Pre-Shipment Inspection এর নামে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথিরিটি (বিপিপিএ) থেকে সম্প্রতি ১টি সার্কুলার জারি হয়েছে।
বিশেষায়িত কিছু পণ্য ব্যতীত সাধারণভাবে সকল পণ্যের ক্ষেত্রে Shipment Inspection (PSI) অথবা Factory Acceptance Test (FAT) করার জন্য বিদেশ ভ্রমণের কোন আবশ্যকতা নেই। চুক্তির সাধারণ শর্তাবলীর ব্যত্যয় ঘটিয়ে ক্রয়কারীগণ বিভিন্ন চুক্তির আওতায় PSI/FAT করার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করছেন।
অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদেরও এ কাজে প্রেরণ করা হচ্ছে না। ইন্সপেকশন করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের এ রকম সফরে পাঠানোই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের ভ্রমণের সম্পূর্ণ খরচ বিদেশি কোম্পানি কিংবা তাদের এ দেশীয় এজেন্টরা বহন করে থাকে।
ফলে অহেতুকভাবে পণ্যের চুক্তিমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার (Value for Money)-কে ব্যাহত করছে।
কোন কোন ক্রয়কারী প্রকল্পের ডিপিপি/টিএপিপিতে বিভিন্ন প্যাকেজে PSI/FAT এর উদ্দেশ্যে অর্থের সংস্থান রাখে এবং সাধারণ পণ্যের ক্ষেত্রেও PSI/FAT এর আওতায় অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ করছে। এ সকল ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণের যাবতীয় ব্যবস্থা সরবরাহকারী/ঠিকাদার করে থাকে এবং এসব ক্ষেত্রে আলাদাভাবেও অর্থ বরাদ্দ থাকে না, যা সংশ্লিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাৰ ফেলবে বলে যুক্তিসংগতভাবে অনুমিত হয়।
পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৫৫ এর আলোকে এরুপ কার্যাদি স্বার্থের সংঘাত (Conflicts of Interest) হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে BPPA থেকে আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে।
সার্কুলারটি নিচে দেয়া হলোঃ