Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

Official Estimate: লুকোচুরি আর কাড়াকাড়ির গল্প !!!

Facebook
Twitter
LinkedIn

Official Estimate:
লুকোচুরি আর কাড়াকাড়ির গল্প !!!

সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো আমরা ইতোমধ্যেই জানি তা হলঃ

ক) গত ০৩/০৫/১৬ ইং তারিখে জাতীয় সংসদে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর আধিকতর সংশোধনকল্পে একটি বিল উত্থাপিত হয়, পরবর্তীতে গত ০১/০৮/১৬ ইং তারিখে বিলটি আইনে রূপান্তরিত হয়। এটি PPA-06 এর চতুর্থ সংশোধন যাতে মোট ১৪ টি সংশোধন আনা হয়। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে আইনের ৩১ নং ধারা সংশোধন যার সাথে আরো ২টি উপ-ধারা যোগ করে বলা হয়েছে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আভ্যন্তরিন সরকারি কেনাকাটায় কার্যের ক্ষেত্রে কোনো দরদাতা দরপত্রের দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ১০ ভাগ কম বা বেশি মূল্য দরপত্রে উল্লেখ করলে দরপত্র বাতিল হয়ে যাবে;

খ) পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫ক) অনুযায়ি ক্রয়কারী দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিল চূড়ান্তকরণের পূর্বে বা দরপত্র বা প্রস্তাব আহ্বানের পূর্বে উন্নয়ন বা রাজস্ব বাজেট নির্বিশেষে ক্রয়কারী কর্তৃক নিজ এবং অন্য ক্রয়কারীর প্রতিনিধিসহ ৩ (তিন) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা ওভারহেড সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রযোজ্য আবশ্যিক বিষয়সমূহ বিবেচনা করে কোন নির্দিষ্ট ক্রয়ের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (official cost estimate) প্রস্তুত করবে;

গ) বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫খ) অনুযায়ি উপ-বিধি (৫ক) এর অধীন প্রস্তুতকৃত দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদনকারী (বা প্রয়োজ্য) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনপূর্বক (সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্র ব্যতীত) দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় সীলগালা করে রাখিবে, যা দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির নিকট দরপত্র খোলার প্রাক্কালে হস্তান্তর করবে এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি দরপত্র উন্মুক্তকরণ সভায় দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ঘোষণাপূর্বক দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীটে তা লিপিবদ্ধ করবে;

ঘ) পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৩৪ (১)(ক) অনুযায়ি কোন দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিলের পর তা নূতনভাবে আহ্বানের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী দাপ্তরিক প্রাক্কলন বা বাজেট বা উভয়ই সম্মিলিতভাবে পুনঃনির্ধারণ করবে;

ঙ) বিধি ৯৮ (৩১) অনুযায়ি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরের সমতার ক্ষেত্রে, যে দরপত্রদাতার ক্রয়কারীর অধীন অতীত কার্যসম্পাদনের মান উৎকৃষ্টতর, তাকে নির্বাচন করতে হবে এবং বিধি ৯৮ (৩৩ক) অনুযায়ি কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে উপবিধি (২), (২ক), (৩১) ও (৩২) এর অধীন কৃতকার্য দরপত্রদাতা লটারীর মাধ্যমে নির্বাচন করা যাবে না।

এখন, সংশোধিত আইন ও বিধি অনুযায়ি এবং এরসাথে বর্তমান সরকারে ঘোষিত ১০০% ইলেকট্রনিক (ই-জিপি) পদ্ধতি অবলম্বনে দরপত্র আহবান করতে যেয়ে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারি এবং ঠিকাদাররা যে বিরুপ পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে তার কিছু নমুনা দেখা যাক।

নমুনা সমস্যাবলী

১। বিধি অনুযায়ি একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করতে আসলে কতজন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকে ? ক্রয়কারী কর্তৃক নিজ এবং অন্য ক্রয়কারীর প্রতিনিধিসহ ৩ (তিন) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রথমে প্রাক্কলন প্রস্তুত করবে। তারপর তা অনুমোদনকারী (বা প্রয়োজ্য) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন করবেন। সুতরাং শুধুমাত্র ব্যক্তি হিসেবেই অন্তত ৪ জন এই প্রাক্কলন প্রস্তুতির সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে এবং বিধি অনুযায়ি জড়িত। এখন, অনুমোদনকারীর কাছে এই প্রাক্কলন বাস্তবে পাঠাবেন আসলে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী। আর অনুমোদনকারী (বা প্রয়োজ্য) কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের পূর্বে সাধারনত যাচাই-বাছাই করবেন এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য তার নিশ্চই নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকবে। কাজেই পরোক্ষভাবে আরো বেশি জনবলের এর সাথে সম্পৃক্ত হবার আশংকা নিশ্চিত। এখন এরকম অবস্থায় প্রাক্কলিত ব্যয় গোপন থাকবে তার ১০০% গ্যারান্টি আছে কি ?

২। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আভ্যন্তরিন সরকারি কেনাকাটায় কার্যের ক্ষেত্রে কোনো দরদাতা দরপত্রের দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ১০ ভাগ কম বা বেশি মূল্য দরপত্রে উল্লেখ করলে দরপত্র বাতিল হয়ে যাবে। কাজেই এরুপ পরিস্থিতিতে এই প্রাক্কলিত ব্যয় অংকটি দরপত্র জমা দেওয়ার সময় অনেক দরদাতার কাছেই আলাউদ্দিনের চেরাগের মতই মূল্যবান হবে বলে আশংকা না করার কোন কারন নাই। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী দপ্তরগুলো যে অনেক অনৈতিক চাপে থাকবে তা অমূলক নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এখন প্রায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দরপত্রে সমদরে দরপত্র দাখিল হতে দেখা যাচ্ছে এবং তা দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ১০% কম বা তার সবচেয়ে কাছাকাছি।

৩। বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫খ) অনুযায়ি দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি দরপত্র উন্মুক্তকরণ সভায় দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ঘোষণাপূর্বক দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীটে উহা লিপিবদ্ধ করিবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দরদাতাগন তা জেনে যাবে। বিধি ৩৪ (১)(ক) অনুযায়ি কোন দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিলের পর উহা নূতনভাবে আহ্বানের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী দাপ্তরিক প্রাক্কলন বা বাজেট বা উভয়ই সম্মিলিতভাবে পুনঃনির্ধারণ করিবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই ক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ি অন্তত প্রাক্কলনটি পুনরায় যাচাই বাছাই বা পূনঃ প্রস্তুত করতে হবে। পূনঃদরপত্রের ক্ষেত্রেও আসলে একই বিষয় প্রযোজ্য। এতে সময় বেশি লাগবে আর প্রাক্কলন পূনঃ প্রস্তুত না করা হলে তো সম দরে দরপত্র জমা হবার ঝুকি শতভাগ।

৪। এই দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (official cost estimate) প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণ করে প্রস্তুত করে থাকে। কাজের ধরণ অনুযায়ী অনেক সময় বিশেষজ্ঞ বা মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের অন্যান্য শাখার সাহায্য নিতে হয়। আবার স্বল্পমূল্যের ক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী নিজেই তা করে থাকেন। এখন, ৩ (তিন) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রস্তুত করতে বলায় বিষয়টি একটি আইনি বাধ্য-বাধকতা হয়ে গেল। এছাড়াও, অন্য ক্রয়কারীর প্রতিনিধি বলতে কি একই মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের ক্রয়কারীর প্রতিনিধি কিনা তা বলা হয় নাই। যদি অন্য ক্রয়কারীর প্রতিনিধি দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে জড়িত থাকেন, সেক্ষেত্রে তা গোপন বা সীলগাল রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু।

৫। ই-জিপি এর ক্ষেত্রে বিষটি আরো সাংঘর্ষিক। ই-জিপি সিস্টেমে ক্রয়কারীকে দরপত্র আহবানের পূর্বে অবশ্যই দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য উল্লেখ করতে হয়, তাহলে অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় সীলগালা করার যৌক্তিকতা থাকে না।

ই-জিপির ক্ষেত্রে দরপত্র দলিলে Bill of Quantities (BOQ) তে কোন ভুল হলে Corriegendum Issue এর মাধ্যমে সংশোধন করা যায় কিন্তু দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় এর মোট মূল্য সংশোধন করা যায় না, সংশোধন করতে হলে সিপিটিইউ এর মাধ্যমে করতে হয়। এতে প্রশাসনিক জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এখন, এই সমস্যাগুলো আরও জটিল আকার ধারন করার আগেই দেখা যাক পৃথিবীর অন্যান্য প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমে দাপ্তরিক প্রাক্কলন নিয়ে কি ধরনের পলিসি অনুশীলন করা হয়।

OECD এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশ সমূহে

OECD ১৯৯০ সালের পর হলে সাধারনত প্রতি ৩ বছর পর পর construction prices এর উপর সার্ভে করে থাকে। OECD (Statistics Directorate of the Organisation for Economic Cooperation and Development) এবং EUROSTAT (Statistical Office of the European Communities) যৌথ ভাবে ১৯৯৭ সালে ‘SOURCES AND METHODS CONSTRUCTION PRICE INDICES’ নামে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা OECD এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশসমূহে construction price index এর উপর একটা তুলনা মূলক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

রিপোর্টটিতে ৩ ধরনের price index নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো হলঃ

Input Price Indices
এটা সাধারণত construction কাজের সময় যে বেসিক রেটে ক্রয় করে কাজ করা হয় তা বোঝায়। construction কাজে ব্যবহৃত মালামালের মূল্য ও মজুরী যোগ করে এই মূল্য পাওয়া যাবে।

Output Price Indices
এটা construction কাজ শেষ হবার পর যে কম্পোনেন্ট গুলো তৈরী হয় তার মূল্য হচ্ছে Output price indices। ব্যবহৃত মালামালের মূল্য ও মজুরীর সাথে আনুষাঙ্গিক যা যা লাগে তার মূল্য যোগ করে Output price পাওয়া যায়।

Seller’s Price Indices
এটা construction কাজ শেষ হবার পর ক্রয়কারী কর্তৃক পরিশোধকৃত মোট মূল্য। এর সাথে ভ্যাট, কায়কর,ইত্যাদি সহ সকল আনুষাঙ্গিক মূল্য যুক্ত থাকে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে construction price index ব্যবহারের একটি সারসংক্ষেপ দেখা যেতে পারেঃ

CountryOrganisation responsible for indexIndex TitleType of IndexFrequency of Compilation
AustraliaAustralian Bureau of StatisticsCivil EngineeringInputQuarterly
JapanStatistics Bureau Statistical Standards Department Management and Co-ordination AgencyConstructionInputMonthly
ItalyIstituto Nazionale di Statistica (ISTAT)Road ConstructionInputQuarterly
SpainThe Ministry of Civil Engineering Works (Ministerio de Fomento - formerly MOPTMA: Ministerio de Obras Públicas, Transportes y Medio Ambiente)ConstructionInputQuarterly
United KingdomDepartment of Environment (DOE) using data collected by the Office for National Statistics (ONS).Construction materialsInputMonthly
United StatesFederal Highway Administrationhighway constructionOutputQuarterly

এখন, যা বোঝা গেল তা হলো, প্রায় সকল দেশেই পরিসংখ্যান দপ্তর বা মন্ত্রণালয় এই বেসিক রেট এর তথ্য আপডেট এবং সংরক্ষনের কাজ করে থাকে।

এই রিপোর্ট অনুযায়ি বেসিক মূল্য তালিকা বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করা হয়। যেমনঃ কনষ্ট্রাকশন কম্পানি সমূহে সার্ভে করে, প্রফেশনার বিভিন্ন এসোসিয়েট দের কাছ থেকে, এডমনিস্ট্রেটিভ সোর্স থেকে, এমনকি অন্যান্য সদস্য দেশসমূহের price index থেকেও সংগ্রহ করা হয়েছে। আবার দরপত্র প্রক্রিয়া থেকেও অনেক price পাওয়া যায়, যেমনঃ

1. দরপত্রে উল্লেখিত দর: ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দেয়ার সময় যে দর দাখিল করেন,
2. চুক্তি মূল্য,
3. Invoice prices: বিল পরিশোধকৃত মূল্য।

