ঢাকায় চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদাররা পরিবেশের নিয়মকানুন কিছুই মানছেন না। তাদের বারবার তাগাদা দেয়ার পরও দূষণরোধক ব্যবস্থা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন না তারা।
উত্তরা থেকে মিরপুর-আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। গত নভেম্বরে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর ও আগারগাঁওয়ে বায়ুমান সূচক পরীক্ষা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। বায়ূদূষণের জন্য সে সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, উন্নয়ন/ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলার সময় বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বাতাসে ধূলিকণার বিস্তার প্রতিরোধে যথাযথ/কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। খোঁড়াখুঁড়ির পর কাদামাটি এবং সিমেন্ট, বালু, ক্ষুদ্র ইটের টুকরোর মতো বাতাসে মিশ্রণযোগ্য নির্মাণসামগ্রী উন্মুক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে একদিকে কাদামাটি বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে, অন্যদিকে উন্মুক্ত নির্মাণসামগ্রী বাতাসে মিশে দূষণ করছে।
গত ১৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের এক রিট পিটিশনে পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থাকে নয়টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা হিসেবে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাখা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নিয়মিত পানি ছিটানো ও নিয়মকানুন মেনে নির্মাণকাজ এগিয়ে নেয়া। তবে গতকাল সরেজমিন মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকা ঘুরে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী উন্মুক্ত অবস্থায় ফেলে রাখতে দেখা গেছে। পানি ছিটানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা এমনভাবে ছিটানো হয়েছে যে জায়গায় জায়গায় কাদা হয়ে গেছে।