দরপত্রে দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষকে মন্ত্রণালয়ে তলব

০৩ অক্টোবর, ২০১৮
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনকে তলব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযোগের শুনানির গ্রহণে আগামী ৭ অক্টোবর তাকে মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মোতাহার হোসেনকে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ৭ অক্টোবর (রোববার) বিকেল ৩টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আলমগীরের কক্ষে অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশে অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (কারিগরি-৩) মো: আব্দুর রহিম এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-৩) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন হাওলাদার গত ৭ জুলাই হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট পরিদর্শনকালে অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ক্রয়খাতে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল করেন। যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানটির ক্রয়খাতে বরাদ্দ করা হয়। পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী ক্রয় প্রক্রিয়ার ওপেন টেন্ডার এবং কোটেশনের ক্ষেত্রে টেন্ডার ওপেনিং কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি, রিসিভিং কমিটি গঠন করা হয়নি। এছাড়া ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর কোন রিকুইজিশন গ্রহণ করাও হয়নি। এমনকি দ্রব্যাদি ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্রহণ না করেই বিল প্রদান করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ ধরণের কর্মকাণ্ডে সরকারি দায়িত্ব পালনে উদাসিনতা, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে অদক্ষতা এবং আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন। অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী জনস্বার্থে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিউজটি পড়তে ক্লিক করুন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) এর কিছু সমকালীন ও বস্তুনিষ্ঠ উদাহরণ
টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) হচ্ছে এমন একটি ক্রয় এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সামগ্রিক ভাবে ব্যয়ের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক

Bangladesh: Public Procurement Reform Stuck Even After the Ordinance Issued!
The Government of the People’s Republic of Bangladesh issued the “Public Procurement (Amendment) Ordinance, 2025” on May 4, 2025. Its

অধ্যাদেশ জারীর পরও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সংস্কার আটকে আছে কেন !
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারী করা হয়েছে। এর মূল

একাধিক ঠিকাদারের দর সমান হলে Past Performance Matrix দিয়ে কিভাবে Ranking করবেন
পিপিআর-০৮ এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ি একাধিক ঠিকাদারের মধ্যে দর সমান হলে কিভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্ধারন হবে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে