এখানে একটি ধারা নিয়ে আলোচনা করা হলো। তবে পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই “প্রকিউরমেন্টবিডি” তে উল্লেখিত আইনের ধারা বা বিধিমালার কোন বিষয় যাচাই ব্যতীত ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধার বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
ইট লাল ফন্ট কালারের লিখার অংশগুলো ইতিপূর্বেকার সংশোধনী। আর সবুজ ফন্ট কালারের লিখার অংশগুলো পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ২২শে আষাঢ় ১৪১৩/৬ জুলাই ২০০৬
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নি্গলিখিত আইনটি ২২শে আষাঢ় ১৪১৩ মোতাবেক ৬ই জুলাই ২০০৬ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছেঃ-
২০০৬ সনের ২৪ নং আইন
সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অর্থের সর্বোন্তম মূল্য, দক্ষতা, নৈতিকতা, গুনগতমান ও টেকসই ক্রয় নিশ্চিত করা এবং উক্তরূপ ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের ইচ্ছুক সকল ব্যক্তির প্রতি সম-আচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করিবার জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধানকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অর্থের সর্বোন্তম মূল্য, দক্ষতা, নৈতিকতা, গুনগতমান ও টেকসই ক্রয় নিশ্চিত করা এবং উক্তরূপ ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের ইচ্ছুক সকল ব্যক্তির প্রতি সম-আচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করিবার জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
প্রথম অধ্যায়
প্রাথমিক বিষয়াদি
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন-
(১) এই আইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে ৷
*(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবৎ হইবে৷
*এস, আর, ও নং ২০-আইন/২০০৮, তারিখঃ ২৭ জানুয়ারি, ২০০৮ দ্বারা ৩১ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখকে উক্ত আইন কার্যকর করার তারিখ হিসাবে নির্ধারণ করিল।
২। সংজ্ঞা
বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) “অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ” অর্থ আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ মোতাবেক পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ;
(২) “আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ” অর্থ সরকারী ক্রয়কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ বা উহার অধীন প্রদত্ত আর্থিক ক্ষমতা পুনঃঅর্পণ আদেশ;
(৩) “আবেদনকারী” অর্থ ধারা ৩২(ক) এর অধীন সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হইবার জন্য, বা ষষ্ঠ অধ্যায়ের অংশ-২ এর অধীন প্রাক্-যোগ্যতা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্-যোগ্যতা অর্জনের জন্য, বা ধারা ৫৪ এর অধীন আগ্রহ ব্যক্তকরণের আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইবার জন্য, আগ্রহী ব্যক্তি;
(৪) “উন্মুক্তকরণ (opening) কমিটি” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত দরপত্র উন্মুক্তকরণ বা প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি;
(৫) “কোটেশন” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত আর্থিক সীমা সাপেক্ষে, সহজলভ্য প্রমিত পণ্য, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের জন্য দরপত্রদাতাগণের নিকট হইতে লিখিতভাবে প্রাপ্ত মূল্য জ্ঞাপক প্রস্তাব;
(৬) “কার্য” অর্থ রেলপথ, রাস্তা, সড়ক, মহাড়ক বা কোন ভবন, অবকাঠামো বা কাঠামো বা স্থাপনা নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, সাইট প্রস্তুতকরণ, অপসারণ, মেরামত, রক্ষাণাবেক্ষণ বা নবরূপদান সংক্রান্ত সকল কাজ, অথবা খননকার্য, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংস্থাপন, ডেকোরেশনসহ যে কোন প্রকারের নির্মাণ কাজ এবং উহার সহিত সংশ্লিষ্ট ভৌত সেবা যদি উহার মূল্য কার্যের মূল্য অপেক্ষা অধিক না হয়;
(৭) “ক্রয়” অর্থ কোন চুক্তির অধীন পণ্য সংগ্রহ বা ভাড়া করা বা সংগ্রহ ও ভাড়ার মাধ্যমে পণ্য আহরণ এবং কার্য বা সেবা সম্পাদন;
(৮) “ক্রয়কারী (procuring entity)” অর্থ সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন কোন ক্রয়কারী;
(৯) “ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান (Head of the Procuring entity)” অর্থ কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, সরকারী অধিদপ্তর বা পরিদপ্তরের প্রধান বা, ক্ষেত্রমত, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, জেলা জজ বা পদনাম নির্বিশেষে কোন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্বায়তত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশন অথবা কোম্পানী আইনের অধীন নিয়মিত নিগমিত (incorporated) কোন সংস্থার প্রধান নির্বাহী;
৯ক) “ক্রয় কৌশল (procurement strategy)” অর্থ ক্রয় কাজে সর্বোত্তম অর্থমূল্য নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে কোনো ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ এবং চুক্তি বাস্তবায়নে প্রকল্প ধারণা, কর্মপরিবেশ, অংশীজন এবং বাজার ও বিকল্প বিশ্লেষণ, টেকসইতা (sustainability), ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদির আলোকে গৃহীত কৌশল ও পদ্ধতি;
