সরকার অনলাইন দরপত্র বা ই-জিপি চালু করেছে প্রায় ১১ বছর হয়ে গেছে। অথচ এখনো কার্যক্রমটি পুর্নাঙ্গ রূপ পাওয়ার অপেক্ষায়। আন্তর্জাতিক দরপত্র এতোদিন ই-টেন্ডারের বাইরে ছিল। ফলে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবানের ক্ষেত্রে এখনও ম্যানুয়াল পদ্ধতিই অনুসরণ করা হচ্ছে।
তবে, আশার কথা হচ্ছে গত ১লা সেপ্টেম্বর জারীকৃত পরিপত্র অনুযায়ি এখন থেকে ই-জিপি তে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা যাবে। তবে, এই পরিপত্র অনুযায়ি ই-জিপি তে এখন শুধুমাত্র পণ্য (Goods) ক্রয়ের আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে।
বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সিপিটিইউ এর অধীনে ই-জিপিতে ১টি পণ্য (Goods) ক্রয়ের আন্তর্জাতিক দরপত্র LIVE অবস্থায় রয়েছে।
উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং সরকারী অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-জিপি ব্যবস্থা প্রবর্তন বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। তারই ধারাবাহিকতায়, গত ০২ জুন ২০১১ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ইলেকট্রনিক গভর্ণমেণ্ট প্রকিউরমেণ্ট (ই-জিপি) পোর্টালটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত দুটি পরিপত্র নিচে দেয়া হলঃ
GOB অর্থায়নে ই-জিপিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র (OTM) আহবানের পরিপত্র
উন্নয়ন সহযোগিদের অর্থায়নে ই-জিপিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র (OTM) আহবানের পরিপত্র
বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ের (National Competitive Tender) ক্ষেত্রে যে কোন মূল্যের টেন্ডার ই-জিপি তে আহবান করা যায়। অর্থাৎ উন্নয়ন বা অনুন্নয়ন বাজেটের কার্য (Works) ও পণ্য (Goods) ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকার উপরে হলেও ই-জিপিতে দরপত্র আহবান করা যাবে।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ ই-জিপি তে জাতীয় পর্যায়ের যে কোন মূল্যের টেন্ডার করা যাবে
তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা (পরামর্শক) এর দরপত্র ই-জিপিতে আহ্বান করার ব্যবস্থা নেই। ই-জিপিতে আন্তর্জাতিক ঠিকাদার হিসেবে আজ পর্যন্ত মোট ৩৮ টি নিবন্ধন রয়েছে। এখনো বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ঠিকাদাররা ই-জিপিতে নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। এখানেও স্বচ্ছতা আনতে চায় সরকার। সেজন্য ই-জিপিতে আন্তর্জাতিক ঠিকাদারদের অন্তর্ভূক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ই-টেন্ডারের আওতায় আনা হবে। যতদিনে এই কাজ শেষ না হবে, ততদিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে। তবে শতভাগ ইজিপি কার্যকর করা গেলে দরপত্রে স্বচ্ছতা যেমন বাড়বে তেমনি সরকারী রাজস্বও সাশ্রয় হবে। এছাড়া শতভাগ ইজিপি বাস্তবায়ন করা গেলে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টি হবে।