ই-জিপি সিস্টেমের যত সমস্যা
ই-জিপি সিস্টেমের যত সমস্যা
গবেষণায় যা পাওয়া গেল
Md. Hafizul Alam, Executive Engineer, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, তার গবেষণায় ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্র মূল্যায়নে অনেকগুলো সমস্যা খূঁজে পেয়েছেন। অনেকের আগ্রহ থাকায় তা শেয়ার করা হলঃ
১. মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে একেবারে মূল্যায়ন শুরুতে declaration দিতে হয় যার শর্ত হিসেবে লেখা থাকে “I do hereby declare and confirm that I have no business or other links to any of the competing tenderer or applicant”। এখন, এই declaration দেয়ার সময় কারা কারা দরপত্র দাখিল করেছে তা দেখা যায় না। Tender Opening Report থেকে দরপত্র দাখিলকারীদের তথ্য দেখা যায় এবং তা দেখা যায় আসলে মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে declaration দেয়ার পর। বিষয়টি উল্টা হয়ে গেল। আরো সমস্যা হল, declaration দেয়ার পর আর তা বদলানো যায় না। আবার, কোন সদস্য যদি declaration এ উপরের statement অনুযায়ী disagree করে তাহলে-ও মূল্যায়ন কমিটি আর বদলানো যায় না।
২. মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অনেক সময় দরপত্রদাতার দাখিলকৃত ডকুমেন্ট ডাউনলোড করতে পারে না। Map Document অংশে দেখা যায় যে ডকুমেন্ট আপলোড করা হয়েছে কিন্তু ডাউনলোড করার সময় blank বা error দেখায়। যদিও ই-জিপি গাইড লাইনে বলা আছে কোন ডকুমেন্ট ডাউনলোড না হলে তার দায় দায়িত্ব দরপত্রদাতার। কিন্তু, এতে বিষয়টি কি চাপিয়ে দেয়া হল না ?
৩. দরপত্র মূল্যায়ন রিপোর্টে Specific Experience, Average Annual Construction Turnover, ইত্যাদি বিস্তারিত দেখা যায় না। ফলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির ৩য় সদস্য বা reviewer বা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ qualification criteria অনুযায়ি মূল্যায়ন করা হয়েছে কিনা তা বিস্তারিত জানতে পারেন না অথবা কোন দরপত্রদাতার কত Experience, Turnover কত তা জানা যায় না। এটা কি সমস্যা নয় ?
৪. Tenderer Information form এ Average Annual Construction Turnover (AACT) হিসাব করার জন্য দরপত্রদাতার payment details দেয়ার কোন জায়গা নাই। ফলে মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের ম্যানূয়ালি তা হিসাব করতে হয়। অনলাইনের ভেতর অফলাইন !!!!!
৫. Front loading হিসাব করার কোন সিস্টেম নাই। ম্যানূয়ালি তা হিসাব করতে হয়। অনলাইনের ভেতর অফলাইন !!!!!
৬. ই-জিপি সিস্টেমে Scope of work কমানোর কোন সুযোগ নাই। যদিও পিপিআর-০৮ এর বিধি ৯৮(২৫) অনুযায়ী মূল্যায়ন কমিটি ক্রয়ের ব্যাপ্তি হ্রাসের সুপারিশ করতে পারে।
৭. Qualification criteria ‘No’ থাকলেও “Technically responsive” সিলেক্ট করা যায়। এবং এক্ষেত্রে ই-জিপি সিস্টেমে কোন মেসেজ পাওয়া যায় না। কাজেই অনিচ্ছাকৃত ভূল হবার সম্ভাবনা থাকে।
৮. ই-জিপি সিস্টেমের সাথে দরপত্রদাতাদের অভিজ্ঞতা, পেমেন্ট, ইত্যাদির কোন ডাটাবেজ সংযুক্ত নাই। ফলে দরপত্রদাতাদের প্রত্যেক দরপত্রের সাথেই বাধ্যতামূলক ভাবে অনেক ডকুমেন্ট দাখিল করতে হয় আর মুল্যায়ন কমিটির সদস্যদের তা ডাউনলোড করে ম্যানুয়ালি যাচাই করতে হয়। এতে অনেক সমস্যা তৈরী হয় এবং সময় বেশি লাগে। সকল অফলাইনের সার্টিফিকেটগুলো ই-জিপি সিস্টেমের ডাটাবেজে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা না করা হলে ই-জিপির সুফল বিফলে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
পরিশেষঃ ই-জিপি বাংলাদেশে চালু হয়েছে প্রায় ৫ বছর হতে চলল। এখন আর তা একেবারে নতুন বলার সুযোগ নেই। এখন এই সিস্টেমকে user friendly করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা কতটুকু গূরূত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।
তারিখঃ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
এই লেখকের অন্যান্য লেখা
Variations and Performance Security
Variations and Performance Security are closely interconnected concepts that serve as the foundation of risk management and contract enforcement in
Variations in Construction Contracts
Variations in construction contracts are changes or adjustments to the original scope of work. These can occur due to unforeseen
Performance Security in Construction Contracts
Performance security is the backbone of risk management and contract enforcement. Performance security provides assurance to the Employer in case
অডিট আপত্তি: “ভ্রমণ ভাতা”
সরকারি ক্রয় নিরীক্ষা (Procurement Audit) সরকারি নিরীক্ষা (Government Audit) এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রায় প্রতি বছরই প্রতিটি সরকারি দপ্তরে এই