Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

PPR-08 এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ণের নির্ণায়কসমূহঃ একটি পর্যালোচনা

Facebook
Twitter
LinkedIn

লিখেছেনঃ Jobaida Hossain, সাপ্লাই-চেইন এক্সপার্ট

 

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর সর্বশেষ সংশোধনী প্রকাশিত হয়েছে জুন, ২০১৮ তে। এই সংশোধনের মাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত “Past Performance Evaluation Matrix” তথা 7 matrix যুগের অবসান ঘটেছে। এখন দরপত্র মূল্যায়নে যুক্ত হয়েছে নতুন তিনটি ক্রাইটেরিয়া বা নির্নায়ক। কি সেই নির্নায়কগুলো? চলুন দেখে নেয়া যাক-

উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি বা Open Tendering Method (OTM) এ যদি একাধিক সর্বনিম্ন ঠিকাদারের দর সমদর হয় তাহলে নিম্নোক্ত তিনটি বিষয় বিবেচ্য হবে-

  • (ক) দরপত্রদাতা কেবল সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী সংস্থার আওতায় বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরে কতগুলি চুক্তির সফল বাস্তবায়ন করিয়াছেন উহার সংখ্যা ও বিবরণ;
  • (খ) দফা (ক) এর অধীন বাস্তবায়িত চুক্তিসূহের মোট চুক্তিমূল্য;
  • (গ) Tender Capacity – এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এবং অন্যান্য সকল ক্রয়কারীর সহিত চলমান (on-going) এবং প্রতিশ্রুত (committed) কাজের আর্থিক মূল্য;

এর ভিত্তিতে মুল্যায়ন প্রক্রিয়া কেমন হবে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে আদর্শ দরপত্র দলিলে, সে মোতাবেক

টেবিলঃ ‘Past Performance Evaluation and rating matrix’

লক্ষ্যনীয় এই যে, সর্বোচ্চ পয়েন্ট রাখা হয়েছে, বিগত ৫ বছরে ক্রয়কারীর প্রতিষ্ঠানে সম্পাদিত কাজের সংখ্যা (পয়েন্ট ১৪০) এবং উক্ত কাজসমূহের চুক্তিমূল্য (১০০) এর উপর। এই সম্পাদিত কাজ বলতে সেগুলোই বিবেচ্য হবে যার চুক্তিমূল্য দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্যের ১.৭৫ গুন পর্যন্ত। উল্লেখ্য তিনটি বিষয় পয়েন্ট অনুযায়ী হিসাব করে যার স্কোর সবচেয়ে বেশী হবে, সেই হবে যোগ্য দরদাতা।

এখন দেখা যাক এই পদ্ধতির সম্ভাব্য সুবিধা কি কি-

প্রথমত, টার্নওভারের ভিত্তিতে দরদাতা নির্বাচনের কোন সুযোগ আর নেই। সুতরাং আশা করা যায়, অসম প্রতিযোগিতার দিন শেষ হতে চলেছে।

দ্বিতীয়ত, ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিগত পাঁচ বছরে সম্পাদিত যে কাজের বিবরণ চাওয়া হয়েছে, তার রেঞ্জ বা সীমা ধরা হয়েছে ৭৫% পর্যন্ত। এই ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যার দাবী রাখে। একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে- ধরা যাক, কোন কাজের অফিসিয়াল এস্টিমেটেড কস্ট ১০০ কোটি টাকা, তাহলে বিগত পাঁচ বছরে ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের অধীন সর্বোচ্চ ১৭৫ কোটি টাকার (এবং তার নিম্নের) কাজগুলোই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে। এর বেশি টাকার কাজ যদি সে করেও থাকে, তবুও তা মূল্যায়নের এই বিবেচনায় আসবেনা। কোন ঠিকাদারের শত শত কোটি টাকার অভিজ্ঞতা থাকলেও এই ক্ষেত্রে তার শুধু ১৭৫ কোটি টাকা মূল্যমানের কাজ পর্যন্তই গন্য করা হবে। সুতরাং, আশা করা যেতে পারে যে এই “৭৫%” এর যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তা ছোট-বড় ঠিকাদারদের একটা “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” এ নিয়ে আসতে সহায়তা করবে।

