ঠিকাদারি ব্যবসায় হা-হুতাশ

রড-পাথরের চড়া দাম, বিপাকে নির্মাণ খাত। মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ খাতও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন এই খাতের শেল্পোদ্যোক্তারা। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীর অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে উল্টো বিপাকে পড়েছেন। ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে সামনের দিনগুলোতে দেশের বাজারে নির্মাণসামগ্রীর দাম আরও বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা। এমতাবস্থায়, নির্মাণ শিল্পে চলছে অস্থিরতা।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
বিভিন্ন তথ্য বলছে, চার থেকে পাঁচ মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রড, পাথর, ইট, বালু, থাইগ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, এসএস পাইপ, ইনডোর ফিটিংসসহ অন্য নির্মাণসামগ্রী। ফলে লোকসানে পড়তে হচ্ছে নির্মাণ খাতের উদ্যোক্তারা।
এরমধ্যেই আবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, এখন বিশ্ববাজারে এখন প্রতি ব্যারেল তেলের দাম একশো পাঁচ ডলার পর্যন্ত উঠে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গত বছরেই ডিজেলের দাম এক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশের সরকার। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে আর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়লে হয়তো তখন দেশের বাজারে মূল্য সমন্বয়ের চেষ্টা করবে সরকারগুলো। আর দেশের বাজারে দাম বাড়লে তার প্রভাবে পরিবহনের ভাড়া বাড়বে।
সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির কারণে আগে থেকে করা চুক্তির মূল্য অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া অনেক সময়ই দরপত্র জমা দেওয়ার পর আগ্রিম কর ও ভ্যাটের হারসহ সরকারের আর্থিক নীতিতে পরিবর্তন করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সরকারি দরপত্রে পরিবর্তীত পরিস্থিতির সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের বিধান বা প্রাইস ভ্যারিফিকেশন ক্লজ থাকা উচিৎ। নির্ধারিত সময়ের ৫৬ দিন পার হলে দেরিতে টাকা পরিশোধের বেলায় সুদ আরোপের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
আরও দেখুনঃ নির্মাণ সামগ্রী এবং জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধিতে ছোট ঠিকাদাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ
কাজেই, এরূপ প্রেক্ষাপটে, এই খাত সংশ্লিষ্ট কাস্টম ডিউটি, অগ্রিম আয়কর ও ভ্যাট ইত্যাদি কমানো উচিত। প্রয়োজনে ক্রয় আইন-বিধি, টেন্ডার ডকুমেন্ট, ইত্যাদি সংশোধন করে ছোট বড় সব ধরনের চুক্তিতেই চুক্তিমূল্য সমন্বয়ের শর্ত সংযোজন করা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট সবাই মনে করছেন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

Moral hazard এর সাথে প্রকিউরমেন্টের কি সম্পর্ক ?
মোরাল হ্যাজারড! এটা একটা খুবই আকর্ষণীয় বিষয়। Moral Hazard নিয়ে প্রাথমিক ধারণা পেতে দেখুনঃ Moral Hazard কি ? সরকারি ক্রয়

Moral hazard কি ?
মোরাল হ্যাজারড! এটা একটা খুবই আকর্ষণীয় বিষয়। Moral Hazard বা নৈতিক ঝুঁকি হল অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের একটা ধারণা যেটা এমন

দরপত্র দলিলের মূল্য কত হবে ? কিভাবে নির্ধারণ করবেন ?
ক্রয়কারী কর্তৃক দরপত্রদাতার নিকট সরবরাহের জন্য প্রস্তুতকৃত দলিল হচ্ছে দরপত্র দলিল বা টেন্ডার ডকুমেন্ট (Tender document) বা টেন্ডার সিডিউল। বিজ্ঞাপন

Agency theory and its relevance in procurement
Agency theory, also known as principal-agent theory, is a theory that explains the relationship between a principal and an agent.