কন্টস্ট্রাকশন কাজের সাথে জড়িত ঠিকাদারদের জন্য সুখবর।
রেট সিডিউলে ৪টি বেসিক আইটেমের দর পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। আইটেমগুলো হচ্ছে ইট, বিটুমিন, সিমেন্ট এবং এম এস রড। এ বিষয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ হতে ১টি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
৪টি বেসিক আইটেম সংশ্লিষ্ট মোট ২৩টি ক্যাটাগরির বিভিন্ন আইটেমের দর পুনঃনির্ধারিত করা হয়েছেঃ
-
- ইট: ২টি ক্যাটাগরি
- বিটুমিন: ৬টি ক্যাটাগরি
- সিমেন্ট: ৬টি ক্যাটাগরি এবং
- এম এস রড: ৯টি ক্যাটাগরি
এই পুনঃনির্ধারিত দর সকল দপ্তরের দর তফসিল (Schedule of Rates) এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যেহেতু পুনঃনির্ধারণ দরগুলো বেসিক রেট কাজেই ঠিকাদারদের সামনের টেন্ডারগুলোতে রেট কোট বা দর দেয়ার সময় এর সাথে নির্ধারিত ভ্যাট, আয়কর (IT), ইত্যাদি যোগ করে তারপর হিসেব করতে হবে।
ইতঃপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরের জন্য অনুমোদিত দর তফসিলে উল্লিখিত সকল শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে। ইতোমধ্যেই অনুমোদন হয়েছে এমন কাজগুলোর মোট ব্যয়ের তথ্য উপকরণগুলোর নতুন দামের ভিত্তিতে পুনঃনির্ধারণ করে তা জমা দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে নির্দেশনায়।
তবে, যে সব কাজের দরপত্র জমা হয়ে গিয়েছে বা ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে বা চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেছে, ঐসব কাজের জন্য এই সার্কুলার প্রযোজ্য হবে না। কাজেই এক্ষেত্রে চুক্তি মূল্য বাড়বে না।
সার্কুলারটি নিচে দেয়া হলো।
এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় মানভেদে ইটের দাম ৩০% থেকে ৩৯% বাড়ানো ছাড়াও প্রধান নির্মাণ উপকরণ বিটুমিনের দাম প্রায় ৪২%, সিমেন্টের দাম প্রায় ২২% ও রডের দাম প্রায় ২৮% পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
নির্মাণ উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন কাজের গতি কমে এসেছে বলে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) এবং ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল। করোনা মহামারি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হওয়ায় উপকরণ স্বল্পতা, উপকরণের দামবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ রাখে।
প্রকল্পের গতির বিষয় বিবেচনা করলে সিদ্ধান্তটি প্রশংসার দাবিদার। তবে ব্যয় বৃদ্ধির সুবাদে প্রকল্পের কাজে গতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও সিদ্ধান্তটি সরকারের বাজেটে চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন, ভবিষ্যতে দাম বাড়লে ঠিকাদাররা আবারও সমস্যায় পড়বেন। কাজেই সময়ে সময়ে মূল্য পর্যালোচনা এবং রেট শিডিউল হালনাগাদের প্রয়োজন আছে।
আরও দেখুনঃ ঠিকাদারি ব্যবসায় হা-হুতাশ