প্রকল্প সাইট, অফিস বা অফিসের বাইরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ঠিকাদার বা তার প্রতিনিধির মধ্যে বিল প্রদান, কাজের মান, কাজের অগ্রগতি, ইত্যাদি নিয়ে মারামারি, গায়ে হাত তোলা, জবরদস্তি সহ বিভিন্ন বিষয়ে পত্র পত্রিকায় প্রায়ই সংবাদ দেখা যায়। অনেক সময়ই এসব বিব্রতকর, মানহানিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য এ নিয়ে কর্মকর্তাদের কেউ মুখ খুলতে বা প্রকাশ করতে চায় না। অথচ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধি অনুযায়ি এরকম জবরদস্তিমূলক কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মারামারি, গায়ে হাত তোলা, জবরদস্তি, ইত্যাদি ঘটনা ঘটলেও প্রকৃতপক্ষে ঠিকাদার বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জন্য সুখকর হবার কথা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু ঠিকাদার বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তা এক সময় মিটমাট হয়ে যায় অথবা সংশ্লিষ্ট লোকজন কে বদলী করে কোন রকমে ম্যানেজ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভূক্তভোগী কর্মকর্তা আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কিন্তু এটা একটা জটিল এবং সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এটাও কালক্রমে সমঝোতার মাধ্যমে শেষ করার উদ্যোগ দেখা যায়।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ অনুযায়ি মারামারির ঘটনার ক্ষেত্রে মৌলিক শর্ত ভঙ্গ করবার কারণে অফিস চুক্তি বাতিল করতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১ (এক) বৎসর অথবা অনধিক ২ (দুই) বৎসরের জন্য সকল ক্রয়কারীর ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবে।
কিন্তু দেখা গেছে এই বিষয়গুলো স্থানীয়ভাবে ধাপাচাপা দেয়া হয় বা চেষ্টা করা হয়। ফলে এই রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ভিতরেই এর সমাধান আছে। পাশাপাশি আইনের আশ্রয়ও নেয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে সবাই সচেতন হলেই কেবল এধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
e-GP তে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে ডিবার করবেন দেখতে ক্লিক করুণ।