প্রয়োজনের তাগিদে, বিভিন্ন ছোটখাটো ভূলভ্রান্তির সংশোধনে এবং সরকারি ক্রয় বিধিকে আরও ক্রয় বান্ধব করার জন্য পিপিআর’০৮ এর কিছু সংশোধন হতে পারে। ইতোমধ্যেই, গত ৩১/১০/১৭ইং তারিখে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিভিন্ন দপ্তর, ঠিকাদার বা তাদের প্রতিনিধি, সরকারি ক্রয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ, ইত্যাদিদের উপস্থিতিতে প্লানিং কমিশনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার মূল বিষয় ছিল উন্মুক্ত দরপত্র (কার্য) এর মাধ্যমে আভ্যন্তরিন সরকারি কেনাকাটায় দর সমতার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারন সংক্রান্ত। তবে সেখানে প্রয়োজনে ক্রয় বিধিতে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়ার কথাও আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত
বিধি সংশোধন নিয়ে সবার মাঝেই কৌতুহল বিরাজ করছে। তবে ভাল ভাল কিছু উপযোগি সংশোধনী সবাই প্রত্যাশা করছে। বর্তমানে টেন্ডার নিয়ে এর সাথে সংশ্লিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, ক্রয়কারি, ইত্যাদি সবাই উৎকন্ঠায় আছে।
এখন, কি কি বিষয়ে এবং কোন কোন বিধিতে সংশোধন আসতে পারে তা অবশ্য জানা যায় নাই। তবে যাই হোক, আইন সংশোধন না করেই যে সব বিধি সংশোধন করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। নিচে কিছু উদাহরন দেয়া হল যেসব বিষয়ে বিধি সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারেঃ
১. ১০% আইন জারীর ফলে দরপত্র মূল্যের সমতার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবে টার্নওভারের ভিত্তিতে সর্বনিন্ম দরপত্রদাতা নির্ধারিত হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র বড় ঠিকাদার-ই কাজ পেয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঠিকাদাররা আন্দোলনে যাচ্ছে (বিস্তারিত)। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে সিপিটিইউতে তাদের উষ্মা জানানো হয়েছে। এখন সিপিটিইউ এর উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। কাজেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিধিগুলো সংশোধন হবে এটা নিশ্চিত।
২. LTM এর ক্ষেত্রে ২ কোটি আর ৩ কোটির একটা অসামঞ্জস্যতা রয়েছে তফসিল-১ আর বিধির মধ্যে, এটা নজরে আনা যেতে পারে।
৩. চুক্তির জন্য ২৮ দিন সময় অনেক ক্ষেত্রে বেশি হয়ে যায়। অন্তত কম মূল্যের বা সীমিত দরপত্রের ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষর এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে performance security জমার সময় হ্রাস করা যেতে পারে।
৪. দরপত্র মূল্যায়নে সর্বোচ্চ ৩ টি সভার সম্মানী নেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৩ এর অধিক সভার প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারে।
৫. ইমারজেন্সি (জরুরী) ভিত্তিতে বাস্তবায়িত কাজের ক্ষেত্রে পারফরমেন্স সিকিউরিটি অপশনাল করা অথবা বাদ দেয়া যেতে পারে। কারন, বিষয়টি ইমারজেন্সি।
এভাবে, আরও অনেক বিষয় নজরে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে নিচে কমেন্টস করে তালিকাটা আরও সমৃদ্ধ করুন।
তবে, কবে নাগাদ এই বহুল প্রত্যাশিত সংশোধনী জারী হবে তা জানা যায় নাই। এখন, সবাই আশা করছে, চূড়ান্ত সংশোধীর পূর্বে, কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে stakeholders দের সাথে আলোচনা করবে। কারন, দিনশেষে তারাই এর প্রয়োগ করবেন।