৩০৷ শেয়ারের প্রকৃতি
(১) কোম্পানীর কোন সদস্যের শেয়ার বা অন্যবিধ কোন স্বার্থ অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হইবে, এবং উহা কোম্পানীর সংঘবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হস্তান্তরযোগ্য হইবে৷
(২) শেয়ার-মূলধন সম্বলিত কোম্পানীর প্রত্যেক শেয়ার উহার যথোপযুক্ত সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত থাকিবে৷
৩১৷ শেয়ার বা ষ্টক সার্টিফিকেট
কোন সদস্যের শেয়ার বা ষ্টক কোম্পানীর সাধারণ সীলমোহরযুক্ত সার্টিফিকেটে বর্ণিত থাকিলে, প্রাথমিকভাবে (Prima facie) উক্ত সার্টিফিকেটই উহাতে বর্ণিত শেয়ার বা ষ্টকের মালিকানার সাক্ষ্য বহণ করিবে৷
৩২৷ সদস্যের সংজ্ঞা
(১) কোম্পানীর সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক ব্যক্তি কোম্পানীর সদস্য হইবার জন্য সম্মত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, এবং নিবন্ধনের পর কোম্পানীর সদস্য-বহিতে তাহাদের নাম সদস্য হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হইবে৷
(২) অন্যান্য প্রত্যেক ব্যক্তি যিনি কোম্পানীর সদস্য হইতে সম্মত হন এবং যাহার নাম উহার সদস্য-বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয় তিনিও উক্ত কোম্পানীর সদস্য হইবেন৷
৩৩৷ নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর সদস্যতা
১) এই ধারায় উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতিরেকে, কোন নিগমিত সংস্থা (Body corporate) উহার নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর (Holding company) সদস্য হইতে পারিবে না; এবং কোন কোম্পানী উহার অধীনস্থ কোম্পানীকে কোন শেয়ার বরাদ্দ বা হস্তান্তর করিলে তাহা ফলবিহীন (void) হইবে।
(২) এই ধারার কিছুই নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-
(ক) যে ক্ষেত্রে অধীনস্থ কোম্পানীটি নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর কোন মৃত সদস্যের বৈধ প্রতিনিধি হয়; অথবা
(খ) যে ক্ষেত্রে অধীনস্থ কোম্পানীটি কোন ট্রাষ্টের ট্রাষ্টী হিসাবে সংশ্লিষ্ট হয়, যদি না নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীটি বা উহার অধীনস্থ অপর কোন কোম্পানী উক্ত ট্রাষ্টের দলিল অনুযায়ী উপকারভোগী হিসাবে স্বার্থবান (beneficially interested) হয় এবং উক্ত স্বার্থ, দ্বিতীয়োক্ত বা তৃতীয়োক্ত কোম্পানী কর্তৃক ঋণদানসহ উহার সাধারণ কার্যকলাপ পরিচালনার ক্ষেত্রে, কোন লেনদেনের উদ্দেশ্যে, কেবলমাত্র জামানতের ব্যাপারই সীমাবদ্ধ নহে।
(৩) এই ধারার বিধান কোন অধীনস্থ কোম্পানীকে উহার নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর সদস্য থাকিতে নিবৃত্ত করিবে না, যদি তাহা এই আইন প্রবর্তনের সময় বা অধীনস্থ কোম্পানী হওয়ার পূর্বে উক্ত নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর সদস্য থাকিয়া থাকে; কিন্তু উপ-ধারা (২) তে বর্ণিত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত অন্য কোন ব্যাপারে উক্ত অধীনস্থ কোম্পানী উহার নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর সভায় বা উহার সদস্যগণের কোন শ্রেণী বিশেষের সভায় মোট প্রদানের অধিকারী থাকিবে না।
(৪) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন নিগমিত সংস্থা একটি অধীনস্থ কোম্পানী হইলে, উহার মনোনীত ব্যক্তির ব্যাপারে উপ-ধারা (১) এবং (৩) প্রযোজ্য হইবে, যেন উপ-ধারা (১) এবং (৩) এ যথাক্রমে যে নিগমিত সংস্থা এবং অধীনস্থ কোম্পানীর উল্লেখ রহিয়াছে উহাতে উহার মনোনীত ব্যক্তিকেও অন্তভুর্ক্ত করা হইয়াছে।
(৫) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী বা অসীমিতদায় কোম্পানীর ব্যাপারে, এই ধারায় শেয়ারের উল্লেখে, শেয়ার মূলধন থাকুক বা না থাকুক, কোম্পানীর সদস্য হিসাবে তাহাদের স্বার্থ, তাহা যেরূপেই থাকুক না কেন, অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে বুঝাইবে৷
৩৪৷ সদস্য-বহি (Register of members)
(১) প্রত্যেক কোম্পানী এক বা একাধিক বহিতে উহার সদস্যগণের নামের একটি তালিকা রাখিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত বিবরণাদি লিপিবদ্ধ থাকিবে:-
(ক) সদস্যগণের নাম ও ঠিকানা, এবং কোন পেশা থাকিলে উক্ত পেশা;
(খ) কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন থাকিলে, প্রত্যেক সদস্যের মালিকাধীন শেয়ারের সংখ্যা, এই শেয়ারের পরিচিতি জ্ঞাপক সংখ্যা এবং প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক পরিশোধিত বা পরিশোধিতরূপে গণ্য হওয়ার জন্য সম্মত শেয়ারের মূল্য হিসাবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ;
(গ) সদস্য হিসাবে প্রত্যেক ব্যক্তির নাম যে তারিখে তালিকাভূক্ত করা হইয়াছে সেই তারিখ;
(ঘ) যে তারিখ হইতে কোন ব্যক্তি আর সদস্য নহেন সেই তারিখ৷
(২) যদি কোন কোম্পানী এই ধারার বিধান লংঘন করে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনুরূপ লংঘন যতদিন পর্যন্ত চলিতে থাকিবে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য, অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত লংঘন অনুমোদন করেন বা উহা চলিতে দেন তিনিও, এইকরূপ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে
৩৫৷ কোম্পানীর সদস্য-সূচী (Index of members)
(১) কোম্পানীর সদস্য-বহি সূচীপত্রের ন্যায় কোন ছকে সাজানো না হইয়া থাকিলে, পঞ্চাশের অধিক সদস্য লইয়া গঠিত প্রত্যেক কোম্পানী উহার সদস্যগণের নামের একটি সূচীপত্র রাখিবে এবং যে তারিখে সদস্য-বহিতে কোন পরিবর্তন হয় সেই তারিখের পরবর্তী চৌদ্দ দিনের মধ্যে উক্ত সূচীপত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করিবে৷
(২) সূচীপত্রটি কার্ডেও সাজানো যাইতে পারে, তবে উহাতে প্রত্যেক সদস্যের বিবরণের পর্যাপ্ত ইংগিত থাকিতে হইবে, যাহাতে তাত্তগণিকভাবে যে কোন সদস্যের বিবরণ খুঁজিয়া পাওয়া যায়৷
(৩) এই ধারার বিধান লংঘন করিলে কোম্পানী অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
৩৬৷ সদস্যগণের বার্ষিক তালিকা ও সার-সংৰেপ
১) শেয়ার-মূলধন বিশিষ্ট প্রত্যেক কোম্পানী, নিগমিত হওয়ার আঠার মাসের মধ্যে, এবং উহার পর প্রতি বত্সর অন্ত্মতঃ একবার, এইরূপ ব্যক্তিগণের একটি তালিকা তফসিল ১০ অনুযায়ী ছকে প্রণয়ন করিবে যাহারা উক্ত বত্সরের প্রথম সাধারণ সভা বা বত্সরের একমাত্র সাধারণ সভার দিনে কোম্পানীর সদস্য ছিলেন, এবং যাহারা সর্বশেষ বিবরণী (return) দাখিলের তারিখের পরে বা প্রথম বিবরণীর ক্ষেত্রে কোম্পানী নিগমিত হওয়ার পরে সদস্য পদ হারাইয়াছেন৷
(২) তালিকায় নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিধৃত থাকিবে, যথা :-
(ক) অতীত ও বর্তমান সকল সদস্যদের নাম, ঠিকানা, জাতীয়তা এবং পেশা; এবং
(খ) বিবরণী দাখিলের তারিখে বর্তমান সদস্যগণের প্রত্যেকে যতগুলি শেয়ারের মালিক উহার সংখ্যা, এবং কোম্পানী নিগমিত হওয়ার পর প্রথম বিবরণী দাখিলের পর হইতে কিংবা সর্বশেষ বিবরণী দাখিলের পর হইতে শেয়ার হস্ত্মান্ত্মরের পর বর্তমানে যাহারা এখনও সদস্য আছেন এবং যাহারা সদস্যপদ হইতে বাদ পড়িয়াছেন তাহাদের শেয়ার হস্ত্মান্ত্মর নিবন্ধনের তারিখ; এবং
(গ) নগদ অর্থের বিনিময়ে প্রদত্ত শেয়ার এবং নগদ অর্থ ব্যতীত অন্যভাবে সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিশোধকৃত শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য প্রদর্শনপূর্বক একটি সার-সংতেগপ থাকিতে হইবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির উলেস্্নখ থাকিবে:-
(১) কোম্পানীর শেয়ার-মূলধনের পরিমাণ এবং যতগুলি শেয়ারে উক্ত মূলধন বিভক্ত করা হইয়াছে উহার সংখ্যা;
(২) কোম্পানী গঠনের শুরম্্ন হইতে বিবরণী দাখিলের তারিখ পর্যন্ত সদস্যগণের গৃহীত শেয়ার সংখ্যা;
(৩) প্রত্যেক শেয়ারের উপর তলবকৃত (called up) অর্থের পরিমাণ;
(৪) তলবের প্রেতিগতে প্রাপ্ত অর্থের মোট পরিমাণ;
(৫) তলবকৃত অর্থ পরিশোধ করা হয় নাই এইরূপ অর্থের মোট পরিমাণ;
(৬) সর্বশেষ বিবরণী দাখিলের তারিখ হইতে শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের উপর কমিশন প্রদত্ত হইয়া থাকিলে কমিশন হিসাবে প্রদত্ত অর্থের মোট পরিমাণ অথবা শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের উপর বাটা (discount) হিসাবে অনুমোদিত অর্থের পরিমাণ, অথবা উহাদের মধ্যে যে পরিমাণ অর্থ বিবরণীর তারিখে অবলোপন (written off) করা হয় নাই তাহা;
(৭) বাজেয়াপ্ত শেয়ারের মোট সংখ্যা;
(৮) এইরূপ শেয়ার বা ষ্টকের মোট পরিমাণ, যাহার জন্য বিবরণীর তাারিখে শেয়ার-ওয়ারেন্ট ইস্যু বকেয়া রহিয়াছে;
(৯) সর্বশেষ বিবরণীর তারিখ পর্যন্ত ইস্যুকৃত ও সমর্পিত (surrendered) শেয়ার-ওয়ারেন্ট এর মোট অর্থের পরিমাণ;
(১০) সর্বশেষ যে তারিখে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত ছিল সেই তারিখ এবং তাহা প্রকৃতপতেগ অনুষ্ঠিত হইয়াছে কি না;
(১১) প্রত্যেক শেয়ার-ওয়ারেন্টে যতগুলি শেয়ার রহিয়াছে উহার সংখ্যা বা প্রত্যেক শেয়ার-ওয়ারেন্টে যত ষ্টক রহিয়াছে উহার পরিমাণ;
(১২) বিবরণীর তারিখে যাহারা কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন তাহাদের নাম ও ঠিকানা; এবং কোম্পানীর কোন ম্যানেজার, ম্যানেজিং এজেন্ট অথবা নিরীতগক থাকিলে, যে ব্যক্তিগণ উক্ত তারিখে ম্যানেজার, ম্যানেজিং এজেন্ট এবং নিরীতগক ছিলেন, তাহাদের নাম ও ঠিকানা; এবং পূর্ববর্তী শেষ বিবরণীর তারিখ হইতে পরিচালক, ম্যানেজার ও ম্যানেজিং এজেন্টগণের কোন রদবদল ঘটিয়া থাকিলে উক্ত রদবদলসহ রদবদলের তারিখসমূহ;
(১৩) এই আইন অনুযায়ী রেজিষ্ট্রারের নিকট নিবন্ধিকৃত করিতে হইবে এমন সকল বন্ধক (mortgage) ও চার্জ বাবদ কোম্পানীর নিকট পাওনা অর্থের মোট পরিমাণ৷
(৩) উপরোক্ত তালিকা এবং সার-সংতেগপ কোম্পানীর সদস্য-বহির একটি স্বতন্ত্র অংশে বিধৃত থাকিবে এবং ইহা বত্সরের প্রথম সাধারণ সভা বা একমাত্র সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের পর একুশ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; এবং অতঃপর উক্ত কোম্পানী অবিলম্বে উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুইজন পরিচালক কর্তৃক অথবা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক না থাকিলে, কোম্পানীর কোন একজন পরিচালক কর্তৃক এবং ম্যানেজিং এজেন্ট বা ম্যানেজার বা সচিব কর্তৃক স্বাতগরিত সদস্য-বহির উক্ত অংশের প্রতিলিপি, এবং বিবরণী দাখিলের তারিখে উপরোক্ত তালিকা ও সার-সংতেগপে কোম্পানীর বিদ্যমান তথ্যাবলী যথাযথ ও সঠিকভাবে বিধৃত হইয়াছে এই মর্মে উক্ত ব্যক্তিগণের দেওয়া একটি প্রত্যয়নপত্র, উক্ত একই সময়ের মধ্যে, রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবে৷
(৪) কোন প্রাইভেট কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান মতে প্রয়োজনীয় বার্ষিক বিবরণীর সহিত, কোম্পানীর কোন পরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাতগরিত এই মর্মে একখানি প্রত্যয়নপত্র প্রেরণ করিবে যে, উক্ত কোম্পানী উহার শেষ বিবরণীর তারিখ হইতে অথবা, প্রথম বিবরণীর ক্ষেত্রে, উক্ত কোম্পানীর নিগমিত হওয়ার তারিখ হইতে উহার কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের গ্রাহক হওয়ার জন্য জনসাধারণের নিকট কোন আমন্ত্রণপত্র ইস্যু করে নাই; এবং যে ক্ষেত্রে বার্ষিক বিবরণীতে এমন তথ্য প্রকাশ পায় যে, উক্ত কোম্পানীর সদস্য-সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি এই মর্মে এইরূপ একটি প্রত্যয়নপত্র স্বাতগর করিয়া দিবেন যে, উক্ত অতিরিক্ত ব্যক্তিগণ এমন ব্যক্তি যাহারা ধারা ২(১) এর দফা (ট) এর উপ-দফা (ই) অনুসারে পঞ্চাশ সদস্য-সংখ্যা বহির্ভূত৷
(৫) যদি কোন কোম্পানী এই ধারার বিধান লংঘন করে, তাহা হইলে অনুরূপ লংঘন চলাকালীন প্রতিদিনের জন্য অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত লংঘন অনুমোদন করেন বা লংঘন চলিতে দেন তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
৩৭৷ ট্রাষ্টের নোটিশ লিপিবদ্ধকরণ নিষিদ্ধ
ব্যক্ত (express), বিবতিগত (implied) বা ব্যাখ্যেয় (constructive) কোন ট্রাষ্টের নোটিশ সংশ্লিষ্ট বহিতে লিপিবদ্ধ করা যাইবে না কিংবা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক তাহা গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
৩৮৷ শেয়ার হস্তান্তর
(১) কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর নিবন্ধিকৃত করার সময়ে শেয়ার হস্তান্তরকারী বা উহার হস্তান্তরগ্রহীতা উক্ত হস্তান্তর নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্র পেশ করিতে পারেন, তবে যেক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী অনুরূপ কোন আবেদনপত্র পেশ করেন সেক্ষেত্রে, কোম্পানী হস্তান্তরগ্রহীতাকে উক্ত আবেদনপত্র সম্পর্কে নোটিশ প্রদান না করিলে, আংশিক পরিশোধিত শেয়ার হস্তান্তর কার্যকর হইবে না; এবং হস্তান্তরগ্রহীতাকে এইরূপ নোটিশ প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি আপত্তি না করিলে কোম্পানী, উপ-ধারা (৭) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উহার সদস্য-বহিতে হস্তান্তরগ্রহীতার নাম এইরূপে লিপিবদ্ধ করিবে যেন উক্ত আবেদনপত্র হস্তান্তরগ্রহীতাইপেশ করিয়াছিলেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, হস্তান্তর দলিলে হস্তান্তরগ্রহীতার যে ঠিকানা থাকে সেই ঠিকানায় কোন নোটিশ আগাম পরিশোধিত ডাকে হস্তান্তরগ্রহীতার উদ্দেশ্যে প্রেরিত হইয়া থাকিলে, তাহা হস্তান্তরগ্রহীতকে যথাযথভাবে প্রদান করা হইয়াছে এবং তাহা ডাক বিভাগের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বিলি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) সঠিক হস্তান্তর-দলিলে উপযুক্ত ষ্ট্যাম্প লাগাইয়া এবং উক্ত দলিলে হস্তান্তরকারী ও হস্তান্তরগ্রহীতা উভয়েই সম্পাদন করিয়া এবং সংশ্লিষ্ট শেয়ার বা ডিবেঞ্চার সার্টিফিকেটসহ হস্তান্তর-দলিলটি কোম্পানীর নিকট উপস্থাপন না করা হইলে, কোম্পানীর পক্ষে শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের হস্তান্তর নিবন্ধন করা বৈধ হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোম্পানীর পরিচালকগণের সন্তুষ্টি মতে প্রমাণিত হয় যে, হস্তান্তরকারী এবং হস্তান্তরগ্রহীতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হস্তান্তর-দলিল হারাইয়া গিয়াছে, তবে পরিচালকগণ উপযুক্ত বিবেচনা করিলে এবং হস্তান্তররের জন্য প্রয়োজনীয় ষ্ট্যাম্পসহ হস্তান্তরগ্রহীতা লিখিতভাবে আবেদন করিলে, কোম্পানীর পরিচালকগণের বিবেচনামতে দায়মুুক্তি (indemnity) সংক্রান্ত যথাযথ শর্তাবলী সাপেক্ষে, উক্ত হস্তান্তর নিবন্ধিকৃত করা যাইবে।
(৩ক) শেয়ার হস্তান্তর দলিলে শেয়ার হস্তান্তরকারীর স্বাক্ষর নিম্নবর্ণিতভাবে নিশ্চিত করিতে হইবে, যথা:-
(ক) শেয়ার হস্তান্তরকারী সংশ্লিষ্ট পরিচালকের তালিকা, বার্ষিক মূলধনের বিবরণী, শেয়ার হস্তান্তর দলিল এবং শেয়ার হস্তান্তরের সপক্ষে প্রদত্ত হলফনামা রেজিস্ট্রারের দপ্তরে দাখিল করিবার পর সংশ্লিষ্ট শেয়ার হস্তান্তরকারীকে সশরীরে উপস্থিত হইয়া পুনঃস্বাক্ষরপূর্বক শেয়ার হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করিতে হইবে;
(খ) শেয়ার হস্তান্তরকারী বিদেশি নাগরিক হইলে বা বিদেশে অবস্থান করিলে শেয়ার হস্তান্তরের সমর্থনে শেয়ার হস্তান্তর দলিল ও হলফনামা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নপূর্বক প্রেরণ করিতে হইবে; এবং
(গ) শেয়ার হস্তান্তরকারী যুক্তিসঙ্গত কারণে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে উপস্থিত হইতে না পারিলে নির্ধারিত ফি আদায় সাপেক্ষে রেজিস্ট্রার কর্তৃক কমিশন প্রেরণ করা যাইবে।
(৪) যদি কোন কোম্পানী কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের হস্ত্মান্ত্মর নিবন্ধিকৃত করিতে অস্বীকার করে, তবে যে তারিখে কোম্পানীর নিকট উক্ত হস্তান্তর-দলিল উপস্থাপন করা হইয়াছিল, সেই তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত কোম্পানী হস্তান্তরগ্রহীতা এবং হস্তান্তরকারীকে উক্ত অস্বীকৃতির নোটিশ প্রেরণ করিবে।
(৫) এই ধারার উপ-ধারা (৪) এর বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে, উক্ত কোম্পানী, উক্ত ব্যর্থতা যতদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য, অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(৬) আইনের ক্রিয়ার ফলে (by operation of law) যে ব্যক্তি কোম্পানীর কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ধারনের অধিকার অর্জন করিয়াছেন, সেই ব্যক্তির নাম উক্ত শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের ধারক হিসাবে নিবন্ধন করার ব্যাপারে উপ-ধারা (৩) এর কোন কিছুই কোম্পানীর ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করিবে না।
(৭) এই ধারার কোন কিছুই সংঘবিধি মেতাবেক কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর নিবন্ধন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করার ব্যাপারে কোম্পানীর ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করিবে না।
৩৯৷ হস্তান্তর প্রত্যয়ন
(১) কোম্পানীর শেয়ার বা ডিবেঞ্চার হস্তান্তর-দলিল কোম্পানী কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত হইলে, তৎসম্পর্কে যে কোন ব্যক্তির এইরূপ বিশ্বাস স্থাপনের কারণ থাকিবে যে, উক্ত কোম্পানীর নিকট যে হস্তান্তর-দলিল দাখিল করা হইয়াছে তাহাতে উল্লেখিত হস্তান্তরকারীকে আপাতঃদৃষ্টে উক্ত শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের স্বত্বাধিকারী গণ্য করার মত পর্যাপ্ত দলিল কোম্পানীর নিকট সরবরাহ করা হইয়াছিল মর্মে উক্ত কোম্পানী প্রত্যয়ন করিতেছে, যদিও উক্ত শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে হস্তান্তরকারীর নিরংকুশ স্বত্বাধিকার আছে বলিয়া প্রত্যয়ন করিতেছে না।
(২) যেক্ষেত্রে কোন কোম্পানীর অবহেলার ফলে প্রণীত ভুল প্রত্যয়নপত্রের উপর বিশ্বাস স্থাপন করিয়া কাজ করেন, সেক্ষেত্রে কোম্পানী তাহার নিকট এইরূপ দায়ী হইবে যেন উক্ত প্রত্যয়নপত্র প্রতারণামূলকভাবে প্রণয়ন করা হইয়াছিল।
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
(ক) যদি কোন হস্তান্তর দলিলে “প্রত্যয়নপত্র জমা হইয়াছে” বা এই মর্মে অন্য কোন শব্দ লেখা থাকে, তাহা হইলে সেই হস্তান্তর-দলিল প্রত্যয়নকৃত বলিয়া গণ্য হইবে;
(খ) কোন হস্তান্তর-দলিল কোম্পানী কর্তৃক প্রত্যয়ণকৃত বলিয়া গণ্য হইবে, যদি-
(অ) প্রত্যয়নকৃত দলিলটি যিনি ইস্যু করিয়াছেন তিনি কোম্পানীর পতেগ তাহা ইস্যু করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন; এবং
(আ) দলিলটি এমন কোন ব্যক্তি বা কোম্পানীর এমন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয় যিনি হস্তান্তর প্রত্যয়ন করার জন্য কোম্পানী হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, অথবা এমন কোন নিগমিত সংস্থার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয় যে, সংস্থাটি এতদুদ্দেশ্যে উক্ত কোম্পানী হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ;
(গ) উক্ত প্রত্যয়নপত্রে যাহার স্বাক্ষর পাওয়া যায় তিনিই উহাতে স্বাক্ষর করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না প্রমাণিত হয় যে, উক্ত স্বাক্ষর তাহার নিজের নয় কিংবা উক্ত স্বাক্ষর কোম্পানীর পক্ষে হস্তান্তর প্রত্যয়নকল্পে ব্যবহারের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নয়।
৪০৷ আইনানুগ প্রতিনিধি কর্তৃক হস্তান্তর
কোম্পানীর কেন মৃত সদস্যের শেয়ার বা অন্যবিধ কোন স্বার্থ তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি কর্তৃক হস্তান্তরিত হইয়া থাকিলে, উক্ত আইনানুগ প্রতিনিধি ঐ কোম্পানীর কোন সদস্য না হওয়া সত্বেও, উক্ত হস্তান্তর বৈধ বলিয়া প্রতিপন্ন হইবে, যেন তিনি উক্ত হস্তান্তর -দলিল সম্পাদনকালে কোম্পানীর একজন সদস্য ছিলেন৷
৪১৷ সদস্য-বহি পরিদর্শন
(১) কোম্পানী নিবন্ধনের তারিখ হইতে উহার নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে সদস্য-বহি এবং ধারা ৩৫ প্রযোজ্য হইলে সদস্য-সূচী রাখিতে হইবে; এবং এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী কোম্পানীর কার্যালয় বন্ধ থাকা ব্যতীত অন্য যে কোন সব সময়ে উহার কর্মকাণ্ড চলে সে সব সময়ে উক্ত সদস্য-বহি এবং সদস্য-সূচী কোম্পানীর সাধারণ সভায়, যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে, পরিদর্শনের জন্য প্রতিদিন অন্যুন দুই ঘন্টা করিয়া খোলা থাকিবে; এবং কোম্পানীর যে কোন সদস্য কোন ফিস ছাড়াই এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি প্রতিবারে একশত টাকা অথবা কোম্পানী কর্তৃক ধার্যকৃত হইলে তদপেক্ষা কম ফিস দিয়া উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং এইরূপ যে কোন সদস্য বা ব্যক্তি উহাদের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষের অনুলিপি লইতে পারিবেন।
(২) সদস্য-বহি বা সদস্য-সূচী কিংবা এই আইনের বিধান মতে দেয় উহার তালিকা বা সার-সংক্ষেপ বা উহাদের অংশবিশেষের অনুলিপির প্রয়োজন হইলে, যে কোন ব্যক্তি কোম্পাানীকে অনুরূপ ফরমায়েস এবং প্রতি একশত শব্দ বা উহার অংশবিশেষের জন্য পাঁচ টাকা করিয়া ফিস দিবেন এবং কোম্পানী অনুরূপ অনুলিপির জন্য ফরমায়েস ও প্রয়োজনীয় ফিস পাওয়ার দশটি কার্যদিবসের মধ্যে ঐ ব্যক্তির নিকট অনুলিপি প্রেরণের ব্যবস্থা করিবে।
ব্যাখ্যা:- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, দশটি কার্যদিবস গণনার ক্ষেত্রে যে সকল দিনে কোম্পানীর কার্যবিরতি থাকে এবং কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর বন্ধ থাকে সেই সকল দিন গণনা করা হইবে না।
(৩) এই ধারার অধীন কোন পরিদর্শনে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হইলে, অথবা এই ধারার অধীন ফরমায়েসকৃত অনুলিপি যথাসময়ে প্রেরণ করা না হইলে, কোম্পানী এইরূপ প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা যাহার ক্রটির কারণে উক্ত অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা বা বিলম্ব করা হয় তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন; এবং তাহা ছাড়াও উক্ত কোম্পানী এবং কর্মকর্তা, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রথম দিনের পর উক্ত অস্বীকৃতি বা ক্রটি যতদিন অব্যাহত থাকিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত একশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন; এবং আদালত আদেশ জারীর মাধ্যমে অবিলম্বে উক্ত সদস্য-বহি ও সদস্যসূচী পরিদর্শন করানোর জন্য কিংবা ফরমায়েসকারীর নিকট প্রয়োজনীয় অনুলিপি প্রেরণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত কোম্পানী এইরূপ নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবে৷
৪২৷ সদস্য-বহি বন্ধ রাখার ক্ষমতা
যে জেলায় কোম্পানীর নিবন্ধীকৃত কার্যালয় রহিয়াছে সেই জেলা হইতে প্রকাশিত কোন সংবাদপত্রে সাত দিনের একটি পূর্ব-নোটিশ প্রকাশ করিয়া উক্ত কোম্পানী প্রতি বৎসর অনধিক মোট পঁয়তাল্লিশ দিনের জন্য উহার সদস্য-বহি বন্ধ রাখিতে পারিবে, কিন্তু উক্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ একাধারে ত্রিশ দিনের অধিক হইবে না৷
৪৩৷ সদস্য-বহি সংশোধনের জন্য আদালতের ক্ষমতা
(১) যদি-
(ক) পর্যাপ্ত কারণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তির নাম কোন কোম্পানীর সদস্য-বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয় কিংবা উহা হইতে বাদ দেওয়া হয়, অথবা
