Sustainable Development Goal (SDG) এর লক্ষ্যমাত্রা ১২ এবং ১২.৭ অর্জনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (BPPA) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর থেকে দেশে টেকসই সরকারি ক্রয় (Sustainable Public Procurement – SPP) পাইলটিং করার পরিকল্পনা করছে।
আরও দেখুনঃ টেকসই সরকারি ক্রয় (SPP) কি ?
এ বিষয়ে গত ২৭-২৯ জুন ২০২৪ তারিখে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় বিপিপিএ আয়োজিত একটি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (TOT) কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে। বিপিপিএ-এর কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় প্রকিউরমেন্ট প্রশিক্ষক এবং বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থার মোট ৩৮ জন প্রতিনিধি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নিযুক্ত আন্তর্জাতিক পরামর্শক মিস জেলি মোলিনো বিপিপিএ-এর সাথে পরামর্শ করে Green Public Procurement এবং Sustainable Public Procurement বিষয়ে এই মাস্টার প্রশিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছেন। এই কর্মশালায় তিনি SPP মাস্টার প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দিয়েছেন।
বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ডিম্যাপ প্রকল্পের আওতায় বিপিপিএ ২০২৩ সালে এসপিপি নীতি প্রণয়ন করে। সরকার এসপিপি নীতি অনুমোদনের পর ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে গেজেট প্রকাশ করেছে। এসপিপি নির্দেশিকাও প্রণয়ন করেছে বিপিপিএ যা এখন সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিস্তারিত দেখুনঃ “টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি ২০২৩” জারি
প্রাথমিকভাবে, এসপিপি পাইলটিংয়ের জন্য ছয়টি পণ্য নির্বাচন করা হয়েছে। এগুলো হল কাগজ ও কাগজজাত পণ্য, অফিস সরবরাহ, কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও সরবরাহ, অফিস ও অন্যান্য আসবাবপত্র বা সংশ্লিষ্ট কাঠের সরঞ্জাম, যানবাহন ও অন্যান্য পরিবহণ সরঞ্জাম এবং দাপ্তরিক কাগজ দিয়ে তৈরি প্রকাশনা।
তবে পরিবেশের উপর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে, ভবন ও সড়ক নির্মাণ, পানি ও জ্বালানি এর মতো চারটি খাত এসপিপি পাইলটিংয়ের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। বিপিপিএ সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী সংস্থাগুলো থেকে এই জন্য ফোকাল ব্যক্তিদের নির্বাচন করেছে।
বিপিপিএ-এর সিইও জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরি বলেন এসপিপি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রথম গ্রুপে ৩৮ জন মাস্টার প্রশিক্ষককে এসপিপি-তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দেশে আরও প্রশিক্ষক তৈরির জন্য এমন আরও প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে।