অবশেষে CPTU বিলুপ্তি হয়ে BPPA এর আত্মপ্রকাশ

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিপিটিউ ভবনে বিপিপিএর প্রথম পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) বিলুপ্তির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করলো বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)।
সিপিটিউর মহাপরিচালক এবং বিপিপিএর প্রথম প্রধান নির্বাহী মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী। বিপিপিএর সভাপতি থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী, সদস্য সচিব থাকবেন বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী।
সিপিটিউ এর আগে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অধিনে কাজ করতো। তবে অথরিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশের ফলে এখন থেকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। তবে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই আইএমইডি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে হবে।
প্রথম পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিপিএর কাঠামো এবং জনবল নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বিপিপিএ পরিচালনার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এসময় পরিচালনা পরিষদের প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে বিভিন্ন তাদের মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া সভায় বিপিপিএর কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়।
উক্ত সভায় বিপিপিএ’র পরিচালনা পর্ষদ নিম্নবর্ণিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে:
- সভাপতি- মাননীয় মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়;
- সিনিয়র সহ-সভাপতি- মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়;
- সহ-সভাপতি- সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়;
- অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন করে প্রতিনিধি;
- এফবিসিসিআই কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
- সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;
- বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা- সদস্য- সচিব।
এ ছাড়াও সরকার প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে।
বিপিপিএর পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠকে অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এবং এফবিসিসিআই মনোনীত পর্ষদ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি ক্রয় বিষয়ে আরও উন্নত সেবা প্রদান এবং দেশে সরকারি ক্রয় পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সিপিটিইউকে বিপিপিএতে রূপান্তর করেছে সরকার। ২০২৩ সালের ৫ জুলাই তারিখে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) বিল ২০২৩ উত্থাপন করেন। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিলটি জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে এবং আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
বিপিপিএ’র পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: শোহেলের রহমান চৌধুরী বিপিপিএ আইন এবং বিপিপিএ’র দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে উপস্থাপনা পেশ করেন। পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বিপিপিএ’র অর্গানোগ্রাম ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে বিপিপিএ’র অর্গানোগ্রাম ও পর্ষদের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয় শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিপিপিএর আত্মপ্রকাশ হিসেবে বলা হয়, কেনাকাটায় ব্যয় হয় জাতীয় বাজেটের ৪০শতাংশ ও এডিপি’র ৮০ শতাংশ অর্থ। ২০১১ সালে সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের সূচনা হয়। বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেম দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই দ্রুত সম্প্রসারণ সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সৃষ্ঠি হয়েছে। সীমিত জনবল দিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সিপিপিইউ’র জন্য খুবই কঠিন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিপিপিএ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

পাল্টা শুল্ক বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনের উপর আঘাত
যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যতটা শুল্ক চাপিয়ে থাকে, ২ এপ্রিল থেকে সেই দেশের পণ্যে পাল্টা তার উপযুক্ত হারে শুল্ক আরোপের

ই-জিপি তে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন কিভাবে করবেন ?
ই-জিপি তে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে হয়। আজকের আলোচনা এটা কিভাবে করবেন ? বিস্তারিত জানতে লগইন করুন You need to

বর্তমানে ই-জিপিতে উন্মুক্তকরণ কমিটি ছাড়া মূল্যায়ন কিভাবে হচ্ছে
আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে গত ১২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে ই-জিপি গাইড লাইন (সংশোধিত) ২০২৫ [Bangladesh e-Government Procurement (e-GP) Guidelines

আউটসোর্সিং এর নতুন নীতিমালা জারি
আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত সেবা কর্মীদের জন্য “আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০২৫” জারি করা হয়েছে। নীতিমালাটি দেখতে