কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। সেসময় বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সেবার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পোর্টাল ব্যবহার করা যায় নি কিংবা বিঘ্নিত হয়েছে। এরপর ইন্টারনেট সীমিতভাবে চালু হলেও অনেকই তা ব্যবহার করতে পারেন নি।
বিস্তারিত দেখুনঃ ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ই-জিপি সেবা বিঘ্নিত
এই ৫ দিন সময়ে অনেক দরপত্রের সিডিউল বিক্রির সময়, দরপত্র/টেন্ডার জমার সময়, ওপেনিং টাইম (Opening Time), টেন্ডার ভেলিডিটি সময় (Validity Time), ইত্যাদি সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। ই-জিপি সিস্টেমে সয়ংক্রিয়ভাবে এগুলো লক (Lock) হয়ে গিয়েছে।
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) থেকে গত ১৯ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই ২০২৪ সময়ে যে সব দরপত্রের উন্মুক্ত/জমার সময় (Opening/Closing Time) নির্ধারিত ছিল সে সব দরপত্রের উন্মুক্ত/জমার সময় e-GP সিস্টেমে অটোমেটিক ৭/১০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দিয়েছে। ফলে ঐ সময়ে যে সব দরপত্রের জমার সময় set করা ছিল সেগুলির টেন্ডার জমা দেয়ার সময় এখন পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে।
এক দিক দিয়ে এটা ব্যবহারকারিদের জন্য ভাল উদ্যোগ। পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় টেন্ডারের সাথে জরিত ক্রয়কারী, ব্যাংক, দরপত্রদাতা, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবহারকারি (Stakeholder) সহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে সমস্যায় পড়েছিল।
তবে এই পরিবর্তনের বিষয়ে বিপিপিএ (BPPA) থেকে ই-জিপি ব্যবহারকারিদের আগাম জানানো হয় নি। সিস্টেমেও কোন মেসেজ পাওয়া যায় নি। ফলে অনেকে ক্রয়কারি ভোগান্তিতে পরেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও দেখুনঃ ইন্টারনেট বিঘ্নিত হওয়ায় নিয়ে অবশেষে বিপিপিএ এর সার্কুলার
আরও দেখুনঃ দরপত্র উন্মুক্তকরণ সময় শেষ হয়েছে, কিন্তু উন্মুক্ত করা হয় নাই। এখন করণীয় কি ?
আরও দেখুনঃ ইন্টারনেট বন্ধ থাকাকালীন টেন্ডার Validity Time সমাপ্ত হলে করণীয়