এখানে কয়েকটি ধারা নিয়ে আলোচনা করা হলো। তবে পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই “প্রকিউরমেন্টবিডি” তে উল্লেখিত আইনের ধারা বা বিধিমালার কোন বিষয় যাচাই ব্যতীত ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধার বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
৩১৷ পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির প্রয়োগ
(১) ক্রয়কারী পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে অগ্রে বিবেচ্য হিসাবে নিম্নবর্ণিত শর্ত পরিপালনপূর্বক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিবে, যথাঃ-
(ক) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রাক্-যোগ্যতা নির্ধারণ;
(খ) দরপত্রদাতাগণকে বৈষম্যহীন ও সম-শর্তাধীনে প্রতিযোগিতার সুযোগ প্রদান;
(গ) ধারা ৪০ এ বর্ণিত বিধান অনুসরণে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান;
(ঘ) দরপত্র দাখিলের জন্য এবং পণ্য সরবরাহ, কার্য সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত ন্যুনতম সময় প্রদান;
(ঙ) সর্বনিম্ন মূল্যায়িত রেসপনসিভ দরপত্রদাতার সহিত চুক্তি সম্পাদন ৷
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে ৷
(৩) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন দরপত্রদাতা কতৃক দরপত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (Official cost estimate) ১০% (শতকরা দশ ভাগ) এর অধিক কম বা অধিক বেশি দর উদ্ধৃত করা হইলে উক্ত দরপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত দরপত্র মূল্য সমতার ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন ও কৃতকার্য দরদাতা নির্বাচন করিতে হইবে, কিন্তু লটারির মাধ্যমে কৃতকার্য দরদাতা নির্বাচন করা যাইবে না।
৩২৷ পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ে অন্যান্য ক্রয় পদ্ধতির প্রয়োগ
(১) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে ধারা ৩১ এ উল্লিখিত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে, কারিগরী অথবা অর্থনৈতিক কারণ যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হইলে ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত যে কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে, যথাঃ-
(অ) বিশেষায়িত প্রকৃতির পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা, যাহা কেবল সীমিত সংখ্যাক সরবরাহকারী বা ঠিকাদারগণের নিকট হইতে লভ্য হয়;
(আ) খুচরা যন্ত্রাংশের মজুদ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হ্রাস করিবার উদ্দেশ্যে, কোন ব্রান্ডের নির্দিষ্ট মান প্রমিতকরণ সংক্রান্ত সরকারী নীতি থাকিলে;
(ই) অধিক সংখ্যাক দরপত্র গ্রহণ ও মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও ব্যয় চুক্তি মূল্যের তুলনায় অসমঞ্জস হয়ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, দফা (অ) এবং (আ) এর ক্ষেত্রে কোন মূল্যসীমা প্রযোজ্য হইবে না এবং সকল সরবরাহকারী বা ঠিকাদারদেরকে দরপত্র দাখিলের জন্য আহ্বান জানাইতে হইবে এবং দফা (ই) এর ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সরবরাহকারী বা ঠিকাদারদের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যসীমা সাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবে;
(খ) সম্ভাব্য প্রতিযোগিতা এড়াইবার জন্য বা দরপত্রদাতাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোন পন্থা অবলম্বন না করিয়া নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে, যথাঃ-
(অ) কারিগরী কারণে পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা সরবরাহের জন্য কেবল একজন দরপত্রদাতা থাকিলে;
(আ) দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যমাত্রিক প্রকল্প দলিলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহিত সরাসরি চুক্তি সম্পাদনের ব্যবস্থা থাকিলে;
