Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

টেন্ডারে ঠিকাদারদের রেট সমান হওয়া এখন আর কাকতালীয় নয়

Facebook
Twitter
LinkedIn

আজকে হঠাৎ এই ওপেনিং শীট টা নজরে পড়লো। এরকম যে হচ্ছে তা আগেই জানতাম। তারপরও আবার নতুন করে উপলব্ধি হল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সম আচরণ আর অবাধ প্রতিযোগিতা নামক অদৃশ্য খুঁটিগুলো যে ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যাচ্ছে তা কি আর মেরামত করা সম্ভব হবে !!! কে করবে ???

২০১৬ সালে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এ ৩১ নং ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আভ্যন্তরিন সরকারি কেনাকাটায় কার্যের ক্ষেত্রে কোনো দরদাতা দরপত্রের দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ১০ ভাগ কম বা বেশি মূল্য দরপত্রে উল্লেখ করলে দরপত্র বাতিল হয়ে যাবে।

তখনই অনেকে মতামত দিয়েছিলেন যে এর ফলে দাপ্তরিক প্রাক্কলন গোপন রাখা সম্ভব হবে না এবং প্রায় সব দরপত্রদাতাই ১০ ভাগ কম মূল্যে দরপত্র দাখিল করার চেষ্টা করবে। যদিও ২০১৬ সালে একবার এবং ২০১৮ সালে আরেক দফা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করে দর সমান হলে করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে সমস্যা অনেকগুলো।

প্রথমতঃ দাপ্তরিক প্রাক্কলন গোপন রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে ধারনা করা এখন আর অমূলক নয়।

দ্বিতীয়তঃ দর সমান হলে বিধিতে সংযোজিত নির্ণায়ক অনুসারে Evaluation & Rating Matrix ব্যবহার করে score এর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে যা মূল্যায়ন কমিটির জন্য খুব সহজ কাজ নয়। পারতপক্ষে এক বিশাল ডাটাবেজ ছাড়া এই কাজ কখনই পুরোপুরি সঠিক হবে না।

তৃতীয়তঃ ঠিকাদারকেও এক্ষেত্রে প্রত্যেকবার অনেক অনেক ডকুমেন্ট দরপত্রের সাথে জমা দিতে হচ্ছে।

চতূর্থতঃ যদিও দর সমান হলে Evaluation & Rating Matrix ব্যবহার করতে হবে কিন্তু পারতপক্ষে score সমান হলে বা শুণ্য হলে সেক্ষেতে দরপত্র বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহবানের করতে হবে।

কাজেই দেখা যাচ্ছে, ক্রয়কারিকে অনেকগুলো ঝুঁকি মাথায় রেখে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ে দরপত্র আহবান করতে হচ্ছে। ফলে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য পদ্ধতির উপর ক্রয়কারি তথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা কমে যাওয়ার আশংকা করাই যায়।

পিপিআর-০৮ এর সর্বশেষ সংশোধনীতে সমদরের ক্ষেত্রে বিবেচ্য নির্ণায়ক সমূহ সংশোধনের মাধ্যমে আসলে অফিসিয়ালি একপ্রকার স্বীকার করেই নেয়া হয়েছে যে ই-জিপিতে দরপত্র আহবানের পরেও এবং দাপ্তরিক প্রাক্কলন গোপন থাকার পরেও একাধিক ঠিকাদারে দাখিলকৃত দর সমান হয়ে যাচ্ছে … এবং বিষয়টা কাকতালীয় নয় … প্রায়শঃ-ই হচ্ছে।

1 thought on “টেন্ডারে ঠিকাদারদের রেট সমান হওয়া এখন আর কাকতালীয় নয়”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

FAQ

সরকারি দরপত্রে এনজিওদের অংশগ্রহণঃ যুক্তি-তর্ক-বিতর্ক

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সরকারি ক্রয় আইন সংশোধন করেছে যাতে এনজিও (NGO) বিষয়ক কিছু পরিবর্ধন করা হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ,

Read More »
সমসাময়িক

কারিগরী প্রস্তাব মূল্যায়নে স্কোরিং বা গ্রেডিং সিস্টেমের গুরুত্ব

বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা (Consultancy Service) ক্রয়ের জন্য সফল পরামর্শক নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরামর্শকের কারিগরী প্রস্তাবের গুণগত মানই প্রধান বিবেচ্য বিষয়

Read More »
সূ-চর্চা

MAPS এবং বাংলাদেশ

MAPS বা Methodology for Assessing Procurement Systems হলো একটি  হাতিয়ার (Tools) যা বিশ্বব্যাপী পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমকে মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত

Read More »
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

 

** সীমিত সময়ের জন্য Discount চলছে।

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সূচীঃ PPR-08

সর্বশেষ

১টি চুক্তি CCGP অনুমোদন দিয়েছিল। কাজ চলাকালীন কিছু Non-Tender আইটেম ভেরিয়েশন অর্ডার করে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন হয়। নন-টেন্ডার আইটেম অন্তর্ভুক্ত হলেও মোট চুক্তিমূল্য বৃদ্ধি পায়নি, মূল চুক্তিমূল্যের মধ্যেই আছে। এখন, এক্ষেত্রে কি আবার সিসিজিপি’র অনুমোদন লাগবে ? নাকি HOPE এর অনুমোদনই যথেষ্ট ?

Scroll to Top