Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

কারওয়ান বাজারের দুই ভবনে ১৪০০ কোম্পানি

Facebook
Twitter
LinkedIn

কারওয়ান বাজারের একটি ভবনের নাম তাজ ম্যানশন। ভবনের ঠিকানা ২৮, কারওয়ান বাজার, ঢাকা। চারতলা এই ভবন বেশ পুরোনো ও জরাজীর্ণ। প্রতিটি তলা স্যাঁতসেঁতে, আলো কম। অথচ এ ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় ৫৮০টি কোম্পানি নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। সব কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ও এ ভবনে থাকার কথা। বাস্তবে এ ভবনে এসব কোম্পানির অস্তিত্ব নেই। তাজ ম্যানশনের মতো কারওয়ান বাজারে এমন আরেকটি ভবনের সন্ধান মিলেছে। যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পাশের ভবন শাহ আলী টাওয়ার। এ ভবনের ঠিকানা হলো ৩৩, কারওয়ান বাজার।

এভাবে, কারওয়ান বাজারের দুই ভবনেই প্রায় ১৪০০ কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যার বেশিরভাগই আসলে ভুয়া বা কাগুজে কম্পানি।

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন

কেন এই দশা

বর্তমানে ১ লাখ ৮৬ হাজার নিবন্ধিত কোম্পানি আছে। এসব কোম্পানির নিবন্ধন, রিটার্ন জমা তদারক, সার্বিক পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য মাত্র ৬ জন পরিদর্শক রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা কার্যালয়ে পাঁচজন এবং রাজশাহী কার্যালয়ে একজন পরিদর্শক আছেন। চট্টগ্রাম ও খুলনা কার্যালয়ে কোনো পরিদর্শক নেই। তবে পরিদর্শক-সংকটের কারণে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া তথ্য এবং কোম্পানির প্রস্তাবিত ঠিকানা সরেজমিনে যাচাই-বাছাই ছাড়াই দেদার নিবন্ধন দেওয়া হয়। সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে কোম্পানির নিবন্ধন দেওয়ার মতো লোকবল নেই। তাই আবেদনপত্রের কাগজপত্র ঠিক থাকলেই নিবন্ধন দেওয়া হয়।

যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) শুধু নিবন্ধন দিয়েই বসে থাকে। কম্পানির নামের ছাড়পত্র পাওয়া গেলে কোম্পানির জন্য আবেদন করা হয়। প্রস্তাবিত কোম্পানির ঠিকানা, পরিচালকদের কর শনাক্তকরণ নম্বরসহ (টিআইএন) বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র দিতে হয়। এসব কাগজপত্র ভুয়া কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না বলে আরজেএসসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ফলে নিবন্ধন নিয়ে হাজার হাজার কোম্পানি হয়ে আছে শুধু ‘কাগুজে’ কোম্পানি। এসব কোম্পানি ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করল কি না, ব্যবসা শুরু করল কি না, পরিচালকদের ব্যবসা পরিচালনায় সক্ষমতা কেমন—এসবের কোনো খোঁজ নেন না আরজেএসসির কর্মকর্তারা।

একই ঠিকানা ব্যবহার করে এত কোম্পানি নিবন্ধন নেওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। লোকবল ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে যাচাই-বাছাই না করেই নির্বিচার কোম্পানি নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। বছরে হাজার হাজার কোম্পানি নিবন্ধন নিচ্ছে, নিবন্ধন নেওয়ার পর সেগুলো পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা দেখভাল করার দায়িত্বও আরজেএসসির। তারা এই দায়িত্ব এড়াতে পারে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

FAQ

বিদেশি ফার্মের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চার পরিচালনার নতুন নীতিমালা

বিদেশি অংশীদারি যৌথ মালিকানার কোম্পানির ব্যবসা (JVCA) পরিচালনার জন্য নতুন নীতিমালা করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক (International) অথবা অভ্যন্তরিন (National) দরপত্রে জয়েন্ট

Read More »
ক্রয়কারি ফোরাম

e-GP সাইটে ভুতুরে কান্ড !!! ডকুমেন্ট ডাউনলোড হচ্ছে না

e-GP সাইটে ভুতুরে কান্ড !!! দরপত্র মূল্যায়নের সময় ঠিকাদারদের অনেক ডকুমেন্ট ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। ইজিপিতে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে

Read More »
সমসাময়িক

ঢাকা উড়াল সড়ক প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল কেন

সরকারি–বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় প্রকল্পের একটি ঢাকা উড়াল সড়ক (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) প্রকল্প। বাংলাদেশ ছাড়া থাইল্যান্ড ও চীনভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান

Read More »
সংবাদপত্রের পাতা থেকে

বিরোধের নিষ্পত্তি, ঢাকা উড়াল সড়কের কাজ আবারও চালু হলো

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় প্রকল্পের একটি ঢাকা উড়াল সড়ক (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) প্রকল্প। বাংলাদেশ ছাড়া থাইল্যান্ড ও চীনভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান

Read More »
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

 

** সীমিত সময়ের জন্য Discount চলছে।

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সূচীঃ PPR-08

Scroll to Top