এখানে কয়েকটি ধারা নিয়ে আলোচনা করা হলো। তবে পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই “প্রকিউরমেন্টবিডি” তে উল্লেখিত আইনের ধারা বা বিধিমালার কোন বিষয় যাচাই ব্যতীত ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধার বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
অংশ-১: সাধারণ নির্দেশনা
৯৷ ক্রয় সংক্রান্ত আইন, ইত্যাদি সাধারণের প্রাপ্যতা
সরকার, এই আইন, তদধীনে প্রণীত বিধি, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা ও সর্বসাধারণের প্রয়োজন হইতে পারে এইরূপ ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্র বা দলিলপত্র যাহাতে সর্বসাধারণের সহজ প্রাপ্তিসাধ্য হয় উহা নিশ্চিত করিবে এবং উহাদের যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করিবে৷
১০৷ যোগাযোগের ধরণ
(১) এই আইনের অধীন ক্রয় কার্যে ক্রয়কারী কর্তৃক বা ক্রয়কারীর সহিত যাবতীয় যোগাযোগ লিখিত হইতে হইবে৷
(২) এই আইনের অধীন লিখিতভাবে বা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে অথবা উভয় পদ্ধতিতে যোগাযোগ করা যাইবে৷
১১৷ ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, ইত্যাদি
(১) সরকারের উন্নয়ন বাজেটের অর্থ দ্বারা বাস্তবায়িতব্য কোন প্রকল্পের অধীন ক্রয়কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উক্ত প্রকল্প দলিলে বিধৃত সার্বিক ক্রয় পরিকল্পনা ক্রয়কারী বৎসরভিত্তিক হালনাগাদ করিয়া বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে৷
(২) সরকারের রাজস্ব বাজেটের অধীন কোন ক্রয়কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী একটি বাত্সরিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে৷
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন প্রণীত প্রত্যেক বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে৷
(৪) ক্রয়কারী এই ধারার অধীন প্রণীত ক্রয় পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করিবে এবং উক্তরূপ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে৷
(৫) ক্রয়কারী সাধারণভাবে কোন একক ক্রয় কাজকে একাধিক প্যাকেজে বিভক্ত করিতে পারিবে না, তবে ক্রয়কারী ক্রয়কার্য সম্পাদনের সুবিধার্থে একটি একক কাজ একাধিক প্যাকেজে এবং একটি প্যাকেজকে একাধিক লটে বিভক্ত করিতে পারিবে৷
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কোন একক কাজ একাধিক প্যাকেজে বিভক্ত করা হইলে, উক্ত প্যাকেজসমূহের মোট অর্থের পরিমাণ অনুমোদনের এখতিয়ার যে কর্তৃপক্ষের থাকিবে, উক্ত যে কোন প্যাকেজের চুক্তি সম্পাদনের জন্য সকল প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সেই কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে৷
১২৷ ক্রয় সংক্রান্ত দলিল
(১) ক্রয়কারী ক্রয়কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রাক-যোগ্যতা, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব আহবানের জন্য দলিল প্রস্তুত করিবার সময়, ক্রয়ের উদ্দেশ্যের আবশ্যকীয় উপাদানগুলো বিবেচনায় রাখিয়া, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্দিষ্টকৃত আদর্শ দলিল ব্যবহার করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আদর্শ দলিল, উহাতে নির্দেশিত ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনপূর্বক ব্যবহার করিতে হইবে৷
১৩৷ ক্রয়কার্যে প্রতিযোগিতা
(১) ক্রয়কারী নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ক্রয় প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতামূলক করিবার নিশ্চয়তা বিধানের উদ্দেশ্যে, আবেদনপত্র, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব প্রস্তুত করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সকল আবেদনকারী, দরপত্রদাতা বা পরামর্শককে প্রদান করিবে৷
(২) যোগ্যতা নির্ধারণ ও মূল্যায়নের নির্ণায়কসমূহ সংশ্লিষ্ট দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক আবেদনকারী, দরপত্রদাতা বা পরামর্শক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট আহবানে যথাযথভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য ক্রয় পদ্ধতির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ এইরূপ ন্যুনতম সময় প্রদান নিশ্চত করিতে হইবে৷
১৪৷ দরপত্রের মেয়াদ নির্ধারণ, নিরাপত্তা জামানত প্রদান, ইত্যাদি
দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলে-