(খ) কোন কোম্পানীতে কোন ব্যক্তির সদস্য পদ লাভ বা সদস্য পদের অবসান সম্পর্কিত তথ্য সদস্য-বহিতে লিপিবদ্ধ না করা হয় বা তাহা করিতে অবহেলা বা অনাবশ্যক বিলম্ব করা হয়,
তাহা হইলে তদ্বারা সংতগুব্ধ ব্যক্তি বা উক্ত কোম্পানীর কোন সদস্য কিংবা উক্ত কোম্পানী ঐ সদস্য-বহি সংশোধনের জন্য আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) আদালত উক্ত আবেদন প্রত্যাখান করিতে পারে, অথবা সদস্য-বহি সংশোধনের আদেশ দিতে পারে এবং, সংক্ষুদ্ধ কোন পক্ষের ক্ষতি হইয়া থাকিলে, উক্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কোম্পানীকে আদেশ দিতে পারে; তাহা ছাড়াও মামলার খরচ সম্পর্কে আদালত উহার বিবেচনামত যথোপযুক্ত আদেশ দিতে পারিবে।
(৩) যদি কোন ব্যক্তির নাম সদস্য-বহিতে লিপিবদ্ধ করা বা উহা হইতে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে এই ধারার অধীন কোন দরখাস্তে কোন প্রশ্ন উঠে তবে, প্রশ্নটি সদস্যগণ বা সদস্য-পদের দাবীদারগণের পরস্পরের মধ্যে, অথবা সদস্যগণ বা সদস্যপদের দাবীদারগণ এবং কোম্পানী, যাহাদের মধ্যেই উত্থাপিত হউক না কেন, দরখাস্তে উক্ত ব্যক্তি পক্ষভুক্ত থাকিলে আদালত উক্ত প্রশ্নে তাহার স্বত্বাধিকার নির্ণয় করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে সদস্য-বহি সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় বা সমীচীন যে কোন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিতে পারিবে; এবং কোন বিচার্য বিষয়ে আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকিলে আদালত উক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিতে পারিবে।
৪৪৷ সদস্য-বহি সংশোধনের জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট নোটিশ প্রেরণ
যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানীকে এই আইন অনুযায়ী কোম্পানীর সদস্যদের তালিকা রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হয়, সেই ক্ষেত্রে আদালত সদস্য-বহি সংশোধনের আদেশ প্রদানকালে এইমর্মে উক্ত কোম্পানীকে নির্দেশ দিবে যে, আদালতের সংশোধন আদেশ পালিত হ্ইয়াছে কি না তাহা সম্পর্কে উক্ত কোম্পানী আদালতের আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে পনের দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রারকে একটি নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করিবে৷
৪৫৷ সদস্য-বহি সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য
সদস্য-বহিতে কোন ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত থাকিলে, উক্ত অন্তর্ভুক্তি এই আইনের অধীনে বা কর্তৃত্ববলে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য বলিয়া গণ্য হইবে৷
৪৬৷ বাহককে শেয়ার-ওয়ারেন্ট প্রদান
(১) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী উহার সংঘবিধিবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, উহার পূর্ণ পরিশোধিত শেয়ার বা ষ্টকের ক্ষেত্রে, উহার সাধারণ সীলমোহর যুক্ত করিয়া ওয়ারেন্ট প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত ওয়ারেন্ট-বাহক ওয়ারেন্টে উল্লেখিত শেয়ার বা ষ্টকের অধিকারী; এবং কোম্পানী উক্ত ওয়ারেন্টে উল্লেখিত শেয়ার বা ষ্টকের উপর ভবিষ্যতে লভ্যাংশ প্রদানের জন্য কুপন প্রদান বা অন্যভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেও পারিবে; এই আইনে এইরূপ ওয়ারেন্ট শেয়ার-ওয়ারেন্ট নামে অভিহিত৷
(২) এই ধারার কোন কিছুই প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
৪৭৷ শেয়ার-ওয়ারেন্টের কার্যকরতা
শেয়ার-ওয়ারেন্টবলে উহার বাহক শেয়ার ওয়ারেন্টে উল্লেখিত শেয়ার বা ষ্টকের স্বত্বাধিকারী হইবেন, এবং উক্ত ওয়ারেন্ট অর্পণ (delivery) করিয়া শেয়ার বা ষ্টক হস্তান্তর করা যাইবে৷
৪৮৷ শেয়ার-ওয়ারেন্ট বাহকের নাম নিবন্ধন
শেয়ার-ওয়ারেন্টের বাহক উহা বাতিলের জন্য সমর্পণ করিলে, কোম্পানীর সংঘবিধির বিধান সাপেক্ষে, তিনি তাহার নাম সদস্য হিসাবে সদস্য-বহিতে লিপিবদ্ধ করাইবার অধিকারী হইবেন, এবং কোন শেয়ার-ওয়ারেন্ট বাহক সদস্য বহিতে তাহার নাম কোম্পানী কর্তৃক লিপিবদ্ধকরণজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হইলে উক্ত শেয়ার-ওয়ারেন্ট সম্পর্কিত এবং বাতিল না হওয়া সত্বেও, কোম্পানী উক্ত ক্ষতির জন্য দায়ী হইবে।
৪৯৷ শেয়ার-ওয়ারেন্ট বাহকের মর্যাদা
কোম্পানীর সংঘবিধিতে এইরূপ বিধান থাকিলে, শেয়ার-ওয়ারেন্ট বাহক এই আইনে বর্ণিত সকল ক্ষেত্রে বা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, কোম্পানীর একজন সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন; তবে যে ক্ষেত্রে উক্ত কোম্পানীর পরিচালক বা ম্যানেজার হওয়ার জন্য সংঘবিধি অনুযায়ী যোগ্যতামলূক শেয়ার দরকার, সেই ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টে উল্লিখিত শেয়ার বা ষ্টকগুলি তাহার যোগ্যতামূলক শেয়ার হিসাবে গণ্য হইবে না।
৫০৷ শেয়ার-ওয়ারেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে সদস্য-বহিতে রদবদল
(১) কোন শেয়ার-ওয়ারেন্ট ইস্যুর সময় সদস্য-বহিতে যে সদস্যের নাম ওয়ারেন্টভুক্ত শেয়ার বা ষ্টকধারী সদস্য হিসাবে লিপিবদ্ধ থাকে, তাহার নাম সদস্য-বহি হইতে কাটিয়া দিতে হইবে এবং অতঃপর ধারা ৪৯ এর বিধান সাপেক্ষে, তিনি আর কোম্পানীর সদস্য থাকিবেন না; এবং কোম্পানী উক্ত বহিতে নিম্নবর্ণিত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবে, যথা :-
(ক) শেয়ার-ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়া নির্দেশক তথ্য;
(খ) শেয়ার-ওয়ারেন্টে অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক শেয়ারের পৃথক পৃথক নম্বরসহ শেয়ার বা ষ্টকের বিবরণ; এবং
(গ) শেয়ার-ওয়ারেন্ট ইস্যুর তারিখ।
(২) যদি কোন কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান পালনে ব্যর্থ হয়, তবে উক্ত ব্যর্থতা যতদিন পর্যন্ত চলিতে থাকিবে ততদিনের প্রতিদিনের জন্য উক্ত কোম্পানী অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা যিনি জ্ঞাতসারে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে উহা অব্যাহত রাখেন বা অব্যাহত রাখিতে দেন তিনিও, একই অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৫১৷ শেয়ার-ওয়ারেন্ট সমর্পণ
শেয়ার ওয়ারেন্ট সমর্পিত না হওয়া পর্যন্ত ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত বিবরণসমূহ, সদস্য-বহিতে লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে, এই আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় বিবরণ বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উহা সমর্পিত হইলে, সমর্পণের তারিখ সদস্য-বহিতে এইরূপে লিপিবদ্ধ করা হইবে যেন উক্ত তারিখই সেই তারিখ যে তারিখ হইতে কোন ব্যক্তি আর কোম্পানীর সদস্য নহেন।
৫২৷ শেয়ার বাবদ বিভিন্ন অংকের অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণে কোম্পানীর ক্ষমতা
কোন কোম্পানী, সংঘবিধিবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, নিম্নবর্ণিত যে কোন এক বা একাধিক কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে, শেয়ারের উপর তলবকৃত অর্থের পরিমাণের ভিত্তিতে, ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর শেয়ার-মালিকগণ কর্তৃক তলবকৃত অর্থ পরিশোধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ধারণের ব্যবস্থা;
(খ) কোন সদস্যের শেয়ারের অপরিশোধিত অর্থ তলব করা হইয়া না থাকিলেও, তাহার সম্মতিক্রমে, উক্ত অর্থের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ গ্রহণ;
(গ) যেক্ষেত্রে সকল শেয়ারের পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ সমান নহে, যেক্ষেত্রে পরিশোধিত অর্থের উপর আনুপাতিক লভ্যাংশ প্রদান।