(ই) নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, মূল সরবরাহকারী কর্তৃক পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ, মূল ঠিকাদার কর্তৃক অতিরিক্ত কার্যসম্পাদন বা মূল সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের মাধ্যমে বর্ধিত সেবা ক্রয় করা হইলে;
(ঈ) ব্যতিক্রমী সুবিধাজনক শর্তে পণ্য ক্রয়, যদি উক্ত পণ্য সাম্প্রতিক অব্যবহৃত এবং উৎপাদনকারীর গ্যারান্টিযুক্ত হয়, অথবা, বাজার শর্তে পচনশীল পণ্যের ক্রয়, বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ক্রয় করা হইলে;
(উ) সরকার ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করিলে, বিশে’ষ ক্ষেত্রে সরকারী মালিকানাধীন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানা হইতে সরকারের নিজস্ব অর্থে পণ্য ক্রয় করা হইলে;
(ঊ) নির্ধারিত অর্থের মধ্যে অতি জরুরী বা প্রয়োজনীয় পণ্য, কার্য, সেবা ইত্যাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৷
(গ) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে, যদি-
(অ) বৃহদায়তন ও জটিল প্রকল্পের ক্ষেত্রে, ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রারম্ভে ক্রয়কারী কর্তৃক ক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট বস্তুর পূর্ণাংগ কারিগরী বিনির্দেশ প্রস্তুত করা সম্ভব না হয়; বা
(আ) দ্রুত বিকাশশীল কোন শিল্পে বিকল্প কারিগরী সমাধান লভ্য হয়;
(গগ) দফা (গ) এ উল্লেখিত দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রযোজ্য না হইলে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে;
(ঘ) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি, নির্ধারিত মূল্যসীমা সাপেক্ষে, প্রয়োগ করা যাইবে, যথাঃ-
(অ) বাজারে নিয়মিত বিদ্যমান এইরূপ প্রমিত মানের স্বল্প মূল্যের সহজলভ্য পণ্য বা ভৌত সেবা ক্রয়; বা
(আ) জন-উপযোগমূলক সরকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ওয়ার্কশপে রক্ষণাবেক্ষণ বা জরুরী মেরামত কাজের জন্য জরুরী ভিত্তিতে আবশ্যক পণ্যদ্রব্য ক্রয়; বা
(ই) সরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও উত্পাদন কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য ক্রয় ৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পদ্ধতিতে ক্রয় করা হইলে সেই পদ্ধতি ব্যবহারের কারণসমূহ ক্রয়কারী যথাযথভাবে নথিতে লিপিবদ্ধক্রমে সংরক্ষণ করিবে ৷
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পদ্ধতিসমূহের রূপরেখা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে ৷
অংশ-২: আন্তর্জাতিক ক্রয়
৩৩৷ পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত পদ্ধতির প্রয়োগ
পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ে যেইক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক দেশের অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে উহা ক্রয় করা সম্ভবপর নয় এবং বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক কার্যকর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় মর্মে ক্রয়কারীর নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হয়, সেইক্ষেত্রে ক্রয়কারী এই আইনের তৃতীয় ও ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিধান অনুসারে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দরপত্রদাতাদের প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের পর এবং নিম্নবর্ণিত শর্ত পরিপালন করিয়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিবে, যথাঃ-
(ক) দরপত্র আহবানের বিজ্ঞপ্তি ইংরেজী ভাষায় প্রকাশ এবং এই আইনের ধারা ৪০ এর বিধানানুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদান;
(খ) দরপত্র দলিলসমূহ ইংরেজী ভাষায় প্রণয়ন;
(গ) ক্রয়কারী দরপত্র দলিল প্রণয়নকালে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিবে, যথাঃ-
(অ) দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত ন্যুনতম সময় প্রদান;
(আ) জাতীয় চাহিদার সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, আন্তর্জাতিক মান বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত মানদন্ডের ভিত্তিতে কারিগরী বিনির্দেশ নির্ধারণ;
(ই) দরপত্রদাতাদেরকে দরপত্র জামানত ও কার্য-সম্পাদন জামানত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত মুদ্রায় বা মুদ্রাসমূহে উদ্ধৃত করিবার অনুমতি প্রদান;
(ঈ) স্থানীয় যোগান সংশ্লিষ্ট ব্যয় দরপত্রে টাকায় উদ্ধৃত করিবার জন্য দরপত্রদাতাকে নির্দেশ প্রদান;
(উ) চুক্তিপত্রে উল্লিখিত মুদ্রা বা মুদ্রাসমূহে চুক্তিমূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা;
(ঊ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত শর্তাবলীর অনুরূপ চুক্তির সাধারণ ও বিশেষ শর্তাবলী নির্ধারণ;
(ঋ) দরপত্র দলিলে, পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে গন্তব্যস্থলে সরবরাহের জন্য উদ্ধৃত মূল্যের, শুল্ক ও কর বাদে, এবং কার্যের ক্ষেত্রে কাজের মূল্যের, শুল্ক ও করসহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত হারে বাধ্যতামূলকভাবে দেশীয় অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যবস্থা গহণ :
তবে শর্ত থাকে যে, দেশীয় অগ্রাধিকার প্রদানে শিথিলতার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করিতে হইবে।
(ঋঋ) দফা (ঋ) অনুসারে অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য–
(অ) সংশ্লিষ্ট পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দরপত্রকে; এবং
(আ) কার্যের ক্ষেত্রে দরপত্র দাতাকে নির্ধারিত শর্ত পূরণ;
(এ) যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় অংশীদারিত্ব উৎসাহিত করা, কিন্তু উহা বাধ্যতামূলক শর্ত হিসাবে আরোপ না করা;
(ঐ) বৃহৎ বা জটিল কাজ সরবরাহ ও সংস্থাপনের চুক্তির ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তির বিকল্প পদ্ধতিসমূহ প্রয়োগঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বিরোধ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দরপত্র দলিলে বর্ণিত আন্তর্জাতিক সালিস-নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে ৷
৩৪৷ পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দুই পর্যায়, কোটেশন ও অন্যান্য পদ্ধতির প্রয়োগ
(১) পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত অবস্থার উদ্ভব হইলে দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে, যথাঃ-
(ক) ধারা ৩২(গ) এর বিধান অনুসারে যে সকল কারণে উক্ত পদ্ধতি প্রয়োগযোগ্য;
(খ) দেশের অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে উহা ক্রয় করা সম্ভব নয় বলিয়া ক্রয়কারীর নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হইলে;
(গ) বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক কার্যকর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় মর্মে ক্রয়কারীর নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হইলে ৷
(১ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগযোগ্য না হইলে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে।
(২) কোন একটি বিশেষ সময়ের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বাজার হইতে বিভাজ্য পণ্যসামগ্রী অধিক পরিমাণে ক্রয় করা আবশ্যক হইলে, নিম্নরূপ প্রক্রিয়া অনুসরণ করিয়া কোটেশন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে উহা ক্রয় করা যাইবে, যথাঃ-
(ক) অনুকূল বাজারের সুযোগ গ্রহণের লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী সংগৃহীতব্য মোট পণ্যের পরিমাণ প্রয়োজনের নিরিখে যুক্তিসংগতভাবে কয়েকটি প্যাকেজে বিভক্ত করিয়া একাধিক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে উহা ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(খ) ক্রয়কারী কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের জন্য যোগ্য দরপত্রদাতাগণের তালিকা প্রণয়ন করিয়া চাহিদার নিরিখে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাহাদেরকে, কোন একটি বিশেষ সময়ে বা পণ্য জাহাজীকরণের পূর্বে, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সহিত সংগতি রাখিয়া সংশ্লিষ্ট পণ্যের দর উদ্ধৃত করিবার জন্য আহ্বান করা;