এইসব সোর্স থেকে সংগ্রহ করার পর তা আবার বিভিন্ন মেথডে কম্পাইলেশন করা হয়, যেমনঃ

1. Prior Breakdown Methods
2. Component cost method
3. Subsequent Breakdown Methods
4. Quoted prices
5. Schedule of prices
6. Matched models
7. Hedonic method

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, construction কাজে ব্যবহৃত পণ্য সমূহের বেসিক মূল্য নির্ধারণের জন্য তারা অনেক পূর্ব থেকেই সতর্ক।

ইতালীতে মেডিকেল যন্ত্রাংশ ক্রয়

পুরো ইউরোপে-ই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সরকারী দপ্তরগুলো দ্বারাই প্রধানতঃ পরিচালিত হয়। ২০১২ সাল হতে ইতালীতে মেডিকেল যন্ত্রাংশের সরকারী ক্রয়ে reference prices ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। নিলাম (auction) পদ্ধতিটি ইতালীর সরকারী ক্রয় আইন অনুযায়ি একটি সাধারন ক্রয় পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় (CONSIP) বা স্থানীয় ভাবে নির্দিষ্ট আর্থিক সীমা অনুযায়ি পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায়। ইতালীতে প্রায় ৮০০ এর অধিক ক্রয়কারীর মাধ্যমে এই মেডিকেল যন্ত্রাংশ ক্রয় হয়ে থাকে। ক্রয়কারীদের reverse auction পদ্ধতিতে দরপত্র আহবানের সময় reference price index অনুযায়ি সমশ্রেণীভুক্ত পণ্যসমূহের (homogeneous products) জন্য expected total price উল্লেখ করতে হয়। যদি winning bid এই reference price এর ২০% এর বেশি হলে নেগোশিয়েশন করতে হয় নতুবা দর বাতিল করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে Administrative Tribunal of Rome এই reference price এর তালিকাটি-ই বাতিল বলে রায় দেয়। তাদের অবজারভেশন হলো, কিছু আইটেম functionally and technically অনেক বেশি heterogeneous। সুতরাং এগুলো reference price এর তালিকাতে একই শ্রেণীভূক্ত হতে পারে না। পরবর্তীতে এই তালিকা সংশোধন করা হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই reference price তালিকার কারনে ক্রয়কারীদের নেগোশিয়েশনের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Brazil

ব্রাজিলের সরকারী ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রায় পুরোটাই বিকেন্দ্রিকরণ করা আছে। এখানে ২৬ টি ফেডারেল স্টেট, ১টি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট, ৫,৫৬৫ টি মিউনিসিপালিটিস নিয়ে প্রায় ৩৪ হাজারের উপর ক্রয়কারী অফিস আছে। ২০১২ সালে জাতীয় টেকসই ক্রয় গাইডলাইন (national sustainable procurement guideline) প্রণয়ন করার পর থেকেই মূলত সেখানে সরকারী ক্রয় কার্যক্রমে লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারনের জন্য সেখানে অনেকগুলো practice বিদ্যমান। TCU’s (The Tribunal de Contas da União, এটা ব্রাজিলের ফেডারেল accountability দপ্তর) এর সিদ্ধান্ত মনে কমপক্ষে ৩ টি কোটেশন যোগার করে তার গড় থেকে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারন করতে হবে।

নিকট অতীত বা সাম্প্রতিক সময়ের দরপত্রের চুক্তি মূল্য reference prices হিসেবে গ্রহন করা যায়। এজন্য সরকারী ক্রয়কারীগন SIASG সিস্টেম ব্যবহার করা যায়। SIASG সরকারের General Services System (SISG) এর প্রয়োগগত কার্যক্রম (operational activities) পরিচালনার জন্য এটি একটি computerized সিস্টেম। এটা সরকারী বিভিন্ন দপ্তর এবং সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। SIASG এর উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ক্রয় ও চূক্তি ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করা, এর উল্লেখযোগ্য মডিউলগুলো হলঃ

– ঠিকাদারদের রেজিষ্ট্রেশন মডিউল (SICAF)
– Catalog of Materials (CATMAT) মডিউল
– Catalog of Services (CATSERV) মডিউল
– Electronic Disclosure Shopping মডিউল (SIDEC)
– Contract Management মডিউল (SICON), ইত্যাদি