৫৩৷ শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন পরিবর্তন
(১) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী, উহার সংঘবিধিবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, উহার শেয়ার মূলধন সম্পর্কিত সংঘ স্মারকের শর্তাবলী নিম্নরূপে পরিবর্তন করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) প্রয়োজনীয় সংখ্যক নূতন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উহার শেয়ার-মূলধন বৃদ্ধি করা;
(খ) শেয়ার-মূলধনকে সামগ্রিকভাবে বা আংশিকভাবে একীভূত করিয়া উহাকে বিদ্যমান মূল্যমান অপেক্ষঅ উচ্চতর মূল্যমানের শেয়ারে বিভক্ত করা;
(গ) পরিশোধিত শেয়ারকে সামগ্রিকভাবে বা আংশিকভাবে ষ্টকে রূপান্তরিত করা এবং পুনরায় উক্ত ষ্টককে যে কোন মূল্যমানের পরিশোধিত শেয়ারে রূপান্তরিত করা;
(ঘ) শেয়ারকে সামগ্রিকভাবে বা আংশিকভাবে সংঘস্মারক দ্বারা স্থিরীকৃত মূল্যমান অপেক্ষা কম মূল্যমানের শেয়ারে এইরূপে পুনর্বিভাজন করা যাহাতে অনুরূপ পুনর্বিভাজনের ফলে হ্রাসকৃত প্রত্যেকটি শেয়ারের মূল্যমানের পরিশোধিত অর্থ এবং অপরিশোধিত অর্থ থাকিলে উহাদের পাস্পরিক অনুপাত, হ্রাসকৃত মূল্যমানের শেয়ারগুলি যে শেয়ার হইতে উদ্ভূত হইয়াছে সেই শেয়ারের পরিশোধিত ও অপরিশোধিত অর্থের পারস্পরিক অনুপাতের সমান হয়;
(ঙ) এতদুদ্দেশ্যে গৃহীত সিদ্ধান্তের তারিখ পর্যন্ত যে সকল শেয়ার কোন ব্যক্তি গ্রহণ করে নাই বা গ্রহণে সম্মত হয় নাই সেই সকল শেয়ার বাতিল করা এবং বাতিলকৃত শেয়ারের সমপরিমাণে কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন হ্রাস করা।
(২) এই ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা কোম্পানী কেবলমাত্র উহার সাধারণ সভাতেই প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) এই ধারা মোতাবেক কোন শেয়ার বাতিল করা হইলে, তাহা এই আইনের অন্যান্য বিধানের তাৎপর্যাধীনে উহার শেয়ার মূলধন হ্রাস বলিয়া গণ্য হইবে না।
৫৪৷ শেয়ার-মূলধন একীভূতকরণ, শেয়ারকে ষ্টকে রূপান্তরকরণ ইত্যাদির জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট নোটিশ প্রদান
(১) শেয়ার-মূলধন বিশিষ্ট কোন কোম্পানী উহার শেয়ার-মূলধন একীভূত করিয়া একীভূত মূলধনকে বিদ্যমান মূল্যমান অপেক্ষা অধিক মূল্যমানের শেয়ারে বিভক্ত করিলে, অথবা উহার কোন শেয়ারকে ষ্টকে রূপান্তরিত করিলে, অথবা ষ্টককে পুনরায় শেয়ারে রূপান্তরিত করিলে, উক্ত কোম্পানী শেয়ার একীভূতকরণ, বিভক্তিকরণ বা রূপান্তরকরণ বা পুনঃরূপান্তরকরণ সম্পর্কিত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যাদি উল্লেখ করিয়া উক্ত একীভূতকরণ, বিভক্তিকরণ, রূপান্তরকরণ বা পুনরূপান্তকরণের পনের দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রারকে নোটিশ প্রদান করিবে।
(২) কোন কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে, উক্ত ব্যর্থতা যতদিন চলিতে থাকিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য, উক্ত কোম্পানী অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ত্রুটি অনুমোদন করেন বা অব্যাহত রাখেন বা রাখিতে দেন তিনিও, একইরূপ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৫৫৷ শেয়ারকে ষ্টকে রূপান্তরের ফলাফল
শেয়ার-মূলধন বিশিষ্ট কোন কোম্পানী উহার কোন শেয়ারকে ষ্টকে রূপান্তরিত করিয়া তৎসম্পর্কে রেজিষ্ট্রারের নিকট নোটিশ দাখিল করিয়া থাকিলে, এই আইনের যে সকল বিধান কেবলমাত্র শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই সকল বিধান ষ্টকে রূপান্তরিত শেয়ারগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না; এবং এইরূপ রূপান্তরের ফলে কোম্পানীর সদস্যগণ শেয়ারের পরিবর্তে যে পরিমাণ ষ্টক ধারণ করেন তৎসম্পর্কিত তথ্য, শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই আইনের পূর্ববর্তী বিধানাবলী মোতাবেক, সদস্য-বহিতে এবং রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিলযোগ্য তালিকায় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৫৬৷ শেয়ার-মূলধন বা সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির নোটিশ
(১) শেয়ার-মূলধন বিশিষ্ট কোন কোম্পানী, শেয়ারকে ষ্টকে রূপান্তরিত করিয়া থাকুক বা না থাকুক, উহার শেয়ার-মূলধনকে নিবন্ধিকৃত মূলধনের উপরে বৃদ্ধি করিয়া থাকিলে, অথবা শেয়ার-মূলধনবিহীন কোন কোম্পানী উহার সদস্য-সংখ্যা নিবন্ধিকৃত সংখ্যার উপরে বৃদ্ধি করিয়া থাকিলে, উক্ত কোম্পানী, শেয়ারমূলধন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, মূলধন বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পনের দিনের মধ্যে, এবং সদস্য-সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, যে তারিখে সদস্য-সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছিল বা বাস্তবে সদস্য-সংখ্যা বৃদ্ধি করা হইয়াছিল, সেই তারিখের পনের দিনের মধ্যে, উক্ত বৃদ্ধির নোটিশ রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবে এবং রেজিষ্ট্রার এইরূপ বৃদ্ধির বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশে ক্ষতিগ্রস্ত (affected) শ্রেণীর শেয়ারের বিবরণাদি এবং যে শর্তাধীনে, যদি থাকে, নূতন শেয়ারসমূহ ইস্যু করা হইবে সেই শর্তসমূহ উল্লেখ করিতে হইবে।
(৩) কোন কোম্পানী এই ধারার বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে, উক্ত ব্যর্থতা যতদিন চলিতে থাকিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য, উক্ত কোম্পানী অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ত্রুটি অনুমোদন করেন বা উহা অব্যাহত রাখেন বা রাখিতে দেন তিনিও, একইরূপ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৫৭৷ শেয়ার ইস্যুর উপর প্রাপ্ত প্রিমিয়ামের প্রয়োগ
(১) নগদে হউক বা অন্যভাবে হউক, কোন কোম্পানী প্রিমিয়ামে উহার শেয়ার ইস্যু করিলে, উক্ত কোম্পানী সকল প্রিমিয়ামের সর্বমোট মূল্যমানের সমান অর্থ “শেয়ার-প্রিমিয়াম হিসাব” নামের একটি হিসাবে স্থানান্তরিত করিবে; এবং কোম্পানী শেয়ার-মূলধন হ্রাস সংক্রান্ত এই আইনের বিধানাবলী, এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, এইরূপ প্রযোজ্য হইবে যেন কোম্পানীর শেয়ার-প্রিমিয়াম হিসাব কোম্পানীর পরিশোধিত শেয়ার-মূলধনের হিসাব।
(২) কোম্পানী উহার শেয়ার-প্রিমিয়াম হিসাবের অর্থ নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) কোম্পানীর যে সকল অইস্যুকৃত শেয়ার কোম্পানীর সদস্যগণকে পূর্ণ-পরিশোধিত বোনাস শেয়ার হিসাবে ইস্যু করা হইবে সেই সকল শেয়ারের মূল্য পরিশোধ করা;
(খ) কোম্পানীর প্রারম্ভিক ব্যয়সমূহ অবলোপন (writing off) করা;
(গ) কোম্পানীর যে কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর উপরকৃত ব্যয়, প্রদত্ত কমিশন বা মঞ্জুরীকৃত বাটা অবলোপন করা;
(ঘ) কোম্পানীর কোন অগ্রাধিকার শেয়ার বা কোন ডিবেঞ্চার পুনরুদ্ধার (Redemption) করার জন্য প্রদেয় প্রিমিয়ামের অর্থের ব্যবস্থা করা৷
(৩) কোন কোম্পানী এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যু করিয়া থাকিলে, উক্ত শেয়ারের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলী এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত শেয়ার এই আইন প্রবর্তনের পরে ইস্যু করা হইয়াছে :
তবে শর্ত থাকে যে, প্রিমিয়ামের কোন অংশ যদি এইরূপে প্রয়োগ করা হইয়া থাকে যে, উহাকে তফসিল-১১ তে বিধৃত অর্থে কোম্পানীর রিজার্ভ ফাণ্ডের অংশ বলিয়া সনাক্ত করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে শেয়ার-প্রিমিয়াম-হিসাবে অন্তর্ভুক্তিযোগ্য অর্থ নির্ধারণ করিবার সময় উক্ত অংশকে অগ্রাহ্য করা হইবে।
৫৮৷ কোম্পানী কর্তৃক উহার নিজস্ব শেয়ার ক্রয় বা এতদুদ্দেশ্যে ঋণদানে বাধা-নিষেধ
