বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই বিশেষ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশে–বিদেশে উদ্বেগ বাড়ছে। যেকোনো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করা গেলে বা মেনে চললে সহজেই সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। এই ব্যবস্থা ফলপ্রসূ করতে হলে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময় যেকোনো সর্দি–কাশি, জ্বর বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যদেরকেও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া নিরুৎসাহিত করুন।
এই পরিস্থিতিতে নিজেকে, নিজের পরিবার, স্বজনদের রক্ষা করতে একজন সচেতন নাগরিক এবং টেন্ডারের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার ভূমিকা কি হওয়া উচিত ? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে থাকার সময় বাড়িতে অবস্থানের ক্ষেত্রে বাসা থেকে অফিসের অনেকগুলো কাজ করা যেতে পারে। ই-জিপি’র ভূমিকা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।অনলাইনে এসময় কি কি কাজ কিভাবে করবেন দেখা যাক –
ক্রয়কারি বা সরকারি দপ্তরের ক্ষেত্রে
১। APP (বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা), প্রাক্কলন, টেন্ডার ডকুমেন্ট, ইত্যাদি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তা বাড়িতে বসেই কাজ করা যায়। কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে থাকার এই সময়গুলো সরকারি দপ্তরের ক্রয়কারি (Procuring Entity), ক্রয়কারির প্রতিনিধি, ক্রয়কারি দপ্তরের প্রধান (HOPE), ইত্যাদি কর্মকর্তাগন APP, প্রাক্কলন প্রস্তুতি, টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুতি এবং তা অনুমোদনের ব্যবস্থা বাড়িতে বসেই খুব ভালভাবেই সম্পন্ন করতে পারেন।
২। দরপত্র LIVE এ থাকার সময়টা ক্রয়কারি এবং ঠিকাদারদের জন্য অনেক গূরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদারগন সংশ্লিষ্ট দরপত্র জমা দিতে পারছে কিনা বিশেষ করে ব্যাংকের মাধ্যমে সিডিউল ক্রয় করতে পারছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ রাখা জরুরি। ক্রয়কারিগন এ সময় আশেপাশের ব্যাংকের তথ্য নিয়ে রাখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানান হয়েছে যে এসময় ব্যাংকে জরুরি সেবা বা আংশিক কার্যক্রয় চালু থাকবে।
তবে, ক্রয়কারি প্রয়োজনে করিজেনডাম দিয়ে টেন্ডার জমার সময় পিছিয়েও দিতে পারেন।
ঠিকাদারগন সিডিউল ঘরে বসেই অনলাইনে ক্রয় করতে পারেন। চাইলে আগেভাগেও ব্যাংক থেকে সিডিউল ক্রয় করতে পারেন। কাজেই সব টেন্ডার যে পিছিয়ে দিতেই হবে এমন কোন প্রয়োজন নেই। ক্রয়কারি তার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন।
৩। দরপত্র উন্মুক্তকরণ, মূল্যায়ন, চুক্তি অনুমোদন বাড়িতে বসেই কাজ করা যায়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যগন যার যার বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারেন। ই-জিপি টেন্ডারের ক্ষেত্রে রেজুলেশনের হার্ড কপিতে সব সদস্যদের স্বাক্ষর লাগবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
৪। NOA ইস্যুর ক্ষেত্রে ক্রয়কারি বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারেন। তবে, NOA ইস্যু এ সময়ে না করাই ভাল। কারন NOA ইস্যুর পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ঠিকাদারকে তা গ্রহন করে পারফরমেন্স সিকিউরিটি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। ঠিকাদারদের সাম্ভাব্য অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এই জরুরি সময়ে NOA ইস্যু না করাই শ্রেয় হবে।
৫। চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে যেহেতু নির্ধারিত ফর্মের হার্ড কপিতে ক্রয়কারি ও ঠিকাদার এবং তাদের দুইজন প্রতিনিধি সহ সবার স্বাক্ষর লাগবে কাজেই ই-জিপি টেন্ডারের ক্ষেত্রে তা পরে করা যেতে পারে। ই-জিপিতে চুক্তি স্বাক্ষরের কাজটি পরেও করা যায়। সিস্টেমে আটকায় না। তবে ঠিকাদারকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই NOA গ্রহন ও পারফরমেন্স সিকিউরিটি জমা প্রদান করতেই হবে। অন্যথায় চুক্তি স্বাক্ষর করা যাবে না।
৬। কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে commencement date প্রয়োজন অনুযায়ি পিছিয়ে দিতে হবে। নির্ধারিত চলমান কাজগুলো বন্ধ করার নির্দেশনা এখনই দেয়া যেতে পারে (২০২০ সালের প্রেক্ষাপটে)। তবে জরুরি চলমান কাজ বহাল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অফিস বন্ধ হবার পূর্বেই ঠিকাদারদেরকে তাদের চলমান কাজ সম্পর্কে একটা নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। পরবর্তিতে তা চুক্তি বাস্তবায়নে সাম্ভাব্য বিরোধ (conflict) দূর করবে।
ঠিকাদারদের ক্ষেত্রে
১। ঠিকাদারগন সিডিউল ঘরে বসেই অনলাইনে ক্রয় করতে পারেন। চাইলে আগেভাগেও ব্যাংক থেকে সিডিউল ক্রয় করতে পারেন। কাজেই টেন্ডার জমার সময় যে বৃদ্ধি হবেই এমন ভাবার কোন কারন নেই। টেন্ডার জমার সময় বৃদ্ধি করা বা না করা সম্পুর্ন ক্রয়কারির এখতিয়ার।
২। NOA গ্রহনের ক্ষেত্রে ঘরে বসেই অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়।
৩। NOA ইস্যুর পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ঠিকাদারকে তা গ্রহন করে পারফরমেন্স সিকিউরিটি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ি নির্দিষ্ট সময়ে এই কাজ করা সম্পুর্নভাবে ঠিকাদারের রিস্ক। কাজেই যেসব কাজের NOA ইস্যু করা হয়েছে সেসব কাজের পারফরমেন্স সিকিউরিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এখনই জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় জটিলতা এড়ানোর সুযোগ নেই।
৪। চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে যেহেতু নির্ধারিত ফর্মের হার্ড কপিতে ক্রয়কারি ও ঠিকাদার এবং তাদের দুইজন প্রতিনিধি সহ সবার স্বাক্ষর লাগবে কাজেই ই-জিপি টেন্ডারের ক্ষেত্রে তা পরে করা যেতে পারে। ই-জিপিতে চুক্তি স্বাক্ষরের কাজটি পরেও করা যায়। সিস্টেমে আটকায় না। তবে ঠিকাদারকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই NOA গ্রহন ও পারফরমেন্স সিকিউরিটি জমা প্রদান করতেই হবে। অন্যথায় চুক্তি স্বাক্ষর করা যাবে না।
৫। কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত চলমান কাজগুলো বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে এখনই (২০২০ সালের প্রেক্ষাপটে) ঠিকাদারদের উচিত হবে একটা চিঠি বা ই-মেইল দিয়ে রাখা। জরুরি চলমান কাজ বহাল রাখার প্রয়োজন হলে সেই নির্দেশনাও চাইতে হবে। পরবর্তিতে তা চুক্তি বাস্তবায়নে সাম্ভাব্য বিরোধ (conflict) দূর করবে।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
5 thoughts on “করোনা ভাইরাসের এই জরুরি অবস্থায় ক্রয়কারি ও ঠিকাদারদের করণীয়”
bhaiya, vison chape achi….tobe joto tuku mathai asche tate….NOA issue apni pore koren thik ache….kintu tender validity to barire rakhte hobe tai na ? karon validity sesh hoye gele to oi tender okarjokor hoye jabe . thik bollam ki ?
ঠিক বলেছেন।
বর্তমানে লক ডাউন চলছে, প্রতিযোগিতা সচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দরপত্র কার্যক্রম পেছানো একান্ত ই প্রয়োজন, অথবা জরুরি ক্রয়কার্যে কোটেশন পদ্ধতি অথবা সীমিত দরপত্রের ক্ষেত্রে দরপত্র জামানত ছাড়া দরপত্র আহ্বান করা যেতে পারে, তাহলে বাড়িতে অবস্থান করেই ই দরপত্র অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করা যাবে,
Hi there! This post could not be written any better!
Reading through this post reminds me of my old room mate!
He always kept talking about this. I will forward this post to him.
Pretty sure he will have a good read. Many thanks for sharing!
Hello There. I found your blog using msn. This is an extremely well
written article. I’ll be sure to bookmark it and return to read more of your useful information. Thanks for the post.
I’ll certainly comeback.
Here is my web page; biden we just did hat