(ক) দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ এইরূপে নির্ধারণ করিতে হইবে, যেন দরপত্র বা প্রস্তাবের মূল্যায়ন ও উহার তুলনামূলক যাচাই এবং প্রয়োজনীয় সকল পর্যায়ের অনুমোদন গ্রহণের জন্য উহা পর্যাপ্ত হয়, এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের জন্য নোটিশ প্রদান করা সম্ভব হয়ঃ
(খ) পণ্য ও কার্য ক্রয়ে নির্দিষ্টকৃত দরপত্র জামানত এবং ক্রয়কার্য সম্পাদন জামানতের নির্দিষ্ট হার ও নির্ধারিত পদ্ধতি উল্লেখ থাকিবে৷ তবে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি এবং কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির ক্ষেত্রে দরপত্রদাতার জন্য দরপত্র জামানত প্রদান বাধ্যতামূলক হইবে না;
(গ) পণ্য ও কার্য সংক্রান্ত চুক্তির জন্য, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুমিত রক্ষণযোগ্য অর্থ কি পদ্ধতিতে কর্তন এবং পরবর্তী সময়ে পুনর্ভরণ করা হইবে উহা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে;
(ঘ) সেবা ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তিকে প্রস্তাব জামানত দাখিল করিতে হইবে না, তবে পরামর্শককে কি ধরনের ক্ষতিবহন প্রতিশ্রুতি বীমাপত্র অথবা ক্ষতিবহন প্রতিশ্রুতি এবং বীমাপত্র দাখিল করিতে হইবে উহা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, পরামর্শকের সহিত চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কার্য সম্পাদন জামানত আরোপ করা যাইতে পারে।
১৫৷ বিনির্দেশ (specification) এবং কর্মপরিধি (terms of reference) প্রস্তুত
(১) ক্রয়কারী, দরপত্রদাতাগণের মধ্যে পক্ষপাতহীন ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, ক্রয়ের জন্য নির্দিষ্টকৃত পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, অথবা কার্য ও ভৌত সেবার কারিগরী বিনির্দেশ ও বর্ণনা প্রস্তুত করিবার সময় উহার প্রত্যাশিত কার্যসম্পাদনের যোগ্যতার স্তর, বৈশিষ্ট এবং মান সম্পর্কে সঠিক ও পরিপূর্ণ বর্ণনা প্রদান করিবে এবং সেইমত পণ্য, কার্য, সেবা ক্রয় নিশ্চিত করিবে; তবে উহা যেন সীমাবদ্ধকর না হয় তাহার নিশ্চয়তা বিধান করিতে হইবে৷
(২) ক্রয়কারী, পরামর্শকদের মধ্যে পক্ষপাতহীন ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, পরামর্শকদের কার্যপরিধি নির্ধারণের সময় পেশাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সেবা ক্রয়ের সঠিক ও পূর্ণাংগ বর্ণনা প্রদান করিবে; তবে প্রতিযোগিতা সীমিত করিতে পারে এইরূপ কোন শর্ত আরোপ করা যাইবে না৷
১৬৷ সামাজিক বিচার্য বিষয়
কোন ক্রয়কারী ক্রয় সংক্রান্ত দলিলে শ্রমিকদের মজুরীর মান ও তত্সশ্লিষ্ট সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং শিশু শ্রম নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত কোন বিধানের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ কোন শর্ত অন্তর্ভূক্ত করিতে পারিবে না৷
১৭৷ দলিলপত্রাদি অনুবাদ ও প্রকাশনা৷
সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন জারীকৃত বিধি, আদেশ, নির্দেশ বা ক্রয় সংক্রান্ত কোন দলিল বা উহার অনুবাদ প্রকাশ করিতে পারিবে না৷
১৮৷ ক্রয় প্রক্রিয়ার গোপনীয়তা রক্ষা
(১) ক্রয়কারী, মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক কোন ব্যক্তির নিকট যাচিত স্পষ্টীকরণের ক্ষেত্র ব্যতীত, দরপত্র বা প্রস্তাব উন্মুক্ত বা খোলা হইতে চুক্তি সম্পাদন পর্যন্ত প্রক্রিয়ার গোপনীয়তা রক্ষা করিবে৷
(২) কোন ব্যক্তি ক্রয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করিবার কোনরূপ চেষ্টা করিলে উক্ত ব্যক্তির প্রাক্-যোগ্যতা, দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিল হইবে৷
১৯৷ দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিলকরণ
(১) ক্রয়কারী, সংশ্লিষ্ট দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলে উহা উল্লেখ থাকা সাপেক্ষে, চুক্তি সম্পাদন নোটিশ জারীর পূর্বে, যে কোন সময়, নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে, সকল দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিল করিতে পারিবে৷
(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলন (Official estimate) উল্লেখ করিতে হইবে । তবে কোন দরদাতা কর্তৃক দরপত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ৫% (পাঁচ শতাংশ) এর অধিক কম বা অধিক বেশী দর উদ্ধৃত করা হইলে উক্ত দরপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিল পরবর্তী গৃহীতব্য ব্যবস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে৷
