টেন্ডারারস ডাটাবেজ (Tenderers’ database) কি ?

ই-জিপিতে ঠিকাদার হিসেবে লগইন করলেই নিচের মেসেজটা দেখা যাচ্ছে। এই মেসেজের OK তে ক্লিক করে তারপর বাকি কাজ আগের মতোই করা যাচ্ছে।

আবার, ই-জিপিতে লগইন করার পর উপরের দিকে “Tenderers database” নামে একটি নতুন মেনু দেখা যাচ্ছে।
এই মেসেজ কেন ? Tenderers database-ই বা কি ?
ই-জিপিতে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অটোমেশন চালু হবার পরও কিছু কিছু কার্যক্রম এখনও অফলাইনে করতে হচ্ছে। যেমন, দরপত্র মূল্যায়নের সবচেয়ে বড় কার্যক্রম হচ্ছে অংশগ্রহনকারী দারপত্রদাতাদের দাখিলকৃত সার্টিফিকেট ও অন্যান্য তথ্যসমূহ যাচাই বাছাই এবং এর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়া। কিন্তু বলতে গেলে এই কার্যক্রমের প্রায় পুরোটাই অফলাইনে করতে হয়। এর কারন হচ্ছে ই-জিপি সিস্টেমে অংশগ্রহনকারী দারপত্রদাতাদের সার্টিফিকেট ও অন্যান্য তথ্যসমূহের জন্য কোন সমন্বিত তথ্যভান্ডার ছিল না। ফলে প্রতিটি দরপত্রের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে অনলাইনে দাখিলকৃত সার্টিফিকেট ও অন্যান্য তথ্যসমূহ অফলাইনে যাচাই বাছাই এবং এর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হচ্ছে। এতে সময়ও বেশি লাগছে, একই তথ্য বার বার যাচাই করাতে হচ্ছে। আবার, ভূল তথ্যের ভিত্তিতে দরপত্র মূল্যায়ন হলেও তা যাচাই করা একপ্রকার দূরূহ-ই বলা যায়। এরকম আরও সমস্যা এখনও রয়ে গেছে।
এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য ই-জিপি সিস্টেমের মধ্যেই রেজিষ্টার্ড দরপত্রদাতাদের তথ্যভান্ডার প্রস্তুতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের নামই হচ্ছে টেন্ডারারস ডাটাবেজ (Tenderers database)।
ই-জিপিতে ঠিকাদার হিসেবে লগইন করলেই যে মেসেজটি দেখা যাচ্ছে তার মাধ্যমে আসলে সবাইকে Tenderers database আপডেট করার বিষয়ে সচেতন করার জন্য দেয়া হয়েছে। এতে আগামী ৩০ জুন ২০২২ এর মধ্যে প্রত্যেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের Work Experience এবং Payment certificates সহ অন্যান্য তথ্য ই-জিপি সিস্টেমে আপডেট করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরের পর্বঃ টেন্ডারারস ডাটাবেজ এর ইতিহাস আসছে খুব শীঘ্রই। দেখতে প্রকিউরমেন্টবিডি.কম তে চোখ রাখুন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সিএজি কার্যালয়ে অডিট সংক্রান্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চলছে
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী (১২-১৫ মে, ২০২৫) সারা বাংলাদেশের সকল নিরীক্ষা ও

“Significantly low price)” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি

“ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট বা রেট কন্ট্রাক্ট” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি