নির্মাণ সামগ্রী এবং জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধিতে ছোট ঠিকাদাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ

প্রায় বছর দেড় আগে পৃথিবীজুড়ে মরণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। রূপান্তরিত হয় মহামারির। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও নিতে হয় লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত। থমকে দাঁড়ায় বৈশ্বিক অর্থনীতি। শুরু হতে থাকে অর্থনৈতিক মন্দা। ঠিক এই সময়টাতেই সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে গত ৪ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অত্যন্ত অমানবিক সিদ্ধান্ত।

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।

সূত্র মতে, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারনে ইতোমধ্যেই অনেক ছোট বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছে। কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির কারনে সামগ্রিকভাবে দেশের নির্মাণ শিল্পে ভাটা দেখা দিয়েছে। দাম বাড়ায় নির্মাণ খাত স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, রড তৈরির কাচামাল স্ক্র্যাপ’র অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রডের দাম গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবার, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে শুধুমাত্র এই পণ্যটির মূল্য ওঠানামা করে না, এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার মূল্যও বেড়ে যাবে।

এভাবে, নির্মাণ সামগ্রী এবং জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সবার উপর প্রভাব পড়লেও প্রকৃতপক্ষে ছোট ঠিকাদাররা-ই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বড় নির্মাণ চুক্তিতে সাধারণত মূল্য পুনঃনির্ধারনের সুযোগ থাকে। কিছু ছোট ছোট কাজের চুক্তিতে এই সুযোগ না থাকায় চুক্তিকালীন সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হলেও তা সমন্বয় করা যায় না। ফলে ছোট ছোট চুক্তির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত ক্ষতির মুখে পরে।

এমতাবস্থায়, ছোট ছোট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো রডের অস্বাভাবিক দাম সহ জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান কাজ সময়মতো শেষ করা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। কাজে এরইমধ্যে ধীরগতি নেমে এসেছে। তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, তারা যখন টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন সেখানে এই নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার শঙ্কায় বর্ধিত মূল্য সমন্বয়ের সুযোগ ছিলো না। অথচ এখন বর্ধিত দামে কিনতে হচ্ছে। স্টিল নির্ভর যে কোন অবকাঠামো নির্মাণে রডের দরকার হয় ২৫ ভাগ। আর এই রডের দাম যদি ২৫ ভাগ বেড়ে যায় তাহলে পুরো প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায় ৬ থেকে ৭ শতাংশ। অথচ বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে কোন প্রকল্প থেকে ৫ শতাংশ লাভ করা যায় না।

কাজেই, এরূপ প্রেক্ষাপটে, এই খাত সংশ্লিষ্ট কাস্টম ডিউটি, অগ্রিম আয়কর ও ভ্যাট ইত্যাদি কমানো উচিত। প্রয়োজনে ক্রয় আইন-বিধি, টেন্ডার ডকুমেন্ট, ইত্যাদি সংশোধন করে ছোট বড় সব ধরনের চুক্তিতেই চুক্তিমূল্য সমন্বয়ের শর্ত সংযোজন করা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট সবাই মনে করছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সর্বশেষ

Scroll to Top