১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ ই-জিপি’র টেন্ডারে কি করবেন !

দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এর আগে গত ৫ই এপ্রিল থেকে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছিলো সরকার। সরকারের দেয়া প্রথম দফা লকডাউনের মেয়াদ শেষে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ি সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে। এরমধ্যেই সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

লকডাউনে ব্যাংক খোলা বিষয়ে নির্দেশনা দেখতে ক্লিক করুন

এরুপ জটিল পরিস্থিতিতে সরকারি ক্রয়কার্য বিশেষ করে ই-জিপি’র কার্যক্রম কিভাবে চলবে তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বিশেষ করে LIVE থাকা দরপত্রগুলোর কি হবে বা NOA কি এখন ইস্যু করবেন নাকি অপেক্ষা করবেন এসব নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন

দরপত্র LIVE এ থাকার সময়টা ক্রয়কারি এবং ঠিকাদারদের জন্য অনেক গূরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদারগন সিডিউল ঘরে বসেই অনলাইনে ক্রয় করতে পারেন। চাইলে আগেভাগেও ব্যাংক থেকে সিডিউল ক্রয় করতে পারেন। কাজেই সব টেন্ডার যে পিছিয়ে দিতেই হবে এমন কোন প্রয়োজন নেই। ক্রয়কারি তার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন। টেন্ডার জমার সময় বৃদ্ধি করা বা না করা সম্পুর্ন ক্রয়কারির এখতিয়ার। ক্রয়কারি প্রয়োজনে Amendment বা করিজেনডাম দিয়ে টেন্ডার জমার সময় পিছিয়েও দিতে পারেন।

NOA গ্রহনের ক্ষেত্রে ঘরে বসেই অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়। NOA ইস্যুর পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ঠিকাদারকে তা গ্রহন করে পারফরমেন্স সিকিউরিটি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ি নির্দিষ্ট সময়ে এই কাজ করা সম্পুর্নভাবে ঠিকাদারের রিস্ক। কাজেই যেসব কাজের NOA ইস্যু করা হয়েছে সেসব কাজের পারফরমেন্স সিকিউরিটি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় জটিলতা এড়ানোর সুযোগ নেই। ঠিকাদারগন ব্যাংকের মাধ্যমে সিডিউল ক্রয় করতে পারছে কিনা বা পারফরমেন্স সিকিউরিটি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে পারছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ রাখা জরুরি। ক্রয়কারিগন এ সময় আশেপাশের ব্যাংকের তথ্য নিয়ে রাখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানান হয়েছে যে এসময় ব্যাংকে জরুরি সেবা বা আংশিক কার্যক্রয় চালু থাকবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে যেহেতু নির্ধারিত ফর্মের হার্ড কপিতে ক্রয়কারি ও ঠিকাদার এবং তাদের দুইজন প্রতিনিধি সহ সবার স্বাক্ষর লাগবে কাজেই ই-জিপি টেন্ডারের ক্ষেত্রে তা পরেও করা যেতে পারে। ই-জিপিতে চুক্তি স্বাক্ষরের কাজটি পরেও করা যায়। সিস্টেমে আটকায় না।

কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে commencement date প্রয়োজন অনুযায়ি পিছিয়ে দেয়া যায়। তবে জরুরি চলমান কাজ বহাল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ঠিকাদারদেরকে তাদের চলমান কাজ সম্পর্কে একটা নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। পরবর্তিতে তা চুক্তি বাস্তবায়নে সাম্ভাব্য বিরোধ (conflict) দূর করবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে থাকার সময় বাড়িতে অবস্থানের ক্ষেত্রে ​বাসা থেকে অফিসের অনেকগুলো কাজ করা যেতে পারে। ই-জিপি’র ভূমিকা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে এসময় কি কি কাজ কিভাবে করবেন দেখতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সর্বশেষ

Scroll to Top