বর্তমানে কোনরুপ যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোন কোন সরবরাহকারী বা ঠিকাদার চুক্তির শর্তানুযায়ী যাবতীয় কাজ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে বা বিলম্ব করছে মর্মে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চুক্তির মৌলিক শর্ত, যথাঃ-সময়, মূল্য, গুনগত মান ও অন্যান্য প্রধান শর্ত অনুসরণপূর্বক কাজ বাস্তবায়নের বিষয়ে পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য সম্পাদিত ক্রয় চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী/ঠিকাদার/পরামর্শকের বাধ্যবাধকতা থাকে। পরবর্তীতে চুক্তিতে উল্লিখিত শর্তাবলির ব্যত্যয় সংঘটিত হলে সরকারি তহবিলের আওতায় ক্রয্য পণ্য, কার্য বা সেবা যথাসময়ে সঠিক মূল্য এবং মান অনুযায়ী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, ফলশ্রুতিতে নাগরিক সেবা এবং দেশের উন্নয়ন ব্যহত হয়।
নির্ধারিত সময় ও মান নিশ্চিত করে চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার/সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ১২৭ অনুযায়ী ক্রয়কারী কর্তৃক বারিতকরণসহ চুক্তির আওতায় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী কাজ বাস্তবায়নে ব্যর্থতার বিষয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ (পিপিএ ২০০৬) এর ধারা ৬৪, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ (পিপিআর ২০০৮) এর বিধি ১২৭ এবং আদর্শ দরপত্র দলিলের General Conditions of Contract (GCC) অংশ রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী/ঠিকাদারের কার্য-সম্পাদন জামানত (Performance Security) তলব এবং উক্ত সরবরাহকারী/ঠিকাদারকে সরকারি ক্রয় কাজে অযোগ্য/বারিত (Debar) ঘোষণা।
আরও দেখুনঃ কাজ ফেলে রাখলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কি কি শাস্তি পেতে পারে …
এ বিষয়ে সিপিটিইউ এর একটি সার্কুলারও আছেঃ