পর্যাপ্ত সাক্ষে্যর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে৷

৩১৯৷ লিকুইডেটর নিয়োগ ও অপসারণের জন্য আদালতের ক্ষমতা

(১) যে ক্ষেত্রে আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির জন্য কোন আদেশ প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে একই আদেশ দ্বারা কিংবা পরিবর্তীতে প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা অতিরিক্ত লিকুইডেটরও নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) কোম্পানী কর্তৃক নিযুক্ত হইলে একজন লিকুইডেটরের যে দায়-দায়িত্ব এবং যে ত্মগমতা বা মর্যাদা থাকিত এই ধারার অধীনে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত লিকুইডেটরেরও সেই একই ত্মগমতা, দায়-দায়িত্ব এবং মর্যাদা থাকিবে৷

(৩) আদালত কর্তৃক এই ধারার অধীনে নিযুক্ত যে কোন লিকুইডেটরকে কিংবা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তি-আদেশবলে দায়িত্বে নিয়োজিত রহিয়াছেন এমন কোন লিকুইডেটরকে আদালত তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে এবং অপসারণ, মৃত্যু, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে তাহার পদে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণ করিতে পারিবে৷

৩২০৷ তত্ত্বাবধান আদেশের ফলাফল

(১) যে ক্ষেত্রে আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির জন্য আদেশ দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে, লিকুইডেটর আদালত কর্তৃক আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে, তাহার সকল ত্মগমতা আদালতের অনুমোদন অথবা হস্ত্মক্ষেপ ব্যতিরেকেই এইরূপে প্রয়োগ করিতে পারিবেন যেন সর্বতোভাবে কোম্পানীটির স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি হইতেছে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত এবং ২৭৯ ধারার উদ্দেশ্য ব্যতীত, আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে কোম্পানী অবলুপ্তির আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত আদেশ, কোন মামলা স্থগিতকরণসহ সকল ব্যাপারে, আদালত কর্তৃক কোম্পানী অবলুপ্তির আদেশ বলিয়া গণ্য হইবে; এবং আদেশটি যদি আদালত কর্র্তৃক কোম্পানী অবলুপ্তির আদেশ হইত তাহা হইলে শেয়ার-মূল্য বা অন্য কোন অর্থ তলব করা অথবা লিকুইডেটরের যে কোন তলব কার্যকর করা এবং অন্যান্য ব্যাপারে আদালত যে ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিত, প্রথমোক্ত অবলুপ্তির ক্ষেত্রেও সেইরূপ পূর্ণ কর্তৃত্ব আদালতের থাকিবে৷

(৩) যে সকল বিধানবলে সরকারী লিকুইডেটরের প্রতি বা তাহার অনুকূলে কোন কার্য বা বিষয় সম্পাদন করার নির্দেশদানের ব্যাপারে আদালত ত্মগমতাবান, সে সকল বিধানে “সরকারী লিকুইডেটর” অভিব্যক্তিটি দ্বারা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তি পরিচালনাকারী লিকুইডেটরকেই বুঝানো হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

৩২১৷ তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তি পরিচালনাকারী লিকুইডেটরকে সরকারী লিকুইডেটর পদে নিয়োগ

আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশ প্রদানের পরবর্তীতে আদালত যদি উক্ত কোম্পানীর অবলুপ্তি আদালত কর্তৃক হওয়ার আদেশ প্রদান করে, তবে আদালত দ্বিতীয়য়োক্ত আদেশ কিংবা তত্পরবর্তী কোন আদেশ দ্বারা, প্রথমোক্ত অবলুপ্তির জন্য নিযুক্ত লিকুইডেটরকে কিংবা একাধিক লিকুইডেটর থাকিলে তাহাদের যে কোন একজনকে অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এবং অন্য কোন অতিরিক্ত ব্যক্তির সংগে বা এইরূপ অতিরিক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে সরকারী লিকুইডেটর পদে নিয়োগ করিতে পারিবে৷

৩২২৷ অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর হস্ত্মান্তর ইত্যাদি পরিহার

(১) স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে লিকুইডেটরের অনুকূলে বা তাহার অনুমোদনসহ কৃত যে কোন শেয়ার হস্ত্মান্তর ব্যতীত অন্য যে কোন শেয়ার হস্ত্মান্তর এবং অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর কোম্পানীর সদস্যগণের মর্যাদার যে কোন পরিবর্তন ফলবিহীন হইবে৷

(২) আদালত কর্তৃক কিংবা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, আদালত ভিন্নরূপ আদেশ প্রদান না করিলে, আদায়যোগ্য দাবীসহ কোম্পানীর সম্পত্তির সব ধরণের হস্ত্মান্তর এবং অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর কৃত প্রত্যেক শেয়ার হস্ত্মান্তর অথবা কোম্পানীর সদস্যদের মর্যাদার পরিবর্তন, ফলবিহীন গণ্য হইবে৷

৩২৩৷ সকল প্রকার দেনা প্রমাণ সাপেক্ষে

দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এই আইনের অথবা দেউলিয়াত্ব সংক্রান্ত আইনের বিধানাবলীর প্রয়োগ সাপেক্ষে, প্রত্যেক অবলুপ্তির কার্যক্রমে ঘটনাপেত্মগ ভিত্তিতে পরিশোধযোগ্য সকল দেনা এবং কোম্পানীর নিকট দাবীকৃত সকল পাওনা, যাহা বর্তমান বা ভবিষ্যত বা ঘটনাপেত্মগ যে কোন প্রকারের হইতে পারে তাহা, কোম্পানীর বিরম্্নদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে গ্রাহ্য হইবে, তবে যতদূর সম্ভব এইরূপ দাবী বা দেনার মূল্যমান আনুমানিক ও ন্যায়সংগত ভিত্তিতে নির্ধারণ করিতে হইবে৷

৩২৪৷ দেউলিয়া কোম্পানীসমূহের অবলুপ্তির ক্ষেত্রে দেউলিয়াত্ব সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ

দেউলিয়ারূপে ঘোষিত কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, জামানতধারী ও জামানতবিহীন পাওনাদারের স্ব স্ব অধিকার, প্রমাণ সাপেক্ষে ঋণ, এ্যানুয়িটি, ভবিষ্যত এবং ঘটনাপেত্মগ দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সেই একই বিধান প্রযোজ্য হইবে যাহা দেউলিয়া ঘোষিত কোন ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষেত্রে আপাততঃ বলবত্ দেউলিয়া সংক্রান্ত কোন আইনের বিধান অনুসারে প্রযোজ্য হয়, এবং যে সমস্ত্ম ব্যক্তি এই রকম কোন ক্ষেত্রে ঐগুলি প্রমাণ করার এবং কোম্পানীর সম্পত্তি হইতে লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকারী তাহারা অবলুপ্তি-আদেশের আওতায় পড়িবেন এবং তাহারা যেরূপে এই ধারায় উল্লেখিত বিধানের অধীনে স্ব স্ব দাবী উত্থাপন করার অধিকারী কোম্পানীর বিরম্্নদ্ধেও সেইরূপ দাবী করিতে পারেন৷

৩২৫৷ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিশোধ

(১) কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য ঋণের তুলনায় নিম্নবর্ণিত দেনাগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিশোধ করিতে হইবে, যথা :

(ক) সরকার কিংবা স্থায়ীয় কর্তৃপক্ষের পাওনা সকল রাজস্ব, ট্যাক্স, সেস ও রেট, যাহা উপ-ধারা (৫) এ উল্লেখিত তারিখে অতঃপর এই উপ-ধারায় উক্ত তারিখ বলিয়া উল্লেখিত, কোম্পানীর নিকট পাওনা হইয়াছে, এবং উক্ত তারিখের পূর্ব হইতে বার মাসের মধ্যে কোম্পানী কর্তৃক প্রদেয় হইয়াছে৷
(খ) উক্ত তারিখের পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে কোম্পানীর করণিক এবং অন্যান্য কর্মচারীদের (servants) চাকুরী বা প্রদত্ত সেবা বাবদ প্রদেয় মজুরী বা বেতন, তবে প্রত্যেকের জন্য অনধিক এক হাজার টাকা৷
(গ) উক্ত তারিখের পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন যে সকল কার্য বা সেবার মজুরী সময়ভিত্তিক বা কার্যভিত্তিক হারে প্রদেয় সে সকল কার্যসম্পন্নকারী বা সেবাপ্রদানকারী শ্রমিক বা কারিগরের মজুরী, তবে প্রত্যেকের জন্য অনধিক পাঁচ শত টাকা;
(ঘ) কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীর মৃত্যু কিংবা অত্মগমতার ক্ষেত্রে, Workmen’s Compensation Act, 1923 (VIII of 1923) অনুসারে প্রদেয় ত্মগতিপূরণ৷
(ঙ) ভবিষ্য-তহবিল, অবসরভাতা তহবিল, গ্র্যাচুইটি তহবিল বা কোম্পানী কর্তৃক রত্মিগত অন্য যে কোন কল্যাণ তহবিল হইতে কর্মচারীগণকে প্রদেয় সকল অর্থ;
(চ) ১৯৫ ধারার (গ) দফার অধীনে অনুষ্ঠিত কোন তদন্ত বাবদ ব্যয়৷

(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত দেনাগুলি –

(ক) একটি অপরটির সমপর্যায়ের হইবে এবং সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে হইবে এবং যদি ঐ সব দেনা মিটাইতে কোম্পানীর পরিসম্পদ পর্যাপ্ত না হয়, তাহা হইলে ঐগুলি সমানুপাতিক হারে মওকুফ (abate) হইবে;
(খ) যদি সাধারণ পাওনাদারের দাবী মিটানোর জন্য কোম্পানীর প্রাপ্ত পরিসম্পদ অপর্যাপ্ত হয়, তবে তাহাদের দাবী কোম্পানী কর্তৃক সৃষ্ট কোন প্রবাহমান চার্জের অধীন ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকার পাইবে এবং তদনুযায়ী তাহাদের পাওনা উক্ত চার্জ যুক্ত সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷

(৩) কোম্পানীর অবলুপ্তির ব্যয় ও অন্যান্য খরচপত্র নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাখিয়া উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত দেনা পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত পরিসম্পদ থাকিলে সেইগুলি অবিলম্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷

(৪) অবলুপ্তির আদেশ দানের তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে কোন ব্যক্তি কোম্পানীর কোন মাল বা দ্রব্যাদি ক্রোক (distrain) করিলে বা করাইলে এই ধারার অধীনে যে সব দেনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইয়াছে, সেই সমস্ত্ম দেনা উপরোক্ত ক্রোককৃত মাল বা দ্রব্যাদি কিংবা উহার বিক্রয়লব্ধ অর্থের উপর প্রথম চার্জ হিসাবে গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ চার্জের অধীনে প্রদেয় অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে যাহাকে এই অর্থ প্রদান করা হইবে তাহার এবং উপরোক্ত ক্রোককারী ব্যক্তি সমান অধিকারী হইবেন৷

(৫) উপ-ধারা (১) (ক) তে উল্লেখিত তারিখ অর্থ নিম্নবর্ণিত তারিখ, যথা :-

(ক) অবলুপ্তির আদেশ প্রদান সত্ত্বেও যে কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি আরম্ভ না হওয়ার কারণে উহার বাধ্যতামূলক অবলুপ্তির আদেশ দেওয়া হইয়াছে, সেই কোম্পানীর ক্ষেত্রে, অবলুপ্তির প্রথম আদেশ দানের তারিখ; এবং
(খ) অন্যসকল ক্ষেত্রে অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার তারিখ৷

৩২৬৷ কতিপয় সম্পদের দাবী পরিত্যাগ

(১) অবলুপ্তির কার্যক্রম চলিতেছে এমন কোন কোম্পানীর সম্পদের কোন অংশের মধ্যে যদি দূর্বহ চুক্তির (onerous covenants) ফলে ভারাক্রান্ত যে কোন ধরনের জমি অথবা অন্য কোম্পানীর কোন শেয়ার বা ষ্টক অথবা কোন অলাভজনক চুক্তি থাকে, অথবা যদি অন্য এইরূপ সম্পত্তি থাকে যাহার ব্যাপারে উহার দখলদারের সহিত কোন চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এমন কোন দূর্বহ কাজ করিতে হইবে অথবা এমন অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে, যে কারণে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়যোগ্য নহে কিংবা সহজে বিক্রয়যোগ্য নহে, তাহা হইলে কোম্পানীর লিকুইডেটর উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করার চেষ্টা অথবা নিজ দখলে আনিয়া উহার মালিক হিসাবে কোন কার্য করিয়া থাকিলেও তিনি, আদালতের অনুমতি লইয়া এবং এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর বার মাস কিংবা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, নিজ স্বাত্মগরে লিখিতভাবে উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, অবলুপ্তি আরম্ভ হইবার এক মাসের মধ্যে ঐরূপ কোন সম্পত্তি সম্পর্কে লিকুইডেটর জ্ঞাত না হইলে, তিনি ঐ সম্পত্তি সন্বন্ধে জ্ঞাত হইবার বার মাস অথবা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে এই ধারার অধীনে উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগের ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

(২) এই ধারা অধীনে কোন সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ সেই তারিখ হইতে কার্যকর হইবে যে তারিখে কোম্পানীর অধিকার, স্বার্থ, দায়-দেনা বা অন্য সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করা হইয়াছে; কিন্তু উক্ত পরিত্যাগ, কোম্পানীকে বা কোম্পানীর সম্পত্তিকে দায়মুক্ত করার জন্য যতটুকু প্রযোজ্য ততটুকু ব্যতীত, পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে অন্য কোন ব্যক্তির অধিকার বা দায়-দেনা ত্মগুণ্ন করিবে না৷

(৩) আদালত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করিবার অনুমতি দানকালে বা উহার পূর্বে উক্ত সম্পত্তিতে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে এইরূপ নোটিশ দিবার নির্দেশ দিতে পারে এবং সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগের অনুমতিদানের ব্যাপারে এইরূপ শর্ত আরোপ করিতে এবং এইরূপ অন্য কোন আদেশ প্রদান করিতে পারে, যাহা আদালত ন্যায়সংগত বলিয়া মনে করে৷

(৪) যদি কোন সম্পত্তিতে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লিকুইডেটরের নিকট আবেদন করেন যে, উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করা হইবে কি না তাহা স্থির করা হউক এবং যদি আবেদন প্রাপ্তির ত্রিশ দিন বা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে লিকুইডেটর আবেদনকারীকে এই মর্মে নোটিশ না দেন যে, তিনি সম্পত্তিটির দাবী পরিত্যাগের জন্য আদালতে আবেদন করিবেন, তাহা হইলে লিকুইডেটর এই ধারার অধীনে উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করিতে পারিবেন না; এবং কোন চুক্তির ক্ষেত্রে লিকুইডেটর যদি এইরূপ আবেদন দাখিলের পর উপরোলিস্্নখিত সময়ের মধ্যে বা বর্ধিত সময়ের মধ্যে চুক্তিটির ব্যাপারে দাবী পরিত্যাগ না করেন, তবে কোম্পানী তাহা গ্রহণ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) যদি কোন ব্যক্তি কোম্পানীর সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তির সূত্রে লিকুইডেটরের নিকট হইতে কোন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হন বা উক্ত চুক্তি অনুযায়ী লিকুইডেটরের প্রতি তাহার কোন দায়-দায়িত্ব থাকে, তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে চুক্তিটি এই শর্তে বাতিলের আদেশ দিতে পারিবে যে, সংশ্লিষ্ট যে কোন পত্মগ কর্তৃক চুক্তি পালন না করায় ত্মগতিপূরণ দিতে বা লইতে হইবে অথবা আদালত যথাযথ মনে করিলে অন্য কোন আদেশও দিতে পারিবে; এবং আদালতের উক্ত আদেশবলে এইরূপ ব্যক্তিকে প্রদেয় কোন ত্মগতিপূরণ কোম্পানীর অবলুপ্তির সময় উহার ঋণ হিসাবে প্রমাণে ব্যবহার করা যাইবে৷

(৬) যদি কোন ব্যক্তি এমন আবেদন করেন যে, দাবী পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ আছে কিংবা উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে তিনি এইরূপ দায়গ্রস্ত্ম আছেন যাহা এই আইনের অধীনে নিষ্পত্তি হয় নাই, তাহা হইলে আদালত তাহার এবং প্রয়োজন মনে করিলে অন্যান্য ব্যক্তির শুনানী গ্রহণ শেষে উক্ত সম্পত্তির মালিকানা বা দখল পাইবার অধিকারী ব্যক্তির মালিকানায় বা দখলে উহা ন্যস্ত্ম করার আদেশ দিতে পারে কিংবা উপরোক্ত দাবী বাবদ ত্মগতিপূরণ হিসাবে যাহার নিকট ন্যস্ত করা ন্যায়সংগত বিবেচিত হয় তাহার নিকট কিংবা তাহার ট্রাষ্টির নিকট উক্ত সম্পত্তি আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে, হস্ত্মান্তর বা ন্যস্ত্ম করার আদেশ দিতে পারে; এবং উক্তরূপে কোন সম্পত্তি ন্যস্ত্মকরণের আদেশ প্রদত্ত হইলে কোন হস্ত্মান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের দলিল ব্যতিরেকেই আদেশে বর্ণিত সম্পত্তি উক্ত ব্যক্তির নিকট ন্যস্ত্ম হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, দাবী পরিত্যক্ত সম্পত্তি যদি ইজারাধীন সম্পত্তি হয়, তবে আদালত, কোম্পানীর অধীনে উপ-ইজারা স্বত্ববলে (Under lessee) বা বন্ধকী স্বত্ববলে দাবীদার কোন ব্যক্তির অনুকূলে উক্ত সম্পত্তি ন্যস্ত্ম হওয়ার আদেশদান করিবে না, যদি না নিম্নরূপ শর্ত আরোপ করা হয়, যথা :-

(ক) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার তারিখে উক্ত সম্পত্তির ইজারা বা বন্ধকের ব্যাপারে কোম্পানীর যে সকল দায়-দায়িত্ব ছিল উক্ত ব্যক্তিরও সেই সকল দায়-দায়িত্ব থাকিবে; অথবা
(খ) আদালত যদি উপযুক্ত মনে করে তবে, উক্ত তারিখে উক্ত ইজারা সম্পর্কে কোম্পানীর যে সকল দায়-দায়িত্ব ছিল সেই একই দায়-দায়িত্ব সাপেক্ষে ইজারা উক্ত ব্যক্তির নিকট সেই তারিখেই হস্ত্মান্তর করা হইয়াছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উপরোক্ত যে কোন শর্ত আরোপের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তবে এমনও গণ্য করা যাইবে যে, ইজারাটি শুধুমাত্র ন্যস্ত্মকারী আদেশে উল্লেখিত সম্পত্তি সম্বলিত; এবং কোন উপ-ইজারাদার বা বন্ধকগ্রহীতা উপরোক্ত শর্তে উক্ত আদেশ গ্রহণে অসম্মত হইলে, তিনি উক্ত সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ বা সংশ্লিষ্ট জামানত সম্পর্কিত সকল অধিকার হারাইবেন; এবং যদি উপরোক্ত শর্ত সম্বলিত আদেশ গ্রহণ করিতে কোম্পানীর অধীনে দাবীদার ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি না পাওয়া যায় তাহা হইলে আদালত অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে বা অন্য কাহারও প্রতিনিধি হিসাবে উক্ত সম্পত্তিতে কোম্পানীর সকল স্বার্থ ন্যস্ত্ম করিতে পারিবে; এবং তাহা করা হইলে উক্ত সম্পত্তির উপর কোম্পানী কর্তৃক সৃষ্ট দায়-দায়িত্ব, স্বার্থ ও ঋণ হইতে মুক্ত অবস্থায় তিনি এককভাবে বা ক্ষেত্রমত কোম্পানীর সহিত যৌথভাবে ইজারার মূল চুক্তি পালন করিবেন৷

(৭) এই ধারার অধীনে দাবী পরিত্যাগ কার্যকর হওয়ার ফলে কোন ব্যক্তির স্বার্থ ত্মগুণ্ন হইলে, তিনি ত্মগুণ্ন হওয়া স্বার্থের সমপরিমাণ অর্থের জন্য কোম্পানীর পাওনাদার বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তদনুযায়ী উক্ত অর্থ অবলুপ্তির সংক্রান্ত একটি পাওনা হিসাবে প্রমাণ করিতে পারিবেন৷

৩২৭৷ প্রতারণামূলক অগ্রাধিকার

(১) যে কোন হস্ত্মান্তর, মালামাল সরবরাহ, অর্থ প্রদান, ডিক্রিজারী, অথবা সম্পত্তি সম্পর্কিত অন্য এমন কাজ, যাহা কোন ব্যক্তির দ্বারা বা তাহার বিপক্ষে সম্পাদিত বা কৃত হইলে তাহার দেউলিয়াপনা অবস্থায় প্রতারণামূলক অগ্রাধিকার বলিয়া গণ্য হইত তাহা যদি কোন কোম্পানী কর্তৃক বা উহার বিপক্ষে কৃত বা সম্পাদিত হয়, তাহা হইলে উহা কোম্পানীর অবলুপ্তিকালে উহার পাওনাদারগণের প্রতারণামূলক অগ্রাধিকার বলিয়া গণ্য হইবে এবং সে কারণে উহা অবৈধ হইবে৷

(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আদালত কর্তৃক বা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির জন্য আবেদন পেশ করা হইলে এবং স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে সেই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে, উক্ত আবেদন পেশ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকে কোন একক ব্যক্তির দেউলিয়াপনার কাজ বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷

(৩) পাওনাদারগণের সুবিধার জন্য কোন কোম্পানী উহার সকল সম্পত্তি ট্রাষ্টিগণের নিকট কোন প্রকারে হস্ত্মান্তর বা ন্যস্ত্ম করিলে তাহা ফলবিহীন (void) হইবে৷

৩২৮৷ কতিপয় ক্ষেত্রে ক্রোক, ডিক্রিজারী ইত্যাদি পরিহার

(১) আদালত কর্তৃক বা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে কোন কোম্পানীর অবলুপ্তি হইতেছে এইরূপ ক্ষেত্রে, অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর আদালতের অনুমতি ব্যতীত কোম্পানীর কোন সম্পত্তি বা মালামাল ক্রোক, আটক (distress) বা ডিক্রিজারী কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা আদালতের অনুমতি ব্যতীত ঐগুলি বিক্রয় করা হইলে তাহা ফলবিহীন হইবে৷

(২) এই ধারার কোন কিছুই সরকার কর্তৃক গৃহীত কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

৩২৯৷ অবলুপ্তি আরম্ভের পর সৃষ্ট চার্জের পরিমাণ

কোন কোম্পানীর অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে উহার গৃহীত উদ্যোগ কিংবা সম্পত্তির উপর কোন প্রবাহমান চার্জ সৃষ্টি করা হইলে, যদি ইহা প্রমাণিত না হয় যে চার্জ সৃষ্টির অব্যবহিত পর কোম্পানীর অবস্থা স্বচ্ছল ছিল, তাহা হইলে উক্ত চার্জ অবৈধ হইবে, তবে চার্জ সৃষ্টির সময় অথবা উহা সৃষ্টির পর চার্জের বিনিময়ে কোম্পানীকে কোন নগদ অর্থ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে সেই পরিমাণ অর্থ এবং সেই অর্থের উপর অনধিক বার্ষিক শতকরা পাঁচ টাকা হারে প্রদত্ত সুদ অবৈধ হইবে না৷

৩৩০৷ অবলুপ্তির সাধারণ পরিকল্পনা অনুমোদন

(১) আদালত কর্তৃক কিংবা আদালতের তত্ত্বাবধানে অবলুপ্তির ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি লইয়া, এবং স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে কোম্পানীর অসাধারণ সিদ্ধান্তবলে, লিকুইডেটর নিম্নলিখিত যে কোন অথবা সকল কাজ করিতে পারিবেন –

(ক) যে কোন শ্রেণীর পাওনাদারগণের পাওনা সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ;
(খ) পাওনাদারগণ বা পাওনাদার হিসাবে দাবীদারগণ অথবা অন্যান্য ব্যক্তিগণ যাহারা নিজেদেরকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যে, তাহাদের বর্তমান বা ভবিষ্যত দাবীর ফলে কোম্পানী দায়ী হইতে পারে, তাহাদের সহিত তাহাদের পাওনা বা দাবীর ব্যাপারে আপোষরফা বা কোন বন্দোবস্ত্ম করা;
(গ) শেয়ারমূল্য বা অন্যবিধ সকল অর্থ তলব, তলবের দেয়দেনা ঋণ ও ঋণে পরিণত হইতে পারে এমন দায়দেনা এবং একদিকে কোম্পানী ও অন্যদিকে কোন প্রদায়ক বা কথিত (alleged) প্রদায়ক বা কোন দেনাদার বা অন্য এমন ব্যক্তি যিনি কোম্পানীর নিকট দেনাদার আছেন বলিয়া আংশকা করা হয়, এই দুইপক্ষের মধ্যে বর্তমান বা ভবিষ্যত, নিশ্চিত বা সম্ভাব্য, এখন আছে বা ভবিষ্যতে হইবে বলিয়া ধারণা করা হয় এইরূপ সকল দাবী দাওয়া এবং কোম্পানীর পরিসম্পদ অথবা কোম্পানীর অবলুপ্তির ব্যাপারে যে কোনভাবে সম্পৃক্ত সকল প্রশ্ন পরস্পর সম্মত শর্তাধীনে আপোষরফাকরণ এবং এইরূপ কোন শেয়ার মূল্য বা অন্যবিধ অর্থ তলব, ঋণ, দায়-দেনা অথবা দাবী অবমুক্ত করার জন্য যে কোন জামানত গ্রহণ এবং ঐগুলি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তিকরণ৷

(২) এই ধারায় বর্ণিত লিকুইডেটরের ত্মগমতাসমূহের প্রয়োগ আদালতের নিয়ন্ত্রণ সাপেত্মগ হইবে এবং এই সকল ত্মগমতার মধ্যে যে কোনটির প্রয়োগ বা প্রস্ত্মাবিত প্রয়োগের ব্যাপারে যে কোন পাওনাদার অথবা প্রদায়ক আদালতে আবেদন পেশ করিতে পারিবেন৷

৩৩১৷ কতিপয় অপকর্মের ব্যাপারে পরিচালক ইত্যাদির বিরম্্নদ্ধে আদালত কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা

(১) যে ক্ষেত্রে কোম্পানীর অবলুপ্তি প্রক্রিয়া চলাকালে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানী গঠন বা উহার গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি, অথবা প্রাক্তন বা বর্তমান কোন পরিচালক, ম্যানেজার অথবা লিকুইডেটর, কিংবা কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা কোম্পানীর কোন অর্থ বা সম্পত্তি অপপ্রয়োগ করিয়াছেন বা অননুমোদিতভাবে নিজের দখলে রাখিয়াছেন বা ঐ সবের ব্যাপারে দায়ী বা জবাবদিহিযোগ্য হইয়াছেন, অথবা কোম্পানীর ব্যাপারে বৈধ কাজ অবৈধভাবে সম্পাদন বা বিশ্বাস ভংগের জন্য দোষী হইয়াছেন, তাহা হইলে অবলুপ্তির জন্য লিকুইডেটরের প্রথম নিযুক্তির তারিখ হইতে তিন বত্সরের মধ্যে, অথবা ক্ষেত্রমত উক্ত অপপ্রয়োগ, নিজদখলে রাখা, বৈধকাজ অবৈধভাবে সম্পাদন বা বিশ্বাস ভংগের সময় হইতে তিন বত্সরের মধ্যে, এই দুইয়ের মধ্যে যাহা দীর্ঘতর হয় সেই সময়ের মধ্যে, লিকুইডেটর বা কোন পাওনাদার বা প্রদায়কের আবেদনক্রমে আদালত উক্ত উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, লিকুইডেটর অথবা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিষয়টি পরীত্মগা করিয়া কোম্পানীর অর্থ বা সম্পত্তি কিংবা উহার কোন অংশ ফেরত্ দিতে এবং উহার উপর আদালতের মতে ন্যায়সংগত হারে সুদ পরিশোধ করিতে অথবা অনুরূপ অপপ্রয়োগ, নিজ দখলে রাখা, বৈধকাজ অবৈধভাবে সম্পাদন বা বিশ্বাস ভংগের দরূণ ত্মগতিপূরণ হিসাবে আদালতের মত ন্যায়সংগত অর্থ কোম্পানীর পরিসম্পদে প্রদান করিতে বাধ্য করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন অপকর্মের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত করা যাইবে এই কারণে এই ধারার প্রয়োগ ব্যহত হইবে না৷

৩৩২৷ কাগজপত্র বিনষ্টকরণ ইত্যাদির দণ্ড

অবলুপ্ত হইতেছে এমন কোন কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজার, কর্মকর্তা অথবা প্রদায়ক যদি কোন ব্যক্তিকে প্রতারণা বা বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে কোম্পানীর কোন বহি বা অন্য যে কোন কাগজপত্র বিনষ্ট, বিকৃত, পরিবর্তন অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন বা জাল করেন কিংবা কোম্পানীর কোন বহি, হিসাব-বহি বা অন্য বহিতে বা দলিলে মিথ্যা বা প্রতারণামূলকভাবে কোন কিছু লিপিবদ্ধ করেন বা করার কাজে জড়িত থাকেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত দণ্ডস্বরূপ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩৩৩৷ অপরাধী পরিচালক ইত্যাদিকে ফৌজদারীতে সোপর্দ করা

(১) আদালত কর্তৃক কিংবা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে কোন কোম্পানীর অবলুপ্তির চলাকালে আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানীর কোন সাবেক বা বর্তমান পরিচালক, ম্যানেজার কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা অথবা কোন সদস্য কোম্পানী সংক্রান্ত বিষয়ে অপরাধ করার জন্য ফৌজদারী আইন অনুসারে শাস্ত্মি পাইবার যোগ্য, তবে আদালত, নিজ উদ্যোগে বা অবলুপ্তির ব্যাপারে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, উক্ত অপরাধীকে যাহাতে লিকু্‌ইডেটর নিজে ফৌজদারীতে সোপর্দ করেন অথবা বিষয়টি রেজিষ্ট্রারকে অবহিত করেন তজ্জন্য, লিকুইডেটরকে নির্দেশ দিতে পারে৷

(২) কোন কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তিকালে লিকুইডেটরের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানীর কোন সাবেক অথবা বর্তমান পরিচালক, ম্যানেজার বা অন্য কোন কর্মকর্তা কিংবা কোন সদস্য কোম্পানী সংক্রান্ত বিষয়ে অপরাধ করার জন্য ফৌজদারী আইন অনুসারে শাস্ত্মি পাইবার যোগ্য, তাহা হইলে লিকুইডেটর বিষয়টি অবিলম্বে রেজিষ্ট্রারকে অবহিত করিবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট যে সকল দলিলপত্র ও অন্যান্য তথ্য লিকুইডেটরের দখলে অথবা নিয়ন্ত্রণাধীনে আছে রেজিষ্ট্রার কর্তৃক সেগুলি পরিদর্শন ও পরীত্মগার সুবিধাসহ তাহার প্রয়োজনানুসারে তাহাকে ঐ সবের নকল লিকুইডেটর সরবরাহ করিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (২) অনুসারে রেজিষ্ট্রারের নিকট কোন প্রতিবেদন পাওয়ার পর যদি তিনি উপযুক্ত মনে করেন, তাহা হইলে অধিকতর তদন্ত করিবার জন্য বিষয়টি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন, এবং সেক্ষেত্রে সরকার বিষয়টির উপর অধিকতর তদন্ত করিবেন এবং, তত্পর যথাযথ বিবেচনা করিলে, সরকার আদালতের নিকট এই মর্মে আবেদন করিতে পারিবে যে, আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, কোম্পানীর বিষয়াদি তদন্ত করার জন্য এই আইনে কোন ব্যক্তিকে যে সকল ত্মগমতা প্রদানের বিধান রহিয়াছে সেই সকল ত্মগমতা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিকে অর্পণের আদেশ দেওয়া হউক৷

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনে প্রতিবেদন পাওয়ার পর রেজিষ্ট্রারের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি এমন কোন বিষয় নয় যে উহার সম্পর্কে তাহার কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত, তবে তিনি উহা লিকুইডেটরকে জানাইবেন এবং অতঃপর, আদালতের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে, লিকুইডেটর নিজেই অপরাধীর বিরম্্নদ্ধে প্রয়োজনীয় কার্যধারা সূচনা করিতে পারিবেন৷

(৫) কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তিকালে আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে কোম্পানীর কোন সাবেক কিংবা বর্তমান পরিচালক, ম্যানেজার বা অন্য কোন কর্তকর্তা অথচ কোন সদস্য কোম্পানী সংক্রান্ত কোন বিষয়ে, ফৌজদারী আইন অনুসারে শাস্ত্মিযোগ্য অপরাধের জন্য দায়ী অথবা লিকুইডেটর বিষয়টি সম্পর্কে রেজিষ্ট্রারের নিকট কোন প্রতিবেদন পেশ করেন নাই, তাহা হইলে আদালত, নিজ উদ্যোগে কিংবা অবলুপ্তির ব্যাপারে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, বিষয়টির উপর একটি প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য লিকুইডেটরকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পাইলে এবং প্রতিবেদনটি প্রণয়নের পর তত্সম্পর্কে লিকুইডেটর (২) উপ-ধারা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন৷

(৬) যেক্ষেত্রে এই ধারার বিধান অনুযায়ী রেজিষ্ট্রারের নিকট কোন বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করা হয়, কিংবা বিষয়টি তাহার নিকট প্রেরণ করা হয়, সেক্ষেত্রে যদি তিনি বিষয়টি বিবেচনান্তে এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে তত্সম্পর্কে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা দরকার, তাহা হইলে তিনি এতদ্‌বিষয়ে পরামর্শ চাহিয়া সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র এটর্নি জেনারেল বা ক্ষেত্রমত পাবলিক প্রসিকিউটরের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হইলে, মামলা দায়ের করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, রেজিষ্ট্রারের নিকট প্রথমে একটি লিখিত বক্তব্য পেশ করার এবং উহার উপর শুনানীর জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করিয়া তাহার বিরম্্নদ্ধে কোন ফৌজদারী মামলা দায়ের করা যাইবে না৷

(৭) Evidence Act, 1872 (I of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুন না কেন, এই ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হইলে, লিকুইডেটর ও কোম্পানীর সাবেক বা বর্তমান প্রত্যেক কর্মকর্তা প্রতিনিধি, তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত, এর কর্তব্য হইবে মামলার ব্যাপারে যুক্তিসংগতভাবে যতটুকু সহায়তা করা তাহাদের পক্ষে সম্ভব ততটুকু সহায়তা প্রদান করা; এবং এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোম্পানীর যে কোন ব্যাংকার বা আইন উপদেষ্টা এবং কোম্পানী কর্তৃক নিরীত্মগক পদে নিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি, তাহারা কোম্পানীর কর্মকর্তা হউন বা না হউন, এই সকল ব্যক্তিই “প্রতিনিধি” শব্দটির অর্থে অন্তর্ভুক্ত হইবেন৷

(৮) কোন ব্যক্তি (৭) উপ-ধারার বিধান অনুসারে সহায়তা করিতে ব্যর্থ হইলে বা অবহেলা করিলে, রেজিষ্ট্রারের আবেদনক্রমে, আদালত উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত উপ-ধারার বিধান পালন করার নির্দেশ দিতে পারে, এবং কোন লিকুইডেটর সম্পর্কে এইরূপ কোন আবেদনের ক্ষেত্রে, আদালত যদি মনে না করে যে, কোম্পানীর পর্যাপ্ত পরিসম্পদ হাতে না থাকার কারণে লিকুইডেটর উক্ত উপ-ধারার বিধান পালনে ব্যর্থ হইয়াছেন বা অবহেলা করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত আবেদনের খরচপত্র ব্যক্তিগতভাবে বহন করার জন্য লিকুইডেটরকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷

৩৩৪৷ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের শাস্তি

এই আইনের অধীনে কোম্পানী অবলুপ্তিতে বা তত্সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে বা এই আইনের বিধান মোতাবেক উত্থাপিত অন্য কোন ব্যাপারে, কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের দ্বারা অনুমোদিত পন্থায় শপথ গ্রহণপূর্বক সাত্মগ্যদানের সময় বা কোন এভিডেভিটে বা জবানবন্দীতে বা ঘোষণায় বা সত্ বিশ্বাসমূলক নিশ্চিত কথনে (solemn affirmation) ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য বা বিবৃতি দেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক সাত বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত দণ্ডস্বরূপ অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩৩৫৷ দণ্ড

(১) যে কোন পদ্ধতিতে কোম্পানীর অবলুপ্তি চলিতে থাকাকালে কোম্পানীর সাবেক বা বর্তমান কোন পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা যদি –

(ক) সাধারণভাবে কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনা করিতে গিয়া কোম্পানীর সম্পত্তির যে অংশ বিক্রয় বা বিলিবণ্টন করা হইয়াছে উহা ব্যতীত, কোম্পানীর মালিকানাধীন সমস্ত্ম সম্পত্তি, স্থাবর বা অস্থাবর যেরূপ হউক, এর হিসাব এবং উহার কোন অংশবিশেষ বিক্রয় বা বিলি-বণ্টন করা হইয়া থাকিলে, কেমন করিয়া, কাহার নিকট, কিসের বিনিময়ে এবং কখন তাহা করা হইয়াছিল এইসব সম্পর্কে তাহার সর্বোত্তম জ্ঞান ও বিশ্বাস অনুযায়ী পরিপূর্ণ ও সঠিক তথ্য লিকুইডেটরকে অবগত না করেন, অথবা
(খ) কোম্পানীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির যে সকল অংশ তাহার জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে আছে এবং আইন অনুযায়ী যাহা লিকুইডেটরের নিকট অর্পণ করা তাহার কর্তব্য, সেইসব সম্পত্তি লিকুইডেটরের নিকট বা তাহার নির্দেশ মোতাবেক অর্পণ না করেন, অথবা
(গ) কোম্পানীর সমস্ত্ম বহি এবং অন্যান্য কাগজপত্র, যাহা তাহার জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে আছে এবং আইন অনুযায়ী যাহা লিকুইডেটরের নিকট অর্পণ করা তাহার কর্তব্য, সেইসব বহি ও কাগজপত্র লিকুইডেটরের নিকট বা তাহার নির্দেশ মোতাবেক অর্পণ না করেন, অথবা
(ঘ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে অথবা পরবর্তীযে কোন সময়ে একশত বা ততোধিক টাকা মূল্যের কোম্পানীর সম্পত্তির কোন অংশ গোপন রাখেন কিংবা কোম্পানীর কোন পাওনা বা কোম্পানীর নিকট হইতে প্রাপ্ত কোন ঋণ গোপন করেন, অথবা
(ঙ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে অথবা পরবর্তী যে কোন সময়ে একশত বা ততোধিক টাকা মূল্যের কোম্পানীর সম্পত্তির কোন অংশ প্রতারণামূলকভাবে সরাইয়া ফেলেন, অথবা
(চ) কোম্পানীর বিষয়াদি সংক্রান্ত বিবৃতিতে কোন গুরম্্নত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দেন, অথবা
(ছ) অবলুপ্তিকালে কোন ব্যক্তি একটি মিথ্যা ঋণকে সঠিক বলিয়া প্রমাণিত করিয়াছেন- একথা জানিয়া বা বিশ্বাস করিয়া উহার এক মাসের মধ্যে তদ্‌সম্পর্কে লিকুইডেটরকে অবহিত না করেন, অথবা
(জ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর কোম্পানীর সম্পত্তি বা বিষয়াদির সহিত সংশ্লিষ্ট কোন বহি বা অন্যান্য কাগজপত্র উপস্থাপনে বাধা সৃষ্টি করেন, অথবা
(ঝ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে কিংবা পরবর্তী যে কোন সময়ে কোম্পানীর সম্পত্তি অথবা বিষয়াদির সহিত সংশ্লিষ্ট কোন বহি বা অন্যান্য কাগজপত্র গোপন, বিনষ্ট, বিকৃত বা প্রতারণামূলকভাবে কাহারও নিকট হস্ত্মান্তর করেন বা উহা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন বা ঐসবে জড়িত থাকেন, অথবা
(ঞ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে অথবা পরবর্তী যে কোন সময়ে কোম্পানীর সম্পত্তি অথবা বিষয়াদির সহিত সংশ্লিষ্ট বহি বা অন্যান্য কাগজপত্রে প্রতারণামূলকভাবে কোনরূপ তথ্য লিপিবদ্ধ করেন কিংবা সেই কাজে জড়িত থাকেন, অথবা
(ট) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে অথবা পরবর্তী যে কোন সময়ে কোম্পানীর সম্পত্তি বা বিষয়াদির সহিত সংশ্লিষ্ট কোন দলিল প্রতারণামূলকভাবে কাহাকেও দিয়া দেন বা উহাতে কোন পরিবর্তনসাধন করেন বা উহাতে অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রয়োজন ছিল এমন কিছু বাদ দিয়া দেন, কিংবা ঐ সব কোন কাজে জড়িত থাকেন, অথবা
(ঠ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর, অথবা উহা আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে, অনুষ্ঠিত কোম্পানীর পাওনাদারগণের যে কোন সভায় কোম্পানীর সম্পত্তির কোন অংশকে কাল্পনিক ত্মগতি বা খরচের হিসাবে দেখাইবার চেষ্টা করেন, অথবা
(ড) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে কিংবা পরবর্তী যে কোন সময়ে কোন কিছুকে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন বা অন্যবিধ প্রতারণার মাধ্যমে কোম্পানীর জন্য বা কোম্পানীর পক্ষে ধারে কোন সম্পত্তি অর্জন করেন অথবা পরবর্তী সময়ে কোম্পানী উক্ত সম্পত্তির মূল্য পরিশোধ না করে, অথবা
(ঢ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে কিংবা পরবর্তী যে কোন সময়ে কোম্পানীর সাধারণ কার্যাবলী চালাইবার ভান করিয়া ধারে কোম্পানীর জন্য বা কোম্পানীর পক্ষে কোন সম্পত্তি অর্জন করেন অথচ পরবর্তী সময়ে কোম্পানী উহার মূল্য পরিশোধ না করে, অথবা
(ণ) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে কিংবা পরবর্তী যে কোন সময়ে কোম্পানীর সাধারণ কার্যাবলী পরিচালনা করিতে গিয়া যে সম্পত্তি বন্ধকে (pawn or pledge) রাখা হইয়াছে বা নিষ্পত্তি করা হইয়াছে তাহা ব্যতীত কোম্পানীর অন্য এমন কোন সম্পত্তি পণ বা বন্ধক (pawn or pledge) রাখেন বা নিষ্পত্তি করেন যাহা ধারে পাওয়া গিয়াছিল কিন্তু উহার মূল্য পরিশোধ করা হয় নাই, অথবা
(ত) কোম্পানীর বিষয়াদি কিংবা উহার অবলুপ্তি সংক্রান্ত কোন ব্যবস্থা সম্পর্কে কোম্পানীর সকল বা যে কোন পাওনাদারের সম্মতি আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন কিছুকে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন অথবা অন্যবিধ প্রতারণা করেন,
তাহা হইলে তিনি (ড), (ঢ) এবং (ণ) দফায় বর্ণিত অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক সাত বত্সর এবং অন্য যে কোন দফায় বর্ণিত অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করেন যে (খ), (গ), (ঘ), (চ), (ঢ) এবং (ণ) দফায় উলেস্্নখিত অপরাধগুলির ক্ষেত্রে কোনরূপ প্রতারণা করা, অথবা (ক), (জ), (ঝ) এবং (ঞ) দফায় উলেস্্নখিত অপরাধগুলির ক্ষেত্রে কোম্পানীর বিষয়াদি গোপন করা অথবা আইনের উদ্দেশ্য ব্যাহত করার উদ্দেশ্য তাহার ছিল না তাহা হইলে উহাই হইবে উক্ত অভিযোগের বিরম্্নদ্ধে তাহার আত্মপত্মগ সমর্থনের উত্তম যুক্তি৷

