Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ভুয়া অডিট রিপোর্ট দাখিলের ‘দিন শেষ’

কোম্পানিগুলোর ভুয়া অডিট প্রতিবেদন দাখিলের দিন শেষ হচ্ছে। এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে আর্থিক খাতে বড় ধরনের ডিজিটাল সংস্কার আনা হয়েছে। জাল নিরীক্ষা প্রতিবেদন ঠেকাতে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (ICAB) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) যৌথ প্রয়াসে চালু করা হয়েছে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (DVS)।

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনা ও করপোরেট কর আদায় বাড়াতে এ সফটওয়্যার চালুর উদ্দেশ্য। সাধারণত কোম্পানির বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমার সময় নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিবরণীর সঙ্গে নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদনও জমা দিতে হয়। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ৩৫ থেকে ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়কর বিবরণীর সঙ্গে নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা পড়ে। সনাতনী উপায়ে এগুলো যাচাই-বাছাই করা কঠিন। আবার আইসিএবির সদস্যরা প্রতিবছর ১৫ থেকে ১৬ হাজার নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে থাকেন। প্রতিবেদনগুলো কতটা যথাযথ, তা যাচাই করারও সুযোগ নেই।

যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত কোম্পানি এখন ১ লাখ ৭৬ হাজার। এর মধ্যে ৭৮ হাজার কোম্পানিই কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছে। এদের মধ্যে আবার অর্ধেকের বেশি কোম্পানি আয়কর রিটার্ন দাখিল করে না। এ ছাড়া কিছু কোম্পানি নামমাত্র নিরীক্ষা করে। ভুয়া নিরীক্ষা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অনেকে। এখন থেকে ICAB’র নিবন্ধিত যেকোনো হিসাববিদের প্রস্তুত করা প্রতিটি নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদনসহ যাবতীয় তথ্য DVS এ আপলোড করতে হবে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে এনবিআরে জমা দেওয়া নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদন সঠিক কি না, তা যাচাই করতে পারবেন কর কর্মকর্তারা। আইসিএবির তথ্যভান্ডারের (ডেটাবেইস) সঙ্গে এনবিআরের তথ্যভান্ডার মিলিয়ে দেখবেন।

ডিসেম্বর’২০ থেকে ICAB’র সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির যত হিসাব নিরীক্ষা করবেন, সেগুলোর প্রায় সব তথ্যই বাধ্যতামূলকভাবে ডিভিএসে আপলোড করবেন। তথ্য দেওয়ার পর সফটওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদনের অনুকূলে একটি ‘ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন কোড’ দেবে। কোম্পানির মোট আয়-ব্যয়সহ কিছু সাধারণ তথ্য এতে উল্লেখ থাকবে, যা ওই কোড দিয়ে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে।

আর্থিক, প্রশাসনিক, সামাজিক – সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। আর্থিক খাতের অন্যতম ডিজিটাল সংস্কার হিসেবে এবার এল ডিভিএস। এ ছাড়া এতে কর ফাঁকি রোধ ও জাল প্রতিবেদন চিহ্নিত করা সহজ হবে। এর ফলে নিরীক্ষামান বজায় রেখে যথাযথ নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির প্রবণতা বাড়বে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), আরজেএসসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষসহ (আইডিআরএ) অন্য সংস্থাগুলোও ডিভিএস ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আইসিএবির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।

সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে কম্পানি হিসেবে অংশগ্রহনকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর্থিক স্বচ্ছলতা, লিকুইড এসেট, ইত্যাদির প্রমানস্বরুপ বিগত বা সাম্প্রতিক অর্থবছরের অডিট রিপোর্ট দাখিল করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো যাচাই করা দূরূহ। এই DVS এর তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করে সরকারি ক্রয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রম সহজ ও সময় সাশ্রয় হবে বলে প্রকিউরমেন্টবিডি.কম মনে করে। তবে, এ বিষয়ে সিপিটিইউ কে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সর্বশেষ

Scroll to Top