প্রকল্প পরিদর্শন নিয়ে আইএমইডির কার্যক্রম সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তারা ঠিকমতো প্রকল্প পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করে না। এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে এবং যথাযথ মূল্যায়নের জন্য প্রকল্পের তদারকিতে ড্রোন ব্যবহারে কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি নিজে প্রকল্প পরিদর্শন করে দেবে না। প্রযুক্তি পরিচালনা করবেন কর্মকর্তারা। ড্রোন ব্যবহার করে চাপ ও প্রভাবমুক্ত থেকে তাঁরা প্রকল্প পরিদর্শন ও মূল্যায়নের কাজ করা যাবে মর্মে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তা নির্মাণে ‘মিথ্যা কথা’ ও ‘চুরি’ ধরার পরে আইএমইডির কর্মকর্তারা প্রকল্পের কাজ নজরদারিতে নিয়মিত ড্রোন ব্যবহারে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাঁরা বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন ব্যবহার করছেন। এ জন্য ইতিমধ্যে তিনটি ড্রোন কেনা হয়েছে। এখন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ পর্ব চলছে।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, লেইডার প্রযুক্তির ড্রোন কিনবে তারা। কারণ, এই প্রযুক্তির ড্রোন দিয়ে আকাশ থেকে পানির নিচের গভীরতাও মাপা যায়। এই ড্রোন নদী খনন প্রকল্প পরিদর্শনের সময় ব্যবহার করা যাবে। কারণ, ঠিকাদারেরা নদীর তলদেশ যতটা গভীর করে খনন করার কথা, তা করেন না বলে অভিযোগ আছে। আবার পানির নিচে গিয়ে গভীরতাও মাপা যায় না। তাই লেইডার প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করবে আইএমইডি। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকার জমি অধিগ্রহণ ঠিকমতো হয়েছে কি না, সেটি দেখার জন্য জিও ম্যাপিং প্রযুক্তির ড্রোন কেনার পরিকল্পনা আছে আইএমইডির।