টেন্ডারে দরপত্র জামানত (Tender Security) এবং কার্যসম্পাদান জামানত (Performance Security) হিসেবে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেয়া যায়। পিপিআর-০৮ অনুযায়ি অসদুদ্দেশ্যে দরপত্র দাখিল নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ক্রয়কারী দরপত্র দলিলে দরপত্র জামানত এবং কার্যসম্পাদান জামানত দাখিলের শর্ত আরোপ করিতে পারে।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
টেন্ডারে দাখিলকৃত দরপত্র জামানত (Tender Security) এবং কার্যসম্পাদান জামানত (Performance Security) এর একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। বিশেষ করে দরপত্র জামানত বা কার্যসম্পাদান জামানতে হিসেবে যদি ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেয়া হয় সেক্ষেত্রে ব্যাংক গ্যারান্টিতে উল্লেখিত মেয়াদ অনেক গূরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি বিভিন্ন টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহারের মাধ্যমে অন্যদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে অনুমতি ছাড়া ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার না করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কিছু ব্যাংক দরপত্র মূল্যায়নকালীন দরপত্রদাতার অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার করে নেয়। এতে সর্বনিম্ন দরপত্রদাতার চেয়ে অধিক মূল্য প্রদানকারী দরপত্রদাতার কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এতে একদিকে সরকারি কাজ বাধাগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে সরকার বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এ জন্য সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধ, সরকারি কাজ ত্বরান্বিত করা এবং দরপত্র প্রক্রিয়ায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, দরপত্র আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ছাড়া কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি বাতিল করা যাবে না।
এ বিষয়ে প্রকিউরমেন্টবিডি.কম এ অনেক আগেই মতামত প্রকাশিত হয়েছিল। এই নির্দেশনা জারীর ফলে তা আইনি কাঠামো পেল।
আরও জানতে দেখুনঃ Performance Security’র মেয়াদ শেষ হলেই কি ক্যাশ করা যাবে ?