পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) বছরের পর বছর ধরে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
দেশে প্রথমবারের মতো ২০০৯ সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি মডেল চালু করা হয়েছিলো। মূলত বেসরকারি খাত থেকেই এ আইডিয়াটি নিয়েছিলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এছাড়াও, সে সময় পিপিপি’র ধারণা নিয়ে যারা এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তখনকার ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাশেম খান। আইডিয়াটি ছিল – দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এসে বড় বড় অবকাঠামোর কাজ হবে যাতে করে দেশের অর্থনীতির জন্য দরকারি বড় প্রকল্পগুলোতে সরকারকে বেশি অর্থ বিনিয়োগ না করতে হয়। অতঃপর তৎকালীন আওয়ামী সরকার এই আইডিয়াটি উল্লেখযোগ্য ভাবে গ্রহন করে যার নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। প্রাথমিক ভাবে তা বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১-এর অংশ ছিল।
পিপিপি কি জানতে ক্লিক করুনঃ পিপিপি (PPP) কি ?
বর্তমানে পিপিপি কার্যক্রম সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে যা এখন রূপকল্প-২০৪১ এর অংশ।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে (পিপিপি) আরও শক্তিশালী করা দরকার। পিপিপির সফলতা নির্ভর করছে এর সফল অর্থায়নের ওপর। এক্ষেত্রে বিদেশি অর্থায়ন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করতে পারে। সরকার সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একত্রিত করে একটি উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করতে পিপিপি করেছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য স্বচ্ছতা, পর্যবেক্ষণ ও সুশাসন দরকার। পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোর মানসিকতার পরিবর্তন এ খাতে বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করবে। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।