ই-জিপি বাস্তবায়নে ব্যাংক এ যে সকল অসুবিধা হয়

ই-জিপি বাস্তবায়নে ব্যাংক একটি গূরুত্বপূর্ণ সহযোগি। ই-জিপির দরপত্রে ব্যাংক থেকে টেন্ডার ডকুমেন্ট, টেন্ডার সিকিউরিটি বা পার্ফমেন্স সিকিউরিটি ক্রয় করা যায়। এতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্রয়কারি উভয়রেই সুবিধা হয়েছে। প্রতি জেলায় ব্যাংকের সংখ্যাও এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে ক্রয়কারি বিশেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হতে ই-জিপির দরপত্রে নির্ধারিত ব্যাংক নিয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়।
ই-জিপি বাস্তবায়নে ব্যাংক এ যে সকল অসুবিধা হয়ঃ
১. ই-জিপিতে কাজ করতে অনীহা, অন্য ব্যাংকে যেতে বলা হয়,
২. বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ
৩. প্রায়শঃই ব্যাংকে ই-জিপি তে বদলি জনিত কারনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাওয়া যায় না,
৪. অন্য ব্যাংকের ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার নিতে অনীহা,
৫. ইতোপূর্বে যারা দরপত্র দলিল ক্রয় করেছেন তাদের তথ্য অন্যরা ব্যাংকের মাধ্যমে জেনে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে,
৬. ডেবিট কার্ড দিয়ে ব্রাক ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমেই শুধু মাত্র দরপত্র দলিল ক্রয় করার সুবিধা আছে,
৭. উপজেলা পর্যায়ে ব্যাংকের ব্রাঞ্চের সংখ্যা অপ্রতুল
৮. জামানত অথবা Performance Security ক্রয়কারী দপ্তর কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হলে তা অনেক সময় ব্যাংকে ফেলে রাখা হয়, পরবর্তীতে যোগাযোগ করে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়।
৯. টাকা জমা নিয়েও ই-জিপিতে ফর্ম ফিলাপ করে নির্ধারিত সময়ে টেন্ডার ডকুমেন্ট, টেন্ডার সিকিউরিটি বা পার্ফমেন্স সিকিউরিটি ক্রয় করা হয় না। ফেলে রাখা হয়। ফলে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে ঠিকাদারর সমস্যায় পড়ে যায়।
উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক, ঠিকাদার সহ সর্বপরি সিপিটিইউ’র কার্যকরী ভূমিকা প্রয়োজন।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সরকারি দরপত্রে এনজিওদের অংশগ্রহণঃ যুক্তি-তর্ক-বিতর্ক
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সরকারি ক্রয় আইন সংশোধন করেছে যাতে এনজিও (NGO) বিষয়ক কিছু পরিবর্ধন করা হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ,

NGOs in Public Tenders: Prospects and Pitfalls ?
Recently, the Bangladesh Government has revised the public procurement law to let NGOs to compete on tenders. In the evolving

কারিগরী প্রস্তাব মূল্যায়নে স্কোরিং বা গ্রেডিং সিস্টেমের গুরুত্ব
বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা (Consultancy Service) ক্রয়ের জন্য সফল পরামর্শক নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরামর্শকের কারিগরী প্রস্তাবের গুণগত মানই প্রধান বিবেচ্য বিষয়

MAPS এবং বাংলাদেশ
MAPS বা Methodology for Assessing Procurement Systems হলো একটি হাতিয়ার (Tools) যা বিশ্বব্যাপী পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমকে মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত