আরও ৬ মাস সরকারি ব্যয়ে গাড়ি কেনা বন্ধ

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোনো ধরনের গাড়ি না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ৩রা ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে গাড়ি কেনা স্থগিত থাকবে। ফলে এই অর্থবছরে সরকার গাড়ি কেনা বাবদ কোনো খরচ করবে না।

এর আগে অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাইয়ে এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো গাড়ি কেনা হবে না বলে জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। গতকালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের ব্যয় কমানোর নীতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারি গন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। একবছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে ব্যয় হয় তাকে পরিচালন ব্যয় বলা হয়। আর উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যয়কে বলা হয় উন্নয়ন ব্যয়। সাধারণত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে গাড়ি কেনে। আর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় কম হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। এ জন্য যেসব ব্যয় না করে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব তেমন ব্যয় না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাবে অর্থনীতির দুরবস্থার মধ্যে সরকারি ব্যয় কমাতে বিভিন্ন মহলের পরামর্শও রয়েছে।
সাধারন ভাবে প্রকল্পগুলোতে গাড়ি বাবদ অনেক ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকল্প শেষে ওই গাড়ির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। আবার গাড়ি কেনার চেয়ে এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি বাবদ খরচ হয় অনেক বেশি। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া যায়। এ জন্য আগে থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাড়ি কেনা বন্ধ রেখেছে সরকার। এর পরিবর্তে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গাড়ি ও চালক ভাড়া নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে কোনো কোনো প্রকল্পে বিশেষ প্রয়োজনে গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এসব গাড়ি কেনাও বন্ধ থাকবে। প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া নেওয়াও বন্ধ থাকা উচিত বলে অনেকে মনে করেন।
এ বিষয়ে পূর্বের রিপোর্ট দেখতে ক্লিক করুনঃ ডিসেম্বর’২০ পর্যন্ত সরকারি ব্যয়ে গাড়ি কেনা বন্ধ

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) এর কিছু বাস্তব উদাহরণ
টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) হচ্ছে এমন একটি ক্রয় এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সামগ্রিক ভাবে ব্যয়ের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক

Bangladesh: Public Procurement Reform Stuck Even After the Ordinance Issued!
The Government of the People’s Republic of Bangladesh issued the “Public Procurement (Amendment) Ordinance, 2025” on May 4, 2025. Its

অধ্যাদেশ জারীর পরও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সংস্কার আটকে আছে কেন !
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারী করা হয়েছে। এর মূল

একাধিক ঠিকাদারের দর সমান হলে Past Performance Matrix দিয়ে কিভাবে Ranking করবেন
পিপিআর-০৮ এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ি একাধিক ঠিকাদারের মধ্যে দর সমান হলে কিভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্ধারন হবে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে