অগ্রিম ক্রয় বা Advance Procurement এর গূরুত্ব
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫ (পিপিআর ২০২৫) জারী হয়েছে। সংশোধিত আইন ও
দেখুনঃ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫ (পিপিআর ২০২৫)
নতুন বিধিমালাতে অগ্রিম ক্রয় বা Advance procurement এর ব্যবস্থা আছে।
এখানে দেখবো, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্র বিবেচনায় সরকারি ক্রয়ে অগ্রিম ক্রয় (Advance procurement) কেন প্রয়োজনীয় এবং বাংলাদেশের ক্রয় বিধিতে এ বিষয়ে কি উল্লেখ আছে।
[বিস্তারিত জানতে লগইন করুন]
সরকারি ক্রয়ব্যবস্থা (public procurement) একটি বড় অর্থ মোট সরকারের বাজেটের অংশ হয়ে থাকে এবং সময়মতো রূপায়ণ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনায় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অগ্রিম ক্রয় (Advance procurement) এমন একটি যেসব ক্ষেত্রে নির্ধারিত বাজেট বছর বা প্রকল্প অনুমোদনের আগেই ক্রয়ের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যাতে প্রকল্প বা কর্মসূচি সময়ে কার্যকর হয়।
আসল প্রশ্ন হলো—এই ধারণাটি কেন জরুরি এবং বাংলাদেশের ক্রয় বিধিতে (বিশেষ করে নতুন PPR ২০২৫-এ) তা কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২. আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ: অগ্রিম ক্রয়ের প্রয়োজনীয়তা ও দৃষ্টান্ত
২.১ অগ্রিম ক্রয় কী?
-
উদাহরণস্বরূপ, Defense Acquisition University (DAU) সংজ্ঞা অনুসারে: “Advance procurement means an exception to the full funding policy … that allows acquisition of long-lead time items … or economic order quantities (EOQ) … in a fiscal year in advance of that in which the related end item is to be acquired.” acquisition.gov+2Law Insider+2
-
সংক্ষেপে: যদি কোনো উপাদান, যন্ত্রাংশ বা সাপ্লাই ভবিষ্যতের প্রকল্প বা নির্মাণ কার্যক্রমের জন্য অতি দ্রুত প্রয়োজন হয় — এবং যদি তার লং-লিড টাইম (উৎপাদন/সরবরাহে অনেক সময় লাগে) হয় — তাহলে প্রকল্প অনুমোদন বা বাজেট বরাদ্দের অপেক্ষায় না থেকে পূর্বেই ক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়।
-
এই ধরনের ক্রয়ের সুবিধা হলো সময়কে সামঞ্জস্য করা, সরবরাহ-চেইন বাধা কমানো, প্রকল্প দেরি কমানো ইত্যাদি।
২.২ কেন প্রয়োজনীয়?
কয়েকটি কারণ তুলে ধরা যায়:
-
সময়সাপেক্ষ সরবরাহ বা লং-লিড টাইম: অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ বা উপাদান সময় লাগে উৎপাদন/আমদানি করতে। যদি ক্রয় অনুমোদন বা বাজেট অপেক্ষায় থাকি, প্রকল্প দেরিতে শুরু হতে পারে।
-
প্রকল্পের সময়সীমা বজায় রাখা: উন্নয়ন প্রকল্প বা কাজের সময়সীমা থাকে। সময়মতো সরবরাহ না হলে কাজ পেছাবে, অতিরিক্ত ব্যয় বা অপচয় হতে পারে।
-
মূল্য স্থিতিশীলতা ও বাজেট রিস্ক কমানো: সময়মতো অর্ডার দিলে বাজার মূল্য পরিবর্তনের ঝুঁকি কম হতে পারে।
-
সরবরাহ চেইনের নিরাপত্তা: বিশেষ করে আন্তর্জাতিকভাবে আমদানিকৃত মালপত্র বা যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে আগাম পরিকল্পনা জরুরি।
-
অপ্রত্যাশিত উদ্বেগ বা জরুরি অবস্থায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেওয়ার সক্ষমতা: কখনও কখনও প্রকল্প অনুমোদনের পর দ্রুত ক্রয় না করতে পারলে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
-
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রয় চাহিদার সঙ্গতি: অনেক প্রকল্পের সঙ্গে ক্রয় কার্যক্রম আগে শুরু হলে প্রকল্প বাস্তবায়নে সাপ্লাই-রেডি রাখা সম্ভব হয়।
২.৩ আন্তর্জাতিক রেফারেন্স
-
Organisation for Economic Co‑operation and Development (OECD) বলছে, সরকারী ক্রয় কার্যক্রমে সময়, খরচ ও মান (economy, efficiency, effectiveness) বিবেচনায় রাখতে হবে। OECD
-
আন্তর্জাতিক মডেল আইন যেমন UNCITRAL Model Law on Public Procurement এ সরাসরি “advance procurement” শব্দটি উল্লেখ থাকতে নাও পারে; তবে পরিকল্পিত ক্রয়, অনুমোদনের পূর্ব প্রস্তুতি ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রতিফলিত রয়েছে। uncitral.un.org