(২) যদি কোন ব্যক্তি এমন পরিস্ত্মিততে কোন সম্পত্তি বন্ধক রাখেন বা উহা নিষ্পত্তি করেন যে তাহা (১) উপ-ধারার (ণ) দফার অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়, তবে উক্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্বেও যিনি উক্ত সম্পত্তির বন্ধকগ্রহীতা হন বা অন্য প্রকারে উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করেন তিনি অনধিক তিন বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩৩৬৷ পাওনাদার অথবা প্রদায়কের অভিপ্রায় জানিবার উদ্দেশ্যে সভা আহ্বান

(১) যেক্ষেত্রে এই আইনের কোন বিধান অনুসারে, কোম্পানীর অবলুপ্তিকালে, পর্যাপ্ত প্রমাণ সাপেক্ষে আদালতকে পাওনাদার কিংবা প্রদায়কের অভিপ্রায় বিবেচনায় রাখিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হয়, সেই ক্ষেত্রে আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তাহাদের অভিপ্রায় জানিবার জন্য, পাওনাদার অথবা প্রদায়কদের সভা আদালতের নির্দেশিত পদ্ধতিতে আহ্বান, অনুষ্ঠান এবং পরিচালনা করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং এইরূপ যে কোন সভায় আদালত কোন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করিতে এবং উক্ত সভার সিদ্ধান্ত আদালতকে জানাইবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷

(২) পাওনাদারগণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের পাওনার পরিমাণের প্রতি লত্মগ্য রাখিতে হইবে৷

(৩) প্রদায়কগণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রদায়ককে যত সংখ্যক ভোট দেওয়ার ত্মগমতা কোম্পানীর সংঘবিধি দ্বারা অর্পণ করা হইয়াছে তাহার প্রতি লত্মগ্য রাখতে হইবে৷

৩৩৭৷ কোম্পানীর দলিলপত্রের সাক্ষ্যমূল্য

কোম্পানী অবলুপ্তিকালে উক্ত কোম্পানী ও উহার লিকুইডেটরের সমস্ত্ম দলিলপত্রে লিখিত বা লিপিবদ্ধ আছে বলিয়া বিবেচনা করা যায় এমন বিষয়াদিকে, কোম্পানীর প্রদায়কগণের একে অন্যের সহিত সম্পর্কের ব্যাপারে, প্রাথমিকভাবে সাত্মগ্য বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷

৩৩৮৷ দলিলপত্র পরিদর্শন

আদালত কর্তৃক বা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে কোম্পানীর অবলুপ্তি আদেশ দেওয়ার পর, আদালত যেভাবে ন্যায়সংগত মনে করে সেইভাবে কোম্পানীর পাওনাদার ও প্রদায়কগণ কর্তৃক কোম্পানীর দলিলপত্র পরিদর্শনের আদেশ দিতে পারে; এবং তদনুযায়ী পাওনাদার ও প্রদায়কগণ কোম্পানীর দখলাধীন যে কোন দলিলপত্র, উক্ত আদেশ অনুসারে এবং শুধুমাত্র উহাতে নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত, পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷

৩৩৯৷ কোম্পানীর দলিলপত্র নিষ্পত্তিকরণ

(১) অবলুপ্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কোম্পানীর বিলুপ্তির প্রাক্কালে, কোম্পানী এবং উহার লিকুইডেটরগণের দলিলপত্র নিম্নলিখিতভাবে নিষ্পত্তি করা যাইতে পারে, যথা –

(ক) আদালত কর্তৃক বা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে;
(খ) স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, অসাধারণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রদত্ত কোম্পানীর নির্দেশ অনুসারে৷

(২) কোম্পানী বিলুপ্তির (dissolution) তিন বত্সর পর কোম্পানীর বা উহার লিকুইডেটর অথবা কোম্পানীর দলিলপত্রের হেফাজতে বা দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির নিকট যদি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি কোন দাবী উত্থাপন না করেন, তাহা হইলে কোম্পানী বা লিকুইডেটর বা উক্ত নিয়োজিত ব্যক্তির আর কোন দায়-দায়িত্ব থাকিবে না৷

৩৪০৷ কোম্পানীর বিলুপ্তি বাতিল ঘোষণার ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা

(১) কোন কোম্পানীর বিলুপ্তি ঘোষিত হওয়ার তারিখ হইতে দুই বত্সরের মধ্যে যে কোন সময় আদালত, লিকুইডেটর অথবা আদালতের নিকট স্বার্থবান বলিয়া প্রতীয়মান হয় এইরূপ অন্য কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে এবং আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তাধীনে, কোম্পানীর বিলুপ্তি ফলবিহীন ঘোষণা করিয়া আদেশ দিতে পারে; এবং কোম্পানীটি যদি বিলুপ্ত না হইত তাহা হইলে যেরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করা হইত, উক্ত আদেশের পর, সেইরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে৷

(২) যে ব্যক্তির আবেদনক্রমে উক্ত আদেশ প্রদান করা হয় সেই ব্যক্তির কর্তব্য হইবে আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদানের একশ দিনের মধ্যে উক্ত আদেশের একটি প্রত্যায়িত অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করা; এবং তিনি তাহা করিতে ব্যর্থ হইলে যতদিন উক্ত ব্যর্থতা চলিতে থাকিবে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য একশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

৩৪১৷ নিষ্পন্নাধীন অবলুপ্তি সম্পর্কিত তথ্য

(১) কোম্পানীর অবলুপ্তি, আরম্ভ হওয়ার এক বত্সরের মধ্যে তাহা সমাপ্ত না হইলে যতদিন পর্যন্ত অবলুপ্তি সমাপ্ত না হয় ততদিন পর্যন্ত, আদালতে কিংবা ক্ষেত্রমতে রেজিষ্ট্রারের নিকট অবলুপ্তির কার্র্যধারা ও অবস্থা সম্পর্কে নির্ধারিত তথ্য সম্বলিত একটি বিবরণী নির্ধারিত ছকে প্রতি বত্সরে একবার দাখিল করিবেন, তবে এইরূপ দাখিলকৃত বিবরণী এবং উহার পরবর্তী বিবরণী দাখিলের ব্যবধান বার মাসের বেশী হইবে না৷

(২) কোন ব্যক্তি লিখিতভাবে নিজেকে কোন পাওনাদার অথবা প্রদায়ক হিসাবে বিবৃত করিলে তিনি নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্ধারিত ফিস প্রদানপূর্বক যে কোন যুক্তিসংগত সময়ে উপরোক্ত বিবরণী পরিদর্শন করা এবং উহার নকল বা উহা হইতে উদ্ধৃতি গ্রহণ করার অধিকারী হইবেন; কিন্তু কোন ব্যক্তি নিজেকে পাওনাদার বা প্রদায়ক হিসাবে মিথ্যাভাবে বিবৃত করিলে তিনি Penal Code (Act, XLV of 1860) এর Section ১৮২ এর অধীনে অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং, লিকুইডেটরের আবেদনক্রমে, তিনি তদনুযায়ী দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৩) লিকুইডেটর যদি এই ধারার বিধানাবলী পালন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি, যতদিন উক্ত ব্যর্থতা চলিতে থাকিবে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য, অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৪) উপরোক্ত বিবরণী আদালতে দাখিল করার ক্ষেত্রে উহার একটি অনুলিপি একইসংগে রেজিষ্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং রেজিষ্ট্রার উহা কোম্পানীর অন্যান্য নথিপত্রের সংগে রত্মগণ করিবেন৷

৩৪২৷ লিকুইডেটর কর্তৃক ব্যাংকে টাকা জমাদান

(১) আদালত কর্তৃক অবলুপ্ত হইতেছে এইরূপ কোম্পানীর প্রত্যেক লিকুইডেটর তত্কর্তৃক গৃহীত সকল টাকা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত সময়ে Bangladesh Bank Order (P.O. No. 127 of 1972) তে সংজ্ঞায়িত কোন Scheduled Bank এ জমা দিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত যদি এইমর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোম্পানীর কার্যাবলী পরিচালনা কিংবা অগ্রিম অর্থ গ্রহণ কিংবা অন্য কোন কারণে, কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই পাওনাদার বা প্রদায়কগণের সুবিধার্থে, অন্য কোন ব্যাংকে লিকুইডেটরের হিসাব থাকা উচিত্, তাহা হইলে আদালত তত্কর্তৃক নির্বাচিত উক্ত অন্য কোন ব্যাংকে টাকা জমা দিবার বা তথা হইতে টাকা প্রদান করিবার জন্য লিকুইডেটরকে কর্তৃত্ব প্রদান করিতে পারে, এবং তদবস্থায় উক্ত অর্থের লেনদেন নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিতে হইবে৷

