বর্তমানে ৫০% এর বেশি সরকারি কেনাকাটা ই-জিপি’র মাধ্যমে হচ্ছে উল্লেখ করে সিপিটিইউ এর মহাপরিচালক মোঃ আলী নূর গত ৭ জুন ২০১৯ ইং তারিখে ইংরেজি দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস কে এক বক্তব্যে জানিয়েছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের অধীনে ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে এডিপি ব্যায় প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকার এখন সরকারি খাতে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে যা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এর ৭৫ শতাংশের বেশি।
উল্লেখিত বক্তব্যে ই-জিপি’র আরও কিছু গূরুত্বপূর্ণ ফিচার আলোচনা করেন যা সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরা হলোঃ
১। ই-জিপিতে দরপত্র আহবানের ফলে দরপত্র অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে প্রতি টেন্ডারে গড়ে প্রায় ৪ টি।
২। দরপত্র জমা হতো এখন সেখানে প্রায় ১৪ টি দরপত্র (OTM এবং LTM দরপত্র) জমা পড়ছে।
৩। ৯৩ শতাংশ চুক্তি এখন দরপত্র বৈধতা সময়ের মধ্যে প্রদান করা হচ্ছে বলে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪। বর্তমানে eprocure.gov.bd ওয়েবসাইটে ১০০% দরপত্র নোটিশ প্রকাশ করা হচ্ছে। ফলে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫। সিপিটিইউ ই-জিপি-তে বুদ্ধিবৃত্তিক সেবা (Intellectual Service) এবং আন্তর্জাতিক দরপত্র (International Tender) আহবানের বিষয়টি চালু করতে যাচ্ছে।
৬। ই-জিপিতে ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (e-CMS) মডিয়ুল তৈরি করা হয়েছে এবং এটি পাইলটিংয়ের জন্য প্রস্তুত।
৭। গত ৪ জুলাই ২০১৯ ইং পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ টিরও বেশি ঠিকাদারি বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ই-জিপিতে নিবন্ধিত হয়েছে।
৮। ই-জিপি’র অধীনে আর্থিক লেনদেনের জন্য মোট ৪৬ টি ব্যাংকের সিপিটিইউর সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে।
৯। ই-জিপি মাধ্যমে প্রায় তিন লক্ষ দরপত্র আহবান করা হয়েছে যার মোট মূল্য ২ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলে উন্নতি ও সময় ও খরচ বাঁচাতে ই-জিপি অবদান রাখছে।
বিস্তারিতঃ e-GP in public procurement, a success story
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।