ই-জিপিতে নতুন রেকর্ড

নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে দরপত্র আহ্বান। ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানের মোট সংখ্যা চার লাখের মাইলফলক ছুঁয়েছে। ২২ জুলাই ২০২০ তারিখে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা চার লাখ ১১০টিতে পৌঁছেছে। সেই সাথে ই-জিপিতে আহ্বানকৃত দরপত্রের মোট মূল্যমান দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায়।
মাত্র আট বছরের মধ্যে ই-জিপিতে সরকারি ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের এই ব্যাপক অংশগ্রহণ সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনে বড় ধরনের একটি সাফল্য। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এর অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ই-জিপি চালু করেছে। সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
ওই বছরই চারটি বড় ক্রয়কারী সংস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু করা হয়। ক্রয়কারী সংস্থাগুলো হচ্ছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
পরীক্ষামূলক অনলাইন টেন্ডারিংয়ে সফলতা অর্জনের পর ২০১২ সাল থেকে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউ’র উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে ।
২২ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত মোট ১,৩৬৫টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে ১,৩৪৩টি ই-জিপির আওতায় এসেছে। আর ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা ৭৪,৩৯৫। ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতা উভয় পক্ষই তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা ই-জিপির সুফল পাচ্ছে। এর মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থেরও ব্যাপক সাশ্রয় হচ্ছে। টেন্ডার নিয়ে আর কোন ঝুট, ঝামেলাও হচ্ছে না।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মূসচি-এডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারি ক্রয়ে ব্যয় হয়।
সূত্রঃ সিপিটিইউ

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সিএজি কার্যালয়ে অডিট সংক্রান্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চলছে
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী (১২-১৫ মে, ২০২৫) সারা বাংলাদেশের সকল নিরীক্ষা ও

“Significantly low price)” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি

“ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট বা রেট কন্ট্রাক্ট” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি
6 thoughts on “ই-জিপিতে নতুন রেকর্ড”
সব দপ্তরের টেন্ডার ই-জিপিতে হচ্ছে কিন্তু ৯ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনো জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সেতু কালর্ভাট এইচ বিবি রোড এর টেন্ডার যা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয় তা এখনোও ই-জিপি তে আসে নি। ত্রাণ এর টেন্ডার ও ই-জিপি তে আসা উচিৎ।
অবশ্যই ই-জিপির আওতায় আসা উচিত।
২২ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত মোট ১,৩৬৫টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে ১,৩৪৩টি ই-জিপির আওতায় এসেছে।
২২ টি দপ্তর ই-জিপি তে না আসার কি কারণ???
অবশ্যই ই-জিপির আওতায় আসা উচিত। এখন যথাযত কর্তৃপক্ষের উচিত এটা খুঁজে বের করা।
yes tran er LTM tender o egp te asa uchit
ভালো বলেছেন।