(২) উক্ত লিকুইডেটর যদি, কোন সময় দশ দিনের অধিককাল পাঁচশত কিংবা আদালত কর্তৃক কোন ক্ষেত্রে অনুমোদিত হইলে তদপেত্মগা অধিক টাকা তাহার নিজের কাছে রাখেন এবং যদি তিনি আদালতের নিকট উহার সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারেন, তাহা হইলে যে পরিমাণ অধিক টাকা তিনি নিজের কাছে রাখিয়াছেন উহার উপর বার্ষিক শতকরা কুড়ি টাকা হারে সুদ দিবেন এবং সে কারণে আদালত ন্যায়সংগত মনে করিলে তাহার পারিশ্রমিক সম্পূর্ণ বা আংশিক না মঞ্জুর করিতে এবং তাহার পদ হইতে তাহাকে অপসারণ করিতে পারিবে; এবং তদুপরি তাহার বরখেলাপের কারণে কোন খরচ হইলে তাহা প্রদান করিতেও তিনি বাধ্য থাকিবেন৷

(৩) অবলুপ্তি চলিতেছে এইরূপ কোম্পানীর লিকুইডেটর এতদুদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক-একাউন্ট খুলিবেন এবং লিকুইডেটরের ত্মগমতায় তত্কর্তৃক গৃহীত যাবতীয় অর্থ সেই একাউন্টে জমা দিবেন৷

৩৪৩৷ অদাবীকৃত লভ্যাংশ ও অবিলিকৃত পরিসম্পদ কোম্পানী অবলুপ্তি সংক্রান্ত হিসাবে জমাদান

(১) লিকুইডেটরের হাতে বা তাহার নিয়ন্ত্রণে যদি এমন কোন অদাবীকৃত লভ্যাংশের টাকা থাকে যাহা কোন পাওনাদারকে প্রদেয় বা যদি এমন অবিলিকৃত পরিসম্পদ থাকে যাহা কোন প্রদায়কের নিকট ফেরত্যোগ্য এবং যদি তাহা প্রদেয় বা ফেরত্যোগ্য হওয়ার পর একশত আশি দিন ধরিয়া অদাবীকৃত বা অবিলিকৃত অবস্থায় থাকে, তবে লিকুইডেটর সেই লভ্যাংশ বা পরিসম্পদ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের নামে “কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত হিসাব” নামে অভিহিত একটি বিশেষ হিসাব- খাতে জমা দিবেন; এবং তিনি কোম্পানী বিলুপ্তির তারিখে অনুরূপ অন্যান্য অদাবীকৃত লভ্যাংশ বা অবিলিকৃত পরিসম্পদ থাকিলে তাহাও, কোম্পানীর সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে, উক্ত হিসাবে জমা দিবেন৷

(২) লিকুইডেটর (১) উপ-ধারায় উল্লেখিত কোন অর্থ জমাদানকালে এতদ্‌বিষয়ে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত ফরমে একটি বিবরণী দাখিল করিবেন, যাহাতে জমাকৃত অর্থ বা পরিসম্পদের পরিমাণ বর্ণনা ঐগুলি পাইবার অধিকারী ব্যক্তিগণের নাম ও সর্বশেষ ঠিকানা, তাহাদের প্রত্যেকের অধিকারের পরিমাণ ও উহাতে তাহাদের দাবী বা প্রাপ্যতার প্রকৃতি ও অন্যান্য নির্ধারিত বিষয়ের উলেস্্নখ থাকিবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) এর বিধানানুযায়ী জমাকৃত কোন অর্থের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের রশিদ হইবে লিকুইডেটরের এতদ্‌সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের বাস্ত্মব প্রমাণ৷

(৪) আদালত কর্তৃক অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, লিকুইডেটর (১) উপ-ধারায় উলেস্্নখিত অর্থ ৩৪২ ধারার (৩) উপ-ধারায় উলেস্্নখিত ব্যাংক-একাউন্ট হইতে স্থানান্তরের মাধ্যমে জমা দিবেন এবং স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে কিংবা আদালতের তত্ত্বাবধান সাপেক্ষে অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, তিনি ৩৪১ ধারার (১) উপ-ধারা অনুসারে বিবরণী পেশ করার সময়, উক্ত বিবরণীর তারিখের পূর্ববর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে, তাহার হাতে বা নিয়ন্ত্রণে এই ধারার (১) উপ-ধারার অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য যে অর্থ ও পরিসম্পদ ছিল উহার উলেস্্নখ করিবেন এবং উক্ত বিবরণী পেশ করার পর চৌদ্দ দিনের মধ্যে উক্ত অর্থ ও পরিসম্পদ “কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত হিসাবে” জমা দিবেন৷

(৫) কোন ব্যক্তি এই ধারা অনুযায়ী “কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত হিসাবে” জমাকৃত কোন অর্থ বা পরিসম্পদের দাবীদার হইলে তিনি উক্ত অর্থ বা পরিসম্পদ তাহাকে প্রদানের জন্য আদালত সমীপে আবেদন করিতে পারেন এবং আদালত যদি তাহার দাবীর সত্যতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়, তাহা হইলে উক্ত পাওনা অর্থ বা পরিসম্পদ তাহাকে প্রদানের আদেশ দিতে পারে :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত অনুরূপ আদেশ দেওয়ার পূর্বে কেন উক্ত অর্থ বা পরিসম্পদ প্রদানের আদেশ দেওয়া হইবে না এই মর্মে সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্য নিযুক্ত কর্মকর্তাকে একটি নোটিশ দিবে এবং কারণ দর্শাইবার জন্য উক্ত নোটিশে উহা প্রাপ্তির তারিখ হইতে অনধিক ত্রিশ দিনের একটি সময়-সীমাও নির্দিষ্ট করিয়া দিবে৷

(৬) এই ধারা অনুসারে কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত হিসাবে জমাকৃত কোন অর্থ বা পরিসম্পদ জমা দেওয়ার পর পনেরো বত্সর পর্যন্ত অদাবীকৃত থাকিলে, তাহা সরকারের সাধারণ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হইবে; তবে অনুরূপভাবে স্থানান্তরিত কোন অর্থ বা পরিসম্পদ (৫) উপ-ধারা অনুসারে দাবী করা হইলে সেই দাবী তদনুসারে মঞ্জুরও করা যাইবে, যেন উক্ত অর্থ স্থানান্তরিত হয় নাই; এবং এইরূপ দাবী পরিশোধের জন্য প্রদত্ত আদেশ রাজস্ব ফেরতদানের আদেশ বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৭) কোন লিকুইডেটর কর্তৃক এই ধারার অধীনে কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত হিসাবে যে অর্থ জমা দেওয়া উচিত্ ছিল সেই অর্থ নিজের কাছে রাখিয়ে তিনি উক্ত অর্থ বা পরিসম্পদের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থের উপর বার্ষিক শতকরা কুড়ি টাকা হারে সুদ দিবেন এবং তাহার বরখেলাপের দরম্্নন যে খরচ হয় উহা বহনের জন্যও তিনি দায়ী হইবেন; এবং আদালত কর্তৃক বা আদালতের তত্ত্বাবধানে অবলুপ্তির ক্ষেত্রে, আদালত ন্যায়সংগত মনে করিলে, তাহার পারিশ্রমিক সম্পূর্ণ বা অংশিক না-মঞ্জুর করিতে এবং তাহার পদ হইতে তাহাকে অপসারণ করিতে পারিবে৷

(৮) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণ করে, লিকুইডেটর আদালত বা ক্ষেত্রমত সরকারের অনুমতিক্রমে (১) উপ-ধারায় উল্লেখিত অবিলিকৃত পরিসম্পদ বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ এই ধারার বিধান অনুসারে জমা দিতে পারিবেন এবং তদনুযায়ী উহা নিষ্পত্তি করা যাইবে৷

৩৪৪৷ আদালত এবং কতিপয় ব্যক্তির সমীপে এফিডেভিট সম্পাদন

(১) এই খণ্ডের বিধানানুযায়ী বা ঐ সব বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এভিডেভিট সম্পাদন করার প্রয়োজন হইলে, বাংলাদেশে যে কোন আদালত, বিচারকের সম্মুখে কিংবা যে ব্যক্তি এফিডেভিট করাইতে বা লইতে আইনতঃ ত্মগমতাপ্রাপ্ত তাহার সম্মুখে এবং বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশের যে কোন কনসাল বা ভাইস-কনসাল এর সম্মুখে এফিডেভিট সম্পন্ন করা যাইতে পারে৷

(২) এই খণ্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশের সকল আদালত, বিচারক, বিচারপতি, কমিশনার এবং বাংলাদেশে বিচারকের ত্মগমতায় সমাসীন বা কার্য সম্পাদনকারী যে কোন ব্যক্তি এর স্বাত্মগর, সীল বা ষ্ট্যাম্প উক্ত এফিডেভিটে বা, এই খণ্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যবহৃত অনুরূপ কোন দলিলে প্রদত্ত বা যুক্ত থাকিলে উক্ত স্বাত্মগর, সীল বা ষ্ট্যাম্প বিচারজনিত বিবেচনায় (Judicial notice) গ্রহণ করা উক্ত আদালত, বিচারক, বিচারপতি, কমিশনার বা ব্যক্তির কর্তব্য হইবে৷

