এলটিএম এর ৫% বিধান বাতিলের প্রস্তাব
সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অর্থ সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ সংশোধনের জন্য একটি খসড়া অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হলে সেটি সংশোধনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিপিপিএতে ফেরত পাঠানো হয়।
অডিট আপত্তি নিয়ে কেস স্টাডি দেখুনঃ অডিট আপত্তি
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ সংশোধনের জন্য যে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিচে দেয়া হলোঃ
- পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ধারা ৩১ এ উল্লেখিত ১০ শতাংশ সংক্রান্ত বিধান অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ কার্যাদেশের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ বিধানের বিলোপ করা হতে পারে। অস্বাভাবিক নিম্নদরের ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণের জন্য অংশীজন সভার সুপারিশক্রমে একটি কারিগরি ওয়াকিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। ওই ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি বলে বৈঠকে জানানো হয়।
- বিদ্যমান আইনে পণ্য ও কার্য ক্রয়ের পাশাপাশি ভৌত সেবা ক্রয়কে পৃথক ক্রয় বিবেচনা এবং সম্পূর্ণ জিওবি অর্থে তথ্যপ্রযুক্তিজাত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রস্তাব আহ্বান অপরিহার্য হলে দেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে যৌথ উদ্যোগের অংশীদার করার বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- ই-জিপি সিস্টেমে প্রক্রিয়াযোগ্য সব সরকারি ক্রয়ে বাধ্যতামূলক ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে সম্পাদনের বিধান রাখা হয়েছে।
- আইনের ধারা ১৯ এবং ধারা ৩২-এ সীমিত দরপত্র পদ্ধতির ক্ষেত্রেও বিদ্যমান ৫ শতাংশ তুলে দিয়ে সংশোধনী খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটি সংশোধনের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে অংশীজন সভা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হয়েছে।
সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে শতভাগ e-GP (ইজিপি: ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) বা ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা আসবে; অন্যদিকে দুর্নীতি, অর্থের অপচয় ও টেন্ডারবাজি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এখন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে কেনাকাটার প্রায় ৬০ শতাংশ ইজিপিতে হয়।
প্রস্তাবিত খসড়া আইনে যেসব বিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, ওই বিধানসংশ্লিষ্ট বিধিগুলো একই সঙ্গে সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা যৌক্তিক হবে।
এই লেখকের অন্যান্য লেখা

কখন ভেরিয়েশন কমিটি প্রয়োজন নেই ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে

ভেরিয়েশন কে অনুমোদন করবেন (পিপিআর ২০২৫ অনুসারে) ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে

ভেরিয়েশন প্রক্রিয়াকরণের সময়সীমা কত (পিপিআর ২০২৫)
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে

ভেরিয়েশন কমিটি কি, কে অনুমোদন করবে, কাজ কি ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে