ফেনী ও নোয়াখালী জেলা সবচেয়ে বেশি একক দরপত্রপ্রবণ এলাকা। সেখানে প্রতি দুটি কার্যাদেশের মধ্যে একটি একক দরপত্রে দেওয়া হয়েছে। এরপরে আছে কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে টিআইবির ‘বাংলাদেশে ই-সরকারি ক্রয়: প্রতিযোগিতামূলক চর্চার প্রবণতার বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
সাধারনভাবে, কোনো একটি দরপত্রে একজন ঠিকাদার অংশ নিলে এবং তাকে কাজ দিলে দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ে।
এই গবেষণাকাজের জন্য ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৬৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫ হাজার ৮৩০টি ক্রয় কর্তৃপক্ষের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৩টি কার্যাদেশের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব কার্যাদেশের ক্রয় চুক্তিমূল্য ছিল ৪ লাখ ৪১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এসব দরপত্রে ৪১ হাজার ৯১৮টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।
গবেষণা প্রতিবেদনে কাজের ভিত্তিতে একক দরপত্রপ্রবণ শীর্ষ ১০টি ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী সদর উপজেলার প্রকৌশল অফিস; হবিগঞ্জের বিপিডিবির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-৫; সোনাইমুড়ী পৌরসভা; চট্টগ্রামের বিপিডিবির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-৫; মাধবদী পৌরসভা; গৌরনদী পৌরসভা; ফেনীর পৌরসভা বিভাগ; সিলেটের বিপিডিবির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-৫; সিলেটের বিপিডিবির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-৩।
একইভাবে টাকার অঙ্কে একক দরপত্রে কাজ পাওয়া শীর্ষ ঠিকাদার হলো ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, নাভানা লিমিটেড, মেসার্স আহসান এন্টারপ্রাইজ, ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, র্যাংগস লিমিটেড, মেসার্স এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ফন ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স বকলি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ভূঁইয়া বিল্ডার্স ও মেসার্স তেলিখালী কনস্ট্রাকশন। গবেষণায় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক কারা, তা বলা হয়নি।