সরকারি ক্রয় খাত প্রত্যেক দেশের জন্যই গূরুত্বপূর্ণ। সরকারি ক্রয় হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা সরকার বেসরকারি কোম্পানিগুলির কাছ থেকে পণ্য এবং পরিষেবা ক্রয় করার জন্য ব্যবহার করে।
সরকারি ক্রয়ের বিবর্তনে বর্তমান বিশ্বে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে সরকার সামগ্রিক খাতভিত্তিক সুশাসন নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা চলমান আছে।
ক্রয় খাতে সুশাসন নিশ্চিতের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ২০০২ সালে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে একটি স্থায়ী ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার নাম সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (CPTU)। এটি ক্রয় সংস্কার ও সংস্কার বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকর ইউনিট হিসেবে কাজ করেছে। সংস্কারের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে একটি সমন্বিত সরকারি ক্রয় প্রবিধান (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন ২০০৩) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। এ ছাড়া, পিপিআর ২০০৩ এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া ও অনুমোদন পদ্ধতি (PPPA), আর্থিক ক্ষমতার সংশোধিত প্রজ্ঞাপন (DoFP) এবং বিভিন্ন আদর্শ দরপত্র দলিল (STD) প্রণীত হয়েছে।
সরকারি ক্রয়ের বিবর্তনের অংশ হিসেবে অতি সম্প্রতি সিপিটিইউ এর রূপান্তর সাধিত হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পূর্বতন সিপিটিইউকে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (BPPA) তে রূপান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখুনঃ অবশেষে CPTU বিলুপ্তি হয়ে BPPA এর আত্মপ্রকাশ
নিচে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সরকারি ক্রয়ে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের ঘটনাপঞ্জি দেখানো হলোঃ
সূত্রঃ বিপিপিএ ওয়েবসাইট
প্রকিউরমেন্ট সংক্রান্ত আরও বিষয় দেখুনঃ