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিল করা হইলে কোন ব্যক্তির নিকট ক্রয়কারীর কোন দায় বর্তাইবে না৷
২০৷ ক্রয় অনুমোদন প্রক্রিয়া ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ
ক্রয় অনুমোদন প্রক্রিয়া ও চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারীর ক্ষেত্রে ক্রয়কারী-
(ক) দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন উন্মুক্ত করিবার সময় হইতে চুক্তি সম্পাদন নোটিশ জারী পর্যন্ত নির্ধারিত প্রক্রিয়া ও সময়সীমা অনুসরণ করিবে;
(খ) দরপত্র বা প্রস্তাব বা কোটেশন অনুমোদনের উদ্দেশ্যে, সরকারের আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে;
(গ) দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে, কৃতকার্য দরপত্রদাতা বা পরামর্শককে চুক্তি সম্পাদনে নোটিশ জারী করিবে৷
২১৷ চুক্তি সম্পাদন নোটিশ প্রকাশ এবং অবহিতকরণ
(১) ক্রয়কারী নির্ধারিত ফরমে নোটিশ বোর্ডে অথবা উহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, চুক্তি সম্পাদন নোটিশ জারী করিবে এবং নির্ধারিত মূল্যসীমার উর্ধ্বের চুক্তির ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করিবে৷
(২) ক্রয় বিষয়ে কৃতকার্য দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের সহিত চুক্তি স্বাক্ষরের পর, যে কোন দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের স্বীয় দরপত্র বা প্রস্তাব সম্পর্কে ক্রয়কারীর নিকট হইতে জানিবার অধিকার থাকিবে এবং উক্তরূপে যদি কোন দরপত্রদাতা বা পরামর্শক তাহার দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে ক্রয়কারীর নিকট জানিতে চাহেন, তাহা হইলে ক্রয়কারী উক্ত দরপত্রদাতা বা পরামর্শককে তাহার আপেক্ষিক অবস্থান এবং দরপত্র বা প্রস্তাবের ঘাটতিসমূহ অবহিত করিবে৷
২২৷ চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা
ক্রয়কারী কার্যকরভাবে চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত নির্দেশনাবলী অনুসরণ করিবে৷
২৩৷ ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণ
(১) ক্রয়কারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ক্রয়কার্য সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিবে৷
২৪৷ ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ
(১) ক্রয়কারী প্রত্যেক অর্থ বত্সর সমাপ্তির নয় মাসের মধ্যে পূর্ববর্তী বত্সরে সম্পাদিত মোট ক্রয় কার্যের নমুনাভিত্তিক নিরপেক্ষ ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণের ব্যবস্থা করিবে৷
(২) সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্তৃপক্ষ ক্রয়কারী কর্তৃক সম্পাদিত ক্রয়কার্যের ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ করিতে পারিবে৷
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন পুনরীক্ষণের ক্ষেত্রে দৈবচয়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হইবে এবং উক্ত পদ্ধতির রূপরেখা বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে৷
অংশ-২: ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন
২৫৷ বৈষম্যহীনতা
সরকার ভিন্নরূপ কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করিলে, ক্রয়কারী কোন ব্যক্তিকে তাহার বর্ণ, জাতীয়তা বা জাতিগত, অথবা ক্রয় সংক্রান্ত দলিলে উল্লিখিত যোগ্যতা বা এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার সহিত সম্পর্কযুক্ত নহে এইরূপ কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণে নিবৃত্ত করিবে না৷
২৬৷ ব্যক্তির যোগ্যতা
(১) ক্রয়কারী ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের জন্য তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ন্যুনতম যোগ্যতার নির্ণায়কসমূহ বা অন্যান্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কী কী যোগ্যতা অর্জন করিতে হইবে, উহা ক্রয় সংক্রান্ত দলিলে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঠিকাদারের তালিকা সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ধারণে অতীতে সম্পাদিত কার্যের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হইবে না।
আরো শর্ত থাকে যে, অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঠিকাদার কর্তৃক অতীতে সম্পাদিত কার্যক্রয়ের অভিজ্ঞতাসহ অন্যান্য অভিজ্ঞতার আলোকে প্রণীত তালিকা সংরক্ষণ করিতে হইবে। তবে ক্রয়কারী আইনের ধারা ৩১ অনুযায়ী অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকা পর্যন্ত কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত পদ্ধতিও ব্যবহার করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত নির্ণায়কসমূহ কোন ব্যক্তি কর্তৃক অতীতে সম্পাদিত ক্রয়কার্য, উত্পাদন ক্ষমতা এবং কোন নির্দিষ্ট ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কিত হইতে হইবে৷
২৭৷ যৌথ উদ্যোগ
(১) কোন ব্যক্তি, স্বতন্ত্রভাবে বা দেশী বা বিদেশী অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সহিত যৌথ উদ্যোগে, কোন আবেদনপত্র, আগ্রহ ব্যক্তকরণের আবেদনপত্র, প্রস্তাব বা দরপত্র দাখিল করিতে পারিবে৷
(২) এই ধারার অধীন প্রাক্-যোগ্যতা, আগ্রহ ব্যক্তকরণ বা দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলে যৌথ উদ্যোগে আবেদনপত্র, আগ্রহ ব্যক্তকরণের আবেদনপত্র, প্রস্তাব বা দরপত্র দাখিল করিতে হইবে মর্মে আবশ্যিক হিসাবে কোন শর্ত আরোপ করা যাইবে না৷
(৩) ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তিবর্গ যৌথভাবে এবং পৃথক পৃথকভাবে ক্রয়কারীর নিকট দায়ী থাকিবে৷
২৮৷ স্বার্থের সংঘাত
(১) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং উহার সহিত অঙ্গীভূত কোন প্রতিষ্ঠান যদি কোন ক্রয়কারী কর্তৃক ইতঃপূর্বে নিয়োজিত হইয়া কোন প্রকল্প প্রণয়ন বা বাস্তবায়নে পেশাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সেবা প্রদান করিয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উক্ত প্রকল্প হইতে সরাসরিভাবে উদ্ভূত বা ফলশ্রুতিতে আবশ্যক হয় এমন কোন পণ্য সরবরাহ, কার্য সম্পাদন বা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অযোগ্য হইবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি যদি ঠিকাদার হিসাবে টার্ন কী অথবা ডিজাইন ও নির্মাণ চুক্তি বাস্তবায়নের সহিত সম্পৃক্ত থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
অংশ-৩: অভিযোগ ও আপীল
২৯৷ অভিযোগ করিবার অধিকার
(১) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন ক্রয়কারীর উপর অর্পিত দায়িত্ব্ পালনে ব্যর্থতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তিনি উক্ত ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে ধারা ৩০ এ বর্ণিত কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন৷
(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অভিযোগ দায়ের করা যাইবে না যথাঃ-
(ক) পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয় পদ্ধতি নির্বাচন;
(খ) কোন আবেদনকারীর সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান;
(গ) যে সকল ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে-
(অ) প্রাক্-যোগ্যতার আবেদন, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিল করিবার সিদ্ধান্ত; বা
(আ) সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত৷
৩০৷ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের, আপীল, ইত্যাদি
(১) ধারা ২৯ এর অধীন দায়েরতব্য প্রতিটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ের করিতে হইবে এবং উক্তরূপে কোন অভিযোগ দায়ের হইলে, উক্ত কর্তৃপক্ষ উহা বিবেচনাক্রমে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে৷
(২) কোন ব্যক্তি, যদি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হন বা উক্ত কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সেই ক্ষেত্রে সরকার বা তত্কর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রিভিউ প্যানেলের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
(৩) ধারা ৩০ (২) এর অধীন সরকার, দায়েরকৃত কোন আপীল পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য আইন, সংশ্লিষ্ট পণ্য বা কার্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ে কারিগরী জ্ঞানসম্পন্ন, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং ক্রয় কার্যে সুবিদিত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক বা একাধিক রিভিউ প্যানেল গঠন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের চাকুরীরত কোন সদস্য রিভিউ প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হইবে না৷
(৪) এই ধারার অধীন আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তির বিষয়টি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