৩. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও ক্রয় বিধিতে অগ্রিম ক্রয়
৩.১ বর্তমান আইন ও বিধি
-
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, Public Procurement Act 2006 (PPA 2006) জারি রয়েছে। Bangladesh Laws+2Scribd+2
-
এর সঙ্গে ছিল Public Procurement Rules 2008 (PPR 2008) যেটি ২০০৮ সালে কার্যকর হয়েছে। LGED+2scmpbd.org+2
-
২০২৫ সালে নতুনভাবে Public Procurement Rules 2025 (PPR ২০২৫) নামক বিধিমালা জারীর বিষয়টি আপনি উল্লেখ করেছেন, যেখানে ‘অগ্রিম ক্রয়’ বিষয়টি বিধি ২১ এ সংযোজিত হয়েছে। (আপনার দেওয়া উদ্ধৃতি অনুযায়ী)
-
PPR 2008 বা পুরনো বিধিতে “অগ্রিম ক্রয়” নামে এ পর্যায়ে স্পষ্ট বিধান দেখা যায় না; সুতরাং এটি PPR ২০২৫-এর একটি নতুন উদ্ভাবনী ধাপ।
৩.২ নতুন বিধি ২১-এর সারাংশ
আপনি যে অংশটি উদ্ধৃত করেছেন তা নিম্নরূপ সারাংশে বুঝা যায়ঃ
-
(১) কোনো প্রক্রিয়াধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন অথবা প্রশাসনিক অনুমোদন বা বরাদ্দপ্রাপ্তির পূর্বেই (আরো সরকারি বাজেট বা বরাদ্দ না পাওয়া) পরিচালন বাজেটের অধীন কোনো ক্রয় প্রস্তাব থাকলে — জনস্বার্থে তা জরুরি বিবেচিত হলে — ক্রয়কারী সংশ্লিষ্ট কার্যালয় প্রধানের অনুমোদনে, বিশেষ ক্রয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে সেই ক্রয় প্রক্রিয়া চালাতে পারবে।
-
তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে: প্রকল্প অনুমোদন বা বাজেট বরাদ্দ হওয়ার আগেই চুক্তি নোটিশ জারি করা যাবে না; এবং সেই অগ্রিম ক্রয়ের চাহিদা পরে অনুমোদনের জন্য প্রেক্ষাপট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
-
(২) ওই বিশেষ ক্রয় পরিকল্পনাটি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অনুমোদন বা বাজেট বরাদ্দপ্রাপ্তির পর বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩.৩ বিশ্লেষণ : এই বিধির অর্থ ও উদ্দেশ্য
-
অগ্রিম প্রস্তুতির সুযোগ: প্রকল্প অনুমোদনের আগে—যদি জরুরি হয়—ক্রয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়া যাবে, যা সময়সাপেক্ষ প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে দেরি কমাবে।
-
নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের নিয়ম: শর্ত দেওয়া হয়েছে চুক্তি নোটিশ আগে দেওয়া যাবে না—এতে অনুমোদন বা বরাদ্দপ্রাপ্তির আগেই বাকি প্রায় পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে না যায়।
-
বাজেট ও অনুমোদনের প্রতি দায়বদ্ধতা রক্ষা: অগ্রিম ক্রয় চাহিদাকে ভবিষ্যতের অনুমোদন বা বরাদ্দের পটভূমি হিসেবে দেখানো যাবে না—এটি ক্রয়কারীর দায়িত্ব ও স্বচ্ছতা রক্ষা করবে।
-
পরিকল্পনা শৃঙ্খলা: অগ্রিম ক্রয় হওয়ার পর তা বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—এতে বাজেট-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংগত হবে।
-
জনস্বার্থ ও প্রকল্প কার্যকারিতা: যদি প্রকল্প বা কার্যক্রম জনস্বার্থের হয় এবং সময়সাপেক্ষ হয়—অগ্রিম ক্রয় সময় মত সরবরাহ/সাপোর্ট নিশ্চিত করতে সহায়ক।
৩.৪ সম্ভাব্য সুবিধা ও ঝুঁকি
সুবিধা
-
প্রকল্প শুরু-সময়ে সরবরাহ বা সাপ্লাই তৎপরতা বৃদ্ধি পায়।
-
দেরি বা সরবরাহ বাধার কারণে খরচ বৃদ্ধি বা অপচয় কম হয়।
-
সরকারের সময়সাপেক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ে।
-
উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে ক্রয় চাহিদার সামঞ্জস্য হয়।
ঝুঁকি ও সতর্কতা
-
অনুমোদন বা বরাদ্দ না থাকতেই অগ্রিম কর্মসূচি নেয়া হলে বাজেট প্রয়োগ ও দায়বদ্ধতার স্বচ্ছতা কম হতে পারে।
-
অগ্রিম ক্রয়ের জন্য নেওয়া অনানুমোদিত প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি-নোটিশ হলে সময়মতো অর্থায়ন বা বাজেটের অভাবে সমস্যা হতে পারে।
-
প্রকল্প বাতিল বা বড় ধরনের পরিবর্তন হলে অপ্রয়োজিত ক্রয় হয়ে যেতে পারে।