(১) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী উহার নিজস্ব শেয়ার অথবা উহা যে পাবলিক কোম্পানীর অধীনস্থ কোম্পানী সেই কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবে না, যদি না উক্ত ক্রয়ের ফলশ্রুতিতে যে মূলধন হ্রাস হয় উহা ৫৯ হইতে ৭০ পর্যন্ত ধারাসমূহে বিধৃত পদ্ধতিতে কার্যকর এবং অনুমোদন করা হয়।
(২) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় বিশিষ্ট কোন কোম্পানী, যাহা প্রাইভেট কোম্পানী নহে বা কোন পাবলিক কোম্পানীর অধীনস্থ কোম্পানী নহে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, কোন ঋণ, গ্যারান্টি বা জামানত বা অন্য কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে উহার নিজস্ব শেয়ার ক্রয় করিতে বা ক্রয় সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে কোন ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি ঋণ প্রদান করা কোন কোম্পানীর সাধারণ ব্যবসার অংশ হয় তবে, উহার সাধারণ ব্যবসা চালাইতে থাকাকালে, উক্ত কোম্পানী যে ঋণ প্রদান করে উহা প্রদানের ব্যাপারে এই ধারার কোন কিছুই বাধা হইবে না।
(৩) কোন কোম্পানী এই ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোন কিছু করিলে, উক্ত কোম্পানী এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে তজ্জন্য দোষী, তিনিও অনধিক পাঁচ হাজার টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(৪) ধারা ১৫৪ এর অধীনে ইস্যুকৃত কোন অগ্রাধিকার শেয়ার পুনরুদ্ধার করার জন্য কোম্পানীর অধিকারকে এই ধারার কোন কিছুই ক্ষুণ্ণ করিবে না।
৫৯৷ শেয়ার-মূলধন হ্রাস
(১) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী, উহার সংঘবিধিবলে ক্ষমতা প্রাপ্ত হইলে, বিশেষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এবং আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে, যে কোনভাবে উহার শেয়ার-মূলধন হ্রাস করিতে পারিবে, এবং
বিশেষতঃ এই সাধারণ ক্ষমতার অংশ হিসাবে, উক্ত কোম্পানী-
(ক) উহার শেয়ার মূলধনের অপরিশোধিত অংশের ক্ষেত্রে যে কোন শেয়ারের উপর দায়-দায়িত্ব হ্রাস বা বিলোপ সাধন করিতে পারিবে;
(খ) উহার কোন শেয়ারের উপর দায়-দায়িত্বের বিলোপসাধন বা হ্রাস করিয়া কিংবা না করিয়া পরিশোধিত শেয়ার-মূলধনের এমন যে কোন অংশ বাতিল করিতে পারিবে যাহা হারাইয়া গিয়াছে বা যাহা পরিসম্পদের মাধ্যমে প্রতিফলিত নহে;
(গ) উহার কোন শেয়ারের উপর দায়-দায়িত্বের বিলোপসাধন বা হ্রাস করিয়া কিংবা না করিয়া পরিশোধিত শেয়ার-মূলধনের এমন যে কোন অংশের দায়-দায়িত্ব পরিশোধ করিতে পারিবে যাহা কোম্পানীর চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত;
(ঘ) উহার শেয়ার-মূলধনের পরিমাণ ও শেয়ার প্রয়োজনমত হ্রাস করিয়া উহার সংঘস্মারক পরিবর্তন করিতে পারিবে।
(২) এই ধারার অধীনে গৃহীত বিশেষ সিদ্ধান্ত এই আইনে শেয়ার-মূলধন হ্রাসের সিদ্ধান্ত বলিয়া অভিহিত হইবে।
৬০৷ শেয়ার-মূলধন হ্রাস অনুমোদনের জন্য আদালতের নিকট আবেদন
কোন কোম্পানী উহার শেয়ার-মূলধন হ্রাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত হ্রাস অনুমোদন করিয়া আদেশ দানের জন্য উক্ত কোম্পানী আদালতের নিকট আরজির মাধ্যমে আবেদন করিবে৷
৬১৷ কোম্পানীর নামের সহিত “এবং হ্রাসকৃত” অথবা “and reduced” শব্দাবলী সংযোজন
কোন কোম্পানী উহার শেয়ার-মূলধন হ্রাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের তারিখ হইতে অথবা যে ক্ষেত্রে উক্ত হ্রাসের ফলে অপরিশোধিত শেয়ার-মূলধন সম্পর্কিত কোন দায়-দায়িত্ব হ্রাসকৃত হয় না বা কোন শেয়ার-হোল্ডারকে পরিশোধিত শেয়ার-মূলধনের অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন হয় না সেই ক্ষেত্রে, আদালত কর্তৃক উক্ত হ্রাস অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে আদালত কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত, কোম্পানী উহার নামের শেষে “এবং হ্রাসকৃত” অথবা “and reduced” শব্দদ্বয় যোগ করিবে এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত ঐ শব্দদ্বয় উক্ত কোম্পানীর নামের অংশ হিসাবে গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে হ্রাসের ফলে অপরিশোধিত শেয়ার-মূলধন সম্পর্কিত কোন দায় হ্রাস হয় না বা কোন শেয়ার-হোল্ডারকে পরিশোধিত শেয়ার-মূলধনের অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন হয় না, সেই ক্ষেত্রে আদালত, সমীচীন মনে করিলে, “এবং হ্রাসকৃত” অথবা “and reduced” শব্দদ্বয় সংযোজন করা হইতে উক্ত কোম্পানীকে অব্যাহতি দিতে পারে।
৬২৷ পাওনাদারগণ কর্তৃক আপত্তি উত্থাপন এবং আপত্তিকারী পাওনাদারগণের তালিকা প্রণয়ন
(১) যে ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত শেয়ার-মূলধন হ্রাসের ফলে অপরিশোধিত শেয়ার-মূলধন সম্পর্কিত দায় হ্রাস হয় বা কোন শেয়ার-হোল্ডারকে পরিশোধিত শেয়ার-মূলধনের অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি ব্যতিরেকেই এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি লইয়া কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পাওনাদার উক্ত হ্রাসের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবেন যিনি আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে কোম্পানী হইতে এইরূপ পাওনা বা দাবী আদায়ের অধিকারী যে, যদি উক্ত তারিখে কোম্পানীর অবলুপ্তি আরম্ভ হইত তাহা হইলে উক্ত পাওনা বা দাবী কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হইত।
(২) আদালত আপত্তি উত্থাপনের অধিকারী পাওনাদারগণের একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে, এবং এতদুদ্দেশ্যে কোন পাওনাদারের নিকট হইতে কোন দরখাস্ত না লইয়াই যতদুর সম্ভব, ঐ সকল পাওনাদারের নাম এবং তাহাদের পাওনা বা দাবীর ধরন ও পরিমাণ নির্ণয় করিবে; এবং এক বা একাধিক তারিখ ধার্য করিয়া এই মর্মে নোটিশ দিতে পারিবে যে, যাহারা তালিকাভূক্ত হইতে চাহেন অথবা তালিকাভূক্ত থাকিতে না চাহেন তাহারা উক্ত তারিখের মধ্যে তাহাদের দাবী জানাইবেন; এবং অতঃপর উক্ত দাবী বিবেচনাক্রমে আদালত তালিকাটি চূড়ান্ত করিবে।
৬৩৷ ঋণের জামানত ইত্যাদি দেওয়া হইলে পাওনাদারের সম্মতি পরিহারের ক্ষমতা
যদি এমন কোন পাওনাদারের নাম পাওনাদারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয় যাহার পাওনা বা দাবী পরিশোধিত বা পরিসমাপ্ত (determined) এবং যিনি মূলধন হ্রাসের অনুকূলে সম্মতি প্রদান করেন নাই, তবে আদালত উপযুক্ত মনে করিলে এবং কোম্পানী আদালতের নির্দেশমতে নিম্নোক্ত পরিমাণ অর্থ উক্ত পাওনা বা দাবী পরিশোধের জন্য জামানত হিসাবে জমা করিলে, আদালত উক্ত পাওনাদারের সম্মতি গ্রহণের আবশ্যকতা পরিহার করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) যদি কোম্পানী উক্ত পাওনাদারের সম্পূর্ণ পাওনা বা দাবী স্বীকার করে অথবা স্বীকার না করিয়াও যদি তাহা সম্পূর্ণভাবে পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক হয়, তাহা হইলে, উক্ত পাওনা বা দাবীর সম্পূর্ণ অর্থ;
(খ) যদি পাওনা বা দাবীর সম্পূর্ণ অর্থ উক্ত কোম্পানী স্বীকার না করে অথবা উহা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক না হয়, অথবা যদি উক্ত পাওনা বা দাবীর পরিমাণ অনির্দিষ্ট হয় বা উহার পরিশোধ একটি নির্দিষ্ট ঘটনা সাপেক্ষে হয়, তাহা হইলে আদালত কর্তৃক কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে যেরূপ তদন্ত এবং বিচারকৃত সিদ্ধান্তের (adjudication) ভিত্তিতে কোন বিষয় স্থির করা হয় সেইরূপ তদন্ত ও বিচারকৃত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আদালত উক্ত পাওনা বা দাবীর যে পরিমাণ নির্ধারণ করিবে তাহা।
৬৪৷ হ্রাস অনুমোদনের আদেশ
এই আইন অনুসারে শেয়ার-মূলধন হ্রাসের ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপনের অধিকারী প্রত্যেক পাওনাদার সম্পর্কে আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত হ্রাসের ব্যাপারে তাহার সম্মতি গ্রহণ করা হইয়াছে বা তাহার পাওনা বা দাবীর পরিসমাপ্তি ঘটিয়াছে বা উহা পরিশোধ করা হইয়াছে অথবা তজ্জন্য জামানত প্রদান করা হইয়াছে, তাহা হইলে আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে উক্ত হ্রাস অনুমোদন করিয়া আদেশদান করিতে পারিবে।
৬৫৷ হ্রাস সংক্রান্ত্ম আদেশ এবং বিস্ত্মারিত কার্য বিবরণী (minutes) নিবন্ধন
(১) রেজিষ্ট্রারের নিকট নিম্নবর্ণিত দলিলাদি উপস্থাপন করা হইলে তিনি উহাদিগকে নিবন্ধিকৃত করিবেন, যথা :-
(ক) কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন হ্রাস অনুমোদন করিয়া আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ;
(খ) আদালত কর্তৃক অনুমোদিত একটি বিবরণী, যাহাতে নিম্নোক্ত তথ্যাদি উল্লিখিত থাকিবে, যথা :-
(অ) হ্রাসকৃত শেয়ার-মূলধনের পরিমাণ;
(আ) যতগুলি শেয়ার উক্ত মূলধন বিভক্ত হইবে উহার সংখ্যা;
(ই) প্রতিটি শেয়ারের নামিক মূল্য;
(ঈ) নিবন্ধনের তারিখে এইরূপ শেয়ার-মূল্যের কোন অংশ পরিশোধিত গণ্য হইলে উহার পরিমাণ।
(২) শেয়ার-মূলধন হ্রাস করার জন্য কোম্পানীর বিশেষ সিদ্ধান্ত, যাহা পূর্বোক্তরূপে আদালতের আদেশ দ্বারা অনুমোদিত হইয়াছে তাহা, উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিবন্ধিকৃত হওয়ার পর কার্যকর হইবে, তৎপূর্বে নহে।
(৩) উক্ত নিবন্ধনের নোটিশ আদালত যেভাবে প্রকাশ করিতে নির্দেশ দান করিবে সেইভাবে প্রকাশ করিতে হইবে।
(৪) রেজিষ্ট্রার তাহার নিজ স্বাক্ষরে উক্ত আদেশ ও কার্যবিবরণী প্রত্যয়ন করিবেন এবং তাহার প্রত্যয়নপত্র চূড়ান্ত সাক্ষ্য বহন করিবে যে, শেয়ার-মূলধন হ্রাস সংক্রান্ত এই আইনের বিধানাবলী পালন করা হইয়াছে এবং তথ্য বিবরণীতে উল্লেখিত শেয়ার-মূলধনই কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন।
৬৬৷ কার্য-বিবরণী সংঘস্মারকের অংশ হইবে
(১) কার্যবিবরণী নিবন্ধনকৃত হওয়ার পর উহা কোম্পানীর সংঘস্মারকে সংশ্লিষ্ট অংশের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা এইরূপ বৈধ ও পরিবর্তনযোগ্য হইবে যেন তাহা শুরু হইতেই সংঘস্মারকে বিধৃত ছিল; এবং ইহা নিবন্ধনের পর ইস্যুকৃত সংঘস্মারকের প্রতিটি অনুলিপিতে উহা অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।
(২) যদি কোন কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান পালনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে ব্যর্থতার কারণে ত্রুটিপূর্ণ প্রত্যেকটি অনুলিপির জন্য উক্ত কোম্পানী অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ব্যর্থতা অনুমোদন করেন বা চলিতে দেন তিনিও, এইরূপ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৬৭৷ হ্রাসকৃত শেয়ারের ক্ষেত্রে সদস্যগণের দায়-দায়িত্ব
(১) শেয়ার-মূলধন হ্রাস করা হইলে উহার অতীত বা বর্তমান কোন সদস্য কোন শেয়ারের উপর তলবীকৃত অর্থ (call) পরিশোধের ক্ষেত্রে বা প্রদায়ক (contributory) হিসাবে অর্থ প্রদানের (contribution) ক্ষেত্রে , একদিকে শেয়ারের উপর পরিশোধিত অর্থ বা ক্ষেত্রমত হ্রাসকৃত অর্থ, যদি থাকে, যাহাকে শেয়ারের উপর পরিশোধিত অর্থ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং অন্যদিকে তথ্য বিবরণীর দ্বারা ধার্যকৃত শেয়ার-মূল্যের পরিমাণ এই দুইয়ের যে অন্তরফল হয়, যদি থাকে, তাহার অধিক অর্থ পরিশোধ বা প্রদানের জন্য দায়ী হইবেন না:
তবে শর্ত থাকে যে, শেয়ার-মূলধন হ্রাসের বিরম্্নদ্ধে তাহার পাওনা বা দাবী বাবদ আপত্তি উত্থাপনের অধিকারী কোন পাওনাদার যদি মূল্য হ্রাসের কার্যধারা (proceedings) সম্পর্কে বা তাহার দাবীর প্রশ্নে উক্ত কার্যধারার ধরন বা ফলাফল সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে পাওনাদারের তালিকায় তাহার নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হয়, এবং মূল্য হ্রাসের পর কোম্পানী যদি, আদালত কর্তৃক কোম্পানীর অবলুপ্তি সংক্রান্ত এই আইনের বিধানাবলীর তাৎপর্যাধীনে, তাহার পাওনা বা দাবীর অর্থ পরিশোধে অসমর্থ হয়, তাহা হইলে-
(ক) প্রত্যেক ব্যক্তি যিনি মূল্য হ্রাসের আদেশ এবং তথ্য-বিবরণী নিবন্ধনের তারিখে কোম্পানীর সদস্য ছিলেন তিনি উক্ত পাওনা বা দাবী পরিশোধের জন্য অনধিক সেই পরিমাণ অর্থ প্রদানে দায়ী থাকিবেন যে পরিমাণ অর্থ, উক্ত নিবন্ধনের পূর্বের দিন উক্ত কোম্পানীর অবলুপ্তি আরম্ভ হইলে, তিনি প্রদান করিতে দায়ী থাকিতেন; এবং
(খ) কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে আদালত, (ক) দফায় উলেস্্নখিত কোন পাওনাদারের আবেদনক্রমে এবং তাহার অজ্ঞতার প্রমাণ প্রাপ্তির পর, যদি উপযুক্ত মনে করে তবে উক্ত দফা অনুসারে অর্থ প্রদানের জন্য দায়ী ব্যক্তিগণের একটি তালিকা সাব্যস্ত করিতে পারিবে এবং উক্ত তালিকায় সাব্যস্ত প্রদায়কগণ হইতে এইরূপ অর্থ তলব করিতে পারিবে এবং উহা বলবত্ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারিবে যেন তাহারা কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে কোম্পানীর সাধারণ প্রদায়ক।
(২) এই ধারার কোন কিছুই প্রদায়কগণের পারস্পরিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করিবে না।
৬৮৷ পাওনাদারের নাম গোপন করার দণ্ড
যদি কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা শেয়ার-মূলধন হ্রাসের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের অধিকারী কোন পাওনাদারের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন পাওনাদারের পাওনা বা দাবীর প্রকৃতি বা পরিমাণের ভুল বর্ণনা করেন, কিংবা উক্ত গোপনকরণে বা ভুল বর্ণনায় সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে কিংবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
৬৯৷ মূলধন হ্রাসের কারণ প্রকাশ
কোন কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন হ্রাস করা হইয়া থাকিলে, উক্ত হ্রাসের উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য তথ্যাদি যাহা জনসাধারণের নিকট প্রকাশিত হওয়া উচিত বলিয়া আদালত মনে করে তাহা এবং আদালত উপযুক্ত মনে করিলে যে সমস্ত কারণে কোম্পানীকে মূলধন হ্রাস করিতে হইয়াছে তাহা প্রকাশ করার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
৭০৷ গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন বৃদ্ধি বা হ্রাস
এই আইনের বিধান অনুযায়ী শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী যেভাবে ও যে শর্তে উহার শেয়ার-মূলধন বৃদ্ধি বা হ্রাস করিতে পারে, সেই একইভাবে এবং একই শর্ত সাপেক্ষে গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী উহার শেয়ার-মূলধন পরিবর্তন করিতে পারিবে, যদি উহার শেয়ার-মূলধন থাকে এবং সংঘবিধির বিধানবলে উহার উক্ত ক্ষমতা থাকে।
৭১৷ বিশেষ শ্রেণীর শেয়ারহোল্ডারগণের অধিকার
(১) বিভিন্ন শ্রেণীর শেয়ার বিভক্ত শেয়ার-মূলধন-বিশিষ্ট কোন কোম্পানীর সংঘস্মারকে বা সংঘবিধিতে যদি এইরূপ বিধান থাকে যে, কোন শ্রেণীর ইস্যুকৃত শেয়ারের ধারকগণের একটি নির্দিষ্ট আনুপাতিক সদস্যের সম্মতি সাপেক্ষে অথবা তাহাদের একটি পৃথক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে, উক্ত শ্রেণীর শেয়ারের সহিত সংশ্লিষ্ট অধিকারের পরিবর্তন করা যাইবে, এবং যদি তদানুসারে উক্ত শ্রেণীর শেয়ারের সহিত সংশ্লিষ্ট অধিকার পরিবর্তন করা হয়, তাহা হইলে উক্ত শ্রেণীর ইস্যুকৃত মোট শেয়ারের অন্যুন শতকরা দশ ভাগ শেয়ারের ধারকগণ, যাহারা সম্মতি দান করেন নাই বা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দান করেন নাই তাহারা, উক্ত পরিবর্তন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন; এবং এইরূপ কোন আবেদন করা হইলে আদালত কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পরিবর্তন কার্যকর হইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত সম্মতি দানের তারিখ বা ক্ষেত্রমত সিদ্ধান্ত গ্রহণের তারিখ হইতে চৌদ্দ দিনের মধ্যে উক্ত উপ-ধারার উল্লেখিত আবেদন পেশ করিতে হইবে এবং আবেদন করার অধিকারী শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে লিখিতভাবে নিযুক্ত হইলে তাহাদের মধ্যে অনুরূপ এক বা একাধিক ব্যক্তি সকলের পক্ষে আবেদন পেশ করিতে পারিবেন।