SIASG সিস্টেম হতে সাম্প্রতিক কালের দরপত্রের চুক্তি মূল্য পাওয়া যায়। এ থেকে ক্রয়কারীগন reference prices হিসেবে করতে পারেন।

আবার ব্রাজিলের Transparency Portal থেকে Open Government Data (OGD) পাওয়া যেতে পারে। এখান থেকে তালিকাভূক্ত পণ্য বা সেবা সমূহের গড় বাজার মূল্য পাওয়া যায় যা আবার আপামর জনসাধারন সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় চুক্তি মূল্য এবং তখনকার বাজার মূল্য দেখে ক্রয় চূক্তির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। এটা সরকারী ক্রয়ের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জন্য অতীব গূরত্বপূর্ণ।

এভাবে আলোচনা আরোও এগিয়ে নেয়া যায়। মদ্দা কথা পৃথিবীর দেশে দেশে এখন সরকারী ক্রয়ের পাশাপাশি বেসরকারী ক্রয় প্রক্রিয়ায় value for money নিশ্চিতের জন্য অনেক ইনোভেটিভ আইডিয়ায় সরলীকরণ ও ব্যবহার বান্ধব করার চেষ্টা চলছে। এবার সে জায়গায় আমরা বাংলাদেশে কি দেখতে পাচ্ছি তার দিকে একটু নজর ফেরানো যাক।

এই Price Index কে এতো গূরুত্ব দেয়ার কি আছে ?

Reference price এবং Index অনেক কাজেই ব্যবহার করা হয়, যেমনঃ

1. রেন্ট, লীজ বা অন্যান্য ক্ষেত্রে চুক্তি মূল্য নির্ধারণে,
2. ইনস্যুরেন্স পলিসি ও এর ব্যাপ্তী এবং replacement values নির্ধারণে,
3. Price adjustment সূত্র ও পরিধি নির্ধারণে,
4. National accounts এর ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন বা অতিমূল্যায়িত মান নির্ধারণে,
5. কনস্ট্রাকশন cost এর trend এবং এতে ব্যবহৃত material সমূহের price change এর ঝুঁকি বুঝতে,
6. দ্রব্যমূল্যের দর বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য total construction works এর উপর স্থায়ী বা অস্থায়ী প্রভাব নির্ধারণে,
7. বিশেষ করে যে সকল দেশে high inflation বিদ্যমান সেখানে এর গূরুত্ব অপরিসীম,
8. এর মাধ্যমে আডিটর, আপামর জনসাধারণ থেকে শুরু করে সবাই ক্রয়চূক্তি ও বাজারমূল্যের মধ্যে একটা তুলনা মূলক ধারনা করতে পারে। এটা সরকারী ক্রয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য অত্যন্ত গূরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং, বোঝা গেল যে দাপ্তরিক প্রাক্কলন নিয়ে গন্ডগোল থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই ইউনিট প্রাইস নিয়েই আসলে যা করার করতে হবে। না হলে যত যুৎসই আইন বা পলিসি বানানো হোক না কেন তা আদতে কাজ করবে না। এর প্রেক্ষিতে এখন দেখা যাক আমার দেশে কোথায় কি হচ্ছে।

প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫ক) অনুযায়ি ৩ (তিন) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা প্রস্তুতকৃত দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় এবং উপ-বিধি (৫খ) অনুযায়ি যথাযত অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করার সামগ্রিক প্রক্রিয়ার মাঝে প্রাক্কলিত মূল্য গোপন থাকবে তা যারা এই বিধিটি সংশোধন করে যোগ করেছেন তারা না বুঝলেও মাঠ পর্যায়ে যারা সত্যিকার অর্থে এর সাথে সম্পৃক্ত তারা হাড়ে হাড়ে তা উপলন্ধি করছেন।

এই দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (official cost estimate) প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন দপ্তর তাদের নিজস্ব বিধি-বিধান অনুসরণ করে প্রস্তুত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারনত রেট সিডিউল বই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যা হল এই রেট সিডিউল বই আবার বিভিন্ন দপ্তরের জন্য বিভিন্ন রকম। যে যার মত করে প্রস্তুত করে ব্যবহার করছে। তবে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের রেট সিডিউল বই। এটি সময়ে সময়ে গণপূর্ত ই/এম ইউনিট থেকে প্রকাশ করা হয়। একটি নির্ভরযোগ্য দলিল হিসেবে গণপূর্ত বিভাগ ছাড়াও অনান্য সরকারী, আধা-সরকারী অথবা বেসরকারী নির্মাতারা এটি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রস্তুতকৃত রেট সিডিউল বই সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহ ব্যবহার করে থাকে।