-
ন্যায্য প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা বিঘ্নিত হতে পারে যদি অগ্রিম ক্রয় প্রক্রিয়ায় যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকে।
৩.৫ বাংলাদেশের বাস্তব চ্যালেঞ্জ
-
বাংলাদেশের ক্রয়-প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল ধরে “স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, প্রতিযোগিতা” নিশ্চিত করার দিকে এগিয়েছে। ippa.org+2erd.portal.gov.bd+2
-
তথাপি প্রজেক্ট দেরি, সরবরাহ সাপ্লাই চেইন বাধা, বাজেট অনুমোদনের দেরি ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
-
অগ্রিম ক্রয় বিধান এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে — তবে তা সঠিক নিয়ন্ত্রণ, মনিটরিং ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে।
-
যেমন, সংগঠন, কর্মকর্তা-দায়িত্ব, নিয়মিত মনিটরিং ও অডিট নিশ্চিত করতে হবে যাতে অগ্রিম ক্রয় অপচয় বা অসঙ্গতিতে না পরিণত হয়।
৪. উপসংহার ও সুপারিশ
৪.১ উপসংহার
নতুন বিধি ২১ অনুসারে অগ্রিম ক্রয়-প্রক্রিয়া স্বীকৃত হলো যা সময়সাপেক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। এটি আন্তর্জাতিক নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ—যেখানে ‘লং-লিড টাইম’ উপাদান, বাজেট অনুমোদনের আগেই সরবরাহ-তারকাটা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের ক্রয় ব্যবস্থায় এই বিধান যুক্ত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তবে এর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক, ক্রয়কারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আইন, নীতিমালা, মনিটরিং ও অডিট কাঠামো শক্ত করা প্রয়োজন।
৪.২ সুপারিশ
-
অগ্রিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-প্রকৃতি (framework) তৈরি করতে হবে: কখন অনুমোদনের আগে প্রয়োজন হয়, কি পরিমাণ, কত সময়ের জন্য ইত্যাদি।
-
সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী সংস্থা অগ্রিম ক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি ঝুঁকি মূল্যায়ন ফর্ম গ্রহণ করবে যাতে বাজেট অনুমোদনের দেরি, প্রকল্প পরিবর্তন-ঝুঁকি, সরবরাহ চেইন সমস্যা ইত্যাদি বিবেচনায় আসে।
-
অগ্রিম ক্রয় যা হয়, সে বিষয়ে স্বচ্ছ তথ্য প্রকাশ (যেমন বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তি, ক্রয় চাহিদার ব্যাকগ্রাউন্ড) নিশ্চিত করতে হবে।
-
অগ্রিম ক্রয়ের পর এটি বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় কিভাবে অন্তর্ভুক্ত হলো, তার পর্যালোচনার জন্য মনিটরিং ও অডিট সিস্টেম থাকতে হবে।
-
ক্রয়কারীরাদের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যাতে তারা অগ্রিম ক্রয় ব্যবস্থার সুবিধা ও ঝুঁকি উভয় সম্পর্কে সচেতন হয় এবং আইন-বিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করে।
-
প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সেরা চর্চা (best practice) দেখে, অগ্রিম ক্রয় সংক্রান্ত গাইডলাইন বা মডেল তৈরি করা যেতে পারে।
এই লেখকের অন্যান্য লেখা

কখন ‘চুক্তি বাতিল প্রস্তাব পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের প্রয়োজন নেই
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট

‘চুক্তি বাতিল প্রস্তাব পর্যালোচনা কমিটি’ কি ? গঠন প্রণালী ও কাজ কি ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট

চলমান কোন চুক্তি গুলোতে পিপিআর-২০২৫ প্রয়োগ হবে আর কোনগুলোতে হবে না ?
সম্প্রতি গত ২৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ (পিপিআর ২০২৫) প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত দেখুনঃ PPR-2025 সংক্রান্ত আলোচনা নতুন

বিধি ১৫৪ (পিপিআর-২০২৫) প্রয়োগ নিয়ে BPPA’র পরিপত্র জারী
সম্প্রতি গত ২৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ (পিপিআর ২০২৫) প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত দেখুনঃ PPR-2025 সংক্রান্ত আলোচনা নতুন