গতকাল ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর কনফারেন্স কক্ষে “Current Government Procurement Scenario: Bangladesh Perspectives” এর উপর একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। Civil Engineering Division, IEB ঢাকা সেন্টার এই কর্মশালার আয়োজন করে।
Civil Engineering Division, IEB এর সভাপতি Engr. Md. Habibur Rahman, PEng এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট Engr. Md. Abdus Sabur, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ষ্টাফ কলেজ অব বাংলাদেশ (ESCB) এর সম্মানিত ডিন প্রকৌশলী এ আর এম আনোয়ার হোসেন, CIPS, Bangladesh Branch এর সম্মানিত সভাপতি ও এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক মোঃ নুরুল হুদা, ITC-ILO থেকে পাবলিক প্রকিউরমেন্টের উপর মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জনকারীদের পক্ষ থেকে এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন, MCIPS এবং ITC-ILO এর সার্টিফাইড প্রায় ১০০ এর উপর বিভিন্ন প্রকৌশলী ও প্রকিউরমেন্ট বিশেষজ্ঞ সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইইবির পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন।
বর্তমানে এডিপির প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। এই বছরে সরকারি ক্রয়ে ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১৯৬৫ টি। সরকারি ক্রয়ের আকার ও গুরুত্ব প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে কেনাকাটা করায় ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাশ্রয় হয়েছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। প্রকৌশলীরাই যেহেতু সরকারি ক্রয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেন তাই এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমসাময়িক জ্ঞান অতীব প্রয়োজন।
গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমানে সরকারি ক্রয় বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা ও সাম্ভাব্য সমাধান নিয়ে উপস্থিত Engineers cum Procurement Professional গন তাদের নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন। উক্ত কর্মশালায় ক্রয় আইন, বিধি, ই-জিপি সিস্টেম, টেন্ডার ম্যানেজমেন্ট, কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় আরও উল্লেখ করা হয় বিদেশি অর্থায়নে সরকারি আইসিটি প্রকিউরমেন্টে বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো এমন সব কঠিন শর্ত জুড়ে দেয় যা শুধু বৃহৎ বিদেশি কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণে সহায়তা করে এবং দেশীয় কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণে ব্যর্থ হয়। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব টাকা বিদেশে চলে যায়। তাই এ বিষয়ে আমাদের আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
আবার, সরকারি কেনাকাটার ধরনও বদলে যাচ্ছে। কাগজ থেকে চলে যাচ্ছে অনলাইনে। এর সুফলও দেশের জনগন এখন পেতে শুরু করেছে। কর্মশালায় সভাপতি Engr. Md. Habibur Rahman উল্লেখ করেন “আজকে আমরা ই-জিপি সহ সরকারি ক্রয়ের অনেকগুলো সমস্যার কথা শুনলাম। আপনাদের এই সমস্যাগুলো আমরা সিপিটিইউ সহ সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে পোঁছানোর উদ্যোগ নিব।”এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করছে। আমরা সুশাসন চাই। পাবলিক প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে কেনাকাটায় সুশাসন সম্ভব হবে। যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সেখানে সংস্কারের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকৌশলীদের তাগিদ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট আবদুস সবুর বলেন, “অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে অনেক সময় বেশি লাগে। যার ফলে বাজেট আরও বাড়াতে হয়। কিন্তু প্রকল্পগুলো যখন করা হয় তখন প্রকৌশলীরাই এই সময় বেঁধে দেন। আমি প্রকৌশলীদের বলব, প্রকল্পের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু সময় দেবেন। তার চেয়ে কম বা বেশি সময় দেবেন না। তারপর মন্ত্রণালয় কি করবে সেটা তাদের বিষয়। আপনারা (প্রকৌশলীরা) আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।”
সম্পুর্ণ প্রোগ্রামটি দেখতে ক্লিক করুনঃ Current Government Procurement Scenario: Bangladesh Perspectives
Registered ব্যবহারকারিরাই “প্রকিউরমেন্টবিডি.কম” ওয়েবসাইটের সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।