এখনও ভিন্ন ভিন্ন রেট সিডিউলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। রেট সিডিউল ভিন্ন হওয়ার কারণে অনেক সময় প্রকল্প ব্যয়েও ভিন্নতা দেখা দেয়। গড়মিল দেখা দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ক্রয়েও। সমন্বিত রেট সিডিউল না হলে অনেক সময় প্রকল্প ব্যয়ে ভিন্নতা দেখা দেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে একই সরঞ্জাম কিনতে এলজিইডির ঠিকাদাররা অনেক সময় বলেন, পিডাব্লিউডির ঠিকাদাররা অধিক টাকা দিচ্ছেন। সমন্বিত রেট সিডিউল ঘোষণা করলে কেউ বাড়তি ব্যয় দাবি করতে পারবে না। এতে প্রকল্প ব্যয়ও কমে আসবে। কেউ বাড়তি সুবিধাও নিতে পারবে না। সমন্বিত রেট সিডিউল তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তা বাস্তবায়ন হয় নাই।

রিপোর্ট-১ঃ রেট সিডিউল তৈরির জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।

রিপোর্ট-২ঃ সরকারি প্রকল্পে সমন্বিত রেট সিডিউলের নির্দেশ

সিপিটিইউ এর মহাপরিচালক মহোদয় নিজেও এ নিয়ে তার বক্তব্য বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেছেন। কিন্তু এর সমাধানের বিষয়ে তেমন কোন নির্দেশনা তার বক্তব্য থেকে পাওয়া যায় নি। উদাহরণ স্বরূপ গত ৩০ শে মার্চ ২০১৭ তারিখের তার একটি বক্তব্য তুলে ধরা যেতে পারে।

ডিজি সিপিটিইউ মহোদয়ের বক্তব্য

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসাবে কাজ করছে। ১৯৭৪ সালে আগষ্ট মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ৪টি পরিসংখ্যান অফিস (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি শুমারি কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন আদমশুমারি কমিশন)-কে একীভূত করে সৃষ্টি করা হয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। তারপর ২০১০ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আবার ২০১২ সালে নাম পরিবর্তন করে Statistics & Informatics Division রাখা হয়। ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান আইন করা হয়। আইনেই সব আছে।

পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩
৬ নং ধারাঃ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যুরোর কার্যাবলী হইবে নিম্নরুপ, যথা:-

(ক) সঠিক, নির্ভুল ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও সংরক্ষণ;
(ঘ) ব্যবহারকারীগণের চাহিদা অনুসারে দ্রুততার সহিত নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারবান্ধব পরিসংখ্যান সরবরাহকরণ;
(ঞ)পরিসংখ্যান কার্যক্রম সম্পাদনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ;
(ট) যে কোন কর্তৃপক্ষ, পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে পরিসংখ্যান বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রদান;
(ঠ) ভোক্তার মূল্য-সূচকসহ অন্যান্য মূল্য-সূচক এবং জাতীয় হিসাব প্রস্তুতকরণ;
(দ) পরিসংখ্যানের প্রধান প্রধান কার্যক্রমসমূহ আন্তর্জাতিক মানে প্রমিতকরণ (standardization);

প্রতি মাসের বাজার মূল্য এবং মজুরী প্রকাশ করা হয় (Consumer Price Index (CPI), Inflation Rate and Wage Rate Index (WRI))। কিন্তু তা সময় মত প্রকাশ করা হয় না। যেমন মার্চ ২০১৭ সালের রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয় নাই। অনলাইন ডাটাবেজ এখনও হয় নাই।

