টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর দেশে সীমিতভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
তবে শুরুতে সবাই ইন্টারনেট পাচ্ছেন না; জরুরি সেবা, আর্থিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমসহ কিছু খাতকে প্রাধান্য দিয়ে ইন্টারনেট চালু হচ্ছে।
পাঁচ দিন ইন্টারনেট না থাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল, অনলাইনে টাকা লেনদেন, মুঠোফোনে টাকা ভরা, অনলাইনে কেনাবেচা, ফ্রিল্যান্সিং, বিমানের টিকিট কেনা, অনলাইনভিত্তিক বিনোদনের মাধ্যম (ওটিটি, ইউটিউব প্রভৃতি) ও পড়াশোনা, ইত্যাদির পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পোর্টাল ব্যবহার বন্ধ রয়েছে কিংবা বিঘ্নিত হয়েছে।
পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় টেন্ডারের সাথে জরিত ক্রয়কারী, ব্যাংক, দরপত্রদাতা, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবহারকারি (Stakeholder) সহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে সমস্যায় পড়েছে। এই ৫ দিন সময়ে অনেক দরপত্রের সিডিউল বিক্রির সময়, দরপত্র/টেন্ডার জমার সময়, ওপেনিং টাইম (Opening Time), টেন্ডার ভেলিডিটি সময় (Validity Time), ইত্যাদি সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। ই-জিপি সিস্টেমে সয়ংক্রিয়ভাবে এগুলো লক (Lock) হয়ে গিয়েছে।
আবার, দরপত্র LIVE এ থাকার সময়টা ক্রয়কারি এবং ঠিকাদারদের জন্য অনেক গূরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদারগন সিডিউল ঘরে বসেই অনলাইনে ক্রয় করতে পারেন। যে সব টেন্ডারে জমা দেয়ার সর্বশেষ সময় এখন শেষ হয়ে যায় নি সে সব ক্ষেত্রে সব যে পিছিয়ে দিতেই হবে এমন কোন প্রয়োজন নেই। ক্রয়কারি তার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন। টেন্ডার জমার সময় বৃদ্ধি করা বা না করা সম্পুর্ন ক্রয়কারির এখতিয়ার। ক্রয়কারি প্রয়োজনে Amendment বা করিজেনডাম দিয়ে টেন্ডার জমার সময় পিছিয়েও দিতে পারেন।
যেহেতু এখন সীমিতভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে এবং শুরুতে সবাই ইন্টারনেট পাচ্ছেন না কাজেই এই সমস্যা আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।
আরও দেখুনঃ দরপত্র উন্মুক্তকরণ সময় শেষ হয়েছে, কিন্তু উন্মুক্ত করা হয় নাই। এখন করণীয় কি ?
আরও দেখুনঃ ইন্টারনেট বন্ধ থাকাকালীন টেন্ডার Validity Time সমাপ্ত হলে করণীয়