(৩) উক্তরূপ আবেদন করা হইলে, আবেদনকারীর বক্তব্য এবং অন্যান্য ব্যক্তি যাহারা শুনানী গ্রহণের জন্য আদালতের নিকট দরখাস্ত করেন এবং যাহারা আবেদনের সহিত স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বলিয়া আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয়, তাহাদের বক্তব্য শ্রবণ করার পর আদালত যদি বিষয়টির সর্বদিক বিবেচনা করিয়া এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্তরূপ আবেদনকারী যে শ্রেণীর শেয়ারহোল্ডারগণের প্রতিনিধি, উক্ত পরিবর্তনের ফলে অন্যায়ভাবে সেই শ্রেণীর শেয়ারহোল্ডারগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হইবে, তাহা হইলে আদালত উক্ত পরিবর্তন বাতিল করিবে এবং অনুরূপভাবে সন্তুষ্ট না হইলে উক্ত পরিবর্তন অনুমোদন করিবে।
(৪) উক্তরূপ আবেদনের উপর আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।
(৫) উক্তরূপ আবেদনের উপর আদালতের কোন আদেশ কোম্পানীর প্রতি জারী হওয়ার পনের দিনের মধ্যে কোম্পানী উক্ত আদেশের একটি অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট পাঠাইয়া দিবে; এবং এই বিধান পালনে ত্রুটি করা হইলে কোম্পানী অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে, এবং কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা যিনি, জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে, এই ত্রুটি করিয়াছেন তিনিও একইরূপ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(৬) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, “পরিবর্তন” বলিতে “রহিত” শব্দটি অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং “পরিবর্তিত” শব্দটি অনুরূপভাবে ব্যাখ্যা করিতে হইবে।
৭২৷ অসীমিতদায় কোম্পানীকে সীমিতদায় কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধন
(১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, অসীমিতদায় হিসাবে নিবন্ধিকৃত কোন কোম্পানীকে সীমিতদায় কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিকৃত করা যাইতে পারে এবং এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে সীমিতদায় হিসাবে নিবন্ধিকৃত কোন কোম্পানীকে এই আইন অনুযায়ী পুনরায় নিবন্ধিকৃত করা যাইতে পারে; কিন্তু অসীমিতদায় কোন কোম্পানীকে সীমিতদায় কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধনের পূর্বে অন্য কাহারো নিকট কোম্পানীর কোন ঋণ, দায়-দায়িত্ব বা বাধ্যবাধকতাকে বা কোম্পানী কর্তৃক বা উহার পক্ষে সম্পাদিত চুক্তিতে উক্ত নূতন নিবন্ধন কোনভাবেই প্রভাবিত করিবে না এবং ঐ সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা ও চুক্তি এইরূপে কার্যকর হইবে যেন উহা এই আইনের অষ্টম খণ্ডের বিধান অনুসারে নিবন্ধনযোগ্য কোন কোম্পানীর ঋণ, দায়-দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা ও চুক্তি।
(২) এই ধারা অনুসারে নিবন্ধনের পর, রেজিষ্ট্রার কোম্পানীর পূর্বেকার নিবন্ধনের কার্যকরতা বন্ধ করিয়া দিবেন এবং, কোম্পানীর আদি নিবন্ধনকালে যে সকল দলিলাদির অনুলিপি তাহার নিকট দাখিল করা হইয়াছিল ঐ সকল অনুলিপি দাখিল করা হইতে কোম্পানীকে অব্যাহতি দিতে পারিবেন এবং, এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোম্পানীর পুনঃনিবন্ধন এইরূপ কার্যকর হইবে যেন এই আইন মোতাবেক উহাই ছিল উক্ত কোম্পানীর আদি নিবন্ধন।
৭৩৷ পুনঃনিবন্ধনের পর অসীমিতদায় কোম্পানী সংরতিগত (Reserve) শেয়ার-মূলধনের ব্যবস্থা করার ক্ষমতা
(১) শেয়ার-মূলধন বিশিষ্ট কোন অসীমিতদায় কোম্পানী এই আইনানুসারে সীমিতদায় কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া নিম্নের যে কোন একটি বা উভয়বিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) প্রতিটি শেয়ারের নামিক মূল্য (nominal value) বর্ধিত করিয়া কোম্পানী উহার শেয়ার-মূলধনের নামিক পরিমাণ (nominal amount) বৃদ্ধি করিতে পারিবে, তবে যে পরিমাণ মূলধন বৃদ্ধি করা হয় উহার কোন অংশ কেবলমাত্র কোম্পানীর অবলুপ্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রে বা উদ্দেশ্যে তলব করা যাইবে না;
(খ) কোম্পানী এইরূপ বিধান করিতে পারিবে যে, কোম্পানীর অবলুপ্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রে বা উদ্দেশ্যে উহার অতলবকৃত শেয়ার-মূলধনের কোন নির্দিষ্ট অংশ তলব করা যাইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) অনুসারে বর্ধিত বা নির্দিষ্টকৃত শেয়ার-মূলধনের অংশ সংরক্ষিত শেয়ার-মূলধন বলিয়া অভিহিত হইবে।
৭৪৷ সীমিতদায় কোম্পানীর সংরৰিত শেয়ার-মূলধন
কোন সীমিতদায় কোম্পানী বিশেষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এইরূপ বিধান করিতে পারিবে যে, উহার শেয়ার-মূলধনের একটি নির্দিষ্ট অংশ, যাহা ইতিপূর্বে তলব করা হয় নাই, কোম্পানীর অবলুপ্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রে বা উদ্দেশ্যে তলবযোগ্য হইবে না; এবং অতঃপর কোম্পানীর অবলুপ্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রে বা উদ্দেশ্যে শেয়ার-মূলধনের উক্ত অংশ তলবযোগ্য হইবে না, এবং শেয়ার-মূলধনের উক্ত অংশ সংরতিগত শেয়ার-মূলধন নামে অভিহিত হইবে।
৭৫৷ সীমিতদায় কোম্পানীর অসীমিতদায়সম্পন্ন পরিচালক
(১) সংঘস্মারকে বিধান করা হইলে, কোন সীমিতদায় কোম্পানীর পরিচালকগণের বা তাহাদের মধ্যে যে কোন সংখ্যক পরিচালকের দায় অসীমিত হইতে পারে।
(২) কোন সীমিতদায় কোম্পানীতে কোন পরিচালকের দায় অসীমিত থাকিলে, উক্ত কোম্পানীর অন্যান্য পরিচালকগণের কেহ, যদি থাকেন, বা কোন সদস্য যদি কোন ব্যক্তিকে অসীমিতদায়সম্পন্ন পরিচালকের পদে নির্বাচন বা নিয়োগের জন্য প্রস্তাব করেন, তবে তিনি উক্ত প্রস্তাবের সহিত একটি বিবৃতি সংযোজিত করিয়া দিবেন যে, উক্ত ব্যক্তির দায় অসীমিত হইবে; এবং উক্ত ব্যক্তি উক্ত পদের ভার গ্রহণের বা উক্ত পদে কার্য করার পূর্বে কোম্পানীর উদ্যোক্তাগণ বা কর্মকর্তাগণ অথবা তাহাদের মধ্যে যে কোন একজন উক্ত ব্যক্তিকে লিখিত নোটিশ দিয়া জানাইয়া দিবেন যে, তাহার দায় অসীমিত।
(৩) যদি কোন পরিচালক বা সদস্য তাহার প্রস্তাবে উপ-ধারা (১) অনুসারে বিবৃতি সংযোজিত করিতে ব্যর্থ হন বা যদি কোম্পানীর কোন উদ্যোক্তা বা কর্মকর্তা উক্ত উপ-ধারা অনুসারে নোটিশ দিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত ব্যর্থতার কারণে অনুরূপভাবে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তির যে ক্ষতি হইতে পারে তাহা পূরণ করার জন্যও দায়ী থাকিবেন, তবে উক্ত ব্যর্থতার কারণে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তির দায়-দায়িত্বের কোন ব্যতয় ঘটিবে না।
৭৬৷ পরিচালকগণের দায় অসীমিত করিয়া সীমিতদায় কোম্পানীর বিশেষ সিদ্ধান্ত
(১) সংঘবিধিবলে ক্ষমতা প্রাপ্ত হইলে কোন সীমিতদায় কোম্পানী উহার পরিচালকগণের সকলের বা যে কোন সংখ্যক পরিচালকের দায়কে অসীমিতদায়ে রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্যে বিশেষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংঘস্মারকে পরিবর্তন করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন বিশেষ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর উহার বিধানসমূহ এইরূপ কার্যকর হইবে যেন ঐগুলি শুরু হইতেই সংঘস্মারকে অন্তর্ভুক্ত ছিল।