মাইনকার চিপায় আরেক জুন …

একটি পরাবাস্তব কাহিনি
মূল চরিত্রঃ ‘মাইনকা’ … মানুষের মত বোধ সম্পন্ন কোন এক এলিয়েন
ঘটনার স্থানঃ ‘চিপা’ … একটি স্থান, পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহের কোন এক এলিয়েনালয়
ঘটনার সময়ঃ ‘আরেক জুন’ … অন্য গ্রহের ক্যালেন্ডার থেকে নেয়া
ট্রেইলার
চিপায় থাকতে মাইনকা কে সবাই ভালবাসে। কেন ভালবাসে তা সে জানে। কিন্তু সে কাকে ভালবাসে জানে না।
মাইনকার চিপায় “আরেক জুন” বলে একটা সময় আছে। এই সময়টা তার জন্য অনেক বেশি গূরুত্বপূর্ণ। সারা বছর বসেই থাকে এই সময়টার জন্য।
আবার সেখানে “আরেক জুন” প্রায় আগত। কিন্তু সবচেয়ে কর্মঠ মাইনকা এগুলো নিয়ে কোন পরিকল্পনাই করে না। সে শুধু কাজ করে যায়। কারন সে জানে কিছু না কিছু সে পাবেই। পাওয়ার তালিকাটা প্রায়ই লাগাম ছাড়া হয়। এভাবেই অপার্থিব গল্পটা ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেঃ
১। নথি এবং Progress রিপোর্ট অনুযায়ী পরাবাস্তব কাজের অগ্রগতি ১০০% হবে। সেহেতু ‘আরেক জুনের’ পর বাকি কাজ যার করার কথা তিনি তা কেন করবেন তা নিয়ে শিক্ষামূলক ও জীবনমূখী সূদীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক শুরু হবে।
(পবিবার নিয়ে দেখার মত একটা ছবি)
২। ‘আরেক জুন’ শেষ হলে স্থানীয় বা জাতীয় পত্রিকায় তার নাম আসবে। সে হবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
(কিন্তু প্রসংশাসূচক কতগুলো বাক্য থাকবে তা গল্পের প্রয়োজনে এখনই বলা গেল না বলে দুঃখিত।)
৩। অন্য বিশেষ দপ্তরের লোকজন তাকে জরুরী ভাবে খুঁজবে।
(বিস্তারিত দেখতে হলে সিনেমাটা পুরো দেখতে হবে)
৪। মাইনকা বদলি হয়ে গেলেও পরাবাস্তব কাজগুলোর কি হবে তা নিয়ে সে কোন টেনশন করবে না। তার জায়গায় যিনি বদলী হয়ে আসবেন তিনি তার চেয়ে অদক্ষ্য হবেন তা ভাবার কোন কারন নাই। কেন টেনশন করবে সে ?
(এই নিয়ে বিশাল এক টান টান উত্তেজনা থাকবে কাহিনিতে)।
৫। তাকে বিশেষ এক জায়গায় অতিরিক্ত মাসুল দিতে হবে। অতিরিক্ত মাসুল দিলেও খুশি। (এই নিয়ে সাদামাটা একটা পর্ব থাকবে)।
(পৃথিবীতে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। তা সত্য কি মিথ্যা তা এই গল্পের বিষয় নয়।)

৬। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় অগ্রগতি ১০০% দেখাতে পারায় ঊর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চিত ভাবেই মাইনকার গূরুত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে (দ্রুত পদন্বতি নিশ্চিত)।
(সেলিব্রেশন হবে এই পর্বে)
৭। এভাবে মাইনকার প্রতি আপামর জনগনের আস্থা তা ধিন ধিন করে বৃদ্ধি পাবে।
(সমাপ্তি পর্ব, চোখের জল আটকিয়ে রাখা কঠিন হবে।)
এভাবেই মাইনকার চিপায় আরেক জুনের গল্পটা সিনেমায় রূপ নিবে।
পুরো সিনেমাটা দেখতে হলে বেশি বেশি শেয়ার দিতে হবে। কেউ একজন শেয়ার দিতে ভুলে যাওয়ায় তাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল … তখন সময়টা “আরেক জুন” ছিল না … ছিল সত্যি সত্যি কোন এক জুন মাস।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানকার সব শব্দ, বাক্য, দাঁড়ি, কমা, চরিত্র, সময়কাল, গল্প, কাহিনি, আর যা যা আছে সব কাল্পনিক। এর সাথে জীবিত, মৃত বা অন্য কিছুর কোন মিল খুঁজে পেলে তা কাকতালীয় এবং একান্তই পাঠকের ব্যক্তিগত।)
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সংশোধিত ই-জিপি গাইড লাইন ২০২৫ এর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে
গত ১২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে ই-জিপি গাইড লাইন (সংশোধিত) ২০২৫ [Bangladesh e-Government Procurement (e-GP) Guidelines (Revised), 2025] গেজেট আকারে

Strategies for Saying “No” as a Project Manager
Project managers frequently find themselves juggling competing priorities, tight deadlines, and stakeholder demands. While accommodating requests is important for maintaining

প্রকিউরমেন্টে Asymmetric Information এর প্রভাব
প্রকিউরমেন্ট এবং সাপ্লাই চেইনে অ্যাসিমেট্রিক ইনফরমেশন (Asymmetric Information) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে তথ্যের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। এ

Asymmetric Information কি ?
অ্যাসিমেট্রিক ইনফরমেশন (Asymmetric Information) অর্থ হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে একটি পক্ষ অন্য পক্ষের তুলনায় অধিক বা বা উন্নতমানের তথ্য