Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

সব কাজ পাচ্ছে একটি-ই প্রতিষ্ঠান

Facebook
Twitter
LinkedIn

বিআরটিএর দরপত্রের গত প্রায় এক দশক ধরে সব কাজ পাচ্ছে একটিই প্রতিষ্ঠান …… সিএনএস। তবে, একই ধরনের সেবার ভিন্ন ভিন্ন ফি। চড়া দামে তাদের সেবা নিতে হচ্ছে যানবাহনের মালিক ও চালকসহ সেবাগ্রহীতাদের।

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহককে সেবা দেওয়ার জন্য গত এক দশকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যত দরপত্র ডেকেছে, তার প্রায় সবই পেয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড বা সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ মোটরযানের কর ও ফি আদায়সংক্রান্ত কাজও পেতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতিটি দরপত্রেই এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সিএনএস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে চড়া দামে তাদের সেবা নিতে হচ্ছে যানবাহনের মালিক ও চালকসহ সেবাগ্রহীতাদের।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) জানিয়েছে, বিআরটিএর এই কাজগুলো করার মতো অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আছে। তাদের ১ হাজার ৬০০ সদস্যের প্রায় সবাই এ ধরনের কাজ করার জন্য যোগ্য। তবে অযাচিত শর্তের কারণে অনেকে নিরুৎসাহিত হয়। প্রতিটি দরপত্রেই এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সিএনএস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে না।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিএনএসকে একচেটিয়া কাজ দেওয়ার পেছনে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের একটি অংশ কাজ করে। তারা সিএনএসের অনুকূলে শর্ত জুড়ে দেয়। প্রতিবারই কোয়ালিটি ও কস্ট বেজড সার্ভিস (কিউসিবিএস) পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে। এতে প্রথমে শর্তের বেড়াজালে ফেলা হয় প্রতিযোগীদের।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর একনেকের বৈঠকে কোনো ঠিকাদারকে একসঙ্গে একাধিক প্রকল্পের কাজ না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বিআরটিএতে এই নির্দেশনার কোনো প্রতিফলন নেই।

নথিপত্র বলছে, দরপত্রের প্রথম শর্ত হলো, ঠিকাদারের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শর্ত মোটামুটি কাছাকাছি। মূল বক্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২০টি জেলার ২৫টি এলাকায় তফসিলি ব্যাংক বা আধা সরকারি ব্যাংক বা অটোনোমাস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রিয়েল টাইম অনলাইন কম্পিউটারাইজড কর বা রাজস্ব সংগ্রহের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সর্বশেষ তিন বছরে ৩৫ কোটি টাকার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। চতুর্থ শর্ত-মোটরযানের কর ও ফি সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশের কমপক্ষে ৫টি তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি থাকতে হবে বা নতুন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করতে হবে।

সিএনএস ২০১০ সালে এই কাজ পাওয়ার পর বিভিন্ন সময় ১৮টি বেসরকারি ব্যাংক ও বিকাশসহ আরও বেশ কিছু আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করে রেখেছে। এসব শর্ত সিএনএসকে কাজ দিতেই যুক্ত করা হয়েছে—এই দাবি করে সংক্ষুব্ধ পাঁচটি কোম্পানি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএতে অভিযোগ দেয়। এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে আইবিএস-প্রাইম্যাক্স সফটওয়্যার লিমিটেড, লিডস করপোরেশন লিমিটেড, স্মার্ট টেকনোলজি বিডি লিমিটেড, টাইগার আইটি ও কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রধান সংগঠন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রথম আলোকে বলেন, দরপত্রের শর্তে এমন কিছু রাখা উচিত নয়, যাতে একটি-দুটি কোম্পানিই কাজের যোগ্য হয়। এতে প্রতিযোগিতা ক্ষুণ্ন হয়। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের দরপত্র আহ্বান করার সময় শর্ত ও স্পেসিফিকেশন তৈরিতে বেসিসের সহায়তা নিতে পারে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় বেসিসের প্রতিনিধিও রাখা যেতে পারে। এতে সরকারই লাভবান হবে।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি দপ্তরের প্রায় সব কাজ পেলে এমনিতেই সন্দেহের উদ্রেক করে। এর মধ্যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ব্যাহত করে, দরপত্রে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়ার অর্থই হলো এর পেছনে যোগসাজশের দুর্নীতি আছে। আর এই দুর্নীতির বোঝা চূড়ান্ত বিচারে জনগণের ঘাড়ে পড়ছে। তাই সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বা সরকারের ওপর মহল থেকে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

Source: প্রথম আলো

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সংবাদপত্রের পাতা থেকে

সরকারি কেনাকাটায় ১০% মার্জিন বাতিলের উদ্যোগ

কেনাকাটায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিযোগীতা বাড়ানো, নতুন দরদাতাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা ছাড়াও বিশ্বব্য‍াংকের চলমান বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির শর্ত

Read More »
সূ-চর্চা

গেম থিওরির আদর্শ মডেল ও বিভিন্ন ধরণের গেমঃ প্রকিউরমেন্টের সাথে যার আছে নিবিড় সম্পর্ক

গেম থিওরিকে বাংলায় বলা যায় ক্রীড়াতত্ত্ব। গেম থিওরি কোথায় ব্যবহৃত হয় ? আসলে প্রশ্ন হবে কোথায় ব্যবহার হয় না। গেম

Read More »
ক্রয়কারি ফোরাম

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে গেম থিউরি’র ভূমিকা ও প্রয়োগ

গেম থিওরি (Game Theory) কে বাংলায় বলা যায় ক্রীড়াতত্ত্ব। গেম থিওরি নিয়ে সহজ বাংলায় বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন। এই গেম

Read More »
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

 

** সীমিত সময়ের জন্য Discount চলছে।

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সূচীঃ PPR-08

Scroll to Top