সিপিটিইউ এর পরিপত্র অনুযায়ি এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের (National Competitive Tender) ক্ষেত্রে যে কোন মূল্যের টেন্ডার ই-জিপি তে আহবান করা যাবে। অর্থাৎ উন্নয়ন বা অনুন্নয়ন বাজেটের কার্য (Works) ও পণ্য (Goods) ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকার উপরে হলেও ই-জিপিতে দরপত্র আহবান করা যাবে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণ করতে হতো বিধায় ইতিপূর্বে ১০০ কোটি টাকার উপরের দরপত্র হলে তা ই-জিপি তে আহবান না করে অফ-লাইনে আহবান করা হতো।
এই পরিপত্র শুধুমাত্র কার্য (Works) ও পণ্য (Goods) ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তবে পরিপত্রে একটা বিষয় পরিষ্কার করা হয় নাই। সেক্ষেত্রে ই-জিপি তে অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষ কে হবে ?
উপরোক্ত সার্কুলার অনুযায়ি ই-জিপিতে মন্ত্রী মহোদয়ের মন্তব্য গ্রহনপূর্বক অনুষঙ্গিক কাগজপত্র সহ হার্ডকপি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। অতঃপর অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারি তা ই-জিপি সিস্টেমে আপডেট ও আপলোড সহ পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
ই-জিপিতে বাৎসরিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রস্তুতির সময়ই অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষ কে হবে তা উল্লেখ করতে হয়। অতঃপর দরপত্র মূল্যায়নের পর আবার সে অনুযায়ি Work-flow প্রস্তুত করে অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন করতে হয়। এখন, ১০০ কোটি টাকার উপরের দরপত্র হলে সেক্ষেত্রে অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষ কে হবে তা পরিষ্কার না হলে দরপত্র প্রক্রিয়াকরনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। আবার, অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষ মন্ত্রী বা অন্য কেউ হলে তা ই-জিপি সিস্টেমের PROMIS ডাটাবেজে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেখাবে যা ভবিষ্যতে আর ব্যবহার উপযোগি হবে না।
কাজেই, ১০০ কোটি টাকার উপরের কার্য ও পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ই-জিপিতে দরপত্র আহবানের বেলায় বিষয়টি কিছুটা বিভ্রান্তকর হয়ে গেছে বলে মাঠ-পর্যায়ের অনেকেই মতামত দিয়েছেন। এখন, সুন্দর একটা উদ্যোগকে কার্যকর করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের এ বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
1 thought on “ই-জিপি তে এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের যে কোন মূল্যের টেন্ডার করা যাবে”
good job…