ভুটানে এবার ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমিন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের কাজ পেয়েছে বাংলাদেশি সফটওয়ার কোম্পানি দোহাটেক নিউ মিডিয়া। গত ৭ জুলাই ২০২০ দেশটির রাজধানী থিম্পুতে এ সেবার উদ্বোধন করে দেশটির অর্থমন্ত্রী ল্যেনপো ন্যামগে টিশ্যারিং। এ সময় ভুটানের ই-জিপির পরিচালক কেস্যাং ডেমি তার দেশের সকল স্টোকহোল্ডারদের জন্য এ সিস্টেমের উপকারিতা ও এর সুবিধবাগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি গুরুত্ব এ সংস্কার প্রক্রিয়ায় যেসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তাও তুলে ধরেন তিনি। সিস্টেমটি ভুটানে আইটি খাতকে কাজে লাগিয়ে কাজের পরিধিকে বিস্তৃত করে। ২০১৭ সালে প্রথম ভুটানে ই-জিপি যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই এর বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে আসছে দেশটির জনসাধারণ।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
অনুষ্ঠানে দোহাটেকের চেয়ারম্যান লুনা শামুসদ্দোহা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে ই-জিপি সিস্টেমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
দোহাটেক নিউ মিডিয়া মূলত তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান। যা এতদিন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেনাকাটা ও ভেন্ডর হিসেবে কাজ করে আসছিল। এখন থেকে ভুটান সরকারের ই-জিপি সিস্টেমেও (phase ll) কাজ করবে এটি।
বাংলাদেশ সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এমআইএস এবং ই-জিপি সিস্টেমের বাস্তবায়নে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারাই ভোটার এনরোলমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করে, যে ধারাবাহিকতায় সবার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ এ দেশে সম্ভব হয়েছে। ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপিতেও দোহাটেকের অবদান অসামান্য।
শুরুতে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে দোহাটেক। এক সময় ডব্লিউএইচও, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হয়েও এই কাজটি করে তারা। বর্তমানে তাদের কর্মপরিধি প্রসারিত হয়েছে আমেরিকা, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্স তৈরির ক্ষেত্রে ‘দোহাটেক’ অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।
এর আগে নেপালেও ই-জেপি সিস্টেম চালু হয়। ভুটানের এ আয়োজনে অনলাইনে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।