বাংলাদেশে দরপত্রের ইতিহাস:
বাংলাদেশে ২০০৩ইং সালের আগ পর্যন্ত সরকারী টাকায় ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘সাধারণ আর্থিক বিধিমালা (GFR)’ ব্যবহৃত হত যা বৃটিশ আমলে ১৯২৯ সালে জারি করা হয়েছিল। পরে ১৯৫১ সালে কিছুটা সংশোধন করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর সরকার সাধারণ অর্ডিনেন্স দ্বারা আগের আদেশ জারী রাখে।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
২০০২ সাল পর্যন্ত বলতে গেলে বৃটিশ আমলের আইন দ্বারা বাংলাদেশের সরকারী দপ্তরগুলোতে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় ২০০১-২০০২ সালে বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর যৌথ আর্থিক সহায়তায় সরকারী ক্রয় কার্যক্রমের উপর একটি গবেষণা সমীক্ষা পরিচালিত হয়। যার উপর ভিত্তি করে ২০০২ ইং সালে Country Procurement Assesment Report (CPAR) প্রকাশিত হয়। অতঃপর সেই রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী জটিল এবং সংবেদনশীল সংস্কার কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে সরকারি ক্রয়ের জন্য একটি ইউনিফর্ম প্রবিধান (Regulation) ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন-২০০৩’ জারি ও কার্যকর করা হয়। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন-২০০৩ এর বাস্তব প্রয়োগযোগ্যতার অনুসরণে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন (Act), ২০০৬’ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (Rule) – ২০০৮ গত ৩১ শে জানুয়ারি ২০০৮ থেকে কার্যকর করা হয়। উক্ত আইন ও বিধিমালাকে অধিকতর ব্যবহারোপযোগী করার জন্য গত ১২/০৮/২০০৯ ও ২৯/০৩/২০১১ তারিখে ক্রয় বিধিমালায় এবং গত ১২/১১/২০০৯ ও ১৮/০৭/২০১০ তারিখে ক্রয় আইনে কতিপয় সংশোধনী গেজেট আকারে জারি করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারী অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে বাংলাদেশে ই-টেণ্ডারিং শুরু হয়। ই-জিপি সিস্টেম একটি জাতীয় পোর্টাল (http://www.eprocure.gov.bd) যার মাধ্যমে ক্রয়কারী সংস্থা এবং ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যাবতীয় ক্রয়কার্য অনলাইনে সম্পাদন করতে পারে।