বাংলাদেশে সরকারী ক্রয়ে মূল্য তালিকা ও দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণের বেহাল দশা-ই কি সরকারী ক্রয়ে আজকের এই হ-য-ব-র-ল অবস্থার জন্য দায়ী নয় ? দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় নিয়ে একদিনে শুধু লুকোচুরি আরেকদিনে এর কাড়াকাড়ি’র ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য সাধারণ ব্যবহারকারীরা-ই শুধু ভূক্তভোগী হচ্ছেন না, বরং সকল প্রকল্পের অগ্রগরিত উপর-ই প্রচ্ছন্ন প্রভাব পড়ছে।

পরিশেষঃ

এখন মূল আলোচনায় ফিরে আসি। একেবারে প্রথমে যে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল তার সাম্ভাব্য সমাধান (অবশ্যই একমাত্র নয়) কি হতে পারে দেখা যাকঃ

১। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫ক) আরও নিয়ে আরো যাচাই বাছাই হতে পারে,
২। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ধারা ৩১ এর উপধারা (৩) পূনর্বিবেচনা করা হোক —- “উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন দরপত্রদাতা কতৃক দরপত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (Official cost estimate) ১০% (শতকরা দশ ভাগ) এর অধিক কম বা অধিক বেশি দর উদ্ধৃত করা হইলে উক্ত দরপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।”,
৩। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫খ) নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে অথবা দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিল বা পূনঃদরপত্রের ক্ষেত্রে প্রাক্কলনটি পুনরায় যাচাই বাছাই বা পূনঃ প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াটি সহজ করতে হবে,
৪। দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রস্তুত অবশ্যই Standardize হতে হবে, সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার একটা Tool বের করতে হবে,
৫। ই-জিপির জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫খ) সংশোধন করা প্রয়োজন (যেমনঃ দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির সভাপতি কর্তৃক দরপত্র জমার সময় শেষ হবার পর এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণের পূর্বে ই-জিপি সিস্টেমে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় insert করার option রাখা যেতে পারে),
৬। ই-জিপির ক্ষেত্রে Corrigendum Issue এর মাধ্যমে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় সংশোধনের option থাকা প্রয়োজন।

সর্বপরি, Statistics & Informatics Division এর সহযোগিতায় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি একক দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তুতের গাইড-লাইন প্রস্তুত করা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এর মূলনীতিতে যা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি ভূলুন্ঠিত হয়ে যাবে।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এর মূলনীতি

১। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,
২। ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকল ব্যক্তির প্রতি সম-আচরণ,
৩। অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা,
৪। অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা”।

রিপোর্ট-টি লেখার সময়ই জানতে পারলাম Past Performance Evaluation Matrix এর উপর সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন স্হগিতাদেশ প্রদান করেছেন (রিপোর্টটি দেখতে ক্লিক করুণ)। এখন থেকে শুধুমাত্র Annual Turnover দিয়ে কৃতকার্য ঠিকাদার নির্বাচন করতে হবে।

তাড়াহুড়ো করে আজকের মতো শেষ করলাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

প্রকিউরমেন্ট বিডি news

ক্রয় প্রক্রিয়ায় বিলম্ব বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প ধীর গতির অন্যতম কারণ

বাংলাদেশে বেশিরভাগ প্রকল্পের – বিশেষত অবকাঠামো প্রকল্পগুলো প্রকৃত বাস্তবায়নের সময়কালের মধ্যে ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, বা সেগুলো ধীরগতিতে এগোচ্ছে।

Read More »
সমসাময়িক

বাংলাদেশে এডিবির অর্থায়নের পোর্টফলিও

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক, যার মালিকানায় রয়েছে ৬৭টি সদস্য দেশ। এডিবি’র উন্নয়শীল সদস্য দেশগুলোকে সাহায্য করার মূল

Read More »
সমসাময়িক

সরকারি ক্রয়েও নারীর অংশগ্রহন গূরুত্বপূর্ণ

সরকারি ক্রয়ে জেন্ডার (Gender) এবং সমতা (Equal Opportunities) অত্যন্ত গূরুত্বপূর্ণ। পাবলিক প্রকিউরমেন্টে জেন্ডার এবং সমতা বলতে লিঙ্গ নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি

Read More »
FAQ

ই-জিপিতে নিবন্ধিত নারী দরদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে ই-জিপিতে নিবন্ধিত নারী দরদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক

Read More »
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

Scroll to Top