জ্বালানি হচ্ছে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের বিদ্যুৎ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। উৎপাদন সক্ষমতার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বেশকিছু অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা রয়েছে। এসব অস্বচ্ছতার কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ সমস্যা দূর করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘ইমিডিয়েট ইস্যুজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেজ’ শীর্ষক এক সংলাপে গত ১০ই মার্চ ২০১৯ তারিখে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বিদ্যুৎ খাতে নেয়া বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতে অনেক এগিয়েছে কিন্তু এই খাতে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা তাদের কাছের লোকদের সুবিধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই খাতে স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত জরুরী অবস্থা থেকে এখনও বের হতে পারে নাই। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতার এসব সমস্যা দূর করতে হলে প্রথমেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন থেকে বের হয়ে সরকারি ক্রয়নীতি (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮) অনুযায়ি প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নের উপর সংলাপে পরামর্শ দেন বক্তারা।