তৃতীয়ত, এই প্রক্রিয়ায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাজ আপাতদৃষ্টিতে জটিল মনে হলেও, অন-লাইন টেন্ডারের ক্ষেত্রে, ই-জিপি সিস্টেমে এই ফর্মগুলোকে অটোমেশন করা হয়েছে। ঠিকাদার শুধু নিজ নিজ কাজের বিবরণ এবং সেই সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্ট এটাচ করবেন। মূল্যায়ন কমিটি শুধু সেই ফর্ম এবং সাপোর্টিং ডকুমেন্ট দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন ঠিকাদারের উল্লেখ্য কাজটি গ্রহনযোগ্য কি না, বাকি ক্যালকুলেশন ই-জিপি সিস্টেমই সম্পন্ন করে দিবে। এক্ষেত্রে মূল্যায়ন কমিটির শ্রম কিছুটা লাঘব হতে পারে।

সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ-

এই পদ্ধতিতে খুব বেশি জোর দেয়া হয়েছে (৩০০ পয়েন্টের মাঝে ২৪০ পয়েন্ট অর্থাৎ ৮০% পয়েন্টই দেয়া হয়েছে) ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কৃত চুক্তিসমুহের উপর। এতে করে একটি ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে যেসমস্ত ঠিকাদার আগে থেকেই কাজ করে আসছেন, তারাই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। অপরদিকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ঠিকাদার কিংবা নতুন কেউ অংশগ্রহন করলে তিনি স্বাভাবিকভাবেই অনেক পিছিয়ে যাবেন। যা কিনা অবাধ প্রতিযোগিতাকে ব্যহত করবে নিঃসন্দেহে।

এছাড়া, এই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন কমিটিকে ঠিকাদারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মুল্যায়ন করতে হচ্ছে। কোন ঠিকাদার যদি কোন তথ্য গোপন করে বা প্রতারণার আশ্রয় নেয় সেক্ষেত্রে তা যাচাই বা ক্রস-চেক করার কোন সুযোগ থাকছেনা। উল্লেখ্য, এই সমস্যাটি পুর্বের 7 matrix এর ক্ষেত্রেও ছিলো। ঠিকাদারদের সমন্বিত central database তৈরি ব্যতিত এই সমস্যার কোন সমাধান আছে বলে মনে হয়না।

সার্বিক বিবেচনায়, উন্মুক্ত দরপত্রে সমদরের ক্ষেত্রে মুল্যায়নের এই নতুন পদ্ধতি নিঃসন্দেহে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগকে পুর্বের তুলনায় আরো বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবিক প্রয়োগে এই পদ্ধতি কতটুকু টেকসই এবং উপযুক্ত হবে তা সময়ই বলে দেবে।

উপরের আলোচনা ভাল ভাবে অনুধাবন করার জন্য এই ৩টি নির্ণায়কের মাধ্যমে কিভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচন করা হবে তা আগে উদাহরন সহ দেখলে সহজ হবে। এই বিষয়ে একটি সুন্দর, সহজ এবং তথ্য ভিত্তিক উদাহরন দেখতে ক্লিক করুণ

এ বিষয়ে আরও বিশ্লেষণ দেখতে ক্লিক করুণ

14 thoughts on “PPR-08 এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ণের নির্ণায়কসমূহঃ একটি পর্যালোচনা”

  1. My spouse and I absolutely love your blog and find a lot of your post’s
    to be precisely what I’m looking for. Do you offer guest
    writers to write content for yourself? I wouldn’t mind composing a post or elaborating on some of the subjects you
    write related to here. Again, awesome blog!

  2. An impressive share! I have just forwarded this onto a friend who had been conducting a little research on this.
    And he in fact ordered me breakfast because I stumbled upon it for him…

    lol. So allow me to reword this…. Thanks for the meal!!
    But yeah, thanks for spending the time to talk about this issue here on your web page.

  3. I don’t know whether it’s just me or if perhaps everybody else experiencing issues with your blog.

    It appears as though some of the text within your
    posts are running off the screen. Can someone else please provide feedback and let me know if this is happening to them as
    well? This may be a problem with my web browser because I’ve had
    this happen before. Kudos

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সূচীঃ PPR-08

সর্বশেষ

Scroll to Top