(গ) দরপত্রদাতাগণকে পণ্য হ্যান্ডলিং ব্যয় বা পরিবহণ ব্যয় এবং ক্রয়কারী কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হইতে আহবান করা;
(ঘ) দরপত্র দাখিলের জন্য এবং উহার বৈধতার মেয়াদের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সময়সীমা নির্ধারণপূর্বক কোটেশন আহবান করা ৷
(৩) উপ-ধারা (১), (১ক) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্রয়কারী বিদেশী সরকার বা সংস্থা কর্তৃক প্রদেয় কোন ঋণ, ক্রেডিট বা অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়িত পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে পণ্য হ্যান্ডলিং ব্যয় বা পরিবহণ ব্যয়ের জন্য দরপত্র দাখিল এবং উহার বৈধতার মেয়াদের ক্ষেত্রে, সংক্ষিপ্ত সময়সীমা নির্ধারণপূর্বক দরদাতাগণকে দরপত্রে অংশগ্রহণের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হইতে আহবান জানাইতে পারিবে ৷
(৪) বিশেষায়িত প্রকৃতির পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা, যাহা কেবল সীমিত সংখ্যক সরবরাহকারী বা ঠিকাদারগণের নিকট হতে লভ্য হইলে আন্তর্জাতিক সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে ৷
(৫) কারিগরী কারণে পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা সরবরাহের জন্য কেবল একজন দরপত্রদাতা থাকিলে বা নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, মূল সরবরাহকারী কর্তৃক পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ মূল ঠিকাদার কর্তৃক অতিরিক্ত কার্যসম্পাদন বা মূল সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের মাধ্যমে বর্ধিত সেবা ক্রয় করিবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে ৷
(৬) উপ-ধারা (১), (১ক), (২), (৪) এবং (৫) এ উল্লিখিত পদ্ধতির রূপরেখা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে ৷
অংশ-৩: ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি, ইত্যাদি
৩৫৷ দূতাবাস এবং বিশেষ ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকাবাহী বাহনের জন্য ক্রয়
(১) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস, হাইকমিশন, বা মিশনসমূহ প্রমিতমানের স্বল্পমূল্যের সহজলভ্য পণ্য এবং অপ্রত্যাশিত জরুরী ভৌত সেবা নির্ধারিত মূল্যসীমা সাপেক্ষে, ধারা ৩২ (ঘ) এ উল্লিখিত কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ক্রয় করিতে পারিবে ৷
(২) বাংলাদেশের সীমানার বাহিরে অবস্থানকালীন কোন জাতীয় পতাকাবাহী বাহন জ্বালানী বা খুচরা যন্ত্রাংশ বা জরুরী মেরামতের প্রয়োজনে অগ্রিম পরিকল্পনা করা সম্ভব না হইলে বা জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বাহনটি পুনঃব্যবহার উপযোগী করা আবশ্যক হইলে, জ্বালানী বা খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ বা কোন জরুরী মেরামত কাজের জন্য ধারা ৩২(খ) তে উল্লিখিত সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি ব্যবহার করিয়া ক্রয় করা যাইবে ৷
৩৬৷ ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি
(১) ক্রয়কারীর যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর যথেষ্ট পরিমাণে আবশ্যক সচরাচর ব্যবহৃত সামগ্রী ক্রয়ের প্রয়োজন হয় অথবা আবর্তক কোন ভৌত সেবা ক্রয়ের প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে ক্রয়কারী এক বা একাধিক সরবরাহকারী বা দরপত্রদাতাগণের সহিত কোন উন্মুক্ত বা সীমিত দরপত্র পদ্ধতির মধ্যে যে কোন একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে ৷
(২) কোন ক্রয়কারী, অন্য কোন ক্রয়কারী কর্তৃক ইতোমধ্যে সম্পাদিত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় একই ধরণের পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের প্রয়োজন হইলে, উক্ত সম্পাদিত চুক্তির আওতায় উক্ত ক্রয় সম্পাদন করিতে পারিবে ৷
(৩) ক্রয়কারী ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় কোন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত নির্দেশাবলী ও আদর্শ দলিল, প্রয়োজনীয় অভিযোজনপূর্বক, ব্যবহার করিবে ৷