সম্প্রতি আমার কিছুদিন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী হচ্ছে তার দপ্তরের ক্রয়কারী কর্মকর্তা। তার দায়িত্বে দরপত্র আহবান থেকে শুরু করে চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যন্ত সব কাজই হয়ে থাকে। এই ক্রয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময় আমার ভালো-মন্দ অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার আলোকে বলতে পারি Procurement নিয়ে বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজন এখনও রয়ে গেছে।
কিছু উদাহরন দেয়া যাকঃ
১। অসাবধানতা বশতঃ অনেক সময় দেখা যায় Tender Validity বা performance security এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী দরপত্রের মেয়াদ বা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি থাকলেও ক্রয় আইন বা চুক্তিতে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু নেই। ফলে সঠিক সমাধান পাওয়া যায় না। নতুন কোন ক্রয়কারি কর্মস্থলে যোগদান করলে তার জন্য বিষয়গুলো সমাধান করা আরও জটিল হয়ে যায়।
২। বর্তমানে consortium/JV করে কাজ নেয়ার প্রবনতা অনেক বেড়ে গেছে যা প্রতিযোগিতাকে হ্রাস করছে বলে আমি মনে করি। অন্যরা জয়েন্ট ভেঞ্চার না করায় Experience/টার্নওভার এর অভাবে বাদ পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের সক্ষম ঠিকাদার গড়ে না উঠার পিছনে এটি একটি বড় কারন।
৩। বড় কোম্পানি থেকে কাজ কিনে মাঠে কাজ বাস্তবায়ন করা যদিও একটি পুরানো রোগ। নীতিমালা সংস্কারের মাধ্যমে এটি থেকে উত্তোরণ হবার প্রয়োজন আছে। যদিও ক্রয় আইন অনুযায়ি একজনের কাজ আরেকজন কেনা একটা অপরাধ এবং এর জন্য কাজ বাতিলের বিধান আছে। কিন্তু এটা সঠিকভাবে প্রয়োজ করা কঠিন।
কাজ কেনা-বেচা নিয়ে রিপোর্ট দেখুনঃ প্রকাশ্যেই টেন্ডার বেচাকেনা হচ্ছে …
মাঠ পর্যায়ে যারা সরাসরি এই কাজগুলো করছেন তারা হাড়ে হাড়ে বিষয়গুলি উপলব্ধি করতে পারছেন বলে আমার মনে হয়েছে। এরকম আরও অনেক বিষয় আছে যা নিয়ে অনেক কাজ করা যেতে পারে। প্রচলিত ক্রয় আইন/বিধি কে আর সহজ ও বাস্তবমূখী করার জায়গা রয়ে গেছে বলে আমি মনে করি।
1 thought on “মাঠ পর্যায়ের কাজে আমার Procurement বিষয়ক অভিজ্ঞতা ও কিছু সুপারিশ”
Very thoughtful observations. Hope these will be addressed duly.