৩৪৫৷ বিধি প্রণয়নে সুপ্রীম কোর্টের ক্ষমতা

(১) এই আইন এবং Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর বিধানাবলীর সহিত সংগতি রত্মগা করিয়া সুপ্রীম কোর্ট নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগে বা উহার অধঃস্ত্মন কোন আদালতে কোম্পানীর অবলুপ্তির ব্যাপারে অনুসরণীয় পদ্ধতি; এবং
(খ) কোম্পানীর সদস্যগণ বা পাওনাদারগণ কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির জন্য এই আইনের ২২৮ ধারার বিধান অনুসারে প্রয়োজন হইলে পাওনাদার ও সদস্যগণের সভা অনুষ্ঠান; এবং
(গ) কোম্পানীর শেয়ারমূলধন হ্রাস এবং উহার পুনঃবিভাজন বিষয়ে এই আইনের বিধানাবলী বাস্ত্মবায়ন; এবং
(ঘ) এই আইনের অধীন আদালতের নিকট সকল প্রকার আবেদন পেশকরণ৷

(২) কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত যে সকল ব্যাপারে এই আইনের কোন বিধান অনুসারে কোন কিছু নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন সে সকল ব্যাপারে সুপ্রীম কোর্ট অবশ্যই বিধি প্রণয়ন করিবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) তে প্রদত্ত ত্মগমতার সামগ্রিকতাকে ত্মগুণ্ন না করিয়া সুপ্রীম কোর্ট নিম্নলিখিত বিষয় সম্পর্কে আদালতের উপর অর্পিত ও আরোপিত সকল অথবা যে কোন ত্মগমতা ও কর্তব্য সরকারী লিকুইডেটরের দ্বারা প্রয়োগ ও পালনের ব্যাপারে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, তবে লিকুইডেটর কর্তৃক উক্ত ত্মগমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন সর্বদা আদালতের নিয়ন্ত্রণ সাপেত্মগ হইবে :-

(ক) পাওনাদার ও প্রদায়কগণের অভিপ্রায় সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার লক্ষে্য সভা অনুষ্ঠান ও পরিচালনা;
(খ) প্রয়োজনবোধে প্রদায়কগণের তালিকা প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করা এবং সদস্য বহি সংশোধন এবং কোম্পানীর পরিসম্পদ সংগ্রহ ও প্রয়োগ;
(গ) কোম্পানীর সম্পত্তি ও নথিপত্র লিকুইডেটরের নিকট অর্পণের নির্দেশ;
(ঘ) শেয়ারমূল্য বা অন্যবিধ অর্থ তলব;
(ঙ) পাওনা ও দাবী-দাওয়া প্রমাণের জন্য সময় নির্ধারণ :

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপে প্রণীত বিধিতে যে বিধানই করা হউক না কেন, সরকারী লিকুইডেটর আদালতের বিশেষ অনুমতি ব্যতীত সদস্য বহি সংশোধন এবং শেয়ারমূল্য বা অন্যবিধ অর্থ তলব করিবেন না৷

৩৪৬৷ নিষ্ক্রিয় (defunct) কোম্পানীর নাম নিবন্ধন বহি হইতে কাটিয়া দেওয়া

(১) যেক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন একটি কোম্পানী ব্যবসা করিতেছে না কিংবা উহার কার্যাবলী চালু অবস্থায় নাই, সেক্ষেত্রে তিনি উক্ত কোম্পানী ব্যবসা করিতেছে কি না অথবা উহা চালু অবস্থায় আছে কি না তাহা জানিবার জন্য ডাকযোগে কোম্পানীর নিকট একটি পত্র প্রেরণ করিবেন৷

(২) উক্ত পত্র প্রেরণের পর ত্রিশ দিনের মধ্যে কোন জবাব পাওয়া না গেলে, রেজিষ্ট্রার উক্ত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর চৌদ্দ দিনের মধ্যে, প্রথম পত্রের কথা এবং উহার জবাব না পাওয়ার কথা উলেস্্নখপূর্বক উক্ত কোম্পানীর নিকট ডাকযোগে একটি রেজিষ্টার্ড পত্র পাঠাইবেন, যাহাতে এই মর্মে একট সতর্কবানী থাকিবে যে, দ্বিতীয় পত্রটির স্বাত্মগর তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি উহারও কোন জবাব পাওনা না যায়, তাহা হইলে কোম্পানীর নিবন্ধন বহি হইতে উক্ত কোম্পানীর নাম কাটিয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারী গেজেটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হইবে৷

(৩) রেজিষ্ট্রার যদি কোম্পানীর নিকট হইতে এইমর্মে জবাব প্রাপ্ত হন যে, কোম্পানীটি ব্যবসা চালাইতেছে না বা উহার কার্যাবলী চালু নাই কিংবা, দ্বিতীয় পত্র প্রেরণের ক্ষেত্রে, যদি তিনি উক্ত পত্র স্বাত্মগর-তারিখের ত্রিশ দিনের মধ্যে কোন জবাব না পান, তবে তিনি এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিবেন যে, উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নব্বই দিনের মধ্যে উহার বিপরীতে কোন কারণ দর্শান না হইলে, উক্ত কোম্পানীর নাম নিবন্ধন বহি হইতে কাটিয়া দেওয়া হইবে এবং কোম্পানীটি বিলুপ্ত হইয়া যাইবে; তবে বিজ্ঞপ্তিটি সরকারী গেজেটে প্রকাশের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের সময় উহার একটি অনুলিপি কোম্পানীর নিকটেও তিনি ডাকযোগে প্রেরণ করিতে পারেন৷

(৪) কোন কোম্পানীর অবলুপ্তি হইতেছে এইরূপ ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রার যদি যুক্তিসংগত কারণে বিশ্বাস করেন যে, হয় কোন লিকুইডেটর কাজ করিতেছে না কিংবা কোম্পানীর বিষয়াদি সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হইয়াছে, এবং সে অনুসারে রেজিষ্ট্রার কোম্পানীকে বা উহার লিকুইডেটরকে উহার বা তাহার সর্বশেষ কর্মস্থলে রিটার্ণ তলব করিয়া ডাকযোগে লিখিত নোটিশ প্রেরণ করা সত্ত্বেও কোম্পানী সম্পর্কে প্রণীতব্য রিটার্ণ তিনি একাদিক্রমে ছয় মাস যাবত প্রণয়ন করিতেছেন না, সেইক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রার উপ-ধারা (৩) এর বিধান মোতাবেক একটি বিজ্ঞপ্তি সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিতে এবং কোম্পানীর নিকট উহার অনুলিপি পাঠাইতে পারিবেন৷

(৫) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই কোম্পানী উহার বিপরীতে কারণ দর্শাইতে না পারিলে, রেজিষ্ট্রার উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর উহার নাম কোম্পানীর নিবন্ধন-বহি হইতে কাটিয়া দিতে পারিবেন এবং তত্সম্পর্কে সরকারী গেজেটে অপর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার সংগে সংগে কোম্পানীটি বিলুপ্ত হইয়া যাইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানীর কোন পরিচালক এবং সদস্যের যদি কোন দায় থাকে, তবে তাহা অব্যাহত থাকিবে এবং তাহা আইনতঃ এইরূপে কার্যকর হইবে যেন কোম্পানীটি বিলুপ্ত হয় নাই৷

(৬) নিবন্ধন-বহি হইতে কোন কোম্পানীর নাম কাটিয়া দেওয়ার ফলে কোম্পানী কিংবা উহার যে কোন সদস্য বা পাওনাদার ত্মগুদ্ধ হইলে, উক্ত কোম্পানী বা সদস্য বা পাওনাদারের আবেদনক্রমে, আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নাম কাটিয়া দেওয়ার সময় কোম্পানীটি ব্যবসারত বা চালু ছিল অথবা অন্য কোন কারণে কোম্পানীর নাম নিবন্ধন-বহিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা ন্যায়সংগত, তাহা হইলে নিবন্ধন বহিতে উক্ত কোম্পানীর নাম পুনঃস্থাপন করিবার আদেশ দিতে পারিবে এবং তত্প্রেত্মিগতে কোম্পানীর অস্ত্মিত্ব এইরূপ অব্যাহত রহিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যেন উহার নাম কাটিয়া দেওয়া হয় নাই; এবং আদালত ন্যায়সংগত বিবেচনা করিলে যতটুকু সম্ভব কোম্পানীটির এবং সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির মর্যাদা পূর্বের ন্যায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনীয় এইরূপ আদেশ প্রদান করিতে এবং উক্ত আদেশে প্রাসংগিক বা অনুবর্তী এইরূপ নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যেন উক্ত কোম্পানীর নাম কাটিয়া দেওয়া হয় নাই৷

(৭) এই ধারার অধীন কোন পত্র বা নোটিশ কোম্পানীর নিকট উহার নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ের ঠিকানায় অথবা নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে না থাকিলে, উক্ত কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজার কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তার নামে অথবা কোন পরিচালক, ম্যানেজার বা কর্মকর্তার নাম ঠিকানা রেজিষ্ট্রারের জানা না থাকিলে, যাহারা কোম্পানীর সংঘস্মারকে স্বাত্মগর করিয়াছিলেন উহাতে উলেস্্নখিত তাহাদের প্রত্যেকের ঠিকানায় প্রেরণ করিতে হইবে৷

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

Scroll to Top