(৯খ) “টেকসই সরকারি ক্রয় (sustainable public procurement)” অর্থ এমন একটি প্রক্রিয়া বা কৌশল যাহা টেকসহ সরকারি ক্রয় চাহিদা, কারিগরি বিনির্দেশ এবং মানদন্ডগুলিকে একীভূত করিবে এবং যাহা সম্পদের কার্যকারিতা, পণ্যের মান ও সেবার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে সামগ্রিক ব্যয় সমন্বয় করিবার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা, সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমর্থন করিবে;
(১০) “ঠিকাদার” অর্থ এই আইনের অধীন কোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারীর সহিত চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি;
(১১) “দরপত্র” বা “প্রস্তাব” অর্থ দরপত্র দাখিলের আহবান বা, ক্ষেত্রমত, প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোন দরপত্রদাতা বা কোন পরামর্শক কর্তৃক পণ্য, কার্য বা সেবা সরবরাহের জন্য ক্রয়কারীর নিকট দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রস্তাব; এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোটেশনও দরপত্রের অন্তুর্ভূক্ত হইবে;
(১২) “দরপত্র দলিল” বা “প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিল” অর্থ দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুত করিবার ভিত্তি হিসাবে ক্রয়কারী কর্তৃক কোনো দরপত্রদাতা বা পরামর্শককে সরবরাহকৃত দলিল;
(১৩) “দরপত্রদাতা” অর্থ দরপত্র দাখিলকারী ব্যক্তি;
(১৪) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা অনুরূপ বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;
(১৪ক) “নিষ্পত্তি (disposal)” অর্থ বিক্রয়, নিলাম বা এতদসংক্রান্ত সরকারি নীতিমালায় বর্ণিত প্রক্রিয়ায় ক্রয়কারী কর্তৃক সরকারি সম্পন্তির অপনয়ন বা হস্তান্তর;
(১৫) “নৈতিক বিধি” অর্থ ক্রয় কার্যের অংশগ্রহণের সময় কোন ব্যক্তি কর্তৃক অবশ্য পালনীয় কোন শর্ত বা বিধান;
(১৬) “পণ্য ” অর্থ কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য দ্রব্য ও যন্ত্রপাতি এবং কঠিন, তরল বা বায়বীয় আকারে পণ্য দ্রব্য, বিদ্যুৎ, প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার সফটওয়্যার (Off-the-shelf) ও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তিজাত অথবা সমজাতীয় সফটওয়্যার এবং পণ্য সংশ্লিষ্ট সেবা, যদি উহার মূল্য পণ্যের মূল্য অপেক্ষা অধিক না হয়;
(১৭) “পরমার্শক” অর্থ বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা প্রদানের জন্য ক্রয়কারীর সহিত চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি;
(১৮) “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট” অর্থে সরকারী তহবিল দ্বারা ক্রয়কে বুঝাইবে;
(১৯) “প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ” অর্থ, যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী, ক্রয়কারী কার্যালয়, প্রধান, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব;
(২০) “প্রাক-যোগ্যতা” অর্থ দরপত্রে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসাবে যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য আহবান জানাইবার প্রক্রিয়া;
(২১) “ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি” অর্থ পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবার মূল্য এবং, ক্ষেত্রমত, পরিমাণ বা অনুমিতি সম্পর্কিত শর্তাধীন কোন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের জন্য একা বা একাধিক ক্রয়কারীর সহিত এক বা একাধিক সরবরাহকারীর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পাদিত চুক্তি;
(২১) “ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট” অর্থ পণ্য, কার্য বা সেবার মুল্য এবং ক্ষেত্রমত, পরিমাণ বা অনুমিত পরিমাণ সম্পর্কিত শর্তাধীন কোনো পণ্য, সাধারণ কার্য, ভোত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের জন্য এক বা
একাধিক ত্রয়কারীর সহিত এক বা একাধিক দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের সহিত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পাদিত এগ্রিমেন্ট;
(২১ক) “বিপিপিএ” অর্থ বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ);
(২২) “বিজ্ঞাপন” অর্থ ব্যাপক প্রচারের উদ্দেশ্যে সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট বা অন্য কোন গণমাধ্যমে ধারা ৪০ এর অধীন প্রদত্ত বিজ্ঞাপন;
(২৩) “ব্যক্তি” অর্থ ক্রয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ, ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, কোম্পানী, সংঘ, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও সমবায় সমিতিকে বুঝাইবে;
(২৪) “বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত”অর্থ বুদ্ধিবৃত্তিক অথবা পেশাগত বিষয়ে চুক্তিতে বর্ণিত মতে পরামর্শক কর্তৃক পরামর্শ প্রদান, বা কোন কম্পিউটার সফটওয়্যার ও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তিজাত অথবা সমজাতীয় সফটওয়্যার প্রস্তুতকরণ, বা ডিজাইন প্রণয়ন, বা কাজের তত্ত্বাবধান বা ব্যবহারিক জ্ঞান হস্তান্তর বিষয়ক সেবা, এবং সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত কোন বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা;
(২৫) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(২৬) “ভৌত সেবা” অর্থ
(ক) পণ্য সরবরাহ বা কার্য সম্পাদনের সহিত সম্পর্কিত সুযোগ-সবিধা প্রদানকারী উপকরণাদি বা কোন প্রতিষ্ঠানের ভবন ও সরঞ্জাম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বা জরিপ বা অনুসন্ধানমূলক খননকার্য;
(খ) নিরাপত্তা সেবা, পরিবেশন সেবা, ভূতত্ত্ব বিষয়ক সেবা বা একক সেবাদানমূলক চুক্তির অধীনে তৃতীয় পক্ষ প্রদত্ত কোন সেবা; বা
(গ) প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন [Pre-Shipment Inspection (PSI)] এজেন্ট নিয়োগ, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট নিয়োগ, পণ্য পরিবহন কাজ, ভাড়ায় যানবাহন সংগ্রহ, মালামাল পরিবহনের জন্য পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগ বা বীমা ঝুঁকি; বা
(ঘ) আউটসোর্সিং (out-sourcing) এর মাধ্যমে ক্রয়কারী কর্তৃক সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে এই আইনের অধীন নির্দিষ্ট্কৃত কোন সেবা বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্য সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত কোন সেবা;
ব্যাখ্যা: এই দফায় উল্লিখিত আউটসোর্সিং (out-sourcing) বলিতে এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণের বিষয়টি সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশে ̈ সময়ে সময়ে জারীকৃত বিধিমালা বা নীতিমালা বা অনুরূপ কোন নির্দেশনাকে বুঝাইবে।;
(২৭) “মান” অর্থ পণ্য, কার্য বা সেবার গুণগত মান;
(২৮) ‘‘মূল্যায়ন কমিটি” অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি;
(২৯) “রেসপনসিভ” অর্থ দরপত্র দলিল বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিলে ঘোষিত ও নির্দিষ্টকৃত মূল্যায়ন নির্ণায়কের ভিত্তিতে বিবেচিতব্য;
(৩০) “রিভিউ প্যানেল” অর্থ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল;
(৩১) “লিখিতভাবে’‘ অর্থ যথাযথভা স্বাক্ষরযুক্ত হাতে লিখিত বা যন্ত্র দ্বারা মুদ্রিত কোন যোগাযোগ এবং যথাযথভাবে প্রমাণীকৃত ফ্যাক্স বা ইলেকট্রনিক বার্তাও উহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;
(৩২) “সরকারী ক্রয়” অর্থ এই আইনের অধীন সরকারী তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে কোন ক্রয়কারী কর্তৃক ক্রয়;
(৩৩) “সরকারি তহবিল ” অর্থ সরকারি বাজেট হইতে ক্রয়কারীর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ, অথবা কোন উন্নয়ন সহযোগী বা বিদেশী রাষ্ট্র বা সংস্থা। কর্তৃক সরকারের মাধ্যমে ক্রয়কারীর অনুকূলে ন্যস্ত অনুদান ও ঋণ এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারি, আধা-সরকারি বা কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্কার তহবিল;
(৩৪) “সরবরাহকারী” অর্থ এই আইনের অধীন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারীর সহিত চুক্তি-সম্পাদনকারী ব্যক্তি;
(৩৫) “সংক্ষিপ্ত তালিকা” অর্থ ধারা ৫৪ এর অধীন আগ্রহ ব্যক্তকরণের আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত আবেদনপত্র মূল্যায়নের পর বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা প্রদানের প্রস্তাব দাখিলের আহবান জানাইবার জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীগণের তালিকা;
(৩৬) “সংশ্লিষ্ট সেবা” অর্থ পণ্য সরবারহ চুক্তির সহিত সম্পর্কিত সেবা;
(৩৭) “সেবা” অর্থ সংশ্লিষ্ট সেবা, ভৌত বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ৷ ;
(৩৮) “সেবা প্রদানকারী” অর্থ এই আইনের অধীন ভৌত সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারীর সহিত চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি।
৩৷ প্রয়োগ ও প্রযোজ্যতা
(১) সমগ্র বাংলাদেশে এই আইনের প্রয়োগ হইবে ৷
(২) এই আইন নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র প্রযোজ্য হইবে, যথাঃ-
(ক) কোন ক্রয়কারী কর্তৃক সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়;
(খ) সংশ্লিষ্ট আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন সরকারি, আধা-সরকারি বা কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত সংবিধিবদ্ধ সংস্কার তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়;
(গ) কোন কোম্পানী, কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত, সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়;
(ঘ) কোন উন্নয়ন সহযোগী বা কোন বিদেশী রাষ্ট্র বা সংস্থার সহিত সরকারের সম্পাদিত কোন ঋণ, অনুদান বা অন্য কোন চুক্তির অধীন, কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সম্পাদিত কোন চুক্তির শর্তে ভিন্নতর কিছু থাকিলে উক্ত চুক্তির শর্ত প্রাধান্য পাইবে।
(৩) ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস, মিশন বা অনুরুপ দপ্তরসমূহে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান বা আন্তর্জাতিকভাবে সুবিদিত কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ক্রয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
৪৷ আইনের প্রাধান্য –
অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের, বিধানাবলী কার্যকর হইবে ৷