LGED’র উদ্যোগে ই-তালিকাভুক্তির (e-Enlistment) সূচনা
এলজিইডিতে দরপত্রদাতাদের তালিকাভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এলজিইডি-ই সর্বপ্রথম এই পদক্ষেপ গ্রহন করলো যা সরকারি প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অগ্রগতি।
- আরও দেখুনঃ ঠিকাদারি তালিকাভুক্তিকরণ কি ?
- আরও দেখুনঃ ঠিকাদার তালিকাভুক্তিতে ক্যাটাগরিঃ বিষয়টি কি ?
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) কর্তৃক সীমিত দরপত্র পদ্ধতি (LTM) তে দরপত্রদাতাদের তালিকাভুক্তি ও নবায়ন প্রক্রিয়াকে সরলীকরণ, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং দ্রুততর করার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক এনলিস্টমেন্ট সিস্টেম (EES) চালু হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অদ্য ১৬ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে EES এর উদ্বোধন করা হয়।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সরবরাহকারী ও ঠিকাদাররা এখন অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের নিবন্ধন করতে পারবেন।
পরিপত্রটি এই প্রতিবেদনের নিচে দেয়া হলো।
আরও দেখুনঃ তালিকাভুক্তিকরণ কমিটির গঠন কেমন হবে ?
EES চালুর উদ্দেশ্য
ইলেকট্রনিক এনলিস্টমেন্ট সিস্টেম (EES) হলো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে দরপত্রদাতাদের তালিকাভুক্তি ও নবায়নের প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতির প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
- আবেদন প্রক্রিয়াকে সরল ও স্বচ্ছ করা।
- ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে একটি স্বয়ংক্রিয় অনলাইন পদ্ধতি চালু করা।
- আবেদনকারী এবং কর্তৃপক্ষের জন্য সময় ও শ্রম সাশ্রয় করা।
- দাপ্তরিক কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং অনিয়ম রোধ করা।
- সরকার ও আবেদনকারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হ্রাস করা।
- নতুন ও স্থানীয় ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ সহজ করা।
আরও দেখুনঃ তালিকাভুক্তির আবেদন যাচাই কমিটি কি সম্মানি ভাতা পাবে
আবেদনের পদ্ধতি
EES-এর মাধ্যমে তালিকাভুক্তি বা নবায়নের জন্য দরপত্রদাতাদের www.mygov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘নাগরিক লগইন’ অপশন ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।
EES-এর মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনকারীদের “LGED Tenderer’s Enlistment Application” নামক সেবার আওতায় আবেদন করতে হবে।
নতুন তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে “Standard Application Form for Enlistment (SAFE-B)” ব্যবহার করা আবশ্যিক।
অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার সময় পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। মূল কপি পরবর্তীতে দপ্তরে জমা দিতে হবে। বিস্তারিত জানতে নিচের পরিপত্রটি দেখুন।

আবেদন ফি
EES-এর মাধ্যমে তালিকাভুক্তি ও নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি নিম্নরূপ:
- নতুন তালিকাভুক্তির জন্য: ৫,০০০ টাকা।
- তালিকা নবায়নের জন্য: ২,০০০ টাকা।
এই ফি পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
এই সেবা সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য পেতে ক্লিক করুন।
আবেদনের সময়সীমা ও প্রক্রিয়া
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তি ও নবায়নের জন্য ১৭ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ থাকবে। যদি কোনো আবেদনকারী EES চালুর পূর্বে অফলাইনে আবেদন করে থাকেন, তারাও নতুন করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে নিচের পরিপত্রটি দেখুন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পরিপত্র অনুযায়ী, আগামী (২০২৬-২৭) অর্থবছর থেকে LGED-এর সকল তালিকাভুক্তি ও নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে।
পরিশেষ
EES চালু হওয়ার ফলে LGED-এর দরপত্রদাতা তালিকাভুক্তি ও নবায়ন প্রক্রিয়া একটি সুদূরপ্রসারী ডিজিটাল রূপান্তর লাভ করবে, যা দরপত্র প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব করে তুলবে। LGED’র এই উদ্যোগ অন্যান্য সংস্থার জন্যও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে।

আরও দেখুনঃ Electronic Enlistment System (EES): ঠিকাদার তালিকাভুক্তির নতুন অধ্যায়
এই লেখকের অন্যান্য লেখা

কখন ভেরিয়েশন কমিটি প্রয়োজন নেই ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে

ভেরিয়েশন কে অনুমোদন করবেন (পিপিআর ২০২৫ অনুসারে) ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে

ভেরিয়েশন প্রক্রিয়াকরণের সময়সীমা কত (পিপিআর ২০২৫)
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে

ভেরিয়েশন কমিটি কি, কে অনুমোদন করবে, কাজ কি ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে
1 thought on “LGED’র উদ্যোগে ই-তালিকাভুক্তির (e-Enlistment) সূচনা”
Required eligible candidates