তিস্তার পানি বন্টন সমস্যা সমাধানে গেম থিউরি’র প্রয়োগ

সম্পদের সুষম বন্টন জরুরি। যখন সহযোগিতার পরিবর্তে অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের অভিপ্রায়ে মালিকদের মধ্যেই স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন কোন কৌশল থাকে, তখনই সম্পদ বন্টন নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
নদী তথা মিঠা পানি যে কোন দেশের জন্য একটি গূরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে এই পানির সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা অনেক জটিল বিশেষ করে তা যদি কোন আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রবাহ হয়। আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টন নিয়ে পরস্পরবিরোধী মতামত এবং আগ্রহ থাকে এবং দিন শেষে পুরো বিষয়ের সাথেই ভূ-রাজনীতি জড়িত।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানিসম্পদ বণ্টন এমনই একটি জটিল বিষয়। ভারত ও বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি বন্টন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে এখনও কোন চুক্তি হয়নি। এই সমস্যাটি গত কয়েক দশক ধরে এই দুই দেশের সম্পর্কের একটি গলার কাঁটা স্বরূপ। এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে অশান্তি ও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করছে।
অভিন্ন নদীর পানির সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন রকম সুপারিশ দেখা যায়, যেমনঃ
- “দ্বিপাক্ষিকভাবে অগ্রগতি না হওয়ায় এখন আন্তর্জাতিক তৃতীয় কোন পক্ষের সহযোগিতা নেয়া” – বিবিসি নিউজ বাংলা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- “তিস্তার মতো অভিন্ন নদীর ব্যাপারে দুই দেশেরই গবেষণা এবং তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। একমাত্র গঙ্গা পানিবন্টনে সব তথ্য এবং রেকর্ড থাকায় সেই চুক্তি সম্ভব হয়েছে।” – বীনা সিক্রি, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার।
- “পানি সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে” – অধ্যাপক আইনুন নিশাত, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ।
এরকম অনেক ধরনের বিকল্পের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য গেম থিওরি-ও একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।
এই গেম থিওরি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য দেখুনঃ গেম থিওরি (Game Theory) কি ?
আজকে দেখবো তিস্তার পানি বন্টন সমস্যা সমাধানে গেম থিউরি’র প্রয়োগ নিয়ে একটা কেস ষ্টাডি।
বিস্তারিত জানতে লগইন করুন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

Reverse Logistics: The Untapped Goldmine in Modern Procurement
In today’s competitive and environmentally conscious marketplace, the conversation around logistics is no longer just about moving goods from Point

চুক্তি অনুমোদনের সময় বাজেট বরাদ্দ আছে কি না তা জানা প্রয়োজন কেন ?
বাজেট হচ্ছে ক্রয়কারি দপ্তরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। ক্রয়কারি দপ্তরে বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যয়ের সমন্বয় সাধন করতে হয় এবং সে মোতাবেক

সিএজি কার্যালয়ে অডিট সংক্রান্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চলছে
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী (১২-১৫ মে, ২০২৫) সারা বাংলাদেশের সকল নিরীক্ষা ও

“Significantly low price)” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি